আসসালামু আলাইকুম ভিউয়ার্স আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি|আজকের আর্টিকেল আমরা জানবো কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক করা হয়|কি কি কারণে ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক হতে পারে এবং হ্যাক হলে করণীয় কি।
তো চলেন বেশি দেরি না করে আজকের আর্টিকেল শুরু করা যাক।
প্রথমে হ্যাকার সম্বন্ধে কিছু কথা বলা যাক।
আসলে হ্যাকার প্রধানত তিন ধরনের হয়।
১/হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার"
২/গ্রে হ্যাট হ্যাকার"
৩/ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার"
১/হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার:-হ্যাকারদের মধ্যে হ্যাকার গুলো হয় খুব ভালো, এরা হ্যাকার হল আসলে হ্যাকার না এরা দেশের স্বার্থে কাজ করে|দেশের ডেটা সুরক্ষার জন্য এরা কাজ করে থাকে|এমনকি আমাদের বাংলাদেশ অনেক হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার আছে যারা সরকারি চাকরি করেন|এরা কোন প্রকার হ্যাকিং করেন না শুধু দেশের জন্য হ্যাক করেন,এটা হল হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার এর বৈশিষ্ট্য।
২/গ্রে হ্যাট হ্যাকার:-এ হ্যাকার গুলো খুবই খারাপ হয়ে থাকে।এরা কখনো কখনো দেশের জন্য কাজ করে আবার কখনো কখনো দেশের জন্য কাজ করে না|এরা সুযোগ পেলে দেশের স্বার্থে কাজ করে আবার দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। বাংলা ভাষায় বলতে গেলে এরা দুমুখো সাপ|এটা হল গ্রে হ্যাট হ্যাকার এর বৈশিষ্ট্য।
৩/ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার:-ইহা কারগুলো খবর নিকৃষ্ট হয়ে থাকে|কারণ এরা দেশি-বিদেশি অনেক সাইট হ্যাক করে বেড়ায়|হ্যাক করে তারা মোটা অঙ্কের টাকা চায়|ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক করা হাতের ধুলার মতো, তারা যখন-তখন হ্যাক করতে পারে।দেশের বাইরে হোক বা ভিতরেএটা হল ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার এর বৈশিষ্ট্য।
এটা হলো হ্যাকারদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু কথা।
আসলে হ্যাকাররা নানা কিছু হ্যাক করতে পারে|এখন যেটা আপনার ওয়েবসাইট হতে পারে আবার আপনার ইউটিউব চ্যানেলও হতে পারে বা আপনার মোবাইল ব্যাংকও হতে পারে|আমরা আজকের আর্টিকেলে এত কিছু আলোচনা করব না।
আজকে আমরা আলোচনা কযব কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক হয় এবং হ্যাক হলে করনীয় কি এ সমন্ধে।
প্রথমে একটা বিষয় বলে রাখা ভালো যে একটা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে সর্বপ্রথম যেটা লাগে সেটা হলো একটা gmail একাউন্ট|আর এটার মাধ্যমে আপনি আপনার চ্যানেল একসেস করতে পারেন|অার এটা যতদিন আপনার কাছে থাকবে তাতদিন আপনি চ্যানেল একসেস করতে পারবেন।
এখন এখানে হ্যাকার করে কি আপনার যে gmail একাউন্ট আছে সেটার তারা না কৌশলে একসেস নেয়|তখন আর চ্যানেলের একসেস আর আপনার কাছে থাকে না|এটাকে তখন আপনি বলেন হ্যাক।
<এখন জানব কিভাবে আপনার চ্যানেল বা কি কি উপায়ে হ্যাকার রা আপনার চ্যানেল হ্যাক করে:
১/স্পনসর্শিপ:-এটা তখনই ঘটে যখন দেখবেন আপনার চ্যানেলে 100kওপরে সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেছে। তখন দেখবেন আপনাকে বিভিন্ন কম্পানি থেকে আপনাকে gmail করা হচ্ছে|বেশির ভাগ gmail এ লেখা থাকবে যে আপনি এই গেমটা খেলেন বা এই সাইট গিয়ে log in করে ভিডিও আপলোড আপনার চ্যানেলে এর বিনিময়ে আমরা আপনাকে 500 ডলার দিব এই রকম।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটা ফেক হয়ে থাকে বা হ্যাকার এসব প্রস্তাব দিয়ে থাকে|আমা বলছি না যে এটা সবসময়ই ফেক হয়ে থাকে|কিছু কিছু আছে তারা real হয়|এটা আপনাকে যাচাই বাচাই করে নিতে হবে|
এবার কথা বলা যাক যে কিভাবে এ মাধ্যমে তারা হ্যাক করে:
প্রথমে দেখবেন তারা একটা গেম বা সাইট দিচ্চে|ধরুন এখন আপনি তাদের গেম বা সাইটে ডুকলেন তখন দেখবেন অাপনাকে লগইন করতে বলছে|তখন আপনি আপনার gmail/password দিয়ে লগইন করলেন|এই যে আপনি আপনার gmail/password দিয়ে লগইন করলেন আর তখন অাপনার gmail আর password ওদের কাছে চলে গেলো|
তখন আর আপনি আর আপনার চ্যানেলে একসেস করতে পারবেন না|এটা হ্যাকারদের কাছে চলে যাবে|তাই সাবধান।
২/ফিসিং সাইট:- এটা হ্যাক করার একটা জনপ্রিয় মাধ্যাম এ মাধ্যমে অনেকের চ্যানেল হ্যাক হয়ে যায়।
এ মাধ্যমে হ্যাকার রা করে কি দেখবেন একদম হুবহু youtube এর মতো সাইট আপনার ফোনে ওপেন হয়ে যাবে|তখন ওখানে আপনাকে log in করতে বলা হবে।
তখন আপনি দেখবেন কি রে এটা তো youtube যাই লগ ইন করি|আর যখনি আপনি লগইন করবেন তখন আপনার চ্যানেলের একসেস হ্যাকার দের কাছে চলে যাবে। তো সাবধান এসব ফিসিং সাইট থেকে।
এখন কথা বলব যে হ্যাকার রা চ্যানেল হ্যাক করে কি পায়: বড় বড় চ্যানেল হ্যাক হওয়ার ক্ষেত্রে তারা মোটা অংকের টাকা দাবি করে বসে|কিন্তু সব ক্ষেত্রে তারা এটা করে না|আবার তারা তাদের চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করে|আবার তারা চ্যানেল হ্যাক করার পর অশ্লীল লাইভ স্ট্রিম করে,
যা চাই youtube-এর কমিউনিটি গাইডলাইন এর বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেল টার্মিনেট করে দেয়। তখন আপনি আর কোন ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না|ভিডিও আপলোড করলে ভিউজ আসবেনা,
আবার তারাই এ কাজটি করতে পারে যে আপনার চ্যানেল হ্যাক করে অন্যদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া,
এসব তো কিভাবে হ্যাক হয় বা হ্যাক করে কি সুবিধা হ্যাকারদের,
হাত থেকে বাঁচতে কিছু কথা বলি|প্রথমত বলতে পারি আপনি দেখেশুনে আপনার চ্যানেলে স্পন্সরশিপ নেন|বা ওদের স্পনসর্শিপ কেউ নিয়েছে সে সম্বন্ধে ভিডিও দেখুন।তারপর যাচাই-বাছাই করে আপনি স্পনসর্শিপ নিতে পারেন। এতে কোন সমস্যা হবে না,
শেষ আর একটা কথা বলি যে ফিশিং সাইট থেকে বা ফিশিং লিঙ্ক থেকে দূরে থাকুন,
আপনার ভিডিও ডিসক্রিপশন এ অন্য একটি জিমেইল দিন যেখানে স্পনসর্শিপ আলাদা যোগাযোগ করতে পারে,
আজ আর কিছু লিখব না|লিখতে লিখতে হাত ব্যাথা হয়ে গেলো|আপনার কাছে আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করতে পারনে আপনাদের বন্ধুদের সাথে এবং আপ নার সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তোয়াজ আমি যাচ্ছি এতক্ষণ ধরে আপনাদের সাথে ছিলাম মোঃ জিহাদ হাসান|আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
(সমাপ্ত)
You must be logged in to post a comment.