ইউটিউব থেকে আয় | একটি স্থিতিশীল ও সহজবোধ্য পদক্ষেপ করে অনলাইনে টাকা উপার্জনের উপায়

ইউটিউব ইনকাম হলো অনলাইনে টাকা উপার্জনের একটি উপায়। এটি একটি স্থিতিশীল ও সহজবোধ্য পদক্ষেপ যা কেউ নেটওয়ার্ক সংযোগ এবং একটি ইউটুব একাউন্ট সম্পর্কে নিবন্ধিত হতে পারে।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

একজন ইউটিউবার হিসাবে আপনি আপনার পছন্দের বিষয়বস্তু তৈরি করতে পারেন এবং তাদের উপস্থিতি অর্থাৎ ভিউয়ারশিপ এর উপর ভিত্তি করে আপনি আপনার আয় করতে পারেন।

একজন ইউটিউবার হিসাবে আপনি আপনার আবহাওয়া বাণিজ্যিক করা জনপ্রিয় বিষয়বস্তু থেকে আয় উপার্জন করতে পারেন, যেমন খেলা, ফ্যাশন, খাদ্য বিষয়বস্তু, কমিউনিটি ইভেন্ট, কিংবা যেকোনো বিষয়ে যা আপনার পছন্দ এবং জ্ঞান রয়েছে।

এছাড়াও, আপনি আপনার অনুসন্ধানের উপর ভিত্তি করে আপনার বিষয়বস্তু তৈরি করতে পারেন।

ইউটিউব থেকে আয় উপার্জনের কিছু সাধারণ পদক্ষেপ হলো:

১. একটি চ্যানেল তৈরি করুন: ইউটিউবে ইনকাম শুরু করতে প্রথমে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। এই চ্যানেলটি টপিক বা বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা যেতে পারে।

আপনি যে কোন বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

২. ভিডিও তৈরি করুন: চ্যানেল তৈরি হওয়ার পরে, ভিডিও তৈরি করতে হবে। আপনি যেকোনো বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন এবং এই ভিডিওগুলি আপনার চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন।

ভিডিও তৈরি করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ক্যামেরা বা স্ক্রিন রেকর্ডার।

পরবর্তী ধাপ হলো আপনার চ্যানেলকে মার্কেটিং করা। আপনি আপনার চ্যানেলের লিঙ্কটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন যাতে আরও জনগন আপনার ভিডিওগুলি দেখতে আসে।

আপনি আপনার ভিডিওগুলি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রচার করতে পারেন এবং আপনি আপনার চ্যানেলের লিঙ্কটি আপনার স্বজন বা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

একটি চ্যানেলে সফল হওয়ার জন্য আপনার ভিডিওগুলি মানসম্মত এবং স্বপ্নময় হতে হবে। আপনার ভিডিওগুলি জনপ্রিয় হলে একটি চ্যানেল থেকে সারা জীবনের জন্য আয় উপার্জন করা যেতে পারে।

আপনি চ্যানেলের উন্নয়নে সময় ও শক্তি ব্যয় করতে হবে যাতে আপনার ভিডিওগুলি সর্বাধিক জনপ্রিয় হয় এবং আপনি সারা জীবনের জন্য একটি পার্থক্যময় আয় সৃষ্টি করতে পারেন।

আপনার চ্যানেলের উন্নয়নে আপনি আপনার ভিডিওগুলির একটি সম্পূর্ণ ক্যাটাগরি বা নিচের উপ-ক্যাটাগরিতে সাজানো হয়।

যেমন, যদি আপনি কমেডি ভিডিও বানানোর জন্য পছন্দ করেন তবে আপনি একটি "কমেডি" ক্যাটাগরিতে ভিডিওগুলি সাজিয়ে রাখতে পারেন।

এটি দর্শকদের আপনার ভিডিও খুঁজতে সহায়তা করবে এবং আপনার চ্যানেলটি জনপ্রিয় করতে সাহায্য করবে।

আপনি আপনার চ্যানেলের উন্নয়নে আরও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারেন। একটি ভিডিও পোস্ট করার পরে, আপনি ভিডিওটি উদ্ধৃত করে একটি বিস্তারিত বর্ণনা লিখতে পারেন।

এটি আপনার দর্শকদের আপনার চ্যানেল খুঁজতে সহায়তা করবে এবং আপনার চ্যানেলটি একটি পেশাদার ভাবে উন্নয়ন করতে সাহায্য করবে।

ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করার জন্য আপনার ভিডিওগুলি একটি নির্দিষ্ট নীতি অনুসরণ করে উপস্থাপন করা উচিত।

নির্দিষ্ট নীতি মানে হলো, ইউটিউবে অবশ্যই সম্মতিপূর্ণ এবং কানুনের মধ্যে রয়েছে এবং এটি দর্শকদের জন্য উপযুক্ত।

আপনার চ্যানেলে একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় কভার ফটো ব্যবহার করুন এবং আপনার চ্যানেলের বর্ণনা উন্নয়ন করুন।

এটি দর্শকদের আপনার চ্যানেল সম্পর্কে বেশ কিছু কথা জানাবে এবং তাদের আপনার চ্যানেল দেখার জন্য উৎসাহিত করবে।

আপনি আপনার চ্যানেলে পোস্ট করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত লিঙ্ক শেয়ার করে নিজেকে সম্পর্কিত করতে পারেন।

আপনার ভিডিও তৈরি করার সময় নিখরচা স্টেডিও ছাড়াও আপনি আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে আপনার একটি চ্যানেল থাকতে হবে যাতে আপনি আপনার ভিডিও আপলোড করতে পারেন। এর জন্য নিম্নলিখিত কিছু প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং প্রক্রিয়া রয়েছে:

একটি ইউটিউব চ্যানেল: আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওগুলি হলেও দেখানো হবে এবং দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করার জন্য দরকারী হয়। চ্যানেল খুলতে আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্ট থাকা প্রয়োজন।

ভিডিও প্রস্তুতকরণ: আপনার ভিডিও প্রস্তুত করতে হবে এবং সম্পাদনা করতে পারেন এবং একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় টাইটেল এবং বর্ণনা সহ প্রকাশ করতে হবে।

একটি ভালো কিছু প্রয়োজনীয় টাগ: ট্যাগ এটি নির্দিষ্ট করা হলে আপনার ভিডিওটি আরও সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। সঠিক ট্যাগ ব্যবহার করা ভিডিওটির অনুমতি দেয় যে এটি সেরা কোনও বিষয়ে মুখ্য হয়।

পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে সম্মতি: ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে সম্মতি দিতে হবে। এটি আপনাকে সাইন আপ করতে হবে এবং আপনার চ্যানেলের জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

ভিডিও মান এবং সময়: ভিডিও টি দর্শকের জন্য আকর্ষণীয় হওয়া উচিত এবং এর সাথে একটি নির্দিষ্ট মান থাকতে হবে। সময়ও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাত্ত যা ভিডিও দর্শকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

বিজ্ঞাপন বা স্পন্সরশিপ: আপনি আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারেন এবং স্পন্সরশিপ গ্রহণ করতে পারেন।

আরো ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় হতে পারে:

সংবাদ চ্যানেল: আপনি একটি সংবাদ চ্যানেল শুরু করতে পারেন এবং পপুলার সংবাদ ঘটনার বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। সংবাদ চ্যানেল থেকে আপনি সরকারী এবং বেসরকারী পত্রিকা থেকে ইনকাম করতে পারেন।

লাইভ ভিডিও: আপনি লাইভ ভিডিও প্রচার করতে পারেন এবং একটি স্থিতিশীল পাবলিক নির্দেশিত চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। পাবলিক নির্দেশিত চ্যানেল স্থাপনের পরে, আপনি ইনকাম করতে পারেন একটি স্থিতিশীল চ্যানেলে রমনা করে।

প্রোডাক্ট রিভিউ: প্রোডাক্ট রিভিউ আপনার সামর্থ্য দেখানোর একটি উপায় এবং এর মাধ্যমে আপনি পণ্য সম্পর্কে মানুষদের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করতে পারেন। 

একটি পরীক্ষা প্ল্যাটফর্ম থেকে আয়: আপনি একটি পরীক্ষা প্ল্যাটফর্ম হতে আয় করতে পারেন এবং একটি চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। প্রতিষ্ঠিত চ্যানেলে, আপনি আপনার ইনকাম বাড়ানোর জন্য আফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবহার করতে পারেন।

নির্দিষ্ট টপিক থেকে ভিডিও তৈরি করুন: আপনি নির্দিষ্ট একটি টপিক বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন এবং এই ভিডিওগুলি পপুলার হলে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

আপনার প্রফেশনাল ক্যারিয়ার সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করুন: আপনি আপনার পেশার বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ভিডিও তৈরি করতে পারেন এবং এই ভিডিওগুলি দ্রুত পপুলার হলে আপনি ইনকাম করতে পারেন।

একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

১. একটি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট খুলুন: প্রথমে ইউটিউবে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং আপনার ইমেইল ঠিকানা দিয়ে সাইন আপ করুন।

২. চ্যানেল খুলুন: এখন আপনার ইউটিউব একাউন্ট খোলা হলে, ইউটিউবে লগ ইন করুন এবং স্ক্রীনের উপরের দাহট হাতের দিকে থাকা আইকনটি ক্লিক করুন। এরপর, "চ্যানেল তৈরি করুন" বাটনটি ক্লিক করুন।

৩. চ্যানেলের বিবরণ প্রদান করুন: চ্যানেল খুলার পরে, আপনাকে আপনার চ্যানেলের নাম, বিবরণ এবং ট্যাগ প্রদান করতে হবে। চ্যানেল এর বিবরণ একটি স্বচ্ছতা ও পরিচিতি উভয় বিষয়ে ভিত্তি করে তৈরি করা উচিত।

ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হলে আপনার একটি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট থাকা লাগবে। নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন:

১. ইউটিউবে সাইন ইন করুন আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে।

২. পরবর্তী ধাপে, ইউটিউব হোমপেজ এ যান এবং সাইডবার থেকে "সাইন ইন করুন" বোতামটি চান।

৩. সাইন ইন হওয়ার পর, আপনার নামের বাগস সঙ্গে ড্রপডাউন মেনুতে ক্লিক করুন এবং "ইউটিউব সেটিংস" অপশনটি চান।

৪. এখন সেটিংস পৃষ্ঠায় থাকেন। এখানে "চ্যানেলস" অপশনটি চান এবং "চ্যানেল সংযোজন করুন" বোতামটি চান।

৫. এখন নতুন চ্যানেল তৈরি করার জন্য আবশ্যক তথ্য প্রদান করতে হবে, যেমন চ্যানেলের নাম, বিবরণ, লোগো এবং কভার ফটো।

আপনি যদি ইউটিউব ভিডিও থেকে বেশি ভিউ  না পান তাহলে কিছু পরামর্শ মেনে চলতে পারেন।

১। আপনার ভিডিও একটিভ এবং আকর্ষণীয় হওয়া উচিত। যতটা আপনার ভিডিও আকর্ষণীয় হবে ততটা বেশি লোক তা দেখবেন।

২। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) সঠিকভাবে করুন। ভিডিও টাইটেল, বিবরণ এবং ট্যাগগুলি ঠিকভাবে করে রাখুন।

৩। ভিডিও একটি কনসিস্টেন্ট সিরিজ হতে পারে। এটি লোকজনের কর্মসূচীতে আপনার ভিডিওগুলি সংগ্রহ করতে সাহায্য করবে।

৪। আপনার টারগেট দর্শকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন। আপনি যদি একটি স্পেশালাইজড টপিক নির্বাচন করে থাকেন তবে আপনার টারগেট দর্শকদের খুবই প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত।

আপনি নিচের কিছু টিপস মেনে চলে যদি আপনার YouTube ভিডিওগুলি বেশি দেখা হয় তাহলে ভালো হবে।

একটি সম্পর্কযুক্ত টপিক নির্বাচন করুন: ভিউস পেতে আপনাকে ভিউস জনিত টপিক নির্বাচন করা উচিত। আপনার টপিকটি জনপ্রিয় হলে আপনার ভিডিওগুলি এক্সপোজ হবে এবং বেশি দেখা হবে।

আপনি আপনার দক্ষতা বা পছন্দের বিষয়গুলি উপযুক্ত টপিক হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন।

ভালো কোনও কোনও টপিকে আলোচনা করুন: একবার টপিক নির্বাচন করা হলে এটি নিয়মিত ভিডিও এবং আলোচনা এর মাধ্যমে সম্পর্কিত টপিকে পরিষ্কার জ্ঞান বিতরণ করতে হবে। নতুন এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট প্রদান করতে হবে।

প্রফেশনাল ভাবে সম্পাদনা করুন: দর্শকরা সামগ্রী বেশি দেখতে পারে যদি আপনি একটি উন্নয়নশীল ভিডিও সম্পাদনা করেন। 

কিভাবেবে YouTube ভিডিওর জন্য ট্রেন্ডিং কিওয়ার্ড খুঁজে বের করবেন

আপনি যদি আপনার YouTube চ্যানেলে আরও বেশি ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার পেতে চান তবে আপনাকে আপনার ভিডিওর ট্রেন্ডিং কিওয়ার্ডগুলি অনুসন্ধান করতে হবে।

এই কিওয়ার্ডগুলি আপনার ভিডিওকে সাম্প্রতিক এবং সম্প্রচারের সাথে সংযোগ দিয়ে আপনাকে আরও দর্শক এবং সাবস্ক্রাইবার দিতে সাহায্য করবে।

কিন্তু একটি সমস্যা হল অনেক সময় আপনি সঠিক ট্রেন্ডিং কিওয়ার্ডগুলি বের করতে না পারেন।

ইউটিউবে সফল হওয়ার জন্য আরও কিছু পরামর্শ নিম্নে দেওয়া হলঃ

কনটেন্ট এক্সপ্লোর করুন: আপনার চ্যানেল পপুলার হতে হলে আপনাকে ব্র্যান্ডের নতুন নতুন কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।

সে জন্য আপনি অন্যদের চ্যানেল সম্পর্কে জানতে পারেন এবং যে কোন টপিকে ভিডিও সম্পর্কে তৈরি করতে পারেন।

শিরোনাম ও ট্যাগ ভালো করে লিখুন: ভিডিওর শিরোনাম ও ট্যাগ দেখে দর্শকরা ভিডিও খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়। তাই আপনাকে ভালো ভাবে শিরোনাম ও ট্যাগ লিখতে হবে।

ভিডিও কোয়ালিটি ভালো করে রাখুন: ভিডিওর কোয়ালিটি ভালো না হলে দর্শকরা আপনার ভিডিও দেখতে স্বার্থ হবে না। তাই আপনাকে ভিডিও তৈরি করার সময় কোয়ালিটি বিবেচনায় রাখতে হবে।

ইউটিউবে লাইক এবং সাবস্ক্রাইবারদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কিছু পরামর্শ নিম্নে দেওয়া হলঃ

১। আপনার ভিডিওগুলি ভালো কোয়ালিটি ও উচ্চ মানের হতে হবে যাতে আপনার দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে।

২। আপনার টার্গেট দর্শকদের পরিচিত করতে চেষ্টা করুন এবং আপনার ভিডিওগুলি তাদের পছন্দ হবে এমন বিষয়ে আলোচনা করুন।

৩। আপনার ভিডিওগুলির টাইটেল, ডেসক্রিপশন এবং ট্যাগগুলি ভালো করে লিখুন এবং সংক্ষেপে একটি ভিডিওর বিষয় সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দিন।

৪। সাম্প্রতিক ট্রেন্ড এবং টপিকগুলি নিয়ে আলোচনা করুন যারা জনপ্রিয় এবং জনস্বার্থসাধক।

৫। আপনার ভিডিওগুলির প্রচার করুন আপনার আলোচনাগুলির মাধ্যমে সম্ভব হতে সম্ভব বেশি লোকদের পরিচিত করার চেষ্টা করুন।

ইউটিউবে লাইক এবং সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলো:

১. নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করুন: একটি পপুলার চ্যানেল তৈরি করার জন্য দরকারি নিয়মিত এবং উন্নয়নশীল কন্টেন্ট আপলোড করা।

নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে আপনি আপনার দর্শকদের সাথে একটি নিরাপদ সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন এবং অধিক ভিউ উপলব্ধ হবে।

২. টিটিল এবং বর্ণনা ভালো করুন: সঠিক টিটিল এবং বর্ণনা দিয়ে আপনি ভিউ বাড়াতে পারেন। আপনার টিটিলে সূক্ষ্ম কিংবা নোটিস এবং রঙিন উক্তি থাকা উচিত না।

বর্ণনাতে সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট থাকতে হবে। এটি আপনার ভিডিওটি সন্দর্ভে অন্য দর্শকদের জন্য স্পষ্ট করবে এবং তাদের মনে প্রভাব জমাতে সাহায্য করবে।

ইউটিউব চ্যানেলে ভিউস ও সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর জন্য কিছু টিপস এবং ট্রিকস নিচে দেওয়া হলো:

বিষয় নির্বাচন করুন: ইউটিউবে সার্চ করে দেখতে হবে আপনার নির্বাচিত টপিকে কতটা ভিউ আসছে এবং সে টপিকে নতুন কি আছে না। এছাড়াও আপনার টপিকের ভিডিও তৈরি করার আগে তথ্যসূত্রগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে।

ভিডিও এক্সটেনশন নির্বাচন করুন: আপনার ভিডিও এক্সটেনশন যাচাই করতে হবে এবং একটি ভাল এক্সটেনশন নির্বাচন করতে হবে। সাধারণত পপুলার এক্সটেনশন হলো MP4 এবং MOV।

ভিডিও কোয়ালিটি ভালো করুন: আপনি যদি প্রফেশনালি ভিডিও তৈরি করতে চান তবে ক্যামেরা সেটিংস ঠিকমত করে নিবেন। এছাড়াও ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে স্বাধীন হওয়া উচিত।

ইউটিউব চ্যানেলের জন্য সাবস্ক্রাইবার ও ভিউ বাড়ানোর জন্য কিছু পরামর্শ হলোঃ

১. প্রথমেই ভিউয়ার সংখ্যা বাড়ানো জন্য কন্টেন্টটির মান এবং বিষয় নির্বাচন করা উচিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যে আপনার ভিডিও দর্শকদের জন্য কিভাবে উপযোগী এবং স্বচ্ছ হবে।

ভিডিওটির কোন উপাদান পুরোপুরি সম্প্রসারণযোগ্য হলে দর্শকদের দিকে পরিচালনা করা উচিত।

২. ভিডিওটির টাইটেল, বিবরণ, ট্যাগস এবং থাম্বনেইল উন্নয়ন করা উচিত। টাইটেল এবং বিবরণ আপনার ভিডিওটি সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করে এবং লোগও দর্শকদের পরিচিত হতে সাহায্য করে।

এছাড়াও, ট্যাগস সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে আপনার ভিডিওটি সম্ভবত আপনার টার্গেট দর্শকদের কাছে উপস্থাপিত হবে।

ইউটিউব ভিডিও এডিটিং এর জন্য সেরা অনলাইন টুলস কোনগুলো? 

ভিডিও এডিটিং এ কাজ করা হলে সে ভিডিওটির গুণমান উন্নয়ন করে তোলে। আপনি ইউটিউবে ভিডিও পোস্ট করছেন তবে আপনি নির্দিষ্ট সময় নেয়া হয়েছে যেখানে ভিডিওটি কেমন হবে সেটি নিয়ে কাজ করতে হবে।

ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে আপনার পছন্দের টুলসগুলি জানার জন্য আমরা এই নিবন্ধে নির্দিষ্ট করেছি।

Adobe Premiere Pro: Adobe Premiere Pro হল একটি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এটি উন্নয়নশীল এবং নিয়মিত আপডেট হয়।

এটি বিশ্বের সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলির মধ্যে একটি। সেটি পুরো বিশ্বে বিশ্বস্ত এবং প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কাজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 

আপনি কোন ধরনের ভিডিও নিয়ে কাজ করবেন সেটি আপনার উদ্দেশ্য এবং পছন্দ অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। তবে যে কয়েকটি পদক্ষেপ সেই ভিডিও নির্দেশ করা হতে পারে:

অনুসন্ধান করুন যে ভিডিওগুলো এখন ট্রেন্ডিং আছে এবং লোকের কি পছন্দ হচ্ছে। সেগুলো নিয়ে কাজ করলে আপনার ভিডিও দর্শক উত্তেজিত হবে এবং বেশি ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার পাবেন।

একটি নিবন্ধ বা টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করুন যাতে লোকেরা কিভাবে কিছু করতে পারে সেটি শিখতে পারে।

এই ধরণের ভিডিও জনপ্রিয় হতে পারে কারণ লোকেরা শিখতে উদ্দীপ্ত হবে এবং এই ভিডিওর সাথে আপনার চ্যানেলকে বিশ্বস্ততা অর্জন করা সহজ হবে।

প্রতিদিনের জীবনের একটি পরিসংখ্যান বা অভিজ্ঞতা নিয়ে ভিডিও তৈরি করুন। 

আপনার ইউটিউব ভিডিও থেকে বেশি ভিউ পেতে হলে নিচের কিছু টিপস মেনে চলতে হবেঃ

১। পপুলার টপিক নির্বাচন করুন: প্রথমেই আপনাকে নিজের ভিডিও এর জন্য একটি পপুলার টপিক নির্বাচন করতে হবে।

এটি আপনার লক্ষ্য এর উপর নির্ভর করে। নিজের ভাষা, জ্ঞান এবং পছন্দ অনুযায়ী একটি টপিক নির্বাচন করা উচিত।

তবে মনে রাখবেন যে পপুলার টপিক আগেই বেশি প্রতিযোগিতার মাঝে থাকতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে একটি নিষিদ্ধ ক্ষেত্রে প্রবেশ করা উচিত।

২। ভালো কোয়ালিটি ভিডিও তৈরি করুন: ভিডিও তৈরির সময় ভালো কোয়ালিটি রাখতে হবে। একটি খারাপ কোয়ালিটির ভিডিও দেখলে লোকরা আর আপনার ভিডিওগুলি দেখতে ইচ্ছা করবেন না। সুন্দর এবং ক্লিয়ার ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করুন।

কোন টপিকে লেখা চান তা নির্দিষ্ট করেন তাহলে আমি সেই সাবজেক্ট উপর একটি লেখা প্রস্তুত করতে পারি। কিন্তু একটি সামান্য লেখা প্রস্তুত করে দেওয়া যায় যা ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার জন্য কিছু টিপস ও রেজাল্ট কেনাকাটা করা হয়েছে।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার টিপস এবং রেজাল্ট কেনাকাটা:

এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল বা ডেভেলপমেন্ট ভিডিও: এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল বা ডেভেলপমেন্ট ভিডিও বানানো খুবই জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বেশি দেখা হয়। এই ধরনের ভিডিও থেকে আপনি নিজের চ্যানেলে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

সাধারণত এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল বা ডেভেলপমেন্ট ভিডিও কে দেখে নিজের ওয়েবসাইট এবং এপ্লিকেশন বানাতে শিখা যায়।

কীভাবে একটি সফল ইউটিউব ভিডিও তৈরি করবেন

ইউটিউব ভিডিও তৈরি করা সম্পর্কে চিন্তা করা একটি জরুরী প্রশ্ন। সফল একটি ইউটিউব ভিডিও তৈরি করা অনেক কাজ এবং পরিকল্পনা প্রয়োজন।

আপনি নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করে একটি সফল ইউটিউব ভিডিও তৈরি করতে পারেন:

১. স্ক্রিন রেকর্ড সফটওয়্যার ইনস্টল করুন: সফটওয়্যার সম্পর্কে আপনি যেমন জানেন না, সেটা আপনাকে আপনার কম্পিউটারে স্ক্রিন রেকর্ড করতে সহায়তা করবে।

কিছু সফটওয়্যার সম্পর্কে মনে করতে পারেন: OBS, Camtasia, ScreenFlow, ইত্যাদি। আপনি এই সফটওয়্যারগুলি ব্যবহার করে আপনার কম্পিউটারে স্ক্রিন রেকর্ড করতে পারেন।

ইউটিউব ভিডিও মনে করুন হল একটি স্ট্রিমিং সার্ভিস এবং একটি ওয়েবসাইট যা গুগলের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে ট্রয়েলার বা এডভার্টাইজমেন্ট এর মাধ্যমে ট্র্যাফিক উত্তোলন করে এবং এটির উপর ভিউয় পেতে থাকে এবং এর উপর ভিডিও এডসের মাধ্যমে আয় করে। ইউটিউব পেমেন্ট করতে দুটি উপায় আছে:

ইউটিউব পার্টনারশীপ প্রোগ্রাম: এটি হল সর্বপ্রথম উপায় যা ইউটিউব প্রদান করে।

যখন আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে থাকেন এবং আপনি কোন একটি ভিডিও আপলোড করেন তখন ইউটিউব আপনার ভিডিওর উপর বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে এবং আপনি ভিডিওর উপর দ্বিতীয় পার্টি বিজ্ঞাপন দেখতে পারেন।

ইউটিউব থেকে পেমেন্ট গ্রহণের জন্য প্রধানতঃ দুটি উপায় আছে।

ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম:

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার জন্য আপনাকে প্রথমেই একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। তারপর আপনি চ্যানেলে নিজের সৃজনশীল ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।

এরপর যখন আপনার চ্যানেলে প্রতিদিন ৪০০০ ঘণ্টা দেখা হবে তখন আপনি ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে জড়িত হতে পারবেন।

এই প্রোগ্রামে জড়িত হলে ইউটিউব আপনার ভিডিও দেখার সময় ভিজিটরদের থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।

আপনি ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম থেকে প্রাপ্ত আয়ের জন্য আপনার একটি আদেশ পালন করতে হবে, যার মাধ্যমে আপনার ট্র্যাক করা হবে। আপনি ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম থেকে প্রাপ্ত আয় একমাত্র একটি উপায় নয়। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ