ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই একটি ওয়েব ব্রাউজার প্রয়োজন। এটি ইন্টারনেট ব্যবহার করা অকল্পনীয় একটি ব্যাপার। আপনি যে কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে চান না কেন সেখানে ঢুকতে হলে প্রথমে আপনার একটি মাধ্যম দরকার। আরে মাধ্যমটি হচ্ছে ব্রাউজার। এর ব্যতীত আপনি কিভাবে ইন্টারনেটে ঢুকবেন একটু বলতে পারবেন?
অবশ্যই না। কারণ মাধ্যম ছাড়া কোনো কিছুতেই প্রবেশ করা সম্ভব না। কিন্তু এই ব্রাউজার কিভাবে কাজ করে থাকে তা আমাদের বেশির ভাগই অজানা রয়েছে। তাই এ পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানো হবে যে, ওয়েব ব্রাউজার কী এবং কীভাবে একটি ওয়েব ব্রাউজার কাজ করে
ওয়েব ব্রাউজার
ব্রাউজার হচ্ছে একটি মোবাইল কিংবা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন। যা ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে সহযোগিতা করে থাকে। কিন্তু ব্রাউজার এবং সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে কখনো গুলিয়ে ফেলবেন না। কেননা দুটি সম্পূর্ণ একে অপর থেকে আলাদা। সার্চ ইঞ্জিন একটি ব্রাউজার এর মাধ্যমেই চালনা করা হয়ে থাকে। সুতরাং দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।
ব্রাউজার হচ্ছে একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন ইন্টারনেট সার্ভার এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে দেয়। যার ফলে আমরা ইন্টারনেটের সকল সুবিধা ভোগ করতে পারি। যেমন- বিভিন্ন ধরনের ফাইল, স্টাইল, ডিজাইন, কন্টাক্ট ইত্যাদি। আর সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে এমন একটি সাইট যা অন্যান্য ওয়েবসাইটকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী সাজেশন করে দেয়।
আমরা আগে বলেছি যে ব্রাউজার ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করা সম্ভব না। ঠিক তেমনি ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করা সম্ভব না। ইন্টারনেট ব্যতীত একটি ব্রাউজ পুরোপুরি অকার্যকর। সুতরাং ইন্টারনেট এবং ব্রাউজার একে অপরের পরিপূরক।
আবার অনেকেই বলতে পারেন এর ভিতর এত কিছু সুন্দর থাকার পরেও শুধু একটি ব্রাউজিং কেন? ভার্চুয়াল জগতে অনেক ব্রাউজিং প্রতিযোগিতা চলে আসছে আগে থেকেই । কোম্পানিগুলো নিজের ব্রাউজারগুলো কে উন্নত করতে এবং মার্কেটিং করতে এগুলো নানা ভাবে সাজিয়ে থাকে। এজন্যই এগুলো দেখতে অত্যন্ত সুন্দর এবং আরো নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে।
ব্রাউজার এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ইন্টারনেট তৈরীর পরেই তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস মতে প্রথম ব্রাউজার কোনটা ছিল তা নিয়ে অনেকের দ্বিধা দ্বন্দ্ব রয়েছে। ধারণা করা হয় সর্বপ্রথম 1990 সালে টিম বার্নার্স লি নামে একটি ব্রাউজার তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে এর নাম নেক্সাস হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
একমাত্র এ সফটওয়্যার এর মাধ্যমে কম্পিউটারের সকল প্রকার অ্যাক্সেস করা হতো। যার ফলে তখনকার মানুষ শুধুমাত্র এটি ব্যবহার করতেন। কিন্তু হঠাৎ করে 1994 সালে এটি বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর আরো নতুন নতুন ব্রাউজার আসতে শুরু করে এবং সেগুলো জায়গা দখল করে নেয়।
একটি ব্রাউজার যেভাবে কাজ করে থাকে
ব্রাউজার একটি অ্যাপ্লিকেশনের হয় এটি অবশ্যই কোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে ইন্সটল থাকতে হবে। সেটাই স্মার্ট ফোন হোক কিংবা কম্পিউটারে হোক। তাই সর্ব প্রথম এটাকে ইন্সটল করে নিতে হয়।
আমরা সাধারণত ব্রাউজারে ঢোকার পর এড্রেসবারে কোন এড্রেস বা ডোমেইন নেম দিয়ে থাকি। তখন এসব অ্যাড্রেস ব্রাউজার দিয়ে ইন্টারনেট সার্ভার এর কাছে রিকোয়েস্ট পাঠায়। ইন্টারনেট সার্ভার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করে তারপর সে ওয়েবসাইট বা এড্রেস নিয়ে যায়। এ কাজটি এক মিনিট সেকেন্ডের কম হয়ে থাকে।
অর্থাৎ ব্যবহারকারীর রিকোয়েস্ট ইন্টারনেটে পৌঁছায় এবং ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য গুলো তার মধ্যে প্রকাশ করে ব্যবহারকারীকে দেখায়। অর্থাৎ এটি তথ্য প্রেরণকারী, গ্রহণকারী এবং প্রদর্শনকারী। ব্রাউজার কখনো ধীর গতিতে কাজ করে না। ইন্টারনেট ধীরগতি হলে ব্রাউজার অধিক গতিতে কাজ করে থাকে।
প্রথমদিকে ব্রাউজারের এত আপডেট ছিল না বলে, এর সাহায্যে সকল কাজ সম্পন্ন করা যেত না। বর্তমানে অনেক আপডেট হয় এর মাধ্যমে অনেক বড় বড় ফাইল ডাউনলোড এবং শেয়ার করা যাচ্ছে। এমনকি দীর্ঘ লাইভ স্ট্রিমিং সুবিধাও সহ মাল্টি ট্যাবে কাজ করা যাচ্ছে। যার ফলে আগের থেকে কোন সময়ে কাজ করা যায়।
বর্তমান সময়ে ব্রাউজার এর সুবিধা
- মাল্টি ট্যাব ওপেন ব্রাউজিং
- বুক মারকিং সিস্টেম
- সহজ ডাউনলোড
- ডিজিটাল ডিজাইন
- অটো সেভ
- ডাটা সিকিউরিটি
- এক্সটেনশন
ইত্যাদি
সর্বপরি: লেখাটি যতি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
You must be logged in to post a comment.