আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আশা করি ভালো আছেন বন্ধুরা। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি।
গত পর্বে আমি কনটেন্ট মার্কেটিং কি এবং কনটেন্ট রাইটিং এর প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে আরও একটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি।
আজকের আর্টিকেলের এই এপিসোডে আমি আপনাদেরকে বলবো যে কনটেন্ট মার্কেটিং আপনারা কেন করবেন। পূর্বের আর্টিকেলটি না দেখলে হয়তো বা আপনারা আজকের আর্টিকেলটি বুঝতে পারবেন না তাই অবশ্যই পূর্বের আর্টিকেলটি আগে গিয়ে দেখে আসুন।
গত পর্বে আমরা কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে জেনেছি তাই আজকে কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে আর কোন কথা বলবো না। আজকে শুধু বলবো যে আপনারা কনটেন্ট মার্কেটিং কেন করবেন। তাহলে শুরু করা যাক।
কনটেন্ট মার্কেটিং ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং জগতে বিজ্ঞাপন প্রচার করা খুবই কঠিন। কারণ কনটেন্ট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর জগতে বিজ্ঞাপন প্রচার করার একটি খুবই সহজ উপায়।
আপনি আপনার ওয়েবসাইটের একটি ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে যেকোনো পণ্যের প্রচার করতে চান। এর জন্য আমাদের লিখিত কনটেন্ট এর প্রয়োজন হবে। লিখিত সম্পর্কে আমরা গত পর্বে জেনেছি।
আবার যদি ভিডিওর মাধ্যমে আপনার পণ্যটি প্রচার করতে চান তাহলে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। ভিডিও কনটেন্ট সম্পর্কেও আমরা গত পর্বে জেনেছি।
এছাড়াও আপনি যদি অডিও অথবা ইমেজ বা ব্যানার এর মাধ্যমে কাঙ্খিত পণ্যটি প্রচার করতে চান তাহলে আপনাকে অডিও কনটেন্ট বা ইমেজ কনটেন্ট তৈরি করতে হবে এবং তা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার করতে হবে।
এর ফলে মানুষ আপনার পণ্যটি সম্পর্কে জানতে পারবে এবং আপনার পণ্যটি কিনতে উদ্বুদ্ধ হবে। তবে এর জন্য একটি মানসম্মত মানের কনটেন্টের প্রয়োজন।
অনেক কিছুই তো জানলাম। চলুন এখন দেখে নেওয়া যাক কনটেন্ট মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য গুলো।
১. পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানার জন্য
২. কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ানো
৩. কাস্টমার তৈরি করা
চলুন তাহলে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানা:
পৃথিবীতে বর্তমানে কোটি কোটি কোম্পানি রয়েছে। এত কোম্পানির কাজ কি? আপনারা কি কেউ বলতে পারবেন। আমার মনে হয় বলতে পারবেন না।
প্রত্যেকটি কোম্পানি তাদের নিজেদের প্রোডাক্ট বা সেবা মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের নামে একটি কোম্পানি তৈরি করে এবং তারা কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমেই তাদের সেবা বা প্রোডাক্ট মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়।
এর থেকে আমাদের মাসে এমন একটা ধারণা হয়ে গেছে যে আমরা ইন্টারনেটে যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট পাব।
এজন্য আমাদের যখনই কোন প্রোডাক্ট কেনার প্রয়োজন হয় তখনই আমরা ইন্টারনেটে সেই প্রোডাক্টের নাম লিখে সার্চ করি।
সার্চ করার পরে আমাদের সামনে যে বিজ্ঞাপন গুলো আসে এগুলোকে আমরা কনটেন্ট মার্কেটিং বলে থাকি। এখানে কনটেন্ট মার্কেটিং সেবা এবং পণ্য সম্পর্কে জানার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
কোম্পানির ব্যান্ড ভ্যালু বাড়ানো:
কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু বানানোর জন্য একটি মূল উপায় হতে পারে কনটেন্ট মার্কেটিং। বর্তমানে কোম্পানিদের প্রতিযোগিতা এত বেড়ে গেছে যে নতুন কোন কোম্পানি খুললে তার ব্র্যান্ড ভালো বাড়াতেই অনেকদিন সময় লেগে যায়।
কিন্তু বুদ্ধি দিয়ে কাজ করলে হয়তো এত সময় লাগবে না। এর জ্বলন্ত উদাহরণ বাংলাদেশের দারাজ অনলাইন শপ। এই দারাজ অনলাইন সব কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে তাদের পণ্যগুলোর বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে এবং খুব দ্রুতই তারা তাদের কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
কাস্টমার তৈরি করা:
মার্কেটিং এর একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে কাস্টমার তৈরি করা। আমাদের যদি কাস্টমার না থাকে তাহলে আমরা আমাদের পণ্য সম্পর্কে কাকে জানাবো।
আমাদের পণ্যের কনটেন্ট মার্কেটিং অর্থাৎ আমাদের বন্য সম্পর্কে যেকোনো কাউকে জানানোর জন্য প্রথমে আমাদেরকে কাস্টমার তৈরি করতে হবে। আর আমরা চাইলে এই কাস্টমার ও কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে বানাতে পারি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আমার আজকের আর্টিকেলটি এই পর্যন্তই ছিল । ভালো থাকবেন । খোদা হাফেজ।
You must be logged in to post a comment.