খুব সহজেই ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম ও ১০০০ সাবস্ক্রাইব সম্পুর্ন করুন।

ইউটিউব হলো এই যুগের সেরা একটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট। অনেকেই আছেন যারা ইউটিউবে ভিডিও ‌আপলোড করে ইনকাম করতে চায়। কিন্তু ইউটিউবে লাখ লাখ টাকা আয় করতে চাইলে প্রথমেই মনিটাইজেশন পেতে হয়। আর মনিটাইজেশন পাওয়া সহজ কোনো ব্যাপার না বিশেষ করে ওয়াচটাইমের ক্ষেত্রে।

মনিটাইজেশন পেতে হলো তো আপনাকে অবশ্যই ইউটিউব কমিউনিটির শর্ত মেনে এক হাজার সাবস্ক্রাইব এবং চার হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম কম্প্লিট করতে হবে। যদি এক হাজার সাবস্ক্রাইব এর কথা বলা হয় তাহলে কোনো রকমে এক হাজার সাবস্ক্রাইব বারো মাসের মধ্যে সম্পুর্ণ করা যায়, কিন্তু এই চার হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম সহজে সম্পুর্ণ করা যায় না। একবার ভেবে দেখুন চার হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম কোনো সহজ ব্যাপার না। কিন্তু আপনি যদি এই লেখাটি সম্পুর্ণ পড়েন তাহলে চার হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম পাওয়াটা আপনার কাছে অনেক সহজ হয়ে যেতে পারে।

তাই অবশ্যই লেখাটি সম্পুর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন, আশা করি আপনি খুব তারাতারি আপনার প্রয়োজনীয় ওয়াচটাইম আপনি পেয়ে যাবেন।

এই লেখাটি-তে আমি তিন ভাবে ইউটিউবে ওয়াচটাইম সম্পুর্ণ করার পদ্ধতি শেয়ার করবো।

নিজস্ব ভাবে ওয়াচটাইম সম্পুর্ণ করা

নিজস্ব ভাবে ওয়াচটাইম সম্পুর্ণ করা বলতে বোঝায় যে, কারো কোনো সহায়তা ছাড়াই ওয়াচটাইম সম্পুর্ণ করা। এই পদ্ধতি-তে ওয়াচটাইম সম্পুর্ণ হতে কিছুটা সময় লগলেও আপনি রাতারাতি একজন সফল ইউটিউবার হিসেবে পরিচিতি লাভ করবেন। তো এই মাধ্যমটা কী? বা কেমন?

নিজস্ব ভাবে ওয়াচটাইম সম্পুর্ণ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। আর ভিডিও গুলো কমপক্ষে দশ থেকে বারো মিনিটের হতে হবে। ভিডিওর মুল যেই বিষয়টা সেটা সবার শেষে দেখাতে হবে এবং সেই অনুযায়ী থাম্বেইল তৈরি করতে হবে।

ভিডিওর প্রথম তিন থেকে চার মিনিট খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে প্রথম চার মিনিট ভিডিও দেখে ভিউয়ার্সরা সম্পুর্ণ ভিডিও দেখতে আগ্রহী হয়। এতে করে আপনার অনেক ওয়াচটাইম সম্পুর্ণ হবে। আর ভিউয়ার্সদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য অবশ্যই এডিটিং এর ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে।

ভিডিও গুলো খুব সুন্দর ভাবে এডিট করতে হবে। এডিট করার জন্য আমি আপনাকে সাজেস্ট করবো KineMaster সফটওয়ারটি ব্যাবহার করতে। আমিও ভিডিও তৈরির জন্য এই অ্যাপটি ব্যাবহার করি। আর শুধু এডিটিং কেন ভিডিওটাও সুন্দর করে তৈরি করতে হবে। ভিডিও তৈরির জন্য ক্যাপশন আর ভার্সন সঠিক রেখে তৈরি করতে হবে। ভিডিওর জন্য একটি ভালো জায়গাও দরকার।

এতে করে আপনার ভিউয়ার্সরা আপনার ভিডিও গুলো দেখবে। এবার আসা যাক কোন ধরনের ভিডিও তৈরি করলে ভালো হবে সেই ব্যাপারে। ভিডিও তৈরির জন্য সর্বপ্রথম জানা দরকার কোন ধরনের ভিডিও লোকজন বেশি দেখে। তো যারা যেই ক্যাটাগরির তারা সেই ভিডিওই দেখবে, ধরুন যদি কেই ইউটিউবার হয় তাহলে ইউটিউবে সুন্দর ভাবে কাজ করার ভিডিও দেখবে আবার কেউ যদি ফ্রিল্যান্সার হয় তাহলে সেই ধরনের ভিডিও দেখবে।

যে যেই পেশার সে সেই ভিডিওই দেখবে। এখন প্রশ্ন আসে কোন ধরনের ভিডিও লোকজন বেশি দেখবে। আমি সাজেস্ট করবো আপনি  অনলাইন ইনকাম ভিত্তিক বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করুন।

কারন বর্তমান করোনা কালীন সময়ে অনেকেই চাকরি হারিয়ে অনলাইন বিজনেসের চিন্তুা করছে এবং সেই অনুযায়ী ভিডিও দেখছে। আপনি যদি সেরকম ভিডিও আপলোড করেন তাহলে ভিডিওর ওয়াচটাইম গুলো দ্রুত বাড়বে। আর চ্যানেলের ভিডিও গুলো একটি ক্যাটাগরির রাখতে হবে। তাহলে ‌Subscribe ও ভালো পরিমাণেই হবে। আর আপনি ব্লগ ভিডিও আপলোড করতে পারেন।

কেননা বর্তমান সময়ের খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ব্লগ ভিডিও। তাছাড়া অনলাইন ক্লাস সম্পর্কিত ভিডিও গুলোও আপনি তৈরি করতে পারেন। এই ক্যাটাগরির ভিডিও গুলো আপনার চ্যানেলের ওয়াচটাইম অনেক বাড়িয়ে ফেলবে।

ওয়াচটাইম ফর ওয়াচটাইম

এই ওয়াচটাইম ফর ওয়েবসাইট টা আসলে কী? ধরুন এই ওয়াচটাইম ফর ওয়াচটাইম পদ্ধতি-তে আপনি একজনের চ্যানেলে পাঁচ থেকে দশ ঘন্টা ওয়াচটাইম করে দিলেন তার বিনিময়ে সে আপনার চ্যানেলে আবার পাঁচ থেকে দশ ঘন্টা ওয়াচটাইম করে দিবে।

এরকম করে যদি আপনি ৪০০ জনের সাথে ওয়াচটাইম ফর ওয়াচটাইম করেন তাহলে খুব সহজেই দুই হাজার থেকে চার হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম সম্পুর্ণ হয়ে যাবে। এর জন্য অনেক ইউটিউবারদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়। কিংবা ফেসবুকে অনেক গ্রুপ আছে যেখান থেকে আপনি এই পদ্ধতি-তে আপনার চ্যানেলে খুব তারাতারি মনিটাইজেশন আনতে পারবেন।

ফেসবুকে "সাব ফর সাব" কিংবা "ওয়াচটাইম ফর ওয়াচটাইম" লিখে সার্চ করলে আপনি গ্রুপ গুলো পেয়ে যাবেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক সাবধান থাকতে হবে, কেননা আপনি যার চ্যানেলে ওয়াচটাইম করে দিলেন সে আপনার চ্যানেলে না করেই আপনাকে ব্লক করে দিতে পারে । তো এ বিষয়ে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ওয়াচটাইম আনা

ওয়াচটাইম কম্প্লিট করার জন্য আমি একটি ওয়েবসাইট ব্যাবহার করি। সেই ওয়েবসাইট টির নাম হলো WORK UP JOB। এটা মুলত ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শুধু ইউটিউব ওয়াচটাইমই নয় আপনার ফেসবুক ফলোয়ারও বাড়াতে পারবেন।

তাছাড়া ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যম ব্যাবহার করে আপনি অন্য কারো চ্যানেলের ভিডিও দেখেও টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু হ্যাঁ আপনি কিন্তু বিনা টাকায় এই ওয়েবসাইট থেকে ওয়াচটাইম নিতে পারবেন না। কিছু টাকার বিনিময়ে ওয়েবসাইটের টিম আপনার চ্যানেলে প্রয়োজন মতো ওয়াচটাইম দিয়ে দিবে। একটা ভালো জিনিস পেতে গেলে কিছু টাকা আপনাকে খরচ করতেই হবে।

আপনার মনে হতে পারে যে এখানে কাজ করলে আপনার ওয়াচটাইন গুলো স্প্যাম করবে, কিন্তু না এখান থেকে আপনি রিয়েল ওয়াচটাইম কিনতে পারবেন। এটা একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট। আর শুধু ওয়াচটাইম কেন, আপনি চাইলে এখন থেকে সাবস্ক্রাইব ও কিনতে পারবেন। কিন্তু আমি সাজেস্ট করবো যে, ওয়াচটাইম এখন থেকে নেয়ার পর সাবস্ক্রাইব না নিতে।

কেননা সাবস্ক্রাইব এত মাধ্যমে বোঝা যায় যে আপনার জনপ্রিয়তা কতটুকু। লোকজন যদি ছেচ্ছায় আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে তখনই আপনার জনপ্রিয়তা বাড়বে। তাছাড়া মনিটাইজেশন পাওয়ার পর নিজস্ব সাবস্ক্রাইব গুলোই আপনার ভিউ বাড়াতে সাহায্য করবে।

তো কীভাবে এই ওয়েব পেজে কাজ করতে হয় সেটা লিখে প্রকাশ করা যাবে না। তবুও সংক্ষিপ্ত ভাবে কিছুটা বলব যে আপনি www.workupjob.com এই ওয়েবসাইট থেকে লগ-ইন করে কিংবা একাউন্ট ক্রিয়েট করে আপনার চ্যানেলে ওয়াচটাইম আনতে পারবেন এবং কিছু টাকাও আয় করতে পারবেন। কীভাবে কী কাজ করতে হবে? কখন করতে হবে? সেইসব তথ্য লগ-ইন কারার পর আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে।

আর হ্যাঁ এই ওয়েবসাইটে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। আমি এখানে কাজ করে অনেক সুবিধা পেয়েছি, আশা করি আপনিও পাবেন। তাই আর দেরি না করে লগ-ইন করে ফেলুন www.workupjob.com এই ওয়েবসাইটে আর বাড়িয়ে নিন আপনার চ্যানেলের ওয়াচটাইম এবং আয় করুন লক্ষ লক্ষ টাকা।

এই তিন ভাবে আপনি খুব তারাতারি একজন সফল ইউটিউবার হয়ে উঠতে পারেন। চেষ্টা করবেন এই পদ্ধতি গুলো করে আপনার চ্যানেলের ওয়াচটাইম বাড়াতে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles