ফেসবুকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি: ফেসবকু মেসেঞ্জার অ্যাপে অ্যাস্টেরয়েড্স অ্যাটাক এবং ডোন্ট স্মাইল-এর মত গেমগুলো এআর ভবিতব্যের বাণী
শোনাচ্ছে।
ডোন্ট স্মাইল-এ একটি স্টারিং কনটেস্ট থাকে, যেখানে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকার সময় প্রথমে যে ব্যক্তি হাসে সে হেরে যায়।
অ্যাস্টেরয়েড্স অ্যাটাকে ব্যবহারকারীরা তাদের মখু দিয়ে একটি স্পেসশিপ নেভিগেট করতে পারে। ফেসবকু থ্রিডি ফিল্টার সংহত করে ব্যবহারকারীদের জন্য প্ল্যাটফর্মে তার সামগ্রী তৈরি করা সহজ করেছে।
এমনকি বেশিরভাগ অনলাইন বিক্রেতারা এআর-এর সাহায্যে পণ্যের অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারেন। ফেসবুক -এর এখনকার হ্যান্ডব্যাগ ক্যাম্পেইনগুলোতে গ্রাহকরা আসলে ব্যাগটি কত বড় তা দেখতে পান।
এটি ফেসবুক মার্কেটিং-এর একটি বিরাট উন্নতি যেখানে গ্রাহকরা তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে উপকৃত হবে।
ইন্স্টাগ্রামে সৃজনশীলতার বাস্তব পরিবেশনা
ইন্স্টাগ্রামে স্টোরিগুলোর জন্য এআর-এর প্রভাবগুলো সৃজনশীলতা যোগ করার এবং স্টোরি নির্মাতাদের হাজারো ভিড়ে আলাদা করে চেনার জন্য একটি মজার উপায় হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি এক ফরাসি মহিলা শিল্পী ইনেস লংয়েভিয়াল নিজের মখমুন্ডলে জ্যামিতিক পেইন্টিং করে ইন্স্টাগ্রামে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। এখানে তিনি ব্যবহার করেছেন এআর ফেস ফিল্টার।
এমন ছবির মাধ্যমে তিনি একটা মুখোশ আঁকার চেষ্টা করেছেন যার নাম সেইভ দ্যা প্ল্যানেট মাস্ক। পৃথিবীকে বাঁচানোর এই শক্তিশালী বার্তা ইন্স্টাগ্রামবাসীদের মুগ্ধ করেছে।
কন্টেন্ট ডেলিভারিতে নতুনত্ব
শীঘ্রই এআর-এর সাহায্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্বিমাত্রিক (টুডি) সামগ্রীর পরিবর্তে ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) সামগ্রী দেখা যাবে।
এতে ব্যবহারকারিরা কন্টেন্টকে আরো বাস্তবভাবে উপলব্ধি করতে পারবে যাকে বলা হয় ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্ট। ফলশ্রুতিতে, কন্টেন্টটির নিছক লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারের ধারণায় আসতে যাচ্ছে আমলু পরিবর্তন।
সোস্যাল মিড়িয়ায় ক্রয়- বিক্রয়
ধরুন আপনি কোন ই-কমার্স সাইট থেকে একটি পোশাক কেনার কথা ভাবছেন। বর্তমানে এর বিভিন্ন পরিমাপ, রঙ,
মূল্য আর রিভিউ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
কিন্তু এবার আপনি সেই কাপড়ে স্বয়ং আপনাকে কেমন লাগছে তা দেখত পাবেন। ত্রিমাত্রিক শৈলীতে আপনি আপনার শরীরে কাপড়টির সঠিক পরিমাপ যাচাই করতে পারবেন।
একজন বিপণনকারীও এমন ভাবে তার আউটলেটটিকে আপনার সামনে প্রদর্শন করতে পারবে, যেন মনে হবে আপনি সশরীরে সেখানে ট্রায়াল দিয়ে পণ্যটি কিনতে গেছেন।
অগমেন্টেড রিয়েলিটি লাইভ ইভেন্ট
ইভেন্টগুলো শুধু যেতে ইচ্ছকু , লাইভ কমেন্টে সীমাবদ্ধ থাকছে না। লাইভ ঘটনা শুধু মভিু হিসেবে দেখার দিন শেষ হতে যাচ্ছে। এবার আপনি পেতে যাচ্ছেন একদম আসল অনুভূতি তাও আপনার বাড়িতে বসেই।
এই প্রযুক্তিটি এখন বিকাশের প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বেশ কিছু নামকড়া ব্র্যান্ড ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে এই নির্মাণাধীন প্রযুক্তির উপর।
এই অভিজ্ঞতা পেতে ব্যবহারকারীকে শুধুমাত্র অগমেন্টেড রিয়েলিটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
অগমেন্টেড রিয়েলিটি শীঘ্রই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠবে। অগমেন্টেড রিয়েলিটি বিজ্ঞাপনগুলো বছরে ১৩ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করার সম্ভাবনা রাখে, যার মধ্যে শতকরা ১২ ভাগ আয় হবে মোবাইল বিজ্ঞাপন থেকে। অনলাইন মার্কেটিং-এর সিংহ ভাগই ছড়িয়ে যাবে সোশ্যাল মিডিয়ার অগমেন্টেড রিয়েলিটি বিজ্ঞাপনগুলোতে। আর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো দখলের অপেক্ষায় থাকা এআর এখন বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান টার্গেট। স্বভাবতই সাধারণ মানুষের জীবন ধারণে তার যুগান্তকারি প্রভাব থাকার নিশ্চয়তা থাকছে।
You must be logged in to post a comment.