কিভাবে ইউটিউব ক্যারিয়ার শুরু করব?

কিভাবে ইউটিউব ক্যারিয়ার শুরু করব? বন্ধুরা বর্তমান সয়ম যে বা যারাই ইউটিউব ক্যারিয়ার গটনের চেষ্টা করছে তাদের মধ্যে দুইটা করাণ থাকতে পারে। প্রথমত শখের বশত আর দ্বীতৃয়ত পেশা হিসেবে। তবে যাই হোক ইউটিউবিং শুরু করার জার্নিটা কিন্তু সাবার জন্য একই।

আজ আমি চেষ্টা করব তোমার সাথে আলোচনা করতে কিভাবে তোমরা একেবারে নতুন বা বেসিক ভাবে ইউটিউব ক্যারিয়ারটা শুরু করতে পারবে।

বন্ধুরা,, ইউটিউব ক্যারিয়ার শুরু করতে হলে আমাদের যে সব জিনিস বা প্রডাক্ট প্রয়োজন হবে তা হলো

১/ একটি স্মার্টফোন

২/ ইন্টারনেট সংযোগ

৩/শান্ত পরিবেশ

৪/ অভিজ্ঞতা

স্মার্টফোন 

১/ আমাদের সর্বপ্রথমে যেই জিনিসটা লাগবে আর তা তাহলো একটি স্মার্টফোন। আমি নির্দিষ্ট কোন ফোনের নাম বলছি না। তবে তোমাদের মোবাইলটা যেমনই হোক মনে রাখবা তাতে যেন ভালো নেট সংযোগ ও উন্নত মানের ক্যামরা থাকে।

তবে হ্যে ক্যামরা এটা অপশনাল কেননা বর্তমানে এমন হাজোর ইউটিউব চ্যানাল রয়েছে যারা সুধুমাত্র স্লাইড শো বা এনিমেশন ভিডিও মেক করে প্রতি মাসে ইনকাম করে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

ইন্টারনেট সংযোগ

২/ আমাদের মোবাইল সংগ্রহের পরেই যে জিনিসটার প্রতি নজর দিতে হবে সেটা হলো ইন্টার নেট। কেননা ইন্টারনেট ছাড়া ইউটিউব ক্যারিয়ার চিন্তা করাও ভূল হবে। 

বর্তমান সময় হচ্ছে প্রযুক্তির যোগ আর এই প্রযুক্তির প্রথম ও প্রধান হাতিয়ার হলো নেট। বর্তমানে তো এমন পরিস্থি তৈরি হয়েছে যে, আমাদের ফোনের সেব করা একটা ভিডিও অফেন করতে হলেও নেট লাগতাছে। তাই অব্যশই আমাদের নেটের ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখবে যত ভালো নেট কানেক্টিভ তত ভালো সার্ভিস। 

০৩/ শান্ত পরিবেশ

আমাদের তালিকার তিন নাম্বারে রয়েছে শান্ত পরিবেশ যেটার স্থান ওপরের দুটির পরপরই কেননা একটা শান্তা পরিবেশ কতটা এফেক্ট পেলে আমাদের ব্রেনর ওপর। মনে কর আমিও তুমি দুজনে দুটি ভিডিও মেক করছি যেটার বিষয় বস্তু এক কিন্তু আমার ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্টে প্রচুর বাজে চাউন্ড হচ্ছে যার কারণে কেউই আমাদের কথা শুনে পারতাছে না।

ঠিক তার অন্যদিকে তোমার ভিডিওটার ব্যাকগ্রাউন্টে কোন শব্দ নেই খুব ভালোভাবে তোমার প্রতিটা কথাও কাজ মানুষ বুঝতে পারছে। তাহলে এখন তুমিই বল তুমি হলে কি করতে? আমার ভিডিওটা কি আদোও দেখতে?  মোটেও না। কারণ তুমি একই টপিকের দুটি ভিডিও পেলে বাট একটা ভালোভাবে বুঝা যাচ্ছে অন্যটা বুঝা যাচ্ছে না।

তাহলে কি বুঝলে সুধু মাত্র একজন বোকা ব্যক্তিই আমার ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করবে তাই না? তাই বুঝায় যাচ্ছে ইউটুব ক্যারিয়ারে শান্ত পারিবেশের গুরুত্ব ঠিক কতটুকুু।

অভিজ্ঞাতা

৪/ আমাদের সর্বশেষ যেই জিনিসটা লাগবে তাহলো অভিজ্ঞতা আর এটাই মেইন। কেননা তোমার কাছে সব আছে বাট অভিজ্ঞতা নেই যেটাকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম আসবে সেটাই যদি না থাকে তাহলে ইনকাম তো দুরের কথা ইউটিউব ক্যারিয়ার গটনের আগেই কবর দিতে হবে।

তো চল এবারে দেখেনি অভিজ্ঞতা জিনিসটা আসলে কি? এক কথায় বলতে গেলে যেই জিনিস তুমি সবচেয়ে বেশি জানো বা বুঝ সেটাই হলো তোমার সেই জিনিসের প্রতি জানার বো বুঝানোর অভিজ্ঞতা। সহজ ভাবে বলতে গেলে।

মনে কর তুমি ভালে অংক জানো , ভালো ইংরেজি পার, ভালো রান্না করতে জানো, ভালো গাইতে জানো ইত্যাদি এসব হলো তোমার অভিজ্ঞতা।

 

তো অভিজ্ঞাতা তো বুঝে গেলে কিন্তু এটাকে কাজে লাগাব কি করে ইউটুব ক্যারিয়ারে? কারণ আমার চেয় অনেক অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা রয়েছেন তাদের সাথে পাল্লা দিব কি করে? যদি মনে এমন প্রশ্ন আসে তাহলে বলব গুড।

হ্যা, এটা সত্যিই যে সুধু তুমিই নও ইউটিউব এমন একটি মাধ্যম যেখানে সারা বিশ্বজুড়ে মানুষের বসবাস রয়েছে যেখানে একটি টপিকের ওপরে প্রায় হাজারটা ভিডিও রয়েছে, তাহলে এই হাজারের ভিতর থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসবে?  হাম, এটি করার জন্য তোমকে অন্য দশ জনের মত চিন্তা করলে হবে না। অন্য দশ জনের মত ভিডিও তৈরি করলে চলবে না।

তাহলে কি করবে? ভেবে দেখ আমি কিন্তু তোমাকে একবারও বলিনি অন্য দশজনের মতো টপিকে ভিডিও তৈরি করো না। হ্যা, তুমি যদি সত্যিই এই জগতে সফল হতে চাও তাহলে তোমাকে অব্যশই অন্য দশ জনের থেকে বিপরীদ হতে হবে।

কিভাবে?  মনে কর দশজন ব্যক্তি একটি টপিকে ভিডিও তৈরি করল এভাবে, ১ টি আমের দাম যদি ১০ টাকা হয় তাহলে ১০ আমের দাম হবে ১০০ টাকা। আর তুমিই এই দশজরে চেয়ে আলাদা করে বলবে আলাদা করে বুঝাবে বাট উত্তরটা হবে একই এবং টপিকটা হবে একই। কি করে কি সম্ভব আজব তো। হুম তোমাকে আজবই হতে হবে যেমন :- তাহলে যদি তোমাকে সেম অংটাই করতে হয় তাহলে যা করতে হবে।

যেমন:- আমরা জানি ১টি আমের দাম ১০ টাকা আর ১০টি আমাদের দাম ১০০ টাকা (গুন করে) পাই। এখন একটি বিষয়ে খেয়াল কর যারা  অংকটা পারেনা তারাইতো চার্চ করল ইউটুবে অংকটি জানার জন্য বাট অন্য সবাই যদিও সঠিক উত্তর দিয়েছে। কিন্তু তুমিও সেম উত্তরটাই করছ বাট সাথে অতিরিক্ত করে বলে দিলে গুণ করে।

এখন এতে কি হলো একজন ব্যক্তি সহজে বুঝে গেল অংকটি গুন হবে। কিন্তু সে অন্য সব ভিডও দেখে এটা বুঝতে পারেনি যে, অংকটা আসলে কি যোগ হবে? নাকি গুণ নাকি ভাগ? অথচ তোমার ভিডিও দেখে সেই ব্যক্তি সেম সময় সেম এমবি খরচ করল বাট অলপেতেই তার মনের সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেল। তাকে কষ্ট করে দ্বীতৃয় প্রশ্নের উত্তর আর খুঁজতে হচ্ছে না।

তাই পরবর্তীতে তার যদি অন্য কোন বিষয় জানার ইচ্ছে হয় তাহলে অব্যশই আগে সে তোমাকে খুঁজে নিবে। তোমাকে আর অন্যদের মত সাবস্কাইব করেন আমার চ্যানেলটা বলে বলে পায়ে পড়তে হচ্ছে না। তাই বুঝা গেল মানুষের এমন ভালোবাস তোমাকে কত দ্রুত সফল করবে। 

কামিং সুন

ইউটিউব থেকে ভিডিও না ছেড়েও কি ভাবে ইনকাম করতে পারব?

আরও পড়ুনঃ 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

বাংলাদেশের নম্বর ওয়ান প্রযুক্তি, ব্যবসা, ব্লগ ও ইনকাম টিপস প্রদানকারীর ওয়েবসাইট বঙ্গভাষা https://bongovasha.com