স্মার্ট ফোন দিয়ে ছবি এডিট করার দারুন কিছু অ্যাপস: স্মার্টফোনের দিনদিন অগ্রগতির ফলে এর অ্যাপস ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। কম্পিউটারের অনেক ধরনের ফিচার এখানে যুক্ত করা হচ্ছে। যার কারণে কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজগুলো স্মার্ট ফোনের সাহায্যে খুব সহজে করা যাচ্ছে।
ঠিক তেমনি আগে যে ছবিগুলো কম্পিউটার ছাড়া এডিট করা কল্পনা করা যেত না সেগুলো স্মার্ট ফোনের সাহায্যে দ্রুত করা যাচ্ছে।
এগুলো সম্ভব হয়েছে একমাত্র স্মার্টফোন এর উন্নতির ফলে এবং বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এর কারণে। তাই এ পোস্টের মাধ্যমে এন্ড্রয়েড ফোনের বেশ কয়েকটি অ্যাপস নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো দিয়ে খুব সহজে ছবিগুলো দারুন ভাবে এডিট করতে পারবেন। চলুন তাই না করে জেনে নেই এসব অ্যাপ সম্পর্কে
১. ক্যানভা
গ্রাফিক্স ডিজাইনে জগতে ক্যানভা অ্যাপসটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বেশ কার্যকরী অ্যাপস। এর সাহায্যে শুধুমাত্র ছবি এডিট করা যায় না , গ্রাফিক্স ডিজাইনে বেশ কয়েক ধরনের কাজের মাধ্যমে করা যায়। এতে রয়েছে আধুনিক ধরনের সকল প্রকার ফিচার।
যেমন ছবির ফিল্টার করা এবং এফেক্ট এপ্লাই করা। তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এলিমেন্ট এবং টেক্সট ডিজাইন করার সিস্টেম।
ইনস্টাগ্রাম হাইলাইট কভার এবং স্টরি তৈরি করার জন্য এই অ্যাপসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা অন্যান্য অ্যাপ থেকে এর সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় না। সবচেয়ে খুশির সংবাদ যে এর মধ্যে 500 এর বেশি পরিমাণ ফন্ট ডিজাইন রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে ফটো ফিল্টার, ফটো গ্রিট, ব্রাইটনেস চেঞ্জ সহ ইত্যাদি।
২. এডোবি ফটো এক্সপ্রেস
এডোবি নামটি শুনলেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের জগতের কথা মনে পড়ে। কারণ এডোবি কোম্পানির সকল প্রকার অ্যাপস এবং সফটওয়্যার সারা বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। এর সাহায্যে কাজ করা অত্যন্ত সহজ আর কোনটির নেই। এ কম্পানি কম্পিউটারের পাশাপাশি স্মার্টফোনের জন্য বেশ কয়েকটি অ্যাপস তৈরি করেছে। যার সাহায্যে আধুনিক ফটো এডিট করা সম্ভব হয়।
তাদের অ্যাপস এর মধ্যে একটি হচ্ছে এডোবি ফটো এক্সপ্রেস। ব্যবহারকারীরা অনেকে প্রো এডিটর হিসেবে বলে থাকে। কেননা এতে রয়েছে নানা ধরনের সকল প্রকার আপডেট ফিচার। ধরতে গেলে ছবির জগতের যত প্রকার আপডেট টুলস আসে সর্বপ্রথম এডোবি ফটো এক্সপ্রেসের যুক্ত করা হয়।
এখানে রয়েছে স্টিকার মেকার, কালার গ্রেডিয়ান, পিক কলেজ, জেনারেট মিমস সহ নানা ধরনের টুলস। এতে রয়েছে ব্লার টুল। এর সাহায্যে পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড খুব সহজেই ব্লার করা যায় এবং ছবি অনেকটা ডিএসএলআর তোলার মতো এডিট করা যায়।
৩. এডোবি লাইট রুম
এডোবি কোম্পানির আরেকটি অ্যাপস আছে অ্যাডোবি লাইটরুম। এর সাহায্যে শক্তিশালী ফটো এডিট করা যায়। আর ক্যামেরা অ্যাপ আপনার ছবি তোলার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। যা আপনার ফটো শুট কে পরিপূর্ণ রূপ দান করবে। এর মাধ্যমে কাজ করলে মনের মধ্যে একটি আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়।
ছবি তোলার সাথে সাথে এর মাধ্যমে সাংঘাতিক পরিমাণ ডিজাইন করা সম্ভব। এতে রয়েছে স্লাইডার এবং ফিল্টার সিস্টেম যার মাধ্যমে দ্রুত এডিট করা যায়।
আর ফটো ফিল্টার সিস্টেমের মাধ্যমে নানা ধরনের ফিল্টারিং করে এর মুড চেঞ্জ করতে পারেন। বিয়ের ফটোগ্রাফি সহ গুরুত্বপূর্ণ ফটোশুট গুলোতে এডোবি লাইট রুম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এই অ্যাপস এর sharping টুল অন্যান্য অ্যাপস এর তুলনায় বেশি কার্যকর। আর এর মধ্যে রয়েছে অ্যাডভান্স লেভেলের ফটোগ্রাফিক টুলস। শুধু স্মার্টফোনে নয় কম্পিউটারের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
৪. স্ন্যাপসিড
এই অ্যাপসটি আমাদের সবার স্মার্টফোনেই কম বেশি দেখা যায়। আর দেখা যাবে না কেন এর সাহায্যে আপডেট লেভেলের ফটো এডিট করা সম্ভব। এমন কিছু সহজ টুলস রয়েছে যার সাহায্যে বেসিক লেভেলের এডিটর দাও খুব ভালোভাবে এডিট করতে পারেন। অ্যাপসের হয়েছে 29 প্রকারের এডিটিং টুলস এবং ফিল্টার।
তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো গুলো হচ্ছে হিলিং, স্ট্রাকচার, ব্রাশ, এইচডিআর ইত্যাদি। এসকল টুলসগুলো ম্যানুয়ালি কিংবা অটোমেটিকলি সেট আপ করে নিতে পারবেন। হোয়াইট ব্যালেন্স ব্যবহার করে ছবিগুলোর ন্যাচারাল লুক দেওয়া যায় সহজেই।
You must be logged in to post a comment.