ছবি এডিট সফটওয়্যার: সময় ও স্রোত কখনো কারো জন্য অপেক্ষা করে না বহমান নদীর মত বয়েই চলে।চলমান সময়কে ফ্রেমবন্দি করতে কে না পছন্দ করে। আজকের তোলা ছবি কয়েক বছর পরে স্মৃতি হয়ে আমাদের সামনে আসে।
ছবি তুলতে কে না পছন্দ করে ছবি মানুষের মনের কথা প্রকাশ করে।কোথাও ভ্রমণে গেলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে ছবি তুলতে সকলেই পছন্দ আজকালকার সময়টা একটু বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ছবি তোলা আজকালকার ছেলেমেয়েদের ছবি তোলা অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে।ছবিটি কি শুধু তুলেই হবে আকর্ষণীয় ও জীবন্ত করতে হবে না।ছবিকে আকর্ষণীয় জীবন্ত ও প্রাণবন্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয় ফটো এডিট অ্যাপস।
ফটো এডিট অ্যাপস এর কোন বিকল্প নাই। আগের ছবি তোলার জন্য শুধু মাত্র ক্যামেরা ব্যবহার করা হতো।এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ও ছবি তোলা যায় এবং এডিট করা যায়।আগে ক্যামেরায় ছবি তোলার পরে কম্পিউটারে এডিট করার কাজ করা হতো।এর ফলে এডিটিংয়ের সাজায় করা যেত।
এখনো এডিটিং মাধ্যমে আয় করা যায়।এখন ফটো এডিটিং অ্যাপ এর মাধ্যমে নিজের ইচ্ছা মত ছবি এডিট করা যায় নিচে কিছু জনপ্রিয় ফটো এডিট অ্যাপস সম্পর্কে আলোচনা করব।চলুন দেখে নেয়া যাক অ্যাপস গুলো এবং তাদের কাজের ধরন।
জনপ্রিয় কিছু ফটো এডিট সফটওয়্যার:
এমন কিছু জনপ্রিয় ফটো এডিট সফটওয়্যার রয়েছে যা দিয়ে ছবি এডিট করলে ছবিগুলো কে জীবন্ত এবং বাস্তব মনে হবে।এমন কিছু ফটো এডিট সফটওয়্যার নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করব।
SNEPSEED:
বর্তমান সময় যত ফটো এডিট অ্যাপ রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে snepseed।এই ফটো এডিট অ্যাপস টি সবথেকে বেশি জনপ্রিয়।
গুগল প্লে স্টোর থেকে 100 মিলিয়ন বার ডাউনলোড করা হয়েছে SNEPSEED ফটো এডিট অ্যাপস।মোবাইল ফোন ইউজার দের কাছে এই অ্যাপসটি বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে এর আকর্ষণীয় সব ফিল্টার এর জন্য।
snepseed ফটো এডিটিং অ্যাপ টি তে রয়েছে 29 টি আকর্ষণীয় ফিল্টার।যা দিয়ে ছবিকে আকর্ষণীয় ও প্রাণবন্ত করা যায়।এর সাহায্যে ছবিগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে এবং এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। মোবাইলের এই অ্যাপসটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অ্যাপসটি ফ্রেন্ডলি হওয়ার কারণে যেকোনো বয়সের মানুষ সহজে এটি ব্যবহার করতে পারে।
মোবাইল ফোনের গুগোল প্লে স্টোর থেকে SNEPSEED অ্যাপস টি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। অ্যাপসটি সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন মুক্ত যার কারনে ফটো এডিট করার সময় অহেতুক বিজ্ঞাপনের ঝামেলা পোহাতে হয় না।
SNEPSEED টিতে বিদ্যমান রয়েছে ব্লাস,ভিগমিট,গ্লামার গ্লো মত আকর্ষনীয় সকল টুলস। সাহায্যে ছবিকে খুব সুন্দর ভাবে জীবন্ত করে তোলা যায়।
1. 29 টি আকর্ষণীয় টুলস এবং প্রিন্টার রয়েছে।
2. কোন ছবির নির্দিষ্ট স্থানে যদি ইফেক্ট প্রদান করতে চান তাহলে এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে রয়েছে সিলেক্টিভ মোড যার সাহায্যে নির্দিষ্ট স্থানে ইফেক্ট প্রদান করা যায়।
3. ডার্ক থিম মোড করা যায়।
4. টেক্সট অ্যাড করা যায় প্লেন টেক্সট অথবা স্টাইলিশ টেক্সট।
Picsart studio:
সেরা ফটো এডিট সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে Pics art studio অন্যতম।picsart studio অ্যাপসটির মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে ছবি এডিট করা যায়।
যারা এমন অ্যাপস খুঁজছেন ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা যায় এই অ্যাপসটি তাদের জন্য।প্রতিটা ছবি কে প্রাণবন্ত ও জীবিত করার জন্য যে সকল টুলস প্রয়োজন তা সব কিছু বিদ্যমান রয়েছে এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে। এতে প্রায় 3000 ফটো এডিট টুলস রয়েছে।এখন পর্যন্ত গুগল প্লে স্টোর থেকে এটি এক মিলিয়ন বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
একটি শুধু ফটো এডিট না ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ওকে গুগল প্লে স্টোর থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। picsart studio অ্যাপসটিতে বিজ্ঞাপনের সম্মুখীন হতে হয়। অ্যাপসটিতে যেসকল ফিল্টার রয়েছে সে সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা হলো।
1. টাচ ইফেক্ট।
2. অবজেক্ট রিমুভ।
3. 200 প্লাস ফন্ট।
4. ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ।
5. built-in ক্যামেরা এফেক্ট ইত্যাদি।
You cam Perfect:
selfie প্রেমিকদের জন্য জনপ্রিয় একটি ফটো এডিট অ্যাপ হচ্ছে ইউ কাম পার্ফেক্ট।একটি ছবিকে জীবন্ত ও প্রাণবন্ত করার জন্য যে সকল টুলস দরকার তার সবকিছুর বিদ্যমান রয়েছে এই অ্যাপসটিতে।
এখন পর্যন্ত গুগল প্লে স্টোর থেকে you cam parfect অ্যাপ্লিকেশনটি 100 মিলিয়ন বারের বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে।
আপনি আপনার ছবির মাঝে ইউনিক টাচ ব্যবহার করতে পারবেন এই অ্যাপ্লিকেশনটি সাহায্যে।
1. গুরুপ সেলফি তোলার ক্ষেত্রে সব মাল্টিপারপাস ফিকশন।
2. রিমুভ টুলস।
3. ভিডিও সেলফি টুলস।
4. বিভিন্ন সেলফি থেকে দাগ দূর করার জন্য এতে রয়েছে কাটাআউট।
photoshop express:
বর্তমান সময় আরেকটি ব্যাপক জনপ্রিয় ফটো এডিট অ্যাপস ফটোশপ এক্সপ্রেস।
ছবিকে প্রাণবন্ত জীবিত করার জন্য যত ধরনের টুলস রয়েছে তা সবকিছু বিদ্যমান রয়েছে অ্যাপসটিতে।
এখন পর্যন্ত গুগোল প্লে স্টোর থেকে 100 মিলিয়ন এর অধিক সংখ্যকবার ডাউনলোড করা হয়েছে।
এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে কোন প্রকার বিজ্ঞাপনের জামেলা পোহাতে হয় না। এতে কাজ করার সময় কোন ফলে ছবি এডিট করার সময় কোন ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়না।
পিতার কোন বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয় না।এই এ্যাপস টি অনেক সহজ হবার কারণে সকলে ব্যবহার করতে পারেন।ফটোশপে এক্সপ্রেস এই জনপ্রিয় মোবাইল ফটো এডিটিং অ্যাপস টি তৈরি করেছে জনপ্রিয় সফটওয়্যার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান এডেবি।
অ্যাপসটি ইউজার ফ্রেন্ডলি।এতে যে সকল সুবিধা রয়েছে
1. অনটাচ ফিল্টার।
2. 80 প্লাস ফিল্টার।
3. ছবি ক্লোজ করা যায়।
4. ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করা যায়।
5. ছবিকে দাগ মুক্ত করা যায় ইত্যাদি।
FOTOR:
এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় আরেকটি ফটো এডিটর হচ্ছে fotor।এতে তিনশোর বেশি আকর্ষণীয় সব টুলস রয়েছে।
যা ব্যবহার করে ছবিকে প্রাণবন্ত ও জীবিত করে তোলা যায়।দেখলে মনে হবে যেন বাস্তব ছবি।এই অ্যাপ্লিকেশনটি ইউজার ফ্রেন্ডলি।
যে কেউ ইচ্ছা করলেই খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারে। গুগল প্লে স্টোর থেকে এখন পর্যন্ত 10 মিলিয়ন বার ডাউনলোড করা হয়েছে।প্লে স্টোর থেকে একটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়।
ছবিকে নিখুঁত ভাবে তুলে ধরার জন্য এতে রয়েছে আকর্ষণীয় সব ফিল্টার।
airbrash:জনপ্রিয় একটি ফটো এডিট অ্যাপস হচ্ছে এয়ারব্রাশ।যার যার মধ্যে রয়েছে অসাধারণ সব ফটো এডিটর টুলস।
এপ্লিকেশন ইউস ফ্রেন্ডলি হওয়ার কারণে যে কেউ সহজে ব্যবহার করতে পারে।গুগল প্লে স্টোর থেকে এখন পর্যন্ত 10 মিলিয়ন বার ডাউনলোড করা হয়েছে।এত যে সকল ফিচার রয়েছে তা হল
1. চোখ উজ্জ্বল দাঁত চকচকে করার ফিল্টার।
2. ন্যাচারাল ইফেক্ট ইত্যাদি।
পরিশেষে বলা যায়:
প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে ফটো এডিট এর নতুন নতুন সকল টুলস ও ফিচারস।
যা দিয়ে ছবিগুলোকে অনেক বেশি জীবন্ত মনে হয়। ফটো এডিটিং অ্যাপ এর সাহায্যে ছবি এডিট করা খুবই সহজ। যে কেউ অনায়াসে ছবি এডিট করতে পারে।
You must be logged in to post a comment.