ফেসবুক মার্কেটিং শিখে ইনকাম শুরু ৩০,০০০ হাজার টাকা।

ফেসবুক মার্কেটিং শিখে মাসে খুব সহজে কমপক্ষে ৩০ হাজার এরও বেশি ইনকাম করতে পারবেন আপনি দেরি না করে শিখুন এই ব্লগ থেকে।

ফেসবুক মার্কেটিং কি?

পৃথিবীর সবথেকে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের হল ফেসবুক। ফেসবুকের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারকারির কাছে কোন প্রতিষ্ঠান, পন্য বা সেবার প্রচারণা করে দেয়াকেই হল ফেসবুক মার্কেটিং।

ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করবেন?

ফেসবুক মার্কেটিং আপনি দুইভাবে করতে করতে পারেন। প্রথমটি হলঃ

  1. আনপেইড মার্কেটিং।
  2. আর পরেরটিঃ পেইড মার্কেটিং।

পেইড মার্কেটিং ও গুরুত্তপূর্র টিপসঃ

পেইড মার্কেটিং বলতে ফেসবুকে আমরা যেটা বুঝি সেটা হল বুস্টিং (প্রোমোশন)। এর জন্য আপনি নিজেও করতে পারেন অথবা অভিজ্ঞ মার্কেটার বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিতে পারেন।

আপনার জন্য যদি ডুয়েল কারেন্সির মাস্টারকার্ড থাকে তবে নিজেই আপনি বুস্ট করতে পারবেন। তবে অবশ্যই জেনে বুস্টিং করতে হবে নয়ত পুরো টাকা টাই জলে চলে যাবে।

আমরা অনেকেই এই প্রসেসটা জানিনা যে ফেসবুকের প্রোমশনের মানে কোনটা কি!! বিষয়টাকে একটু পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি।

ফেসবুক পেইড প্রোমোশন দুই ধরণের।

১। প্রোমোট

২। বুস্ট

প্রোমোট হল বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে পেজের লাইক সংখ্যা বাড়ানো। প্রোমোট কখনোই অটো লাইক না এটা মাথায় রাখতে হবে।

আর বুস্ট হল নির্দিষ্ট পোষ্টের জন্য। পোষ্টের এংগেসজমেন্ট মানে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এর জন্য। বুস্টিং হল পেইড মার্কেটিং এ সেল বাড়ানোর অন্যতম উপায়।

বুস্টিং অনেক ধরণের হতে পারে। কি ধরণের বুস্টিং আছে তার একটি লিস্ট ছবিতে আপনাদের দেখানোর চেষ্টা করছি। পরবর্তীতে এটা নিয়ে বিশদ লেখার ইচ্ছা আছে।

একটা বিষয়ে আমরা অনেকেই ভুল করি। সেটা হল অনেক সময় নতুন পেজ তৈরি করেই বুস্ট করার জন্য এগিয়ে যাই। কিন্তু এতে করে আপনার সেল আসবে না।

কেননা একজন কাস্টোমার যখন দেখবে আপনার পেজে লাইক নাই বা কম তখন অর্ডার করতে চাইবে না। বিষয়টা না বুঝলে নিজেকে কাস্টোমার হিসেবে কল্পনা করেই দেখুন। আপনি নিজেই অর্ডার করতে চাইবেন না।

আবার পেজে কম লাইক থাকলেও সেল ভাল আসবে না। আপনার পেজের লাইক হল আপনার ব্রান্ড ভ্যালু। পেজে লাইক থাকলে যদিও তাদের কাছে আপনার পোষ্ট সেভাবে রিচ করবে না।

এর জন্য বুস্টিং এর বিকল্প নাই। তবে মনে রাখতে হবে পেজে যত লাইক রাখবেন আপনার মার্কেট্ ভ্যালু তত বাড়বে।

তাই ৫-৮ হাজারের নিচে যাদের লাইক, তারা অবশ্যই পেজের লাইক বাড়িয়ে ১৫-২০ হাজারের মধ্যে আনবেন। এতে আপনার সেল আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যাবে।

এবার আসি পেইড মার্কেটিং এ। পেইড মার্কেটিং আপনি নিজে না করলেও যে বিষয় গুলো না মানলে অথবা না জানলে আপনার সেল বাড়বে না তা নিয়ে আলোচনার পালা ।

পদক্ষেপ–১

আপনার প্রোডাক্ট এর ছবিই বলে দেবে আপনার সেল কেমন হবে। প্রোডাক্ট এর ছবি এমন ভাবে তুলতে হবে যেন প্রথম দেখাতেই কাস্টোমার আপনার প্রডাক্টের প্রেমে পড়ে যায়।

পদক্ষেপ–২

ছবিতে লেখা রাখবেন তো আপনার সেল একেবারেই হবে না। কেন না ২০% এর বেশি লেখা থাকলেই আপনার বুস্টিং এর রিচ হবে না। তাই চেষ্টা করুন লেখা যেন ছবিতে না থাকে। মুল্য, কোড ইত্যাদি দিতে হলে ডেস্ক্রিপশনে উল্লেখ করুন।

পদক্ষেপ–৩

একটি পোষ্টে কত গুলো ছবি দিবেন এটা নিয়ে কেউ কখনো ভাবি না আমরা। ইচ্ছা মত ছবি বেশি দিয়ে দেই। এতে করে আপনার রিচ কমে যাবে যদি ছবির সাথে আপনার বাজেট না মিলে।  

যদিও এটার নির্দিষ্ট কোন নথি নাই তবুও কিছুটা পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

আপনার ছবির সংখ্যা যদি ১০-১৫ টা হয় তবে ৩-৫ ডলার প্রতিদিন সর্বনিম্ন খরচ করতে পারেন।

আপনার ছবির সংখ্যা যদি ১৬-২৫ টা হয় তবে ৫-৭  ডলার প্রতিদিন সর্বনিম্ন খরচ করতে পারেন।

আপনার ছবির সংখ্যা যদি ২৬-৪০ টা হয় তবে ১০-১২  ডলার প্রতিদিন সর্বনিম্ন খরচ করতে পারেন।

পদক্ষেপ–৪

আপনার পোষ্টতে হ্যাশ ট্যাগ (#) ব্যবহার করলে উপকৃত হবেন। হ্যাশ ট্যাগ (#) দিলে প্রথমেই বিষয়টা নজর কাড়ে কাস্টমারদের। যেমনঃ #Big_Sale, #Darun_Offer ইত্যাদি ।

পদক্ষেপ–৫

আপনার পোষ্টতে বেশি লেখা না দেয়ার চেষ্টা করুন। অল্প কথাতে সুন্দর করে সাজিয়ে লেখুন। বেশি লেখা দিলে কাস্টোমার বিরক্ত হয়। এতে কাস্টোমার হারানোর সম্ভাবনা থাকে।

পদক্ষেপ–৬

কল টু অ্যাকশন রাখুন। এতে সেল বাড়বে। কল টু একশন মানে আপনার পোষ্টে এমন কোন শব্দ লিখেন যাতে কাস্টোমার অর্ডার করতে বাধ্য হয়। যেমনঃ

একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি, এটা কিনলে অটা ফ্রি, আজ ডেলিভারি চার্জ ফ্রি ইত্যাদি।

পদক্ষেপ–৭

পোষ্টে প্রোডাক্টের মুল্য না লিখে তাদেরকে আপনার সাথে কথা বলতে বাধ্য করুন। ইনবক্সে অথবা কমেন্টে তাদেরকে কমেন্ট করার একটা অয়ে বের করে দিন। এতে বুস্ট করলে আপনার পেইড রিচ এর সাথে অরগানিক রিচ ও বেড়ে যাবে।

পদক্ষেপ–৮

ভিডিও বুস্ট করুন। সব থেকে বেশি লাভবান হবেন। আপনার প্রডাক্ট এর ভিডিও বানিয়ে বুস্ট করেই দেখুন। নরমান পোষ্ট বুস্ট এর তুলনায় এর সফলতা বেশি।

পদক্ষেপ–৯

ফেসবুকের প্রোমোশনের ক্ষেত্রে  সময় অনেক ভুমিকা পালন করে। যেকোন সময় বুস্টিং করা আপনার জন্য সুফল বয়ে না আনতেও পারে।

বুস্টিং সময়ের দুইটা ভাগ নিয়ে আলোচনা করবঃ

১। বাংলাদেশ হিসেবে বুস্টিং এর সময়ঃ

এখানে যেকথা গুলো বলতে যাচ্ছি কথা গুলো খুব জটিল না, ভেবে দেখলে দেখবেন কথা গুলো আপনারা ও জানেন, বুঝেন কিন্তু প্রয়োগ করেন না। ৎ

বাংলাদেশে মানুষ ঠিক কোন দিন গুলোতে ফেসবুকে বেশি সময় কাটায় ? উত্তরটা আপনারা জানেন। ছুটির দিন গুলোতে।

আপনার টার্গেট হতে পারে এই ছুটির দিন গুলো। যদি আপনার ক্যাম্পাইন সল্প সময়ের জন্য হয়ে থাকে।

এবার আসি রেগুলার মানুষ কোন সময় টাতে বেশি এক্টিভ থাকে? যদি দিনের কথা বলেন মানুষ বিকেল টাইমটাতে ফ্রি হতে শুরু করে। তবে সকালে ও কিছু এক্টিভ ইউজার পাবেন।

রাতের ক্ষেত্রে রাত ১২ টা পর্যন্ত মানুষ ভাল এক্টিভ থাকে। তবে রাতের যেকোন সময় বুস্টিং চালু করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

রাতের শুরুতে, সন্ধার দিকে যদি আপনি অ্যাড চালু করেন এটি সব চেয়ে কাজে দিবে। আর দিনের ক্ষেত্রে সকাল ৯-১১ টার মধ্যে অ্যাড রান করলে ভাল রেসপন্স আশা করতে পারেন।

২। আপনার পেজ হিসেবে বুস্টিং এর সময়ঃ

সব কিছুই ঠিক আছে, তবে এটি মেজারমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্তপূর্ণ ভুমিকা রাখে যে আপনার পেজে ট্রাফিক ঠিক কোন সময়টাতে বেশি এক্টিভ থাকে। আপনি নরমালি এটি কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করলেই বের করে ফেলতে পারবেন।

আরো ভাল হয় যদি আপনার পেজের কোন লিঙ্ক গ্রুপ থাকে, সেখান থেকে ইন্সাইট অপশনের মাধ্যমে সহজেই সময় টা খুজে নিতে পারবেন। পেজের ইন্সাইট অপশন থেকেও করা যেতে পারে।

অতএব, এটাই বলবো যে সময় আসলেই ফ্যাক্ট, তবে একেক পেজের জন্য একেক রকম সময় হতেই পারে। এমন ও হতে পারে, যারা আপনার টার্গেটেড কাস্টমার তাদের জন্য উপযুক্ত সময় রাত ১২ টার পর।

হতে পারে, আপনার মত আপনার টার্গেটেড কাস্টোমারও তার অন্য কোন বিজনেস করতে পারে, যেটাতে পণ্য বা সুবিধা গুলো আপনি যোগান দিচ্ছেন।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

আমি একজন প্রফেশনাল লেখক,,অবসর সময়ে লিখতে ভালোবাসি