সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শুরু করবেন? বিজস্তারিত জেনে নিন

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: আপনাকে এই সাইটের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চান। আজকের আর্টিকেলটি মূলত সেই বিষয়েই। তো আজকে আমি আপনাদের সাথে যে বিষয়টি শেয়ার করবো তা হলো- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। আশা করছি মনযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়বেন। চলুন শুরু করি।

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং হলো একটি জনপ্রিয় দক্ষতা। এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। এই বিষয়ে ফাইভার, আপওয়ার্ক ইত্যাদি মার্কেটপ্লেস এও অনেক কাজ পাওয়া যায়।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি?

এটি হলো বিভিন্ন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নিজের ব্যবসার কিংবা পণ্যের প্রচার করা।

এই মার্কেটিং কোন কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কত যেতে পারে?

এটি সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা যায়। যেমন: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইন, পিন্টারেস্ট, ইউটিউব ইত্যাদি।

এই গুরুত্বপূর্ণ স্কিলটি কিভাবে শিখবেন?

অনলাইনে এই বিষয়ে অনেক কোর্স পাওয়া যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই বিষয়ে কোর্স প্রদান করে থাকে। আবার ইউটিউবেও এই বিষয়ে অনেক ভিডিও পাওয়া যায়। তাই এটি ফ্রী বা পেইড যেকোনো উপায়েই সহজে শেখা যেতে পারে।

এটি কেন শিখবেন?

এই কাজটি শিখে আপনি নিজের ব্যবসাকে সহজেই প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। এমনকি, বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ এই স্কিল টি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ও করতে পারবেন। এই স্কিল টি সহজেই শিখে অনেক মানুষ ব্যবসা অথবা ফ্রিল্যান্সিং করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।

এই কাজটির একটি আকর্ষণীয় বিষয় হলো, আপনাকে সকল সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম এর কাজ না শিখলেও চলবে। যেকোনো একটি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ব্যবহারে পারদর্শী হলেও আপনি এইটুকু স্কিল নিয়েই কাজ করতে পারবেন।

অনেক কোম্পানি এই বিষয়েও চাকরি দিয়ে থাকে। ফলে, পড়ালেখার পাশাপাশি এই বিষয়ে দক্ষ হলে আপনি ক্যারিয়ার এর দিক থেকেও অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবেন।

এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসা বা ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি নিজের কন্টেন্ট এরও প্রচার করতে পারেন। অনেকে এজেন্সি হিসেবেও এই কাজটি করছে।

এই কাজটি শেখার জন্য আপনার কি কি লাগবে?

এই কাজটি শেখার এবং করার জন্য আপনার একটি মোবাইল ডিভাইস এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই চলবে। অনেকে মনে করেন, এই কাজটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া করা যাবে না। কিন্তু এটি সঠিক নয়। আপনার একটি মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা হলো এটি শেখার জন্য আপনার আগ্রহ এবং অধ্যবসায়।

সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ সাইট

সক্রিয় ব্যবহারকারী ( মিলিয়ন )

  • ফেসবুক - ২৮৯৫
  • ইউটিউব - ২২৯১
  • হোয়াটসঅ্যাপ - ২০০০
  • ইনস্টাগ্রাম - ১৩৯৩
  • ফেসবুক মেসেঞ্জার - ১৩০০

বি. দ্রঃ এই পরিসংখ্যান এর তথ্যসূত্রঃ www.statista.com । উল্লেখ্য যে প্রতিনিয়তই এই সামাজিক সাইট গুলোতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে চলছে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে সফল হওয়ার কিছু টিপস

  • যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাজ করবেন, সেই প্ল্যাটফর্মের সব ফিচার ব্যবহার করতে জানতে হবে।
  • প্রতিদিন বেশি বেশি রিসার্চ করে নতুন নতুন তথ্য সম্পর্কে জানতে হবে।
  • প্রতিদিন শিখতে হবে এবং প্র্যাক্টিস করতে হবে। অলসতা করা যাবে না।
  • বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন অ্যালগরিদম থাকে। সেই অ্যালগরিদম গুলো জানতে হবে, সেই অনুযায়ী কাজ করতে লাগবে।
  • আপনার একটি মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি থাকতে হবে।
  • টার্গেট অডিয়েন্স এর উপর কাজ করতে হবে।
  • কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি থাকতে হবে।
  • মার্কেটিং করে আপনি কি করতে চান, তার একটি লক্ষ্য থাকতে হবে।
  • এই বিষয়ে কোনো কাজ পেলে ক্লায়েন্ট কে সবসময় সত্য কথা বলতে হবে। আপনি যতটুকু পারেন, ততটুকুই বলবেন। বেশি বলতে গিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে পারেন।
  • সফলতা আসতে একটু সময় লাগলে ধৈর্য ধরতে হবে। অধৈর্য হলে চলবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সাহায্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংও সহজেই করা যায়।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ

  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • অ্যাডভারটাইজিং
  • ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
  • পেইড ক্যাম্পেইন

কিছু কথা ( উপসংহার )

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অনেক বড় একটি বিষয়। একটি আর্টিকেলে এর সকল বিষয় সম্পর্কে লেখা সম্ভব নয়। আমি এই বিষয়ে কিছু ধারণা দিলাম মাত্র।

মনে রাখবেন, ভাইরাল হওয়াটা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর শুধুমাত্র একটি অংশ। আপনার কোনো কন্টেন্ট ভাইরাল না হলে হতাশ হবেন না। ধৈর্য নিয়ে কাজ করবেন। চেষ্টা ছাড়া কখনোই কেউ কোনো ফল পায়না। চেষ্টা করলে ফল পাবেন, ইন শা আল্লাহ্।

কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়া নিছক সময় কাটানোর জন্য ব্যবহার করে। আবার কেউ কেউ এটি ব্যবহার করে স্কিল ডেভেলপ করে স্বাবলম্বি হয়। আপনি কোন দলে থাকলে আপনি উপকৃত হবেন সেটা অবশ্যই বুঝে গিয়েছেন। একটা কথা মনে রাখতে হবে, কখনোই এতে আসক্ত হওয়া যাবেনা। প্রিয়জনকে সময় দিতে হবে এবং পাশাপাশি পড়ালেখাও ঠিক মত চালিয়ে যেতে হবে।

এ বিষয়ে আর যেকোনো ধরনের প্রশ্ন থাকলে সেটি কমেন্টে করতে পারেন। এবং পরবর্তীতে কি নিয়ে জানতে আপনি ইচ্ছুক তাও জানাতে ভুলবেন না।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles