ইউটিউবে সাব্সক্রাইবার ও ভিউ বাড়ানোর উপায়, কিভাবে আপনার ইউটউব এর ওয়াচ টাইম বাড়াবেন

আমি যখন ইউটিউব করা শুরু করেছিলাম কিছু ভিডিও তৈরি করার পরে আমি ইউটিউব করা কিন্তু ছেড়ে দিয়েছিলাম এর কারণ হচ্ছে যে আমি ইউটিউব ভিডিওতে পারছিলাম না এখন যেসব নতুন ইউটিউবারদের  আপনারা দেখবেন তারা কিন্তু  একই জিনিস করে। কিছু ভিডিও তৈরি করার পরে যখন ইউটিউব  ভিডিওতে ভিউস পায় না তখন কিন্তু ইউটিউব দেয়। তো আমি আজ  আপনাদেরকে  কিছু টিপস বলবো যেগুলোর মাধ্যমে আপনি কিন্তু ভালো ভিউস পেতে পারেন। তো শুরু করা যাক। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

এখানে কথা চলে আসে যে  কিছু পরিমাণ ইউটিউবার আছে যারা অনেক কষ্ট করে ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে কিন্তু তারপরও কিন্তু তারা সফল হতে পারে না কিন্তু আবার এমন কিছু ইউটিউবার আছে যারা সেই পরিমাণে কষ্ট না করেও কিন্তু ইউটিউবে সফলতা অর্জন করেন।  এই সফলতা কারণটা কি ইউটিউব?? এর জন্য ইউটিউব  এর অ্যালগরিদম  অনেক বড় একটা ম্যাটার করে।  অনেকজন ভাবছেন যে অ্যালগরিদম কি?? অ্যালগরিদম শুধু ইউটিউব নয় যেকোনো অ্যাপ্লিকেশন বা ওয়েবসাইটের একটা সিস্টেম। 

আমি যতদূর জানি এটা একটা প্রোগ্রাম ল্যাংগুয়েজ এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এটার মাধ্যমে কি হয় ???  দেখুন ইউটিউবকে তো অনেক মানুষ পরিচালনা করতে পারছে না তাই মেশিন লার্নিং এর মাধ্যমে ব্যবহার করা হচ্ছে।  আপনি প্রতিদিন ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করছেন সেই ভিডিও গুলো একে থেকে অধিক আরো লোকাল লোকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এটা  কিন্তু একটা অ্যালগরিদম বা সিস্টেম এর মাধ্যমে হয়।  তো সেই অ্যালগরিদমের  জন্য আপনাকে কিছু জিনিস  এর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে  ।

প্রথমত একটা জিনিস সেটা হচ্ছে  টাইটেল থাম্মেল গুলো।  টাইটেল থাম্মেল গুলো ভিডিওতে  যেমন ম্যাটার করে সেরকম একটা বড় জিনিস ম্যাটার করে সেটা হচ্ছে ওয়াচ টাইম না হওয়া । হয়তো।  আপনি হয়তো শুনেছেন যে   ইউটিউবে  ইনকাম করার জন্য 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম এর দরকার। প্রশ্ন আস্তে পারে এই ওয়াচ টাইম  তারা কেন রেখেছে।

কারণ ওয়াচ টাইম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এবার আমি আপনাদেরকে যে উপায় বলবো তা সম্পূর্ণ কিভাবে ওয়াচ টাইম পেতে হয় সে বিষয়ে। কারণ  আপনি যদি ওয়াচ টাইম তা ভালো পান তাহলে  কিন্তু আপনার ভিডিও ভাইরাল হবে। আর আপনার চ্যানেলে যদি একটা ভিডিও  ভাইরাল হয় তাহলে  কিন্তু আপনি ইউটিউবে একটা ভালো জায়গা পেয়ে যাবেন।

তো বন্ধুরা আমার প্রথম যে উপায় আছে তা হলো ইউটিউবে যখন আপনি ভিডিও শুরু করবেন , আপনি মানুষের সাথে যে পরিচয় দিচ্ছেন বা আপনি যে টপিক এ ভিডিও বানাচ্ছেন  সেই ব্যাপারে বলছি সেই এক মিনিট বা  15 থেকে 60 সেকেন্ডের মধ্যে আপনাকে এমন কিছু বলতে হবে যাতে আপনার যে ভিউয়ার্স টা ভিডিওটা দেখছে  সে বুঝতে পারে আপনি আসলে কি করতে বা বলতে চাইছেন এই ভিডিওতে।

সেই এক মিনিটে যদি আপনি এমন কিছু করতে পারেন যাতে মানুষের আকর্ষণ আছে তাহলে কিন্তু তারা সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখবে।  আর ভিডিও দেখবে মানে আপনার ওয়াচ টাইম বাড়বে।  

দ্বিতীয় যেই উপায় টি বলবো সেটা হলো , আপনি যেই প্রথম ভিডিওটি রেডি  করছেন সেই ভিডিওটি রেডি করার আগে আপনাকে ভিডিও কাট  ছাট করতে হবে।  এতে লোকগণ আপনার ভিডিও টি মনোযোগ দিয়ে দেখবে এবং মনোযোগ দিয়ে দেখলে আপনি সম্পূর্তন ওয়াচ টাইম পাবেন। 

তৃতীয় যেই উপায় হচ্ছে আপনার প্রত্যেক ভিডিওতে ঠিক একটা পার্টিকুলার জায়গায় আপনাকে বলতে হবে যে ভিডিওটা সম্পূর্ণ দেখুন। সম্পূর্ণ দেখলে কি হয় , আপনার ভিডিও যে ওয়াচ টাইম  সেটা কিন্তু বেড়ে যায়।  আর ভিডিওর ওয়াচ টাইম যখন বেড়ে যাই তখন ভিডিওটা ইউটিউব সার্চে আছে যাৰ ভিডিওটা কিন্তু সাজেস্টএ  আছে।  তখন ভিডিওটা কিন্তু ভাইরাল হওয়ার চান্স থাকে।  তখন আপনার ওয়াচ টাইম কিন্তু অনেক বেড়ে যাই। 

চতুর্থ যেই উপায় আছে সেটা হচ্ছে আপনি যে বিষয়ে ভিডিও বানাচ্ছেন সেই ভিডিওর যেই মেইন বিষয়টা আপনি মানুষকে বোঝাতে চাচ্ছেন বা দেখাতে চাইসেন ভিডিওর শুরুতে যেন সেই বিষয়টা পরিষ্কার করে দিবেন না বা মানুষকে দেখিয়ে দিবেন না।  আপনি চেষ্টা করবেন আপনার ভিডিওর ৫০%  এর পরে মূল বিষয়টা দেখাতে।  তাহলে মানুষ কিন্তু ভিডিওটা সম্পূর্ণ দেখবে।  মানে আপনি থাম্বেলে অথবা টাইটেলে যে বিষয়টা দিয়েছেন সেটা ভিডিওর লাস্টে বোঝাতে বা দেখাতে।  এই পদ্ধতিতে কিন্তু আপনার ওয়াচ টাইম বাড়বে এবং আপনার ভিডিও কিন্তু ভালো জায়গা পাবে। 

পঞ্চম যে উপায় আপনাকে বলবো সেটা হলো ভিডিওটি   ৫ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি   বানাবেন না।  কারণ যদি  প্রথম অবস্থাতে যদি আপনি  ১৫ মিনিট এর বেশি   বানান তাহলে লোকজন ভিডিওটি ধেকতে বোর হয়ে যাবে।  এবং ৫ মিনিটের কম ভিডিও বানালে ভিডিওতে কিন্তু ভালো ওয়াচ টাইম  আসবে না।  তাই ওয়াচ টাইম বাড়াতে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের ভিডিও বানান। 

তো আজকে এই পর্যন্তই আসা করি এটি পরে আপনারদের অনেক ভালো লেগেছে। 

এবার আমি কিছু বোনাস উপায় বলবো।  তো বোনাস উপায় কি , যে দেখুন আপনি যে ভিডিওটা বানাচ্ছেন  সেখানে আপনাকে  সঠিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে , সঠিক সেট আপ করতে হবে।  এই সুন্দযটা কিন্তু অনেক ভালো কাজ করে।  আপনি যদি অনেক ভুল ভাল ভাবে সেট আপ করেন তাহলে দর্শকরা আপনার ভিডিও দেখবে না।

আপনার যে কথা বলার ধরণ টা  রয়েছে সেটা অনেক সুন্দর রাখতে হবে।  তাহলে কিন্তু তারা আপনার ভিডিওটা দেখবে। এবং মানুষের সাথে সুন্দর ভাবে ব্যাবহার করতে হবে। কেন ব্যাবহার করতে হবে ?আপনি যে ভিডিওটি তৈরি করেছেন  সেটা যদি অনেক লোক দেখে তাহলে কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে  হবে  যে ,এত লোক আমাকে দেখছে তাদের মধ্যে থেকে আপনার ভালোবাসা বিলিয়ে দিতে হবে। তাহলে পরবর্তীতে তারাই  কিন্তু আপনার ভিডিওটাকে ধেকতে আসবে। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ