আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন আবার আপনি যদি কোন কিছু ভালো পারে তাহলে সেই বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউব প্রতি ১০০০ হাজার ভিউ কত দেয়।
ইউটিউবে এই টাকা দেওয়ার ব্যাপারটা কোন সহজ নিয়ম মেনে চলে না।তাই এভাবে বলা সম্ভব নয় প্রতি ১০০০ ভিউ হলে এত টাকা পাওয়া যাবে।এগুলো অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
১/ ইউটিউব যে অ্যাড দেখায় তার জন্য টাকা দেয় ।এই অ্যাড দেখানোর কোন নিয়ম নেই। কনোবার হয়ত ১০০০ ভিউতে ৪০ টা অ্যাড এলো এর পরে ১০০০ ভিউতে ৩০ অ্যাড ও আসতে পারে আবার ৫০ টা অ্যাড ও আসতে পারে। ইউটিউব যেহেতু অ্যাড এর ভিত্তিতে টাকা দেয় সুতরাং বুঝতেই পারছেন প্রতি ১০০০ ভিউতে এই টাকার কোন মাপ নেই।
২/ অ্যাড এর মূল্যর উপর নির্ভর করে এই টাকার পরিমান।কোন অ্যাড এর দাম কম তো কোন অ্যাড এর দাম বেশি।আর ইউটিউবের হতে হাজার হাজার অ্যাড আছে।সুতরাং কোন অ্যাড দেখা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে টাকার পরিমাণ।
৩/ এই অ্যাড আবার কোথাকার মানুষ দেখছে তার উপর নির্ভর করে অ্যাডের মূল্য।মানে কোন ব্যাক্তি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অ্যাড দেখে আর কোন একজন ব্যাক্তি যদি ভারতে বসে এই অ্যাড দেখে ,তখন এই দুটি অ্যাড এর মূল্য কিন্তু এক হবে না।হয়ত ভারতে অ্যাড প্রতি কোন ব্যাক্তি ১০ টাকা পাবে এবং যুক্তরাষ্ট্র অ্যাড প্রতি ওই ব্যাক্তি ২০ টাকা ও পেতে পারে।সুতরাং কোন মানুষ কোথায় বসে দেখছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ন বিষয়।আর এগুলো সব জায়গায় সমান অনুপাতে হয় না।
৪/ আর একটা বিষয় বিশ্বকাপের সময় টিভিতে দেওয়া অ্যাডের দাম আর সাধারণ ক্রিকেট এর এর সময় টিভিতে দেওয়া অ্যাডের দাম সমান নয়।দুজনেই অ্যাড দিয়েছে ইউটিউবে।আর ওই সময় অ্যাডের দাম ও বেড়ে যায়।
ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় করা যায়
আমরা ভিডিও তৈরী করার জন্য যে সব আইডিয়ার ভিডিও বানাই তা সাধারত টিউটোরিয়াল ,প্রঙ্ক ভিডিও অথবা অন্যর ভিডিওর মধ্য সীমাবদ্ধ থাকে ।আবার নতুনদের তো প্রথমেই মনে হয় ভিডিও বানানো হয়ত বেশ কঠিন এবং ব্যয়সাধ্য ব্যাপার।
আপনি একটু ভাবুন আপনি কোন জিনিস গুলো ভালো পারেন।নাচ,গান,ছবি আঁকা,মাইক্রোকন্ট্রোলিং,রান্নাবান্না,সাজগোজ,ডেইলি মুভি,নিউজ,খেলাধুলার আপডেট ইত্যাদি।এসবের মধ্যে কোন না কোন জিনিসের উপর আপনার আগ্রহ আছে।আপনার পছন্দ বা আগ্রহের জিনিস বেছে নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও বানাতে পারেন।
যারা ইউটিউবকে প্রফেশনালি নিতে চায় তাদের জন্য ৮ টি ভিডিও ক্রিয়েশন আইডিয়া।
১/ অরিগামি টাইপের জিনিসের উপর ভিডিও
অরিগামি মানে কাগজকে টুকরা না করে শুধু মাত্র ভাঁজ করে সেটি দিয়ে পাখি, নৌকা ,ফুল, এই টাইপের জিনিস বানানো।এছাড়াও ফেলনা জিনিসকে(প্লাস্টিকের বোতল,পুরাতন কলম,ফেলে দেওয়া বাক্স, পন্য পরিবহকারি কার্টুন)কাজে লাগিয়ে কি করে ব্যাবহারযোগ্য জিনিস বানানো যায় তার উপর ক্রিয়েটিভ ভিডিও বানাতে পারেন।
২/ ঘরোয়া কাজের উপর ভিডিও বানাতে পারেন
যেমন বই বাঁধাই করা,কিভাবে ঘোলা আয়না পরিষ্কার করা যায়,রান্নাবান্না,সেলাই,বাগান পরিচর্যা করা,আরো বিভিন্ন টপিকের উপর ভিডিও বানাতে পারেন।এইসব জিনিস অনেকেই খুঁজে ইউটিউবে।আপনি এই কাজগুলো করলে ভালো মানের সাবস্ক্রাইবার পেতে পারেন
৩/ পেইন্টিং
পেন্টিং মানে ছবি আঁকা না।পেইন্টিং মানে বিশাল একটা বিষয়।আপনি যদি ভালো আকতে পারে তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে থ্রিডি পেইন্ট, ইলিউশন পেইন্ট,ফর্মাল পেইন্ট এসবের উপর তৈরি করা নিজের ভিডিও আপলোড করতে পারেন।এই ভিডিও গুলো যদি ক্রিয়েটিভ এবং সহজ কিছু স্টেপের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন তাহলে এটিই হতে পারে আপনার মূল কাজ এবং আয়ের ক্ষেত্র।
৪/ মাইক্রোকন্ট্রোলিং নিয়ে ভিডিও
রোবট ,সার্কিট ,ইলেকট্রনিক্স নিয়ে গ্রুপে একটি চ্যানেল তৈরি করুন।নিজের বানানো অথবা অন্যর বানানো আইডিয়া থেকে প্রজেক্টগুলো নিয়ে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করে ভিডিও বানানো যেতে পারে।তাছাড়া আপনি আপনার চ্যানেলে অনেক কিছু রাখতে পারেন যেমন:রিমোট ,টর্চ,প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স জিনিশপত্র কি করে ঠিক করা যায় তার উপর ভিডিও বানাতে পারেন।আপনি এখন থেকে অনেক শেয়ার ও পেতে পারেন।
৫/ হয়ে যেতে পারেন শিক্ষক
আপনি হয়ত পিয়ানো,গিটার,তবলা বাজাতে পারেন অথবা আপনি অনেক ভালো নাচতে পারেন।এখন আপনার মোবাইল ফোনটি ব্যাবহার করুন।
৬/ খেলাধুলার উপর কিছু করতে পারেন
হয়ত আপনি অনেক ভালো সাইকেল চালাতে পারেন অথবা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারেন,তাহলে আপনি আপনার চ্যানেলে বিভিন্ন রকম ক্রিকেটের ভালো শর্ট খেলার নিয়ম,ভালো ফুটবল খেলার নিয়ম আরো অনেক কিছু শেয়ার করতে পারেন।এই সব বাংলা ভিডিওর অভাব আছে।
৭/ নিজেকে ভালো করে উপস্থাপন করতে পারেন
সুন্দর করে মোবাইল ভিডিও অন করে আপনি সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনাকে মজার কিছু ভঙ্গিতে উপস্থাপন করতে পারেন।মানুষ অধিকাংশ সময় বিনোদনের জন্য ইউটিউবে আসে। আপনি যদি বিনোদনমূলক চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্তিযুক্ত কিছু তুলে ধরতে পারেন ,তাহলে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার অনেক বেড়ে যাবে।
আপনি যদি নিজেকে আরও ভালো করে উপস্থাপন করতে পারেন,তাহলে আপনি বইয়ের কিছু সহজ এবং সাবলীল সমাধান দিতে পারেন আপনার ভিডিওতে।যেমন:পিথাগোরাসের উপপাদ্য।
৮/ নতুন আপডেট হতে পরে একটি চ্যানেলের আইডিয়া। সাম্প্রতিক হয়ে যাওয়া ঘটনা, দূর্ঘটনা,খেলার গুরুত্বপূর্ন হাইলাইট এসব উপস্থাপন করতে পারেন।তবে ভিডিও কপি করা থেকে দূরে থাকবেন।নিজে নিজে উপস্থাপন করবেন।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জানা অজানা বিষয়।
ইউটিউব চ্যানেল কোন টাইপের হলে জনগন বেশি দেখবে?
ভিডিওর টপিক এবং মান ভালো না হলে কোন টাইপের কাজ হবে না ।আপনার যেটা সুবিধা বা আপনার যেটা পছন্দ সেটা দিয়ে শুরু করতে পারেন।আপনি যদি আগেই টাকা ইনকাম জন্য শুরু করেন ,তাহলে আপনি বড় ধরনের ধাক্কা খাবেন।
কিভাবে ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার বাড়াবেন?
ভালো মানের কনটেন্ট দিন এবং ইউটিউব যেভাবে ভিডীও তৈরি করতে বলে তা মেনে চলুন।বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ভিডিও আপলোড করুন এবং সব জায়গায় ভিউয়ারদের সাবস্ক্রাইব করার জন্য উৎসাহিত করুন।এতে আপনার সাবস্ক্রাইবার বাড়বে।
ইউটিউবে ভিডিও ভিউ কিভাবে বাড়াবেন?
আজকের দিনে ইউটিউবে এত বেশি ভিডিও নির্মাতা এসেছেন ,তাই ইউটিউব এখন প্রতিযোগিতামূলক।
ভিডিও এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে সঠিক এবং সুন্দরভাবে বিবরণ দেওয়া।এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন বিষয়বস্তু থেকে ভিউয়ার যেন প্রয়োজনীয় জ্ঞান পেতে সক্ষম হন এবং ভিডিও এর প্রথম অংশ আপনার আহ্বান এমন থাকবে যেন ভিউয়ার বাকি ভিডিওটা দেখতে থাকে।
আপনাকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় থাম্বনেল ব্যাবহার করতে হবে ।ভিডিও টাইটেল যেন আকর্ষণীয় হয়।আপনার ভিডিওর ওয়াচ টাইম যত বেশি হবে,ইউটিউব তত বেশি আপনার ভিডিও সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়।তাই খেয়াল রাখবেন আপনার ভিডিও যেন মানুষ বেশিরভাগ অংশ দেখে।ভিডিওর বিবরণ এমন ভাবে লিখবেন যাতে মূল বিষয়টি সম্পর্কে সেখানে ধারণা পাওয়া যায় । এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে আপনার ভিউ অবশ্যই চলে আসবে।
You must be logged in to post a comment.