ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে চান তাহলে জেনে নিন এর সেরা সফটওয়্যারগুলো সম্পর্কে

বর্তমান সময় আমাদের কম্পিউটার ব্যবহার অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কম্পিউটার ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে প্রায় অচল বলা যায়।

এখন প্রযুক্তির বিশেষ প্রসারতায় অনলাইনের ব্যবহারে জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে, অনলাইনের মাধ্যমে বেশি ভাগ কাজ কর্ম হাসিল করা হয়ে থাকে, আর এই অনলইনকে সুস্থ মতন চালিত করতে কম্পিউটার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

বর্তমান শুধু আমাদের দেশেই নয় সারা বিশ্ব এখন কম্পিউটার ব্যবাহারের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে, কম্পিউটারের মাধ্যমে গোটা বিশ্ব এখন তাদের বেশিভাগ কাজ কর্ম পরিচালনা করছে। আর এই কম্পিউটারের কাজ গুলো সাধারনত বলে শেষ করা যাবে না, কম্পিউটারের নানান কাজ মানুষ এখন করে থাকে, যা অনলাইন বা অফলাইন যাই হোক এর কাজের শেষ নেই।

তবে কম্পিউটারের যতো কাজ আছে তার মধ্যে একটি সেরা ও ভালো কাজ হলো গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কাজ্। এই কাজ টি অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং একটি মান সম্মত কাজ এটি, এটি করে অনেকেই অর্থ উপার্জন করে তাদের ক্যারিয়ার গড়ছে। কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারের সাধারনত এই কাজটি করা যাবে।

ভালো মানের ডিজাইনার হতে গেলে এই কাজের উপর আপনার যথাযথ প্রশিক্ষণ থাকতে হবে, তাছাড়া ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়া কখনও সম্ভব নয়। আপনার যথাযথ অনুশীলন আপনাকে উপর লেভেলে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়ে থাকবে। সারাবিশ্বে আজ গ্রাফিক্সের চাহিদা অনেক বেশি হয়ে থাকে, সবকিছুতেই সাধারনত গ্রাফিক্স ব্যবহার হচ্ছে।

ব্যবসা থেকে শুরু করে বড় বড় চলচিত্র তৈরি করার জন্য আজ গ্রাফিক্সের ব্যবহার চোখে পড়ার মতন তাছাড়া চাকরি বাকরি সহ আরও অনেক কাজে এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শেখাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে।

আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে আয় করতে চান এবং নিজের ভবিষৎকে গড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় খেয়াল রেখে কাজ করতে হবে। এবং আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তহলে আপনাকে বেশ কিছু খেয়াল রাখতে হবে তা হল:

• প্রথমত আপনাকে বেশ কিছু সফটওয়্যারে নির্দিষ্ট ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। 

• দ্বীতিয়ত আপনাকে ডিজাইনিং সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। 

• তৃতীয়ত আপনাকে ধরণা নিতে হবে কিভাবে আপনি আপনার ধারণাটাকে কাজে লাগাবেন এবং তুলে ধরতে সক্ষম হবেন তাছাড়াও ভালো মতন বুঝতে পারবেন কিভাবে এই বিষয়টা নিয়ে। 

আপনি সাধারনত ফটো ম্যানেজ করতে পারেন আবার বিভিন্ন সাইটে গ্রফিক্স ফটো তৈরী করতে পারেন। আবার একইভাবে থ্রিডি মডেলে কিভাবে তৈরী করতে হয়ে তা তো অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে।

আপনার উপর নির্ভর করবে আপনি যে বিষয় টা করতে চাচ্ছেন আপনার কোন সফটওয়্যার দিয়ে করলে একটু ভালোভাবে কাজটা ভালো হবে, বিভিন্ন ক্যালার আপনি আপনার ইচ্ছে মতন ব্যবহার করতে পারবেন যেটাতে আপনা চোখে ভালো লাগবে সেটাই দিতে পারেন কিন্তু মনে রাখবেন আপনি যেহেতু এটাকে বাইরে প্রচার করবেন সেহুতু মানুষের চোখে কোন ক্যালার টা নজরে পড়তে পারে।

তাই আমি আপনাকে বলবো এটি যদি আপনি শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে সম্পূর্ণ ডিজাইনিং ধারণা রাখতে হবে। তাই আপনি আগে এসব কাজে যথেষ্ট পারদর্শী হয়ে উঠুন তারপরে টাকা উপার্জনের কথা ভাবতে পারেন। সাধারনত গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কি এবং কিভাবে করতে হয়ে আপনার আইডিয়া আপনি কিভাবে তুলে ধরবেন এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে আগে ভালো শিখুন তারপরে আপনি আপনার উপার্জন নিয়ে ভাবুন।

তাছাড়া একদিনে কিন্তু বড় হওয়া যায় না এই কথাটা অবশ্যই মাথায় রাখবেন। মনে করুন আপনি আপনার কোন ছবিকে সবার সামনে তুলে ধরতে চাচ্ছেন এবং সেই ছবিটার মধ্যে আপনি বেশ কিছু তথ্য দিতে চাচ্ছেন সেই ক্ষেত্রে আপনি সেই দেয়া তথ্য কিভাবে উপস্থাপন করবেন সে সম্পর্কে ধারনা আপনার থাকতে হবে।

এই কাজটি শুরু করা বেশ কিছু সময়ের ব্যাপার ধৈর্য ধরে কাজ করে গেলে আপনার সফল হতে সময় লাগবে না। তবে এখন কিন্তু সব জায়গাতে প্রতিযোগিতা রয়েছে, আপনি যেই কাজ টা করেছেন সেটি হয়তো আরও ভালো করে আরও একজন করলো তাহলে কিন্তু আপনার করাটা নিচে রয়ে গেলো তাই আপনাকে চিন্তা করতে হবে কিভাবে আপনি খুব ভালো মান সম্মত কাজ ও ভালো করে সাজিয়ে মানুষ যেমন চায় মানুষের মন মতন করে তুলতে পারবেন ।

তবে আপনি ভালো মতন কাজ করতে চাইলে ও ভালো ডিজাইনার হতে গেলে আপনাকে অবশ্যই ভালো সফটওয়্যার সম্পর্কে বিশেষ ধারণা থাকতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং নের জন্য কিছু সেরা সফটওয়্যার রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল: 

এই সেরা সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে এডোবি ফটোশপ ও এডোবি ইলাস্ট্রেটর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য সেরা সফটওয়্যার হয়ে থাকে। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করতে গেলে এগুলোকে বাদ দিয়ে কোনভাবে করা সম্ভব নয় এগুলো যথেষ্ট প্রয়োজন আছে এই কাজ করতে গেলে। এই সফটওয়্যার গুলোর বিভিন্ন ভার্সন এখন বের হয়েছে সেগুলোতে আরো ভালো ভাবে কাজ করা যায়। আর তাই আমরা প্রথমেই জনাবো  এডোবি ফটোশপ সম্পর্কে। 

এডোবি ফটোশপ কি: 

একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে গেলে আপনাকে এই সফটওয়্যার সম্পর্কে ভলো মতন ধারণা লাভ করতে হবে। কারণ আপনি এটিকে বাদ দিয়ে কোন ভাবে ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবেন না। এডোবি ফটোশপ মুলত একটি ফটো বা ছবির গ্রাফিক্স সম্পাদনকারী আধুনিক ভালো মানের সফটওয়্যার। সাধারনভাবে সফটওয়্যারটিকে শুধুমাত্র ফটোশপ নামেই ডাকা হয়ে থাকে। এটি তৈরী করেছে এডোবি সিস্টেমে।

এডোবির যতোগুলো সফটওয়্যার আছে তার মধ্যে ফটোশপ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে থাকে। এই সফটওয়্যারটি আবিস্কার করেছেন থমাস নল ও জন নল নামের দুই ভাই। যা ১৯৮৭ সালে এডোবি সিস্টেম তাদের কাছ থেকে ক্রয় করে থাকে। শুরুতেই শুধু ফটোশপ নামে পরিচিত হলে পরবর্তীতে এর কোম্পানির নাম অনুসারে এডোবি ফটোশপ নাম রাখা হয়ে থাকে।

ফটোশপ সাধারনত রাস্টার ইমেজ সম্পাদনকারী একটি সফটওয়্যার। ছবি বা ইমেজ সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে ১ রাস্টার ২ ভেক্টর। যেসকল ইমেজের ছবি পিক্সেলে একক তৈরী করা হয়ে এদেরকে রাস্টার ইমেজ বলা হয়। কেননা রাস্টার ইমেজ একটি নির্দিষ্ট সংখ্যাক পিক্সেল থাকে যা কয়েক মিলিয়ন পর্যন্ত হতে পারে।

এটি একটি ফটোর কার্যকারী উপাদান হয়ে থাকে। প্রথমদিকে সাধারনত এডোবি ফটোশপের সাহয্যে শুধুমাত্র ছাপার ছবি সম্পাদন করা যায় এমন ফিচার গুলো যুক্ত ছিল। তবে ইন্টারনেটের বিস্তার লাভের সাথে সাথে বর্তমানে ফটোশপে ইন্টারনেটে ছবি সম্পাদন করার কাজে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এডোবি ফটোশপ শুধু শুধুই এডোবি সিস্টেমসের সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি। তার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। ফটোশপের সাথে অন্যান্য এডোবি সফটওয়্যার গুলোর শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে।

এজন্যই ফটোশপে সাধারণ যে কোন ফরমেট কোন ধরনের অসুবিধা ছাড়াই এডোবির অন্যান্য সফটওয়্যার: যেমন-  এডোবি ইলাস্ট্রেটর, এডোবি প্রিমিয়ার প্রো ইফেক্ট ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যায়।

তবে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ফটোশপকে যুক্ত করার জন্য বেশ কিছুটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। ফটোশপ 2.5 কে সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে যুক্ত করার উপযোগী করে তৈরি করা হয়। এ পর্যন্ত ফটোশপের ২১ টি সংস্করণ বের হয়েছে, এর সর্বশেষ সংস্করণ টির নাম হলো ফটোশপ ২০২০। 

তবে বিশেষঙ্গদের মতে মূলত আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ ফটোশপের যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে নাগাদ রিলিজ হওয়া ফটোশপ সিএস ৬.০০ এর মাধ্যমে। এই ভার্সন থেকেই মূলত নতুন ধরনের ইন্টাফেস বার হতে থাকে এবং অসংখ্য নতুন নতুন টুলস সংযোজিত হয়ে থাকে।

খুব সহজেই ব্যবহারকারী নিজের ইচ্ছামতন সব ক্যালার এডজাস্টমেন্ট গুলো ব্যবহার করতে পারেন। করতে পারেন। এছাড়াও auto saving, patch tool, move tool, blur gallery, vector shape with dash and dottet stock ফিচার গুলোকে নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে।

পাশাপাশি ভিডিও ও এনিমেশন তৈরি করার কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে আধুনিক ভার্সনগুলি। তবে জেনে রাখা ভালো যে ফটোশপ পরিবারের সাতটি আলাদা আলাদা সফটওয়্যার রয়েছে। এগুলো হলো: 

• ফটোশপ সিএস ৫

• ফটোশপ সিএস ৫ এক্সটেন্ডেড

• ফটোশপ এলিমেন্টস ৬.০ ম্যাকিনটোশের জন্য

• ফটোশপ এলিমেন্টস ৬.০ উইনডোজের জন্য

• ফটোশপ এলিমেন্টস ৬.০ 

• ফটোশপ এক্সপ্রেস বিটা

• ফটোশপ লাইটরুম ২

• ফটোশপ সিএস সিক্স

• ফটোশপ সিসি 

এখন এগুলো প্রায় অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনারা এগুলোকে বাদ দিয়ে তাদের গ্রাফিক্সে কাজ করতেই পারেন না। এই সফটওয়্যারটিকে বাদ দিয়ে কোনভাবেই ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইন হওয়া সম্ভব নয়।

বর্তমান বিশ্বে প্রায় ১০ কোটির বেশি মানুষ এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে থাকে। আর এজন্য এটিকে গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ের সেরা সফটওয়্যার বলা হয়ে থাকে। 

এডোবি ইলাস্ট্রেটর কি: 

আমাদের বর্তমান সময় গ্রাফিক্স ডিজইনিং কাজ করতে গেলে এটিও একটি সের সফটওয়্যার বলা হয়ে থাকে। এইসব কাজ ভালো মতন করতে গেলে এগুলো একটি অতি প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার বলা হয়ে থাকে। এটির রয়েছে অসংখ্যা টুলস ও ফিচার যার ব্যাবহার সম্পর্কে আমদের ভালো মতন ধরণা লাভ করতে হবে।

এই এডোবি ইলাস্ট্রেটর হলো একটি ভেক্টর ভিত্তিক গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ও সম্পাদনকারী সফটওয়্যার। এটি সাধারনত ইলাস্ট্রেটর নামেই সর্বাধিক পরিচিত লাভ করেছে। এডোবির জনপ্রিয় সফটওয়্যার গুলর মধ্যে ইলাস্ট্রেটর অন্যতম। এটির মাধ্যমে আপনি প্রায় সব ধরনের ভেক্টর ইমেজ নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

এই সফটওয়্যাটির অসাধারন পারমেন্স হয়ে থাকে, আর্ এই অসাধারন পারমেন্সের জন্য একে ২০১৮ সালে সেরা গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পাদনকারী সফটওয়্যার হিসাবে পরিচিত লাভ করেছে। এডোবি ইলাস্ট্রেটর যেহেতু ভেক্টর গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করে তাই আপনার মনে ভেক্টর ইমেজ বা ছবি সম্পর্কে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক।

তবে আপনাদের কে জানিয়ে রাখি যে ইমেজ সাধারণত দুই ধরনের হতে পারে যথা- (১) রাস্টার  (২) ভেক্টর। এর মধ্যে ফটোশপ কাজ করে রাস্টার ইমেজ নিয়ে এবং ইলাস্ট্রেটর কাজ করে ভেক্টর ইমেজ নিয়ে। রাস্টার ইমেজ নিয়ে কাজ করার সময় ছবিটাকে একটু বড় করত চাইলেই তা ফেটে যায়।

তাই ছবিটির সাইজ কি হবে তা পূর্বেই নির্ধারণ করে নিতে হয়। কিন্তু ভেক্টর ইমেজ এর ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো সমস্যা হয় না। ভেক্টর ইমেজ পিক্সেল একেক তৈরি না হওয়ার কারণে একে ইচ্ছেমতো বড় ছোট করা যায়। একই সাথে ছবির মানের উপর এর কোন প্রভাব পড়ে না।

ফলে ভেক্টর ইমেজ তৈরি করার সময় এর সাইজ নিয়ে কোনো ধরনের চিন্তা-ভাবনা বা ভোগান্তিতে পোহাতে হয় না।

মজার ব্যাপার হলো টুলের ব্যবহারের দিক থেকে এডোবি ফটোশপ ও এডোবি ইলাস্ট্রেটর এর মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। কিন্তু ফটোশপ রাস্টার গ্রাফিক্স এবং ইলাস্ট্রেটর ভেক্টর গ্রাফিক্স সম্পাদন করতে পারার জন্য উভয়ই আলাদা আলাদা স্বকীয়তা অর্জন করেছে। 

এডোবি ইলাস্ট্রেটরের প্রধানতম বৈশিষ্ট্য হলো ভেক্টর বেসড ডিজাইন তৈরি করতে পারা। এর মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ব্যানার ও পোস্টার ডিজাইন এবং বই-পুস্তকের কভার ডিজাইন সহ আরও অনেক কিছু করা যায়। এটিকে যে কোন ধরনের অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড ডিজাইনের কাজে যেমন- কার্টুন বা এনিমেশনের বিভিন্ন অবজেক্ট ও ক্যারেক্টর ডিজাইনের কাজে ব্যবহৃত করা যায়।

আবার এর মাধ্যমে তৈরি করা যায় বিভিন্ন ধরনের আইকন। বিশ্বের অসাধারণ সব আইকনের অধিকাংশই কিন্তু এডোবি ইলাস্ট্রেটর দিয়ে তৈরি।

বর্তমানে আমরা যে ম্যাক ও উইন্ডোজের অপারেটিং সিস্টেমে ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করতে পারলেও প্রথমতদিকে তা কখনই সম্ভব ছিল না। সর্বপ্রথম ১৯৮৭ সালে ইলাস্ট্রেটর তৈরি করা হয় মূলত ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে। এরপর ১৯৮৯ সালে একে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের উপযোগী করে তৈরি করা হয়। এডোবি ইলাস্ট্রেটর সফটওয়্যার এর সর্বশেষ সংস্করণ ইলাস্ট্রেটর ২০২০ যা ২০২০ সালের আগস্ট মাসে রিলিজ করা হয়েছে।

সর্বাধুনিক সফটওয়্যার হিসেবে এটি ব্যবহারকারীদের অন্যরকম অভিজ্ঞতা দেবে বলে এডোবি সিস্টেমস আশাবাদী। এটি বর্তমান অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সবচেয়ে ভালো কথা হল এটি সাধারনত গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজের জন্য তাদের মন জয় করে নিয়েছে। তারা তাদের  বিভিন্ন গ্রাফিক্সের  কাজের জন্য এটিকে অন্যতম একটি সফটওয়্যার বলেছে। আর এটিকে বাদ ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার আশা তো কল্পনাই করা যায় না।  

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শিখতে গেলে আরও যেসব সফটওয়্যার প্রোয়জন হয় সেগুলো হল: 

ডিজিটাল বিশ্বে গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টর পুরোপুরিভাবে সফটওয়্যার নির্ভর সিস্টেম। বর্তমান সময়ে সফটওয়্যার ছাড়া এ সেক্টরে ভালো কিছু করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার জন্য সফটওয়্যার এর বিকল্প কোনো কিছুই হতে পারে না।

গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে সাফল্য অর্জনের জন্য আমাদের সফটওয়্যারগুলোকে সঠিকভাবে ও দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা প্রয়োজন। কারণ বর্তমান যুগ ডিজিটাল ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। তাই আধুনিকতার ব্যবহার না করলে আমরা অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে শতগুণে পিছিয়ে পড়বো।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পরিচিত ও বিখ্যাত কিছু সফটওয়্যার ব্যাপকভাবে  ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- Adobe Photoshop, Adobe Illustrator, Microsoft PowerPoint, Adobe Indesign, Canva, Designer, AutoCade, Blender ইত্যাদি।

এ সফটওয়্যার গুলোর প্রতিটির এক একটি বিশেষত্ব রয়েছে। তাই প্রতিটি সফটওয়্যারগুলোর কাজের দিক থেকে ভিন্নতা দেখা যায়।

তবে প্রাথমিক পর্যায়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য আপনি Microsoft PowerPoint, Adobe Photoshop, Adobe Illustrator, Canva এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এরপর পরবর্তীতে Blender, AutoCAD, Maya এর মত এডভান্সড সফটওয়্যার গুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন।

সাধারনত গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি সেক্টর যেখানে প্রতিনিয়তই আপনাকে কিছু না কিছু শিখতে হবে আর এ জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমানে কাজ করার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হতে হবে।

তবে আপনাকে ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে অবশ্যই এই সেরা সফটওয়্যার গুলো নিয়ে যথাযথ ভাবে অনুশীলন করতে হবে এবং সবার শেষে বলতে গেলে এটাই বলব চেষ্ঠার কিন্তু কোন বিকল্প নেই। তাই যথাযথভাবে চেষ্ঠা চালিয়ে যেতে হবে। 

আর আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে দয়া করে অবশ্যই একবার যেকোন সাইটে শেয়ার করবেন। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

নাম: বাধন কুন্ডু । একজন আর্টিকেল রাইটার । ১০০% ইউনিক ও কপি মুক্ত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।