আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা । আশা করি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম।
কনটেন্ট মার্কেটিং এর গত পর্বে আমরা জেনেছি যে কনটেন্ট মার্কেটিং আমরা কেন করব।
কনটেন্ট মার্কেটিং এর আজকের এপিসোডে আমরা কনটেন্ট মার্কেটিং এর কিছু কৌশল সম্পর্কে জানব। মূলত আজকের এপিসোডে আমি আপনাদেরকে কনটেন্ট মার্কেটিং এর পাঁচটি কৌশল জানাবো। তাহলে শুরু করা যাক।
যেকোনো কাজে যদি আমরা বুদ্ধি এবং যথেষ্ট দক্ষতার সাথে করি তাহলে সেই কাজটি অবশ্যই দ্রুত এবং ভালোভাবে সম্পন্ন হবে।
আমরা আগেই জেনেছি যে বুদ্ধি এবং দক্ষতা প্রয়োগ করে কোন মার্কেটিং করলে দ্রুত প্রোডাক্টের প্রতি সাড়া পাওয়া যায়।
এজন্য আমাদেরকে কোন ফ্রেন্ড মার্কেটিং নিয়ে কিছু প্রশ্ন জানতে হবে এবং এই কৌশল গুলো কাজে লাগে আমাদেরকে কন্টেন মার্কেটিং করতে হবে।
ফলে আমাদের প্রোডাক্টগুলো দ্রুত মানুষের মাঝে পৌঁছে যাবে এবং পশুর পরিমাণে বিক্রয় হবে।
১. কনটেন্ট গুলো তৈরি করার সময় এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে তারা গ্রাহকদের অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং প্রোডাক্টগুলো অত্যন্ত ভালো মনে হয়।
গ্রাহকরা কি ধরনের জিনিস এবং কি ধরনের বিজ্ঞাপন পছন্দ করেন তার উপর ভিত্তি করে কন্টাক্ট গুলো তৈরি করতে হবে।
প্রত্যেকটি কনটেন্ট তৈরির সময় লক্ষ্য রাখতে হবে গ্রাহকের দিকে। গ্রাহকের পছন্দ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে বিজ্ঞাপন বা কনটেন্ট গুলো তৈরি করতে হবে।
তারা কি ধরনের প্রোডাক্ট চায় এবং কি ধরনের বিজ্ঞাপন তাদের চোখে পড়লে তারা খুশি হয় সে সম্পর্কে ধারণা রেখে কন্টেন্ট গুলো তৈরি করতে হবে। তাহলে প্রোডাক্ট গুলো থেকে খুব দ্রুত সাড়া পাওয়া যাবে।
২. প্রথমে আপনাকে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
তারপরেই আপনি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে একটি বিজ্ঞাপন বা কনটেন্ট তৈরি করবেন। যথেষ্ট পরিমাণে গবেষণা করার পরে আপনার কনটেন্টই তৈরি করবেন।
কারণ পৃথিবীর সকল কোম্পানির প্রায় ৮৬% কোম্পানি কনটেন্ট মার্কেটিং ব্যবহার করে তাদের বিজ্ঞাপন বা পন্যের প্রচার-প্রচারণা করে থাকে।
পৃথিবীর সকলেই কনটেন্ট মার্কেটিং ব্যবহারের কারণে রীতিমত কন্ঠের মার্কেটিং এর জগতে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে আর এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আপনাকে অনেক চিন্তা ভাবনা এবং গবেষণা করে আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে হবে ।
চিন্তাভাবনা করবেন একেবারে গ্রাহকের মনের ভিতর থেকে।
গ্রাহক আপনার বিজ্ঞাপন বা কনটেন্ট দেখে তার মনের মধ্যে কি ধরনের চিন্তাভাবনা হবে বা আপনার প্রোডাক্টটি তার মনের মাঝে কেনার ইচ্ছা জাগবে কিনা সেটা আপনার বিজ্ঞাপন দেখে আপনাকে জানতে হবে।
৩. কনটেন্ট মার্কেটিং এর সময় একটি জিনিস অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনার বিজ্ঞাপনে বা কনটেন্টে যেন কোন বিরক্তিকর জিনিস না থাকে।
অবশ্যই এমন জিনিস রাখার চেষ্টা করবেন যাতে গ্রাহকরা আপনার কনটেন্টটি পড়ে মজা পায় এবং আপনার কন্টেনটি বারবার করতে ইচ্ছা হয়।
কোন গ্রাহক যখন আপনার কোন ট্রেনটি বারবার পড়বে তখন তার মনের মাঝে একবার না একবার আপনার প্রোডাক্টটি কেনার ইচ্ছা হবেই। এজন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং করার সময় এটি অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
৪. কনটেন্ট তৈরি সময় কখনোই নিজের টাকার দিকে তাকাবেন না। আপনি যদি কনটেন্ট তৈরীর সময় কৃপণতা করেন তাহলে হয়তোবা আপনার কন্টেনটি ভালো হবে না এবং গ্রাহকরা আপনার কনটেন্ট থেকে আকৃষ্ট হবে না।
কন্টেন মার্কেটিং কে আপনার ব্যবসার এক বিনিয়োগ হিসেবে ধরে নিতে হবে। কনটেন্ট মার্কেটিং এর সময় বেশি বিনিয়োগ করবেন এবং ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করবেন।
৫. কখনোই নিজের সময়কে অত্যন্ত বেশি মূল্যবান মনে করে অল্প সময়ের মধ্যে অনেকগুলো কনটেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করবেন না।
এর ফলে আপনার কনটেন্ট এর মান খুবই কমে যাবে এবং এগুলো গ্রাহকদের কাছে আকর্ষণীয় মনে হবে না। ফলে আপনার প্রোডাক্ট কেউ কিনতে আগ্রহী হবে না।
আপনার পাঁচটি খারাপ কনটেন্ট এর চেয়ে একটি ভালো কনটেন্ট অবশ্যই অনেক বেশি ভালো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন। খোদা হাফেজ।
You must be logged in to post a comment.