আজকে আমি কথা বলবো, ফেসবুক কিভাবে earning এর মাধ্যম হতে পারে।বিশেষ করে মেয়ে বা মহিলারাও, স্টুডেন্ট বা গৃহিনীরাও চান তারা নিজে কিছু আর্ন করার জন্য আর করা উচিত-ও। কিন্তু তারা পান না শুধু সহজ বা সঠিক কোনো উপায় বা সমাধান। তাহলে আর কথা না বারিয়ে চলে যাই মূল আলোচনায়।
১। প্রকাক্ট সেল বিজনেজ।
কেউ যদি তার নিজের কোনো প্রডাক্ট নিয়ে বিজনেজ করতে চান অনলাইনে তাহলে একটা উপযুক্ত নাম নির্বাচন করে খুলে ফেলতে হবে একটি ফেজবুক পেজ। এর পরে একটু একটু করে ভিউ বারাতে হবে বা পেজটির ফ্লয়ার বারাতে হবে। এটা সম্ভব হবে ফ্রেন্ডদের ইনভাইট করার মাধ্যমে বা পেজ এ সুন্দর এবং আকর্ষনীয় পোস্ট করার মাধ্যমে।
যেহেতু একদিনে সম্রভব নয় তাই আস্তে আস্তে করতে হবে। যখন পেজ- এ মোটামুটি ২০০০ বা ৩০০০ ফ্লয়ার হবে তখন কাজ start করতে হবে। নিজের প্রোডাক্ট এর বিবরণ সহ ছবি আপলোড করতে হবে। চাইলে নিজে বা কাউকে দিয়ে প্রোডাক্ট এর লাইফ করতে বা করাতে পারেন। এতে করে প্রচারণা বেশি হবে।
২। খাবার বা রেসিপি
খাবার সবার বরাবরই পছন্দর এবং বিভিন্ন স্বাদের খাবার test করতে কে না ভালোবাসেন। আর তাছাড়াও এটা নিত্য প্রোয়জনীয়। বর্তমান সবাই প্রায় অনেকেই ঘড়ে অবস্থান করে খাবার অর্ডার করেন খাবারের বিভিন্ন আ্যাপস থেকে বা ফেইসবুকে খাবারের পেজ থেকে।
আর তাই রাঁধতে যদি ভালো পারেন বা রান্না যদি ভালোবাসেন তাহলে আপনিও ঘড়ে থেকেই হতে পারেন একজন ভালো সেফ।
একই ভাবে একটি পেজ ওপেন করে এবং তা ডেভলপ করে নিজের রান্নার কিছু আকর্ষনীয় ছবি বা ভিডিও পোস্ট করতে হরতে হবে। চাইলে একটা সুন্দর মেনু কার্ড তৈরি করতে পারেন।
চাইলে কাস্টমারসরা তাদের চাহিদা মতো খাবার অর্ডার করতে পারে এমন পোস্ট করতে পারেন।
৩। ভিডিও আপলোড
ফেজবুক পেজে ভিডিও আপলোড করেও ইনকাম করতে পারেন ভালো মানের অর্থ। সেক্ষেত্রে আপনার পেজ এর ফ্লয়ার হতে হবে ১০,০০০।
একটি ইউনিক নাম থাকতে হবে পেজ এর। যেই টাইপের ভিডিও পাবলিস করতে চান, তার সাথে মিল রেখে সিলেক্ট করতে পারেন ইউজারনেম। ভিডিওর সময় হতে হবে ৫ মিনিট বা তার বেশি। ভিউয়ের উপরে নির্ভর করবে আপনার ইনকাম। এ খেকে আপনি বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৫-২০,০০০ এর-ও বেশী ইনকাম করতে পারবেন।
এই নিয়ে আপনি ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন। চাইলে ধারনা নিয়ে বা শিখে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
পারবেন আপনিও। তাহলে আর দেরি কেনো! লেগে যান কাজে। সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন আজকেই।শুধু চিন্তা ভাবনা আর হতাশায় কেনো থাকবেন যদি এমন আর্ন করার মতো উপায় আপনার জানা থাকে।
যেকোনো কাজে লেগে থাকলে সাকসেস তো আবশ্যম্ভাবি তা সকলেই জানে।
৪। হ্যান্ডক্রাফট পেজ
একটি Handcuffs এর পেজ। অনেকের বানাতে পারেন অনেক কিছু। নিজে হাতে তৈরি করেন অনেক কিছু। আর এমন ভিডিও দেখতে কারনা ভালো লাগে।আবার অনেকে ভাবে দেখে যদি তার মতো একটু শেখে। তাই তৈরির সময় ভিডিও ধারণ করে সেই ভিডিও এডিট করে পাবলিস করতে পারেন। আবার তৈরি জিনিসের ছবি-ও পোস্ট করতে পারেন। কারোর ভালো লাগলে, চাইলে তা সেল করেও আর্ন করতে পারেন।
https://www.facebook.com/106760761596072/posts/261952279410252/?app=fbl
৫। মেকাপ ও সাজগোজ
সাজতে বা সাজাতে অনেকেই পছন্দ করেন। তাহতে বাসায় থেকেও আপনি হোম সার্ভিস start করতে পারেন। আমি ঘড়োয়া পার্লারের কথা বলছি। অন্যকিছু না হলেও ব্রাইডাল মেকওভার, মেহেদী, হলুদ ও বৌভাতের মেকওভার এবং ভালো মেহেদী ডিজাইনার হলে সেটাও এড করে দিতে পারেন। এভাবে একটি চার্ট তেরি করতে পারেন।
অথবা তিনদিনের সাজের অফার রেডি করে পোস্ট করতে পারেন। অনেকেই অল্প খরচে ভালো মানের মেকওভার এক্সপেক্ট করে।সেটা যদি বাসায় হয় তা সুবিধাজনক মনে করেন অনেকেই।
আজ study করলেও নিজেকে গুছিয়ে নেওয়াটা হয়ে ওঠেনা সকলের।সেই প্রক্রিয়াটা থাকে চলমান, কেননা নিজেকে আজও সময় দেয়া হয়না অনেকেরই। নিজেকে খুঁজে পেতে চাওয়াটা আজ সত্যি important.কারণ যাদের কথা সবাই ভাবে তারাই তো বলে ভাবতে কে বলেছে কিন্তু অবশ্য যা করাটার নাম না করার করা সেটার জন্য অপবাদ গায়ে মাখার নাম বোকামি ছাড়া কিছু নয়।আর লোকে তো এই বোকামিরই সুযোগ নিতে চায়। আর তাই এমন সুযোগ কাউকে দেয়া উচিৎ নয়।
আজ এই পর্যন্তই। আবার জানাবো ইনকামের অন্যকোনো উপায় বা মাধ্যম। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
You must be logged in to post a comment.