ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায়।।

বর্তমানে ফেসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।এখানে প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে তরুন- তরুনীরা প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘন্টা ফেসবুকে পোস্ট লিখে ও ভিডিও দেখে সময় ব্যয় করছে।আপনি এই সমটা ব্যয় না করে আপনি চাইলে সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে কিছু পরিকল্পিত উপায়ে কাজ করতে হবে।

ফেসবুক পেজ থেকে আয়।

ফেসবুক পেজ থেকে অনেক উপায়েই আয় করা যায়।বর্তমানে প্রায় সকল প্রকার ব্যবসা অনলাইনে হচ্ছে।বাড়ছে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রবণতা।মানুষ কোথায় বিজ্ঞাপন দিবে।সোশ্যাল মিডয়ায়, ওয়েবসাইট, ইমেইলে ইত্যাদি জায়গায়।আর ফেসবুক একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম।আর বর্তমান যুগে মানুষ ফেসবুকে বেশি অ্যাক্টিভ থাকে।তাই এখান থেকে উপার্জন করা ও অনেকটা সহজ হবে।এখানে প্রচুর ট্রাফিক তাই এখানে কোন কিছু বিক্রি করা অনেক সহজ। এজন্য বিজ্ঞাপন দাতারা ফেসবুক বেছে নিয়েছে বিজ্ঞাপন দেওয়া জন্য।ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য পেইড মার্কেটিং ও স্পন্সার এই দুটো জনপ্রিয়।

ফেসবুক পেইড মার্কেটিং চালানো জন্য কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কন্টেন্ট ব্যবহার করবে।তাই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তাদের আয়ের একটি অংশ দিয়ে থাকে।যেটাকে আমরা পেজ মানিটাইজেশন এর মাধ্যমে পেয়ে থাকি।পেজ মানিটাইজেশন করতে ফেসবুকের অনেক নিয়ম মেনে কাজ করতে হয়। 

নিয়মগুলো হলো- 

- পেইজে ১০,০০০ ফলোয়ার থাকতে হবে।

- ২মাসে ৬,০০,০০০ মিনিট ওয়াচটাইম দরকার হবে।

- কন্টেন্টগুলো ফেসবুক কমিউনিটির গাইডলাইন অনুযায়ী করতে হবে।

ফেসবুক পেজ মানিটাইজেশন ছাড়াও আয় করা যাবে।

- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

- সিপিএ মার্কেটিং

- ইউটিউব চ্যানেল প্রমোশন

- ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়িয়ে আয়।

- অনলাইনে দোকান/বিজনেস শুরু।

- অন্যর ফেসবুক পেজ প্রমোশন করা

- ডিজিটাল প্রডাক্ট বিক্রি

- বিভিন্ন জিনিসের রিভিউ করা

এইগুলো করে আপনি ফেসবুক থেকে ভালো অংকের টাকা আয় করতে পারবেব।আর তাছাড়া আপনার কাছে যদি ভালো মানের ট্রাফিক/ভিজিটর থাকে তাহলে সব জায়গা থেকে আয় করতে পারবেন।সেটা যেখন থেকেই হোক।

ফেসবুক থেকে আয়

প্রতিদিন ফেসবুক থেকে ২০০০ টাকা আয় করা কোন ন্যাপার না।ফেসবুক থেকে আয় করতে আপনার ভালো স্কিল থাকতে হবে।ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য ২০-২৫ বছর দরকার নাই।আপনি নিজেকে ৪-৬ মাসের মধ্য নিজেকে তৈরি  করে নিন ভালো একটা স্কিলে।তারপর দেখুন ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করতে পারেন।

আপনার যত অভিজ্ঞতা থাকবে আপনার আয় করার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকবে। বর্তমান সময়ে অনলাইনে টিকে থাকতে হলে অভিজ্ঞতা ছাড়া কোন উপায় নেই।আপনার যত অভিজ্ঞতা হবে আপয়ানার আয় তত বেশি হবে। আর আপনার যদি অভিজ্ঞতা কম থাকে তাহলে আপনার আয় ও কম হবে আর আপনার সময় ও লস হবে। এখন আপনি বলতে পারেন যে তাহলে অভিজ্ঞতা কিভাবে হবে,আরে আপনি শুরু তো করেন আগে তারপর আস্তে আস্তে আপনার সেটা সম্পর্কে আয়ত্ত এসে যাবে।আগেই তো আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন না।

অ্যাড ব্রেকস কি?

অ্যাড ব্রেকস হলো বিজ্ঞাপন বিরতি।ফেসবুক পেজে নিজস্ব ভিডিওর মধ্য বিজ্ঞাপন প্রচার করাটাই হচ্ছে অ্যাড ব্রেকস।বাংলাদেশে সৃজনসশীল নির্মাতারাও এখন চাইলেই ফেসবুক পেইজে বিজ্ঞাপনা আপলোড করে আয় করতে পারে।অথবা আগেই আপলোডকৃত ভিডিওর মধ্যে বিজ্ঞাপন বিরতির সুযোগ গ্রহণ করে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারে।অ্যাড ব্রেকস সুবিধার মাধ্যমে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ সময়ের ভিডিওর মাধ্যমে পেজের ফলোয়ার ও বাড়াতে পারবেন ফেসবুক ব্যবহারকারি।

কিভাবে চালু করবেন অ্যাড ব্রেকস

অ্যাড ব্রেকস চালু করতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইলের অধীনে একটি স্বতন্ত্র পেজ থাকতে হবে।আপনার যদি কোন ফ্যান পেজ না থাকে তাহলে প্রথমেই ফ্যান পেজ তৈরি করে নিতে হবে।এটি যেকোন ধরনের পেজ হতে পারে। আপনার নিজের অথবা অন্যদের পঅছন্দের যেকোন পেজ তৈরি করতে পারেন।

ফেসবুক পেজের একেবারে ওপরে হোম ট্যাবের পাশে থাকা ক্রিয়েট ট্যাবে ক্লিক করে সজেই পেজ তৈরি করা যায়।তারপর পেজে সৃজনশীল ভিডিও আপলোড করতে হবে।আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু আয় করা যাবে না। এজন্য ফেসবুক কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে।আবেদনকারির বয়স ১৮ হতে হবে।

কিভাবে মিলবে বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন পেতে কোন ব্যবহারকারিকে কোন কষ্টই করতে হবে না।ফেসবুক থেকে এই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়ে থাকে।ব্যবহারকারিকে কেবল ফেসবুকের মানিটাইজেশনের নঈতিমালার অধীনে আসতে হবে।নীতিমালার অধীনে যেসব বিজ্ঞাপন্দাতা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়, সেসব বিজ্ঞাপন ব্যবহারকারি ফএসবুক পেজের ভিডিওর মধ্য প্রচার কঅরবে ফেসবুক।বিজ্ঞাপন দাতাদের প্রদত্ত অর্থ থেকে এই মূল্যে পরিশোধ করা হবে।

পেজে অ্যাড ব্রেকস সুবিধা চালু

অ্যাড ব্রেকস চালু করতে প্রথমে ফেসবুকের বিসনেস বিভাগে যেতে হবে।সেখান থেকে ক্রিয়েটর ক্যাটাগরিতে গিয়ে মনিটাইজেশন অপশনটি অন করতে হবে।এটি অন করলেই পেজে আপলোড করা ভিডিও ফেসবুক থেকে আয় এর যোগ্য হবে না।সবার আগে পেজের যোগ্য তা যাচাই করতে হবে।

আপনি চাইলে ফেসবুক গ্রুপ থেকেও আয় করতে পারবেন। ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় করার দুটি উপায় দেওয়া হলো-

১) মেম্বারশিপ ফি চার্জ করুন

একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করা ও একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করার মধ্য অনেক পার্থক্য আছে।পর্থক্য হলো ফেজবুক পেজে কেবল মাত্র ফেসবুক অ্যাডমিন পোস্ট করতে পারবেন।কিন্তু ফেসবুক গ্রুপে সমস্ত সদস্যরা ইন্টারাক্ট করতে এবং পোস্ট করতে পারবেন।সেই কারণে ভালো কোন ফেসবুক গ্রুপ জয়েন করার জন্য অনেকেই মুখিয়ে থাকেন।সুতরাং ফেসবুক গ্রুপ বানিয়ে আপনি মেম্বারশিপ ফি চার্জ করতে পারবেন।

আপনি যদি এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট,বিষেশ ইভেন্ট বা ওয়েবিনার ইন্টারেস্টিং প্রশ্নের আয়োজন করতে পারেন এবং সেখানে ওপিনিয়ন লিডার এবং এক্সপার্টদের আনতে পারেন তাহলে আপনার অনেক সুবিধা হবে। কারণ আপনার সদস্য্রা  মাসিক সাবক্রিপশন ফির পরিবর্তে রিসোর্স পাবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় করার জন্য একটি ভালো উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। একজন এফিলিয়েট তারভফেসবুক গ্রুপে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করবেন।আপনি মনে মনে করুন যে আপনি কোন কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা করে আপনার ফেসবুক গ্রুপে কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্বন্ধে একটি কন্টেন্ট লিংক সহকারে পোস্ট করলেন।পাঠক যখন সেই কন্টেনটি পড়ে সেই লিংকটিতে ক্লিক করবেন তিনি একটি পেজেব পৌছাবেন।যেখান থেকে তিনি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করবেন বা কিনতে পারবেন।যদি সেটি তিনি কিনেন তাহলে আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন।

আর আপনার যদি ফেসবুক মার্কেটিং জানা থাকে তাহলে আপনা অনেক সুবিধা হতে পারে।

আপনি সরাসরি কোথাও থেকেই ইনকাম করতে পারবেন না।আপনাকে সেই কাজটার প্রতি অনেক শ্রম ব্যয় করতে হবে।আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। তাহলে আপনি ও ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles