ই-বিজনেস এর ধারণ বা পদ্ধতি।

নিম্নে এ বিজনেস এর ধরন বা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

ব্যবসায় থেকে ভোক্তা: যে ইলেকট্রিক ব্যবসায়িক লেনদেন যোগাযোগ এক পক্ষে থাকে ব্যবসায়ীও অন্য পক্ষে থাকে ভোক্তা তাকে ব্যবসায় থেকে ভোক্তা পদ্ধতি বলে।

যদি আমরা সাধারণভাবে বিষয়টি দেখি তাহলে এটা এক পর্যায়ে খুচরা ব্যবসায়ের অনুরূপ। আমরা চালডাল ,নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, জামা কাপড় ,ইত্যাদি নানান সামগ্রী আমরা বিভিন্ন খুচরা দোকান থেকে ক্রয় করি।

আমরা দোকানে গিয়ে পছন্দ করি, দাম দর করি, মূল্য পরিশোধ করি এবং অবশেষে পর্নটি ক্রয় করি। একইভাবে একজন ভোক্তা বা এরূপ ক্রেতা ইলেকট্রনিক উপায় যাচাই করে দোকানদার বা ব্যবসায়ীর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখে শুনে পণ্যটি ক্রয় করতে পারেন।

এক্ষেত্রে পণ্যটি খুব সহজে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের কাছে পৌঁছে দেয়। এতে সময় সাশ্রয় কম হয় এবং অর্থ ব্যয় কম হয়।

ব্যবসায় থেকে ব্যবসায়:

যে ইলেকট্রনিক ব্যবসায়িক লেনদেন বা যোগাযোগ দুটি পক্ষ থাকে ব্যবসায়ী তাকে ব্যবসায় থেকে ব্যবসায় পদ্ধতি বলে।

ব্যবসায়ীরা একদিক থেকে পণ্য সংগ্রহ করে এবং অন্যদিক থেকে পণ্যটি ক্রয় বিক্রয় করে ।এক্ষেত্রে এ ব্যবসায় কে পাইকারি ব্যবসায়ও বলা যায়।

যে ব্যবসায়ীরা একদিক থেকে উৎপাদন করে আবার অন্যদিক থেকে পণ্যটি ক্রয় বিক্রয়ের কার্য সম্পাদন করে থাকেন তারা মূলত এ ব্যবসার সাথে যুক্ত । এক্ষেত্রে ব্যবসায় যোগাযোগ ও লেনদেন দুটি ব্যবসায়ীর মধ্যে সংঘটিত হয় ।

ব্যবসায় থেকে সরকার :

যে ইলেকট্রনিক ব্যবসায়িক লেনদেন বা যোগাযোগ এক পক্ষে থাকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও অন্যপক্ষে তাকে সরকার তাকে ব্যবসায় থেকে সরকার পদ্ধতি বলে।

এর ধরন বা পদ্ধতি সম্বন্ধে আলোচনা বিভিন্ন আলতা রয়েছে। আলতা বিবেচনায় শিল্প-বাণিজ্য প্রত্যক্ষ সেবা এভাবে বিভাজন করা যায়।

যেভাবে ব্যবসাকে একমালিকানা অংশীদারি ও যৌথ মূলধনী কোম্পানি তে বিভক্ত করা হয়েছে। যেহেতু ইলেকট্রনিক এর মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে।

তাই  তাদের নির্দেশ করে এক্ষেত্রে যোগাযোগ বা লেনদেনকারী এর মধ্যকার যোগাযোগের ভিত্তিতে ধরন বা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয় ।

এক্ষেত্রে শুধু ক্রয়-বিক্রয় নয় দুটি দুটি পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ করে এর পদ্ধতি সম্পর্কে বিবেচনা করা হয়।

এরূপ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সরকারে বিজনেস এর অর্ধেক মালিকানার অংশীদার থাকে। অর্থাৎ 100% এর মধ্যে ফিফটি পার্সেন্ট এর অংশীদার সরকার থাকে।

আর ফিফটি পার্সেন্ট এর অংশীদার থাকে মূলত এ প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে বড় বড় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সরকারি মালামাল সরবরাহের জন্য তথ্য ওয়েবসাইটে সরবরাহ করে থাকে।

ব্যবসা থেকে কর্মী:

যে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ব্যবসায়ী তার নিজস্য কর্মীর নিকট ইলেকট্রনিক্স পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে তাকে e-business অর্থাৎ ব্যবসায় থেকে কর্মী পদ্ধতি বলে।

যারা এ ধরনের ব্যবসা থেকে বিভিন্ন শর্তে পণ্য আমদানি করে বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে তাদের জন্যই মূলত এ এ পদ্ধতি।

এক্ষেত্রে যখন কর্মীরা এখান থেকে কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করে তখন তাদের জন্য একটা আলাদা ছাড় দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ওয়েবসাইটে গিয়ে আলাদা পেজ অপশন খুলে তার মাধ্যমে কর্মীদের নিকট পণ্য বা সেবা বিক্রি করে থাকে।

এরপরেও কর্মীদের সাথে অনেক সময় অনেক রকমের বিভিন্ন সমস্যার কারণে যোগাযোগ করার প্রয়োজন পড়ে।

ব্যবসায় অংশীদার থেকে ব্যবসায় অংশীদার:

যে ইলেকট্রনিক ব্যবসায় পদ্ধতিতে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তার সহযোগী অন্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে তাকে ব্যবসায় অংশীদার থেকে ব্যবসায় অংশীদার পদ্ধতি বলে।

একটা বড় প্রতিষ্ঠান তার স্বার্থের জন্য অনেকগুলো অংশীদার খোঁজে এক্ষেত্রে বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানটি অনেকগুলো অংশীদারী প্রতিষ্ঠান খোঁজে যাতে তারা ভবিষ্যতে এই বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানটিকে আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে।

যাদের কেউ পণ্য সরবরাহকারী, কেউ সেবা সরবরাহকারীকে ,উপজাত দ্রব্য ব্যবহারকারী হিসেবে কর্মরত থাকে। এক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেকের করবো আলাদা।

তারা আলাদা আলাদাভাবে কর্মে নিয়োজিত থাকে এবং তাঁরা নিজেদের প্রত্যেকের দায়িত্ব নিজ নিজ ভাবে পালন করে থাকে।

এক্ষেত্রে সবগুলো বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান সহযোগী অর্থাৎ যে সকল সহযোগী অংশীদারকে ব্যবসায় যুক্ত করে তারা সার্বক্ষণিক কে একত্রে কাজ করে।

এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে একটা দৃঢ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা একে অপরের সাথে ইলেকট্রিক অর্থাৎ তর্কের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles