বর্তমান সময়ের অন্যতম বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সেরা উপায় হল অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং করে প্রচার ও পণ্য বিক্রি করা।
আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন তাহলে আজকের পোষ্টটি আপনার জন্য । আগে মানুষ অফলাইনে পণ্য আদান প্রদান করত যেটিতে সময় লাগত খুবই বেশি আর তা প্রচার হতো খুবই কম কিন্তু এখন বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট অতি অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছে।
আর এই পণ্য সরবরাহের জন্য বিভিন্ন থার্ড পার্টি কুরিয়ার সার্ভিস রয়েছে যেমন- ব্লুডার্ট, ডেলিভারি, ইকমএক্সপ্রেস ইত্যাদি।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ব্যবসা যা বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম যেমন- ফেসবুক, ইমেইল, ওয়েবসাইট, এসএমএস, অডিও মার্কেটিং চ্যানেল ইত্যাদি যেকোনো ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত মার্কেটিং কে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
ডিজিটাল শব্দের অর্থ ইন্টারনেটের সাথে জড়িত এবং মার্কেটিং শব্দের অর্থ হলো যেকোনো পণ্য কাস্টমারের কাছে প্রচার করা বা তাদের কাছে জানিয়ে দেওয়া।
এখন বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মাল বিক্রি অনেক বেড়ে গিয়েছে আর আরও বাড়বে। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও অনেক বেশি সেজন্য পণ্য বিক্রি কারীদের সুবিধা অনেক বেশি হয়েছে। আপনি যদি নিজেকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান এবং বিশ্বব্যাপী বিক্রয় করতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং হল সেরা উপায়।
সারা বিশ্বে প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। আর এটির প্রথম তালিকায় রয়েছে ফেসবুক। আর এতে শেয়ারকারির সংখ্যাও বেশি যাতে বিভিন্ন মানুষের কাছে পণ্য প্রচার হয়। সারা বিশ্বে প্রায় ৫.১১ বিলিয়ন মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আর এই সংখ্যাটির দিনের দিন বেড়েই যাচ্ছে আর নিত্যনতুন মোবাইল তৈরির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে।
ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেটিতে ৪৩ % ক্রেতা গুগল সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে পণ্য কেনাকাটা করে থাকে। আর এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত।
সেদিন আর বেশি দূরে নাই যখন মানুষ শুধুমাত্র অনলাইনে পণ্য কেনাকাটা করবে। আর বাজারে গিয়ে মানুষ সময় নষ্ট না করে ডিজিটাল মার্কেটিং করে পণ্য আদান প্রদান করবে যেমন অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট হাজার হাজার বিভিন্ন থার্ড পার্টি কুরিয়ারের মাধ্যমে এবং নিজে পণ্য সরবরাহ করে।
কিভাবে আয় করবেন:
ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় করার জন্য বিভিন্ন রকমের পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল ই-কমার্স।
ই-কমার্স ওয়েবসাইটে যেভাবে আয় করবেন। প্রথমে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে হবে যেমন- গুগল ডোমেন, হোস্টিনযার (Link- domain.google.com & hostinger.in) ইত্যাদি । তারপর ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরী হয়ে গেলে সেই ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে ফেসবুকে পেজ তৈরি করতে হবে এবং সেই পেজে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর পোস্ট করতে হবে তারপর পোস্টটি ফেসবুকে প্রমোট করতে হবে যার মাধ্যমে অসংখ্যা কাস্টমারের কাছে পৌঁছে যাবে।
এবার কাস্টমার সেই লিঙ্কে ক্লিক করে আপনার পণ্যটি কিনতে পারবে। আর ই-কমার্স ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটি আপনি যদি ইউটিউবে সার্চ করেন তাহলে জানতে পারবেন। এছাড়া ই-কমার্স বিভিন্ন স্টোর রয়েছে যেগুলিতে সেলার এর অপশন রয়েছে সেটিতে করে আপনি অ্যাকাউন্ট খুলে আপনার পণ্য গুলোকে ঘরে বসে খুব দ্রুত বিক্রি করতে পারবেন। এরজন্য আপনাকে তাদের শর্ত অনুযায়ী একাউন্টে সেটআপ করতে হবে।
এছাড়াও ফেসবুকে মার্কেটিং এর অপশন রয়েছে যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্ট বিক্রয় করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ আরেকটি প্ল্যাটফর্ম হল সে পার ক্লিক যার মাধ্যমে এড এ ক্লিক করতে বলা হয় তার জন্য আর্নিং হয়।
পরিশেষে বলতে চাই বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা খুবই তাই আপনি যদি নিজের ব্যবসা কে উন্নত করতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন।
ভাই আপার সাথে কথা বলতে চাই আপার ফেসবুক আইডি দিন
আমার ফেসবুক আইডি https://www.facebook.com/parves432
https://www.facebook.com/ab.alim.7777019
You must be logged in to post a comment.