ডিজিটাল মার্কেটিং | অনলাইনে ঘরে বসে ক্যারিয়ার গঠনের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম।

 ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং মানে অনলাইনে যেকোনো যেকোনো পণ্য কিংবা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করাকে বোঝায়।

এই প্রচার অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে হতে পারে। অর্থাৎ সকলের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক কিংবা বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন তথা গুগল, মাইক্রোসফট বিং, ইয়াহু, ওয়ান সার্চ, ওলফ্রাম আলফাহ্, বাইডু ইত্যাদি ব্যবহার করে সবাই আজকাল ডিজিটাল মার্কেটিং করছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং সর্বপ্রথম কবে এবং কোথায় শুরু হয়েছিল?

১৯৯০ সালে প্রথম যখন সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে আর্চির যাত্রা শুরু হয়; তখনই আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সূচনা ঘটে।

এভাবে ধীরে ধীরে একের পর এক সার্চ ইন্জিন আসতে থাকে আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রসার বাড়তে থাকে। এভাবে চলতে চলতে ২০০০ সালে ইন্টারনেট জগতে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দেয়।

ধীরে ধীরে যত দিন যায় ততো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এসময় মানুষ কম্পিউটারে নেট ব্যবহার করতো। 

১৪ বছর পর ২০১৪ সালের দিকে মোবাইলের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কম্পিউটার ছেড়ে মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করে দিয়েছিল। 

তারই ধারাবাহিকতায়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে গেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা। এইসব সামাজিক গণমাধ্যম গুলোতে আপডেট যত বাড়তে থাকে ততই  ডিজিটাল মার্কেটিং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যেতে থাকে।

বর্তমানে মেয়ে থেকে ছেলে সকলেই এই অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মার্কেটিং করে বেকার থেকে সাবলম্বী হয়ে উঠছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কয় প্রকার এবং কি কি?

সহজ কথায় ডিজিটাল মার্কেটিং ২ প্রকার।

১)অনলাইন মার্কেটিং

২)অফলাইন মার্কেটিং

১)অনলাইন মার্কেটিং এর মধ্যে রয়েছে -

i)  এসিও (SEO) : এর পূর্ণরূপ হলো  সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন । বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইন্জিনের র‍্যাংকিং এর কাজ করা হয় এসিও এর মাধ্যমে। এটিকে ওয়েবসাইটের এক ধরনের ফ্রি মেথড বলা যায়।

ii) সার্চ ইন্জিন মার্কেটিং (SEM) : এটি এক ধরনের পেইড মেথড। এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির এড দেয়া যায়। এটি লং টাইম প্রসেস কিন্তু খুব দ্রুত রেজাল্ট দেয়।

iii) পে-পার ক্লিক (PPC) : সহজ কথায় প্রতি এডে প্রতিটি ক্লিকের জন্য সার্চ ইন্জিনের পে করার পদ্ধতি। 

iv) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM) :  বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হলো ফেসবুক।তবে ফেসবুকের বাইরের আরো অনেক মিডিয়া রয়েছে। এসবের মাধ্যমে পেইড অথবা অর্গানিক উভয় উপায়ে মার্কেটিং বোঝায়।

v) কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing) : বিভিন্ন ধরনের ভিডিও, অডিও, আর্টিকেল, ভিডিও ক্রিয়েশন ইত্যাদির মাধ্যমে মার্কেটিং করাকে কনটেন্ট মার্কেটিং বলে।

vi)ইমেইল মার্কেটিং (E-mail Marketing) : বাইরের দেশে ইমেইল এর চর্চা অনেক বেশি দেখা যায়। বাংলাদেশের তুলনায় বাইরের দেশগুলোতে ইমেইল এর মাধ্যমে মার্কেটিং অনেক বেশি হয়।

vii)অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) : অন্যের প্রোডাক্ট ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সেল দিয়ে সেখান থেকে কিছু কমিশন পাওয়াকে বলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

২) অফলাইন মার্কেটের মধ্যে রয়েছে-

i) রেডিও মার্কেটিং (Radio Marketing) : রেডিও এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট প্রচার করার পদ্ধতিকে রেডিও মার্কেটিং বলে ; যার প্রচলন একসময় অনেক ছিল।

ii) টেলিভিশন এডভার্টাইজিং (Television Advertising) : টেলিভিশনে বিভিন্ন রকম বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে এই এডভার্টাইজিং করা হয়।

iii) মোবাইল এডভার্টাইজিং ( Mobile Advertising) : মোবাইল ফোনে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে আসা প্রোমোশোনাল এসএমএস এবং কলের মাধ্যমে যেসব প্রচার হয় তাই মোবাইল এডভার্টাইজিং।

iv) ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড মার্কেটিং ( Electronic Billboard Marketing)  : বড় বড় প্রতিষ্ঠানে বড় পর্দায় প্রচারের জন্য ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড দেখা যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং কাদের জন্য? 

যারা কোনো কিছু শিখে অ্যাপ্লাই করতে চায় তাদের জন্য।  যারা অনেক বেশি চিন্তা করতে পারে এবং অনেক ধৈর্য্য ধারন করতে পারে তাদের জন্য। 

এইখানে কাজের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই,  যেকোনো বয়সেই এই কজ করা যায়। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করা যায়? 

অনলাইন এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর অনেক ধরনের ভিডিও পাওয়া যায়।  কেউ যদি চায় সেইখান থেকে কাজ শিখে করতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে নতুন হলে একজন গাইডারের প্রয়োজন।  তাই কোর্স করে শিখা উত্তম। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এ কি কি ডিভাইস লাগে ?

ইন্টারনেট সংযোগের পাশাপাশি নিম্নের কোনো একটি কিংবা একাধিক ডিভাইস থাকলে সম্ভব -

i) মোবাইল,

ii) কম্পিউটার,

iii) ল্যাপটপ,

iv) ট্যাব ইত্যাদি। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা : 

★এটি হলো বিপননের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সবচেয়ে পরিমাপযোগ্য মাধ্যম। 

★খুব অল্প সময়ে একাধিক ক্রেতার কাছে পৌঁছানো যায়।  

★বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য করা যায়। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অসুবিধা : 

★সার্চ ইন্জিন অ্যালগরিদম আয়ত্ত করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।

★এড ব্লকারদের দ্বারা এড ব্লকের ঝুঁকি থাকে।

★অনেক সময় বেশি প্রচারের নোটিফিকেশনে গ্রাহক বিরক্ত হয়। 

ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় :

i) মাসিক আয় : শুরুতে প্রশিক্ষণ নিয়ে যেকোনো ১ টি ক্যাটগরি দিয়ে শুরু করলে প্রতি মাসে গড়ে ১০০০০৳ - ৫০০০০৳ আয়ের সুযোগ রয়েছে।

ii) বাৎসরিক আয় : কাজের উপর দক্ষতা অনুযায়ী আয় নির্ধারিত হয়।  তাও কেউ যদি নতুন হয় তাও তার বাৎসরিক আয় গড়ে ১ লাখের বেশি হবে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles