কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে টাকা ইনকাম করা যায়

আপনারা আপনাদের পণ্য বা সেবা বিক্রয় করতে চান বা ব্যবসার প্রচারণা চালাতে চান, কিন্তু জানেন না কিভাবে করবেন তাঁরা এই লেখার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারেন।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

ডিজিটাল মার্কেটিং 

ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে যোগাযোগের একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে অনলাইন এ ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ তাদের পণ্য বা ব্যবসার প্রচারণা চালাতে পারেন।

এর মাধ্যমে এখন আর মানুষকে দূরে দূরে ঘুরতে হয়না, এখন ঘরে বসেই তারা তাদের নিজস্ব পণ্য বা ব্যবসার প্রচার করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং ও অ্যানালগ মার্কেটিং এর পার্থক্য

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্যে মানুষ ঘরে বসেই ব্যবসার প্রচারণা করতে পারেন। কিন্তু আগে এই সুবিধা ছিলো না।

তখন মানুষকে অন্যের বাড়ি বাড়ি গিয়ে, রাস্তায় পায়ে হেঁটে কষ্ট করে তাদের পণ্য সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হতো। এটা হচ্ছে অ্যানালগ মার্কেটিং। আর এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্যে মানুষের কত সুবিধা হয়েছে।

কিন্তু এখন কথা হচ্ছে তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং আছে জন্যে কি অ্যানালগের যুগ নেই আর। না অ্যানালগ মার্কেটিং আছে তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্যে অ্যানালগ মার্কেটিং এখন আরও সহজ হয়ে গেছে।

এখন মানুষ নিজের পণ্যের প্রচার ঘরে বসেই করছে খুব সহজেই। তবে এর জন্য আমাদের কিছু ব্যাপারে দক্ষ হতে হয়। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য 

আমরা সবাই আমাদের পণ্য বা ব্যবসার বা সেবার প্রচার এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্যে করে থাকি। কিন্তু এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ টা কি।

আমরা যে আমাদের পণ্য বা ব্যবসার প্রচারণা এখানে করছি এখান থেকে কিভাবে আমি আমার কাঙ্ক্ষিত ফল টা পাবো।

কিভাবে কাজ করে এই ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার পণ্য বা সেবা অনুযায়ী আপনার গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা। 

আপনার পণ্য বা সেবাটা কোন গ্রাহকের জন্য বা কারা এর মাধ্যমে উপকৃত হবে সেটাই আপনাদের বুঝিয়ে দেবে। আপনার সেবা অনুযায়ী আপনার ব্যবসা বা পণ্যের দিকে আপনার গ্রাহকদের নিয়ে আসাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কখন করতে হবে 

এখন সবার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে তাহলে কি সব জায়গায় ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে। আচ্ছা তাহলে বলি, ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার পণ্যের দিকে আপনার পণ্যের প্রতি আগ্রহী গ্রাহকদের আকর্ষণ করবে।

তাই আপনাকে এমন জায়গায় ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে যেখানে অনেক মানুষ একসাথে থাকবে। আপনাকে এমন জায়গায় পণ্য দিতে হবে যেখানে দিলে বেশি গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ থাকে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং বলে যে আপনাকে সবসময় ডিজিটাল ভাবেই কাজ করতে হবে তা নয়। আপনি চাইলে রাস্তার পাশে কোনো বিলবোর্ড বা কোনো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার করতে পারেন।

চাইলে পুরোনো পদ্ধতির ও ব্যবহার করতে পারেন। তবে এমনভাবে করতে হবে যাতে বেশি মানুষ সেটা সম্পর্কে জানতে পারে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন পর্যায় 

ডিজিটাল মার্কেটিং কয়েক প্রকারের আছে। নিচে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হল 

  • ইমেইল মার্কেটিং 
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন 

এগুলো হলো বহুল জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটিং। এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। 

ইমেইল মার্কেটিং 

ইমেইল এর মাধ্যমে কোনো পণ্য বা ব্যবসার প্রচারণা করা বা ব্যবসার জন্য গ্রাহক আনার পদ্ধতি হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং।

ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে কন্টেন্ট লিখে বা খুব সুন্দর ও স্পষ্টভাবে ইমেইল লিখে গ্রাহকদের নিজের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানানো যাতে তারা সেগুলো নিতে চায়।

এমনভাবে গ্রাহকদের কাছে পণ্য বা ব্যবসার কথা উপস্থাপন করতে হয় যাতে তারা সেগুলো নিতে আগ্রহী হয়ে থাকে। 

ইমেইল এর মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর উপায় আছে। সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হল 

ওয়েলকাম ইমেইল 

এই ইমেইল এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন এবং তাদেরকে আপনার পণ্য বা সেবার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারবেন।

যখন কোনো গ্রাহক আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানার জন্য আপনার সাইটে বা পেইজ এ যাবে তখন সে যদি একটা এই ধরনের ইমেইল পায় বা তাকে যদি স্বাগত জানানো হয়, তাহলে সেই গ্রাহক অনেক খুশি হবে।

সে তখন আপনার পণ্য বা সেবা গ্রহণ করার প্রতি আকৃষ্ট হবে বা তার ভালো লাগবে। 

প্রোমোশনাল ইমেইল 

এই ইমেইল হচ্ছে এমন এক ধরনের ইমেইল যেখানে আপনি আপনার গ্রাহকদের আপনার পণ্য বা সেবার উপর দেওয়া কোনো অফার বা ডিসকাউন্ট সম্পর্কে জানাবেন।

এতে করে আপনি বেশি গ্রাহকের কাছেও পৌঁছাতে পারেন। যখন আপনার গ্রাহকেরা এই বিষয়ে জানতে পারবে তখন তারা আপনার পণ্য বা ব্যবসার প্রতি আগ্রহী হবে এবং নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রয় করতে চাইবে।

এর মাধ্যমে তাদেরকে আপনার নতুন পণ্য সম্পর্কে ও জানাতে পারেন। 

সেলস বা বিক্রয় ইমেইল 

এটি হচ্ছে এক ধরনের ইমেইল যেখানে আপনি কোন কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয় করতে চান বা আপনি নতুন কি কি পণ্য যুক্ত করলেন সে সম্পর্কে আপনার ক্রেতা বা গ্রাহকদের জানাতে পারবেন।

আপনি সেই সব পণ্য একত্রিত করে আপনার গ্রাহকদের কাছে এই ইমেইল পাঠাবেন। এর মাধ্যমে আরো লাভ হবে আপনার সেটা হচ্ছে আপনার গ্রাহকদের সাথে আপনার সম্পর্ক আরও ভাল হবে। 

ইমেইল কখন পাঠাতে হবে 

সাধারণত কাজের সময় গুলোতে ইমেইল পাঠালে ভালো হয় কারণ তখন সব গ্রাহকরা থাকেন। তাই ওয়ার্কিং আওয়ার বা ডে তে ইমেইল পাঠানো ভালো।

তখন বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর একটা সুযোগ থাকে। বেশি বেশি মানুষ সেটা দেখার সম্ভাবনা থাকে এবং সেটার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতে পারেন।

ইমেইল মার্কেটিং এর সুবিধা 

ইমেইল মার্কেটিং করার কিছু সুবিধা আছে tar মধ্যে সবচেয়ে ভালো সুবিধা হল এর সাহায্যে কম খরচেই গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো যায়। এর আর যেসব সুবিধা আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হল 

  • সময়মত ইমেইল পাঠানো 
  • গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া বা মতামত সংগ্রহ করা 
  • নিজেদের ব্যক্তিগত কন্টেন্ট বানানো 
  • গ্রাহকদের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ রাখা 
  • লিড বা উপযুক্ত গ্রাহক খুঁজে বের করা ও তাদের সংখ্যা বাড়ানো 
  • সঠিক সময়ে সঠিক মানুষের কাছে নিজের পণ্য পৌঁছনো 
  • নিজেদের সাইটে বা পেইজ এ ভিজিটর আনা বা বাড়ানো 
  • সেলস বা বিক্রয় বাড়ানো 

ইমেইল পাঠানোর সঠিক পদ্ধতি 

ইমেইল যখন কোনো গ্রাহকের কাছে পাঠাবেন তখন কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। ইমেইল এ অনেক রকম ধাপ আছে যেমন স্প্যাম ইমেইল, ইনবক্স ইত্যাদি।

তাই আপনি যখন ইমেইল পাঠাবেন তখন আপনাকে খেয়াল করতে হবে ইমেইল টা যেনো ইনবক্সে যায়। কারণ ইমেইল টা স্প্যাম এ গেলে গ্রাহক সেটা দেখবে না আর গ্রাহক না দেখলে আপনার ইমেইল পাঠানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।

কাজেই আপনাকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। 

ইমেইল পাঠানোর জন্য আপনাকে সুন্দর ও সুস্পষ্ট সাবজেক্ট লাইন বা বিষয়বস্তু লিখতে হবে তাহলে সেটা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করবে।

অবশ্যই বৈধ ইমেইল থেকে আপনাকে ইমেইল পাঠাতে হবে এবং গ্রাহকদের ইমেইল ও বৈধ হতে হবে। তা না হলে সেই ইমেইল গুলো যাবেনা ফিরে আসবে বা সেগুলো বাতিল হয়ে যাবে এবং এতে আপনার কোনো লাভ হবেনা। 

ইমেইল পাঠানোর জন্য প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট পণ্য সংগ্রহে রাখতে হবে এবং সেই পণ্য অনুযায়ী গ্রাহক খুঁজে বের করতে হবে।

তারপর তাদের বৈধ ইমেইল গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা রিসার্চ করে বের করে তাদের ইমেইল পাঠাতে হবে। ইমেইল এর জন্য খুব সুন্দর ও মানানসই টেমপ্লেট করতে হবে বা সুন্দরভাবে সাজাতে হবে।

যাতে গ্রাহকেরা আগ্রহ খুঁজে পায় আপনার পণ্য দেখার বা সেগুলো কেনার। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর কল্যাণে মানুষ এখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার মানুষের সাথে সহজেই যোগাযোগ করতে পারে।

সেই সাথে এগুলো কে মানুষ ব্যবসার প্রচারের মাধ্যম ও বানিয়ে নিয়েছে। এর মাধ্যমে অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় এবং এতে লাভ হয় ভালো।

সোশ্যাল মিডিয়া স্টোরি মার্কেটিং 

সোশ্যাল মিডিয়ার স্টোরি তে মানুষজন এখন বিভিন্ন কিছু শেয়ার করে থাকে। এটি এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আমাদের কাছে।

এটি ব্যবহার করে আমরা আমাদের পণ্য বা ব্যবসার প্রচারণা করতে পারি। আমরা আমাদের পণ্য গুলোর ছবি স্টোরির মাধ্যমে শেয়ার করে সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারি। আর এগুলো এখন সবাই গ্রহণ করছে। 

সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও মার্কেটিং 

সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও মার্কেটিং এখন অনেক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম নিজের পণ্যের প্রচার করার জন্য। অনেকে লাইভ ভিডিও করে আবার অনেকে নতুন পণ্য আনার পর সেগুলোকে আকর্ষণীয় করে তোলে গ্রাহকদের কাছে।

এর সাহায্যে নিজেদের কথাগুলো সহজভাবে তারা বলতে পারে। 

কতগুলো সোশ্যাল মিডিয়া বেশ জনপ্রিয় স্থানে আছে। সেগুলো হলো 

  • ফেসবুক মার্কেটিং 
  • ইউটিউব মার্কেটিং 
  • ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং 
  • টুইটার মার্কেটিং 
  • লিংকডইন মার্কেটিং 

এরকম বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে মানুষ তার পণ্য বা সেবার প্রচারণা করছে। এগুলো সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

ফেসবুক মার্কেটিং 

ফেসবুক মার্কেটিং হচ্ছে এমন এক ধরনের মার্কেটিং যেখানে ছোট বড় সব ধরনের ব্যবসার উন্নতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা মাধ্যম।

শুরুর দিকে মানুষ এর এই ব্যবহার সম্পর্কে তেমন জানত না তাই তেমন প্রচার ছিলোনা কিন্তু এখন মানুষজন সচেতন হয়েছে।

তারা এর ব্যবহার বুঝতে পেরেছি তাই এটাকে তারা এখন কাজে লাগাচ্ছে। কারণ এর সাহায্যে বিশ্বের সব মানুষের কাছে ওতি দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যায়। এটা এখন মানুষের ব্যবসা বাড়ানোর অন্যতম মাধ্যম। 

এর সাহায্যে আমরা এখন সফলভাবে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছি কোনো অসুবিধা ছাড়াই। ছোটো বড় সব ব্যবসা এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করছে।

এর মাধ্যমে যেমন বেশি লোকের কাছে পণ্য সম্পর্কে জানান দেওয়া যায়, ঠিক তেমনি বেশি বিক্রি ও করা যায়। ফেসবুক এ দুই ভাবে মার্কেটিং করা যায়।

একটা হলো ফ্রি মার্কেটিং আর একটি পেইড মার্কেটিং। আমরা এগুলো সম্পর্কে জানবো এখন। 

ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং 

ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এর সাহায্যে আপনি একদম ফ্রি তে ফেসবুকে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে পারবেন।

কোনো টাকা লাগে না। যেমন ধরুন আপনি ফেসবুকে একটা পেইজ খুলে সেখান থেকে আপনার পণ্যের প্রচার করতে পারেন। 

ফেসবুক পেইজ খোলার উপায় 

প্রথমে ফেসবুকে একটা পেইজ খুলবেন।  তারপর আপনার পণ্য বা ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী সেই পেইজ এর নাম, কভার ছবি, প্রোফাইলে ছবি দিতে পারেন বা আপনার পেইজ টাকে সুন্দর করে সাজাতে পারেন।

এরপর আপনার পণ্য অনুযায়ী পোষ্ট করবেন পূর্ণাঙ্গ তথ্য সহ। এরপর আপনার পরিচিত সবাইকে আপনার পেইজ এ আমন্ত্রণ জানাবেন এবং তাদের পরিচিত সবাইকে আপনার পেইজ এ আনতে বলবেন। 

আপনার পরিচিত মানুষদের বলতে পারেন আপনার পোস্ট গুলো শেয়ার করার জন্য এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সেগুলো শেয়ার করতে পারেন।

এছাড়া ফেসবুক এ অনেক গ্রুপ আছে যেখানে আপনি বিনামূল্যে আপনার পণ্য বা ব্যবসার প্রচারণা করতে পারেন।

আপনার পণ্যের ছবি তুলে সেখানে পোস্ট করতে পারেন। এভাবে অনেক মানুষের কাছে আপনার এ পোস্ট পৌঁছে যাবে ও মানুষজন জানতে পারবে আপনার ব্যবসা বা পণ্য সম্পর্কে। তারা যতো জানবে তত আগ্রহী হবে আপনার পণ্য কিনতে। এটাই হলো ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং। 

পেইড ফেসবুক মার্কেটিং 

পেইড ফেসবুক মার্কেটিং হচ্ছে সেই ধরণের মার্কেটিং যেটাতে ফেসবুক এর বিভিন্ন পোস্ট এ স্পন্সর লেখা থাকে।

এটা হচ্ছে ফেসবুক কে টাকা দিয়ে নির্ধারিত গ্রাহকের কাছে আপনার পণ্য পৌঁছনো। এক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে আপনি আপনার পণ্য অনুযায়ী যে ধরনের গ্রাহক প্রয়োজন সেই গ্রাহকদের কাছেই আপনার পণ্য পৌঁছে যাবে।

আর এর জন্য আপনাকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে টাকা প্রদান করতে হবে। তারা আপনার ফেসবুক পেইজ এবং পোস্ট কে প্রমোট করবে। 

ফেসবুক মার্কেটিং করার নিয়ম 

এই পৃথিবীতে প্রত্যেক জিনিসই হওয়ার পেছনে কতগুলো নিয়ম থাকে যেগুলো মেনে চলতে হয়। তেমনি আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং করতে চান তাহলেও আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে।

তাহলে আপনি পরিপূর্ণ ভাবে আপনার ব্যবসার প্রসার করতে পারবেন। তাহলে ফেসবুক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম মানতে হবে চলুন দেখে নেই। ফেসবুক মার্কেটিং এর নিয়ম গুলো হল 

  1. ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ভালো মানের ফেসবুক পেইজ খুলতে হবে। যেটাতে আপনার পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা বা আলোচনা করা থাকবে।আপনার পণ্য তালিকা, সেগুলোর ব্যবহার, আপনার থেকে তারা কি সার্ভিস বা সেবা পাবে সেগুলো থাকতে হবে। যাতে গ্রাহকদের বুঝতে সুবিধা হয় 
  2. আপনার পেইজ টা সুন্দর ভাবে সাজানো থাকতে হবে। আপনার ব্যবসা অনুযায়ী পেইজ এর নাম দেবেন এবং পেইজ এর কভার পিকচারে আপনার প্রতিষ্ঠানের ছবি ব্যবহার করতে পারেন।
  3. আপনার পণ্য বা ব্যবসার ব্যাপারে গ্রাহকদের জানানোর জন্য পোস্ট করতে হবে। 
  4. আপনার পন্য বা ব্যবসা বা সেবা অনুযায়ী আপনার গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করতে হবে। 
  5. আপনার পন্য বা সেবা কোন ধরণের, কোন ধরনের গ্রাহক সেটাতে উপকৃত হবে, পণ্য কি বাচ্চাদের জন্যে না বয়স্কদের জন্য সেটা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। আপনাকে সবসময় আপডেট থাকতে হবে। আপনার পেইজ এ মানুষজন এস এম এস করলে তার উত্তর ঠিকভাবে দিতে হবে। 

ফেসবুক মার্কেটিং টিপস 

ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে কিছু জিনিস মানতে হবে। প্রথমত আপনাকে খুব একটিভ থাকতে হবে।

আপনাকে সবসময় ধারাবাহিকভাবে আপনার পেইজ এ পোস্ট করতে হবে। আপনার গ্রাহকদের সাথে সবসময়ই যোগাযোগ রাখতে হবে।

তারা যা জানতে চায় তা তাদের ভালোভাবে বুঝাতে হবে। তারা কোনো প্রশ্ন করলে সেটা এড়িয়ে যাওয়া যাবেনা। তাদেরকে আপনার পণ্য বা সেবার প্রতি দীর্ঘমেয়াদী ভাবে আকৃষ্ট করতে হবে যাতে আপনার পণ্যের প্রতি তাদের আস্থা থাকে। 

মার্কেটিং এর জন্য খুব ভালো মানের কন্টেন্ট বানাতে হবে যাতে গ্রাহকেরা আকর্ষণ না হারায়। আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ স্থির করতে হবে।

ব্যবসা করতে গেলে সবকিছু শর্টকাট করলে চলবে না। আপনাকে আপনার গ্রাহকদের ভালো মানের সেবা দিয়ে যেতে হবে।

আপনার উপস্থাপনা ভালো হতে হবে যাতে গ্রাহকদের আগ্রহ কাজ করে আপনার পণ্য নেওয়ার। আপনাকে পোস্ট করতে হবে বেশী করে চাইলে ভিডিও করেও পোস্ট করতে হবে। 

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার উপায় 

ফেসবুক মার্কেটিং বর্তমানে আয়ের এক অন্যতম উৎস। ফেসবুক মার্কেটিং করে আপনি নানা উপায়ে আয় করতে পারেন।

আপনি চাইলে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে ফেসবুক থেকে অনায়াসে একটা ভালো উপার্জন করতে পারেন। নিচে ফেসবুক থেকে আয়ের কিছু উপায় দেওয়া হল 

  1. ফেসবুক থেকে পেইজ খুলে আপনি আয় করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার পেইজ এ একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফলোয়ার থাকতে হবে। এর মানে হচ্ছে আপনার পোস্ট অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। এতে আপনার ব্যবসার প্রসার বাড়বে। 
  2. আপনি কোনো কোম্পানির পণ্য আপনার পেইজ এর মাধ্যমে প্রচার করে টাকা আয় করতে পারেন। যেমন অন্য কোন পেইজ থেকে বা কোনো কোম্পানির পণ্য সম্পর্কে মানুষকে জানালে তারা আপনাকে একটা পারিশ্রমিক দেবে। 
  3. আপনি চাইলে অনলাইন স্টোর গুলোর প্রচার করেও টাকা আয় করতে পারেন। যেমন অনলাইন এ কারো পেইজ শেয়ার করতে পারেন বা তাদের পেইজ নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে পারেন। এভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করে আপনি আয় করতে পারেন। 
  4. ফেসবুক এ আপনি ভিডিও করেও টাকা আয় করতে পারেন। আপনি ভালো মানের ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে সেটা থেকেও উপার্জন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট ভিউয়ার এবং নির্দিষ্ট সময় ওই ভিডিও সবাইকে দেখতে হবে। 
  5. ফেসবুক পেইজ বিক্রি করেও আপনি ভালো অর্থ পেতে পারেন। আপনার ফেসবুক এ যদি লাখো ফলোয়ার থাকে তাহলে সেটা আপনি ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন। 
  6. আপনার নিজস্ব ব্যবসা বা সেবার প্রচারণা করেও আপনি ভালো আয় করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ড থাকে সেটার ভ্যালু বাড়াতে পারেন।

এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটিং করে ভালো মানের আয় করতে পারেন। দরকার শুধু আপনার ইচ্ছাশক্তি আর একটু পরিশ্রম তাহলেই আপনি সফল হতে পারেন। 

ইউটিউব মার্কেটিং 

বর্তমান অনলাইন জগতে ফেসবুক মার্কেটিং এর পাশাপাশি ইউটিউব মার্কেটিং ও এখন তুমুল জনপ্রিয় একটি মাধ্যম।

আগে আমরা বিজ্ঞাপন এর মাধ্যম বলতে শুধু এক টিভি কেই জানতাম এখন ইউটিউব মার্কেটিং এসে সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে।

এখন ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে মানুষ নানান কিছু দেখতেও পাচ্ছে সেই সাথে বাড়তি উপার্জনের ও সুযোগ হয়েছে। ইউটিউব মার্কেটিং করে টাকা আয়ের পদ্ধতি গুলো এখন দেখা যাক। 

ইউটিউব মার্কেটিং এর জন্য ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেল এ আপনার নিজের পণ্য বা ব্যবসার প্রচারণা করতে পারেন বা অন্য কারোর হয়েও কাজ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তারা আপনাকে টাকা দেবে। 

ইউটিউব থেকে আয়ের বিভিন্ন ধাপ 

  • ইউটিউব থেকে আয়ের পদ্ধতি হচ্ছে আপনাকে প্রথমে চ্যানেল খুলতে হবে। আপনার কোনো ব্যবসার প্রতিষ্ঠান থাকলে বা ব্র্যান্ড থাকলে আপনার চ্যানেল টাকে সেভাবে সাজাতে হবে। আপনার চ্যানেল এর নাম কভার ফটো আপনার ব্র্যান্ড অনুযায়ী সাজিয়ে নিতে পারেন যাতে সবাই সেটা সহজে পেয়ে যায় ও মনে রাখতে পারে। মোটকথা আপনার সেবা সম্পর্কে সবাইকে ধারণা দিতে হবে। 
  • আপনার সেবা বা ব্যবসার উপর নির্ভর করে আপনি ভালো মানের ভিডিও বানাতে পারেন। ভিডিওই হচ্ছে ইউটিউব মার্কেটিং এর প্রধান ধাপ। ভিডিও অল্প সময়ের মধ্যে হতে হবে আর এমনভাবে বানাতে হবে যাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবাই দেখে। ভিডিও গুলোতে সৃজনশীলতা থাকলে ভালো হয় সবাই আগ্রহ নিয়ে দেখবে। অল্প সময়ের ভিডিওতে আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সবাইকে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে। 
  • আপনার ভিডিও গুলো এসইও অপ্টিমাইজড হতে হবে তাহলে আপনার ভিডিও তে ভিউ বেশি হবে এবং সার্চ লিস্টে শীর্ষে থাকবে। আপনার ভিডিও বা চ্যানেল এর ডেসক্রিপশন, কিওআর্ড, টাইটেল, ট্যাগ এগুলো এমনভাবে দিতে হবে যাতে সবাই দ্রুত আপনার চ্যানেল খুঁজে পায় এবং দর্শক ও বেশি হয়। ইউটিউব এসইও সম্পর্কে আপনারা ভালোভাবে জেনে নিবেন। 
  • আপনার ভিডিও গুলো আপনি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন। তাতে আপনার চ্যানেল এর দর্শক আরো বেড়ে যাবে সেই সাথে সাব্সক্রাইবার ও বেড়ে যাবে। আপনার ব্যবসা সম্পর্কে আরো বেশি মানুষ জানতে পারবে ও তারা কেনার আগ্রহ দেখাতে পারে। 
  • আপনি ইউটিউব এ আপনার ভিডিও তে অ্যাডস ব্যবহার করতে পারেন। কম সময়ে কম খরচে বিভিন্ন অ্যাডস দিয়ে আপনার পণ্য প্রচার করতে পারেন। এতে খুব দ্রুত আপনার ভিডিও তে ভিউ বাড়বে। 

ইন্সটাগ্রাম, টুইটার এবং লিংকডইন মার্কেটিং

এগুলোর ক্ষেত্রেও আপনি একইভাবে টাকা আয় করতে পারেন। ফেসবুক ও ইউটিউব এর মতই এখানে ভিডিও, পোস্ট ও বিভিন্ন স্ট্যাটাস শেয়ার করে আপনি এইসব মাধ্যম থেকে টাকা আয় করতে পারেন।

এগুলোও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার যতো বেশি জায়গায় করবেন ততই আপনার লাভ। বেশি বেশি গ্রাহক পাবেন ও আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারেন। 

ইনফ্লুয়েন্সার  মার্কেটিং 

এটি এমন এক ধরণের মার্কেটিং যার মাধ্যমে আপনি আপনার পরিচিত কাউকে দিয়ে পণ্য বা সেবার প্রচার করতে পারেন যে কিনা সবার কাছেই পরিচিত।

সবাই যার কথা বিশ্বাস করে যেমন আপনি কোনো খেলোয়াড় বা এমন কাউকে দিয়ে প্রচার করবেন যার কথা সবাই শুনবে। 

কন্টেন্ট মার্কেটিং 

এটা এমন একটা পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার করতে পারেন। আপনার প্রতিষ্ঠানের উপরে আপনি কোনো ব্লগ বা লেখা লিখতে পারেন অনলাইন এ বা অন্য কাউকে দিয়ে লেখাতে পারেন।

তাতে গ্রাহকেরা সেটা পরে বুঝতে পারবে আপনি কি ধরণের পণ্য বা সেবা বিক্রয় করছেন।

তারা সেখান থেকে তাদের চাহিদা মত পণ্য কিনার আগ্রহ দেখাতে পারে। ভালো মানের কন্টেন্ট লিখতে হবে যাতে ক্রেতারা আগ্রহী হয়। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

এই মার্কেটিং অনেকটা ইনফ্লয়েন্সার মার্কেটিং এর মতই। এখানে আপনার কোনো চ্যানেল বা পেইজ থাকলে আপনি সেখানে অন্য কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর পণ্য বা সেবার ব্যাপারে সবাইকে জানাতে পারেন। এর বিনিময়ে সেই ব্র্যান্ড বা কোম্পানি আপনাকে একটা নির্দিষ্ট টাকা দেবে।

এর মানে আপনি ওই ব্র্যান্ড বা কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট হয়ে কাজ করছেন। অনেক সময় অ্যাফিলিয়েট দের জন্য আলাদা কতগুলো প্রমো কোড দেওয়া হয় যেগুলোর মাধ্যমে পণ্য কিনলে মানুষ কিছু টাকা ছাড় পায় বা কিছু কমে নিতে পারে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এবং বর্তমানের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স 

বর্তমান যুগের এত উন্নত অবস্থা দেখে মনে হয় এমন একদিন আসবে যখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে পুরো পৃথিবী ভোরে যাবে। তখন আর মানুষকে কোনো কাজ করতে হবে না সব কাজ অনলাইন এর মাধ্যমেই হয়ে যাবে। মানুষের তখন কোনো কাজ থাকবেনা।

মার্কেটে এখন সবচেয়ে আলোচিত ও অনেক জনপ্রিয় একটি অনলাইন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হচ্ছে এআই বা চ্যাটবট। এটা খুব দ্রুত মানুষের মাঝে ব্যাপক হারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং অনলাইন জগতের একটা বড় জায়গা দখল করে নিয়েছে। মানুষ যে এত দ্রুত এটাকে গ্রহণ করবে ভাবা যায়নি। 

এমন কি নেই যা চ্যাটবট করতে পারেনা। যেকোনো কাজ মুহূর্তের মধ্যে অনায়াসে সম্পন্ন করে দিতে পারে। আপনার যেকোনো প্রশ্নের উত্তর সাথে সাথে পেয়ে যাবেন,

যেকোনো কিছু জানার থাকলে আপনার চাহিদা অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ করবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এটা অনেক বেশি সাড়া ফেলছে। বর্তমানে বহুল প্রচলিত বিষয় এটি ও এটা নিয়ে মানুষের কৌতুহল এর শেষ নেই। 

ডিজিটাল মার্কেটিং টিপস 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক ছোটো ছোটো ধাপ আছে যেগুলো জানলে ও ঠিকমতো করতে পারলে আপনি সহজেই আয় করতে পারবেন। নিচে কতগুলো টিপস সম্বন্ধে জেনে নেই। 

  • টার্গেট গ্রুপ কি পছন্দ করছে সেটা বুঝে পোস্ট করা। মাঝে মাঝে ভাল ও মজার কিছু পোস্ট করলে মানুষ অনেক বেশি সেগুলো শেয়ার করে। এভাবে আপনি আপনার মার্কেটিং করতে পারেন। 
  • মোবাইল ও ল্যাপটপ উভয় ক্ষেত্রেই যাতে গ্রাহক সুবিধা পেতে পারে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। 
  • সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে অনেক বেশি প্রচার করতে হবে কারণ মানুষজন দিনের বেশিরভাগ সময় সেখানেই থাকে। 
  • একটা নির্দিষ্ট ইমেইল বা মেসেজের ব্যবস্থা রাখা যাতে গ্রাহকদের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়। 
  • নিজের পণ্যের উপর কোনো ওয়েবসাইট বানালে সেখানে গ্রাহকদের সাথে সরাসরি কথা বলার ব্যবস্থা রাখতে হবে। 

পরিশেষে বলা যায় যে, ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যে পর্যায়ে চলে গেছে তাতে নিকট ভবিষ্যতে এটা কোন মাইলফলক ছুঁয়ে যাবে সেটা বলা বাহুল্য।

তাই আপনারাও আর ঘরে শুধু শুধু বসে না থেকে আপনার ব্যবসা বা আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করা শুরু করে দিন।

দেখবেন একদিন আপনিও আপনার কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। আর এর জন্য আপনার প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য ও আপনার একান্ত ইচ্ছা যেটা আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।

তাই আর দেরি না করে এখন থেকেই শুরু করে দিন আপনি যা করতে চান আর দেখিয়ে দিন যে আপনিও পেরেছেন। 

আমার এই লেখাটি যারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। যদি আমার এই ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ লেখাটি আপনাদের এতটুকু ও উপকারে আসে তাহলে আমার জন্য দোয়া করবেন। সবাই ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন, ধন্যবাদ। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ