কন্টেন্ট রাইটিং কী? কিভাবে ভালো এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট লিখা যায়?

আপনার যদি একটি ব্লগ বা নিশ সাইট থেকে থাকে তাহলে তার কন্টেন্ট গুলো আপনি নিজে অথবা অপরকে দিয়ে লিখিয়ে নিতে পারেন। নিজের ব্লগে নিজেই কন্টেন্ট লিখা সবচেয়ে ভালো৷

কারণ এতে করে আপনি নিজ ব্লগে এসইও কন্টেন্ট লিখা সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন। একটি সুন্দর ও কোয়ালিটিফুল এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে যেসব বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। 

কন্টেন্ট সম্পর্কে ধারণা 

কোনো বিষয় সম্পর্কে তথ্যপূর্ণ বা বিস্তারিতভাবে লিখা বা উপস্থাপন করাই হলো কন্টেন্ট। আপনি কষ্ট করে কন্টেন্ট লিখলেন কিন্তু যদি ভিজিটর আপনার কন্টেন্ট না পড়ে তাহলে কিন্তু লাভ হলোনা। তাই আমাদের উচিত কন্টেন্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা এবং কিভাবে ভিজিটর বা ট্রাফিকবান্ধব কন্টেন্ট লিখা যায় তা আয়ত্ত করা। 

কন্টেন্ট সম্পর্কে একটি উৎকৃষ্ট সংজ্ঞা হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড নিয়ে পরিপূর্ণ ও তথ্যবহুল আলোচনা। যেটার মাধ্যমে আপনি আপনার পাঠকদের আপনার প্রোডাক্ট বা নিশ সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে পারেন। 

উদাহরণ দিয়ে কন্টেন্ট সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

ধরুন আপনার কন্টেন্টের কিওয়ার্ড হচ্ছে - 'অ্যাভেঞ্জারস ইন্ডগেম' মুভি রিভিউ৷ তারমানে যেসকল ট্রাফিক এই মুভিটি দেখতে চায় অথবা মুভিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায় আপনি তাদের টার্গেট করছেন।

এখন অবশ্যই আপনার উচিত হবে মুভিটি সম্পর্কে ডিটেইলস আলোচনা করা। মুভিটির ভালো মুহুর্ত বা খারাপ মুহুর্ত ইত্যাদি। এছাড়া মুভিটি কিভাবে ডাউনলোড করা যাবে বা দেখা যাবে প্রভৃতি আলোচনা করতে পারেন৷ এতে করে আপনার টার্গেট করা পাঠক সহজেই আপনার মাধ্যমে উপকৃত হবে এবং নিয়মিত আপনার লেখাগুলো পড়বে।

এভাবে যদি আপনি কোনো পণ্য সম্পর্কে লিখতে ইচ্ছুক হন, যেমনঃ শাওমি অথবা রিয়েলমি ফোন সম্পর্কে যারা স্মার্টফোন কিনতে চায়৷ তারা কিভাবে কিনবে, কোন ওয়েবসাইটে যাবে যেখানে ফোনের মডেল কিংবা বৈশিষ্ট, সুবিধা, অসুবিধা কিংবা মূল্য দেয়া থাকবে যাতে করে পাঠক সহজেই তার করনীয় সম্পর্কে জানতে পারে। মোটকথা হচ্ছে পাঠক সহয়ক কন্টেন্ট লিখাই হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ ও এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট। 

ব্লগ অথবা নিশ সাইটে কন্টেন্ট লিখার জন্য যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি

প্রথমেই আপনি যে বিষয়ে কন্টেন্ট লিখতে চাচ্ছেন, সেই বিষয়য়ের কিওয়ার্ড নির্ধারণ করুন। তারপর রিসার্চ করুন, যে আপনার কিওয়ার্ডের উপর সার্চ ভলিউম কেমন। অর্থাৎ আপনার বাছাইকরা কিওয়ার্ড টি নিয়ে মানুষ গুগলে বা অন্যন্য সার্চ ইঞ্জিনে কেমন সার্চ করে।

এসইও এক্সাপার্টদের মতে, সার্চ ভলিউম ৮০০ থেকে ২৫০০ এর মধ্যে থাকা ভালো৷ রিসার্চ করার সময় বিভিন্ন ফ্রি এবং পেইড টুল পেয়ে যাবেন। যেগুলো দিয়ে খুব সহজেই আপনার কাজ হাসিল করতে পারবেন। 

কত ওয়ার্ড এর কন্টেন্ট লিখা ভালো

কত বড় কন্টেন্ট লিখতে হবে, এই প্রশ্নটি খুবই পরিচিত। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনার টার্গেট শুধু গুগল এডসেন্স নাকি আমাজন সাইট? নাকি আপনি আমাজন এফিলিয়েট এবং সেইসাথে গুগল এডসেন্স দুটোই করতে চান? চলুন ধাপে ধাপে জেনে নেয়া জাক।

কন্টেন্ট কত বড় হবে?

এক্সাপার্টদের মতে, কন্টেন্ট অবশ্যই ১০০০ শব্দের বেশি হতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আপনার প্রতিযোগিদের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। অর্থাৎ তারা যদি ১০০০ শব্দের কন্টেন্ট লিখে তাহলে আপনাকে অবশ্যই এর থেকে ১০০ বা ২০০ ওয়ার্ড বেশি লিখতে হবে। কারণ কন্টেন্ট যতো বড় হবে র‍্যাংক পাওয়ার সম্ভাবনা ততো তাড়াতাড়ি। ব্লগ সাইট হোক অথবা নিশ সাইট, উভয় ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়৷ 

এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট

আপনি আমাজনের জন্য অথবা ব্লগের জন্য, যেখানেই কাজ করুন না কেনো উভয় ক্ষেত্রেই কাজ প্রায় একই। অর্থাৎ আপনার প্রতিযোগিদের প্রতি লক্ষ রাখুন। তাদের থেকে অবশ্যই শব্দ সংখ্যা বেশি হতে হবে। কন্টেন্ট লিখার ক্ষেত্রে বুলেট, হেডিং, সাব-হেডিং, বোল্ট বা ইটালিক ইত্যাদি টুল গুলো ব্যাবহার করুন। 

আকর্ষণীয় কন্টেন্ট - টাইটেল ব্যাবহার করুন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এমনভাবে টাইটেল নির্বাচন করুন যাতে আপনার টার্গেট করা পাঠক অবশ্যই আপিনার লেখাটি পড়তে আগ্রহী হয়। ধরুন, আপনি আমাজনের একটি প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ করছেন।

প্রোডাক্টটির নাম "KBK Kitchen Cooking Chef Knife". এখন আপনাকে এমনভাবে টাইটেল টি লিখতে হবে যাতে মানুষ প্রোডাক্টটি সম্পর্কে পড়ে। আপনি লিখতে পারেন "Why KBK Kitchen Cooking Chef Knife" is the best product in the market now? এভাবে টাইটেল টি লিখলে আকর্ষণীয় হবে এবং মানুষ আপনার লেখাটি পড়ার জন্য আগ্রহী হবে। তাই লেখার সময় কৌশল অবলম্বন করুন।

কন্টেন্ট লেখা শেষ করার পর পাবলিশ করার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করুন। সেটি হলো কন্টেন্টের Plagiarism চেক করা। অর্থাৎ আপনার লেখা কন্টেন্টটি অন্য কারও লেখার সাথে মিলে যায় কিনা।

এক্ষেত্রে আপনি 'Dupli checker', 'Plagiarism checker' ইত্যাদি টুল ব্যাবহার ক্রতে পারেন। কারণ আপনার কন্টেন্টটি Plagiarism যুক্ত থাকলে এডসেন্স পাবেন না।তাই কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে কপিরাইট বিষয়টি সবচেয়ে জরুরি একটি উপাদান। এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

সর্বোপরি আপনার কন্টেন্ট রাইটিং যাত্রা শুভ হোক এবং আপনার কাংখিত সাফলতায় পৌছার জন্য শুভকামনা। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles