কম্পিউটার পরিচিতি
ভুমিকাঃ কম্পিউটার হচ্ছে একটি আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্র। কম্পিউটার হার্ডওয়্যারযন্ত্রাংশের সমম্বয়ে পূর্ণাংগ কম্পিউটারের রুপ পায়। এ যন্ত্রাংশগুলো সচল করতে প্রাংয়োজন হয় সফটওয়্যার।
একটি পূর্ণাংগ কম্পিউটার তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেক যোগ্য Computer হলো ইনপুট ডিভাইস Input Device, আইট পুট ডিভাইস Output Device, ও সিস্টেম ইউনিট System Unit .
সাধারন ভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করতে যাদরকার
1.পিন্টার
2. স্পিকার
3. মনিটর
4.কীবোর্ড
ইনপুট ডিভাইস (Input Device)
কম্পিউটারের যে সমস্ত ডিভাইসের মাধ্যমে ডেট (Data) ইনপুট করা হয় সেগুলোকে ইনপুট ডিভাইস বল। যেমনঃ Mouse, Keyboard, Scanner, OMR, OCR ইত্যাদি।
মাউস (Mouse) মাউস একটি ইনপুট ডিভাইস। ইহার সাহায্যে ডেটা ইনপুট ও নির্দেশ প্রদান করা হয়।
কী- বোর্ড ( Keyboard) কী- বোর্ড একটি ইনপুট ডিভাইস। কী-বোর্ডে বিভিন্ন ধরনের কী রয়েয়ে। কী-বোর্ডেরি কী- গুলো দ্বারা ডেটা টাইপ করে কম্পিউটারে ইনপুট করা হয়।
স্ক্যানার (Scanner) স্ক্যানার একটি ইনপুট ডিভাইস। ইহার মাধ্যমে ক্যামেরার তোলা ছবি, মুদ্রিত কোন ছবি বা লেখা হুবহু কম্পিউপারের ইনপুট করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ও এম আরঃ( OMR) Optical Mark Reader ইহা কোন বিষয় মার্ক করা অংশ কম্পিউটারকে জানয়। অর্থাৎ পূর্বে সেট করা কোন প্রোগ্রামের ভিত্তিতে ইহা ফলাফল প্রকাশ করে থাকে। যেমন নৈমিত্তিক প্রশ্নের উত্তর পত্রের ফলাফল দ্রুত পাওয়ার জন্য ও এম আর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ও সি আর (OCR) Optical Character Reader সাধারন কাগেজ ও কালিতে ছাপা ক্যারেষ্টার (বর্ণ, সংখ্যা ও কিছু বিশেষ চিহ্ন) বুঝার জন্য এই ওসিআর ব্যবহার করা হয়। আজকাল ইহা পোষ্ট অফিস, ব্যাংক ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে ব্যাবহার করা হচ্ছে।
সিস্টেম ইউনিট/ প্রসেসর ইউনিট ( System Unit/ Process Unit) সিস্টেম ইনিট/ প্রসেস ইউনিট কম্পিউটার সেটের কেসিং অংশটিকে বুঝায় ।
সুতরাং কম্পিউটারে যে অংশে ইনপুটকৃত ডেটা প্রসেস করে তাকে সিস্টেম ইউনিট/ প্রসেস ইউনিট বলে । ডেটিগুলো প্রসেস করার ক্ষেত্রে উলেখযোগ্য অংশ হলো CPU (Central Processjing Unit)
1. নিয়ন্ত্রণ অংশ ( Control Unit)
2. গণিতিক ও যুক্তি অংশ ( Arithmetic and Logic Unit)
3. স্মৃতি/ রেজিস্টার অংশ ( Memory/ Register Unit)
নিয়ন্ত্রণ অংশ (Control Unit) নিয়ন্ত্রণ অংশের কাজ হলো প্রতিটি নির্দেশকে সঠিকভাবে পরীক্ষা করে কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সংকেত তৈরি করা।
নিয়ন্ত্রণ অংশ প্রোগ্রামের নির্দেশসমূহকে একটির পরে একটি সঠিকভাবে অনুধাবনের পর কার্যকর করে।
গাণিতিক ও যুক্তি অংশ ( Arithmetic and Logic Unit)
বিভিন্ন প্রকার লজিক সার্কিট এর সমম্বয়ে গনিতিক ও যুক্তি অংশ গঠিত । এই অংশে যাবতীয় গনিতিক (যেমন যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি) ও যুক্তিমুলক সমাধা করে।
কাজ শেষে ফলাফল প্রধান স্মৃতি / রেজিস্টার অংশ ( Memory / Register Unit) কোন প্রোগ্রাম নির্ধারণের সময় এই অভ্যন্তরীণ রেজিষ্ট্রারগুলো ডেটা সংরক্ষণ এবং গণিতিক যুক্তি অংশে তথ্য প্রক্রিয়অকরণের জাজে রেজিস্টারগুলি ব্যবহৃত হয়। এই সকল রেজিষ্টারে দ্রুত লিখন ও গঠন সম্ভব।
আউটপুট ডিভাইস (Output Device) কম্পিউটারের যে অংশের মাধ্যমে প্রসেসকৃত ডেটা আউটপুট হিসাবে দেখতে পাই তা আউটপুট ডিভাইস বলে। যেমনঃ Monitor, Printer, Plotter ইত্যাদি।
মনিটর (Monitor) কম্পিউটারে যাবতীয় কার্যক্রমকে প্রদর্শনের জন্য যে পর্দ্য ব্যবহার করা হয় তাকে সহজ ভাষায় মনিটর বলে।
পিন্টার (Printer) পিন্টার একটি আউপুট ডিভাইস, কম্পিউটারে তথ্য প্রত্রিয়াকরণের ফলাফলকে লিখিত আকারে পাওয়ার জন্য পিন্টার ব্যবহার করা হয়। প্রিন্টার দূধরণের হয়ে থাকে।
Computr এর মেমোরিরর ধারন ক্ষমতাঃ
কম্পিউপারের মেমোরি ধারন ক্ষমতা বলতে বুঝায় কাম্পিউার তার স্মৃতি স্থানে কতকগুলা বিট বা বাইট সংক্ষণ করতে পারে। মেমোরির ধারন ক্ষমতা পরিমাপের এককগুলো মাধ্যে সম্পর্ক নিম্নে দেয়া হল।
8 বিট = 1 বাইট
1024 বাইট = 1 কিলোবাইট
1024 কিলোবাইট = 1 মেগাবাইট
1024 মেগাবাইট = 1 গিগাবাইট
1024 গিগাবাইট = 1 টেরাবাইট
বিট (Bit) : কম্পিউটারের সমস্ত অভ্যন্তরীণ কার্যগ্রণালী বাইনারী ( Binary) বাইনারি সংদ্ধতি কম্পিউটারের কার্য নির্বাহের মুল ভিত্তি। এই বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির মৌলিক দুটি অংক 0 এবং 1 কে বিট বলে। বাইনারি অংকের সংক্ষিপ্ত রূপ বিট।
বাইট (Byte): আটটি বিট নিয়ে গঠিত হয় একটি বাইট। কম্পিউটারে বাইটের দ্বারা বর্ণ, অংক এবং বিশেষ চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা হয়। এ ক্ষেত্রে একটি স্মৃতিস্থানে একটি বাইট সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে।
স্টোরেজ ডিভাইস (Storage Device): কম্পিটারের যে অংশগুলোতে ডেটা সংরক্ষিত করে রাখা হয় সেই অংশগুলোকে স্টোরেজ ডিভাইস বলে। যেমন : Hard Disk, Floppy Disk, CD-ROM ইত্যাদি। ইনপুপ ডিভাইসের মাধ্যমে ডেটা কম্পিউটারে ইনপুট করে স্টোর ডিভাইসে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। প্রয়োজনে স্টোরেজ ডিভাইস থেকে সংরক্ষিত ডিটা নিয়ে কাজ করা যায়।
হার্ড ডিস্ক ( Hard Disk): ইহা কম্পিউটারের একটি বড় স্টোরেজ ডিভাইস। ইহার মাধ্যে অনেক ডেটা রাখা যায়। কম্পিউটারে কাজ করার পর Seve করালে সাধারণত : হার্ডডিস্কে স্থায়ীভবে জমা থাকে। কম্পিউটার অফ করলেও হার্ডডিস্কে জমা থাকা তথ্য মুছে যায় না।
সিডি (Compact Disk) সিডি কম্পিউটারের ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের কাজ করে থাকে। ইহার মাধ্যমে ডেটা/ ছাবি এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে নেয়া যায়।
রম (ROM) রম এর পূর্ণ অর্থ হলো Read Only Memory । এই মেমেোরিতে তথ্য শুধু পড়া যায় কিন্তু লেখা বা সংশোধন করা যায় না। রম একটি স্থায়ী মেমোরি।
সহায়ক মেমোরি ( Auxiliary Memory / Secondary Memory): কম্পিউটারে যে স্মৃতিতে ডেটা স্থায়ীভাবে রাখা যায় সেই স্মৃতিকে সহায়ক স্মৃতি বলে।
এই মেমোরিতে কম্পিউটারের অধিক পরিমান তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। বর্তমানে কম্পিউটারের সংগে বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি সহায়ক মেমোরি হল Hard Disk, Floppy Disk, DVD, Pen Drive ইত্যাদি।
ক্যাশ মেমোরি ( Cache Memory) : প্রধান মেমোরি কাজের গতি বৃদ্ধির জন্য প্রসেসর ও প্রধান মেমোরি অন্তর্বতী স্থানে স্থাপিত বিশেষ ধরনের স্মৃতিকে ক্যাশ মেমোরি বলে।
ক্যাশ মেমোরি প্রধান মেমোরি অপেক্ষা দ্রুত গতিতে কাজ করেত পারে। সিপিইউ যে গতিতে করতে পারে প্রধান মেমোরি সেই গতিতে কাজ করতে পারে না। এই অসুবিধার দুর করার জন্য প্রধান মেমোরি ও সিপিই এর মাঝে ক্যাশ মেমোরি ব্যবহৃত হয়।
ভারচ্যুয়াল মেমোরি ( Virtual Memory): ভাচুায়াল মেমোরি হলো এমন এক ধরনের সিস্টেম যার সাহায্যে কম্পিউটারের সহায়ক মেমোরির অংশ বিশেষকে প্রধান মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। সাধারণত প্রধান মেমোরির ধারন ক্ষমতা সীমিত থাকে।
কম্পিউটার যাখন প্রধান মেমোরির ধারন ক্ষমতার চেয়ে বেশি কাজ করার প্রয়োজন হয় তখন হার্ডডিক্সের নির্দিষ্ট ফাকা অংশকে প্রধান মেমোরি হিসাবে ব্যবহার করতে পারে।
এই ব্যবস্থাকে ভারচ্যুয়াল মেমোরি বলা হয়। হার্ডডিক্সের যে অংশটুকুকে প্রধান মেমোরি হিসাবে ব্যবহার করা হবে সেখানে কোন তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে না।
You must be logged in to post a comment.