কেন ডাউন সিনড্রোম রোগ হয় ?

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো জানো যে মানবদেহের প্রতিটি কোষের কেন্দ্রে ক্রোমোজোমের ভেতরে ডি এন একে বলা হয় বংশগতির ধারক ও বাহক।

মানুষের সরি শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য যেমন আচার-আচরণ বুদ্ধিমত্তা চেহারা উচ্চতা গায়ের রং এসব কিছুই নিয়ন্ত্রিত হয়  ডি এন এর মাধ্যমে। 

মানবদেহের প্রতিটি কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা থাকে ৪৬ টি। ২৩ টি মায়ের কাছ থেকে এবং ২৩ টি বাবার কাছ থেকে আসে। ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রতিটি দেহ কোষের ২১ তম ক্রোমোজোম এ একটি অতিরিক্ত ক্রোমোজোম  থাকে, যাকে বলা হয় ট্রাইসোমিক ২১।

১৮৬৬ সালে বিজ্ঞানী জন ল্যাংডন ডাউন সর্বপ্রথম এ রোগের পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা দেন , তাই তার নামে এই রোগের নামকরণ করা হয়।

বন্ধুরা, এই রোগে  শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয়। ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক তরুণের গড় আই কিউ ৫০, যা আট থেকে নয় বছরে সুস্থ শিশুর সমান। 

আমেরিকায় অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবছর ৬ হাজার শিশু ডাউন হিসেবে জন্ম নেয়। আমাদের বাংলাদেশের কথা আমার জানা নেই। 

ডাউন রোগা আক্রান্ত শিশুদের দেখেই চেনা যায়। এদের চিবুক ছোট, ঘাড় ছোট, যিহবা বড়, চ্যাপ্টা মুখ, চোখ পাহাড়িদের মত, পায়ের আঙ্গুল বুড়ো, পুরো হাতে একটা দাগ, আকারে বেশ ছোট , ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।

ডাউনে আক্রান্ত শিশুরা জন্মের সময় স্বাভাবিক শিশুদের মতোই থাক। অন্য শিশুদের তুলনায় এদের মাংস বেশি অনেক নরম তাই এরা স্বাভাবিক  সময়ের মধ্যে বসতে পারে  না।হামাগুড়ি দিতে অনেক বেশি সময় লাগে।

এরা বুকের দুধ ভালো ভাবে টেনে নিতে পারে না। কথা বলে দেরিতে। এদের বুদ্ধিও কম থাক। 

এমন শিশু না চাইলে সন্তান ধারণ করতে হবে বয়সের  আগেই ।  দেখা গেছে ৩০ বছরের মধ্যে বয়সী মায়েদের মধ্যে এমন শিশুর জন্মের হার প্রতি হাজারে একজন। 

ডাউন সিনড্রোম কোন রোগ নয়, আর কোন সুযোগ নেই তাই। এই রোগে আক্রান্ত একজন ব্যক্তি উন্নত বিশ্বে ৫০ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।মায়ের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগে আক্রান্ত হওয়া শিশু জন্ম দেওয়ার হার বাড়তে থাক।

তাই  বয়স বাড়তি হলে সন্তান না নেওয়াই প্রয়োজন।

আর এটি কোন রোগ নয় এটা সবার মাথায় রাখতে হবে । এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের প্রতি প্রচুর পরিমাণ যত্ন নিতে হবে। তাহলেই তারা সমাজে তাদের ভূমিকা  দেখাতে পারবে এবং রাখতে পারবে। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ