ব্লগিং করার জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।এবং এই মুহুর্তে সারা পৃথিবীতেই অনেক মানুষ ব্লগিং থেকে অর্থ উপার্জন করছে। এটা একদম ঠিক যে ব্লগিং থেকে অর্থ উপার্জন করা যায়।
ব্লগিং হলো ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মতো।
ব্লগিং কি
- এখানে আপনি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কাজ করতে পারবেন।আপনার যে বিষয়ের ওপর দক্ষতা আছে এবং আপনার পছন্দের বিষয়ের ওপর কাজ করার সুযোগ পাবেন।
- ভ্রমণ,রান্নাবান্না,খেলাধুলা,নাচ, গান,বিনোদনমূলক ফাইনান্সের মতো বিষয়ের ওপর কাজ করতে পারবেন।মূলত আপনার যে বিষয়ের ওপর দক্ষতা আছে সে বিষয়ের ওপরই ব্লগিং শুরু করতে পারবেন।
- আমরা যেহেতু দৈনন্দিন জীবনে ভার্চুয়াল জগতের সাথে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি, তাই এই মুহুর্তে ব্লগিং করা আপনার জন্য অনেক ভালো হবে।
- আমাদের এখন আর খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস নেই।আমরা বিভিন্ন ব্লগিং সাইটে গিয়ে সেই বিষয় সম্পর্কে খবরা খবর নিতে পারি।
- ব্লগিং এর মাধ্যমে গুগল অ্যাডসেন্স অন্যান্য এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত হতে পারবেন।
ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করে । আর ব্যাবহারকারীরা সেখানে তাদের মন্তব্য করতে পারেন ।এখন ব্লগ ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতার একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্লগকে আপনি আপনার ডাইরির সাথে তুলনা করতে পারেন ।। আপনি যেমন অবসর সময়ে পেলে আপনার ডাইরিতে লেখালেখি করেন,তেমনি অবসর সময়ে কোন একটি সার্ভার ভিত্তিক ওয়েব লেখালেখি করাই ব্লগ।
আপনার ডাইরি এবং ব্লগের মধ্য একটি পার্থক্য আপনার ব্লগের লেখাগুলো শুধু ইনটারনেট সংযোগের মাধ্যমে সবাই দেখতে পারবে,আর আপনার ডাইরির লেখাগুলো আপনি আপনি আর আপনার ঘনিষ্ট ছাড়া আর কেউ দেখতে পারবে না।তবে একটি ডাইরিতে লেখালেখি করতে কিন্তু তেমন কোন খরচ বহন করতে হয় না ।শুধু একটি কাগজের তৈরি ডাইরি হলেই হলো।
ব্লগ লেখালেখি করার জন্য আপনাকে অবশ্য কিছু বহন খরচ করতে হবে।একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে।তারপর যা যা লাগবে তা হলো ডোমেইন নেইম হোস্টিং সার্ভার, থিম আরো অনেক কিছুরই প্রয়োজন হবে ।
আর এগুলো সবই কিনে নিতে হয় ফ্রীতেও এসব জিনিস পাওয়া যায় কিন্তু টা টেকসই না।ব্লগ হলো এমন একটি জিনিস যেখানে যে কেউ যেকোন বিষয়ের ওপর তার মন খুশি মতো লিখতে পারে।বলা যায় যে তার মনের ভাবগুলো সে ব্লগে লিখে।
কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন??
আপনি যদি ব্লগিং শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিন্তা করতে হবে যে ,আপনি গুগলে ফ্রি ব্লগার দিয়ে শুরু করবেন নাকি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে শুরু করবেন।
আপনি যদি ফ্রি ব্লগার দিয়ে শুরু করতে চান তাহলে তাহলে আপনি এভাবে শুরু করতে পারেন ।প্রথমে একটি জিমেইল খুলবেন তারপর (ব্লগার.কম) এই সাইটে থেকে জিমেইল দিয়ে লগইন করবেন।আর ফ্রি ব্লগ খুলতে হলে আপনি ইউটিউব থেকে ফ্রি ব্লগিং খোলার ভিডিও দেখতে পারেন এবং সেটা দেখে আপনি আপনার ব্লগিং সাইট প্রস্তুত করতে পারবেন।
যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে শুরু করতে চান তাহলে আপনার একটি ডোমেইন কিনে নিতে হবে।ডোমেইন হলো একটি ওয়েবসাইটের নাম বা আপনার ব্লগ সাইটের নাম ,যা আপনাকে কিনে নিতে হবে।তারপর আপনাকে ডোমেইন এর সাঠে হোস্টিং কিনে নিতে হবে।এবার বলব যে হোস্টিং কি?? হোস্টিং হচ্ছে একপ্রকার অনলাইন সার্ভার মেমোরি যা আপনার ব্লগ সাইটের বিভিন্ন তথ্যগুলো জমা থাকে এবং আপনার ব্লগ সাইটে কেউ ভিজিট করলে সেই হোস্টিং থেকে সো করবে।
তারপর আপনি ডোমেইন হোস্টিং যুক্ত করে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি সাইট নিজে বানিয়ে নিতে পারেন।আর এখানে মানসম্মত আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারবেন।আর আপনার যে বিষয়ের ওপর লিখতে ভালো লাগে সে বিষয়ের ওপরই লিখবেন।
কিভাবে ব্লগার হওয়া যায়।
আপনি আপনার ব্লগে তখনই লিখতে পারবেন যখন আপনি সে বিষয়ের সম্পর্কে ভালো করে জানবেন।
টেকনোলজী বিষয়টা খুব ভালো ব্লগ লিখার জন্য।কারণ টেকনোলজী বিষয়ে প্রতিটি মানুষের প্রচুর আগ্রহ রয়েছে ।তাই এই বিষয়ে আপনি যদি লিখেন ,তাহলে আপনি প্রচুর ভিজিটর পাবেন।
এখন আপনার কাজ হলো সাইটে পোস্ট করা ।কিন্তু আপনি পোস্ট করতে গিয়ে দেখলেন যে আপনার ব্লগ যে বিষয়ের ,সেই টেকনোলজী বিষয়ে আপনি কিছু জানেন না ,তাহলে আপনি অন্যর জন্য আর কি লিখবেন।আপনি তো নিজেই টেকনোলজী সম্পর্কে জানেন না।
তাই ব্লগ তৈরি করার সময় আপনার সামর্থের কথা মাথায় রাখতে হবে।
আপনি যদি মনে করেন যে আমি তো কিছুই জানি না তাহলে কিভাবে আমি ব্লগিং করব। আমি কি আয় করতে পারব না ব্লগিং করে ।
হ্যা আপনি অবশ্যই পারবেন।কিন্তু তার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।এর জন্য আপনি যে বিষয়ে আপনার ব্লগ সাইট তৈরি করবেন সে বিষয়ের ওপর কিছু কীওয়ার্ড নির্ধারণ করুন ,তারপর সেই কীওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করুন দেখবেন কিছু ভালো বড় বড় ব্লগ সাইট পেয়ে যাবেন।
যেখানে অনেক অভিজ্ঞ ব্যাক্তিরা সেই বিষয়ে ব্লগে অনেক আর্টিকেল রেখেছে।সেই আর্টিকেল আপনি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ুন তারপর সেই বিষয়গুলোর ওপর মোটামুটি ধারণার লাভ করার পর ,আপনি সেই আর্টিকেলের চেয়ে আরো ভালোভাবে আপনার অ্যার্টিকেলটি ভালো করে লিখার চেষ্টা করবেন।তাহলেই আপনি তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবং আপনার উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে অনেক ভালো মানের আর্টিকেল আপনার ব্লগে লিখতে পারবেন।আর এতে আপনার আর্টিকেল সবাই পছন্দ করবে।
আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার ব্লগে অবশ্যই এমন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে ।যাতে আপনার কাছে সবাই নতুন কিছু শিখতে পারে ও জানতে পারে।আর আরেকটা কথা আপনার লেখাগুলো যেন গুছানো হয় এবং যে বিষয়ে লিখবেন সে বিষয়টা সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।যাতে সবাই খুব সহজেই বুঝে এবং কোননা কোন উপকার পায়।তাহলেই আপনার ব্লগটি আস্তে আস্তে মানুষের পছন্দের তালিকায় পৌঁছবে।আর এভাবেই আপনি একজন পরিপূর্ন ব্লগার হিসেবে গড়ে উঠবেন।
মোবাইল দিয়ে ব্লগিং শুরু করা।
আপনি মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করতে পারবেন।তবে আপনার মোবাইলে টাইপ করার ক্ষমতা থাকতে হবে আর সেই সাথে আপনি ক্রম ব্রাউজার করে আপনি সহজেই কাজ করতে পারবেন।আপনার টাইম অনেকেই আছে যার মোবাইল দিয়ে ভালো কাজ করতে পারছে ।আর তাই আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েই ব্লগিং করা শুরু করতে পারেন।।
ব্লগে কিভাবে ভিজিটর আনা যায়।
একটি সাইটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এর কাজ হলো সেই সাইটের ভিজিটর আনা।আর বেশিরভাগ ব্লগের এডমিনরা এখানে এসেই হল ছেড়ে দেয় ।তার এটার কারণ হচ্ছে তারা অনেক চেষ্টা করার পরও তাদের ব্লগে ভিজিটর আনতে অক্ষম হয় ।তখন তারা ভেবেই নেয় যে তাদের ব্লগে ভিজিটর আনা সম্ভব না।
আপনার জন্য তখন ভিজিটর আনা খুব কঠিন কাজ মনে হবে ,কারণ আপনি তো সঠিক উপায়ই জানেন না ।আপনার জন্য তো তখন ভিজিটর আনা কঠিন হবেই।
আপনি একবার ভেবে দেখুন তো ,আপনি খুব কষ্ট করে টাকা পয়সা খরচ করে একটি ব্লগ সাইট বানালেন ।প্রতিদিন সেখানে ভালো ভালো ব্লগ পোস্ট করে যাচ্ছেন।কিন্তু সেই লিখা পড়ার জন্য আপনার সাইটে ভিজিটর আসছে না ।আর সাইটে ভিজিটর আনার জন্য আপনার কাজ হলো অনকে মানুষকে আপনার সাইট সম্পর্কে জানানো ।জানবেন যে আপনার সাইটে এই এই বিষয়গুলো রয়েছে ।যা সত্যি সত্যি তাদের কাজে আসতে পারে।
1) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা।
আপনার ব্লগের আর্টিকেলটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে হবে।এখন কিন্তু মানুষ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে থাকেন।ফেসবুক,টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার আর্টিকেল শেয়ার করতে পারেন।তাহলে এখন থেকে আপনি অনেক ভিজিটর পেয়ে যাবেন।
আর তারা যদি আপনার ব্লগটি পছন্দ করে তাহলে আপনার তো কোন চিন্তাই নেই।তারা আপনার সাইটে এখন থেকে নিয়মিত আসবে আপনার আর্টিকেল পড়ার জন্য ।আপনাকে এমন কিছু লিখতে হবে যা থেকে আপনার আর্টিকেল থেকে কিছু না কিছু শিখতে পারে।.
এই কাজগুলো করে আপনি অনকে ভিজিটর পাবেন।তাই আপনি যত বেশি পারেন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার আর্টিকেল শেয়ার করুন ।আর আরেকটা কথা মাথায় রাখবেন শেয়ার করার সময় মাত্রাতিরিক্ত কিছু করতে যাবেন না।কোন কিছু কিন্তু অতিরিক্ত ভালো না ।আপনার শেয়ার করার জন্য অন্য কারো যেন কোন ক্ষতি না হয় ।এই ধারণা গুলো নিয়েই আপনাকে আর্টিকেল পোস্ট করতে হবে।
২/সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করা।
আপনার ব্লগটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করুন।এতে করা আপনার ব্লগটি বিভিন্ন সার্চ খুব ভালো করে বুঝতে পারবে এবং আপনার সাইটটিকে সার্চ রেজাল্টের উপরের দিকে দেখবে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এমন একটি কাজ যেটা করার মাধ্যমে আপনার সাইটটিকে এমনভাবে অপটিমাইজ করতে হবে যেন যেকোন সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটটিকে কোথায় কি আছে বুঝতে পারে আপনার সাইটের কোথায় কি আছে আপনার লেখা আর্টিকেলগুলো কেমন সেগুলো ভিজিটরদের জন্য কতটা কাজে লাগবে এবং আপনার সাইটটি কতটা তথ্যবহুল ।।
এসব জিনিসগুলো সার্চ ইঞ্জিনকে বোঝানো ।এতে কোন একটি ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে একটি কীওয়ার্ড লিখে সার্চ করবে ।তখন আপনার কীওয়ার্ডটি সার্চ রেজাল্টের ওপরে দেখবে।আর এতে ভিজিটররা আপনার ব্লগ সাইটে প্রবেশ করবে।ভিজিটররা আপনার ব্লগ সাইটে প্রবেশ করলে এভাবে আপনার ভিজিটর একটি একটি করে বাড়তে থাকবে।এর জন্য আপনার সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।আর এগুলো সবসময় প্রয়োগ করতে হবে,তাহলে আপনি একটা সময় ফল পেয়ে থাকবেন।যদিও এটি করার জন্য সময় ও ধৈর্যের প্রয়োজন।তবুও আপনি নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারলে ,সফলতা অবশ্যই আসবে।
৩/অন্য ব্লগের সাথে লিংক শেয়ার করা।
আপনি ধরুন আপনার ব্লগে মাঝারি ভিজিটর রয়েছে এবং আপনার মতো আরো একটি ব্লগএর ও মাঝারি ভিজিটর রয়েছে।তাহলে আপনি সেই ব্লগের এডমিনের সাথে কথা বলে আপনার ব্লগের লিংক তার ব্লগের এবং তার ব্লগের লিংক আপনার ব্লগে শেয়ার করতে পারেন।যেহেতু দুটি দুটি ব্লগ দুই বিষয়ের এতে কারো ক্ষতি হবে না বরং উপকারই হবে।তবে এটা বেশিরভাগ এডমিনরা করতে চায় না।তাও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।তবে আপনি যদি কয়েকটি ব্লগের সাথে চুক্তি করে ফেলতে পারেন ,তাহলে কিন্তু আপনার ব্লগে প্রচুর ভিজিটর আসতে থাকবে।
৪/ফ্রাম পোস্ট
আপনি বিভিন্ন ফ্রাম সাইটে আপনি আর্টিকেল পোস্ট করতে পারেন এবং আপনার সাইটের লিংকটা দিয়ে দিতে পারেন।এতে সেই ফ্রামের কিছু ভিজিটর আপনার ব্লগে পেয়ে যাবেন।আপনি যদি জনপ্রিয় ফ্রাম সাইটের সাথে যুক্ত থাকেন তাহলে এভাবে আপনি আপনার ব্লগে প্রচুর ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন।এর জন্য আপনাকে সেরা কয়েকটি ফ্রাম সাইট খুজে বের করতে হবে।তারপর সেখানে আপনার নিজের নামে রেজিষ্ট্রেশন করে একটি একাউন্ট খুলতে হবে।তারপর সেখানে দেখবে অনেক মানুষ তাদের অজানা বিষয়গুলো প্রশ্ন করছেন।আপনার যদি সে বিষয়ের ওপর জ্ঞান থাকে তাহলে তাদের প্রশ্নে উত্তর দিতে পারবেন এবং সেই উত্তরের পর আপনার লিংটি দিয়ে দিতে পারেন।এভাবে আপনি নিয়মিত ভিজিটর পাবেন।
ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়।
ব্লগ সাইট থেকে অনেক অনেক ভাবে আয় করা যায়।এডসেন্স ,স্পনসর, এফিলিয়েট ইত্যাদি মাধ্যমে আয় করতে পারবে। আপনি ব্লগে অনেক পোস্ট করেছেন, অনকে শেয়ার করেছেন এবং অপটিমাইজেশন করার মাধ্যমে অনেক ভালোই ভিজিটর প্রবেশ করে প্রতিদিন।
ধরুন আপনার সাইটে কতগুলো আর্টিকেল পাবলিশ করে ফেলেছেনএবং সেই আর্টিকেল পড়ার জন্য প্রতিদিন প্রায় ১০০০ হাজারের মতো ভিজিটর প্রবেশ করে আপনার সাইটে।তাহলে আপনার সাইটে কেউ না কেউ তো ঢুকেই।
এখন কথা হলো এত কিছু করার পর এখনও তো কোন টাকা পেলাম না।এখনামি আপনকে বুঝিয়ে বলছি এই টাকাগুলো আসলে দিয়ে থাকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন।তারা তাদের বিজ্ঞাপন আপনার ব্লগে প্রচার করার মাধ্যমে তাদের কোম্পানির বা কোন পন্যর প্রচার করে থাকে।যায় বিনিময়ে আপনাকে তার টাকা দিয়ে থাকে।তাই আপনার সাইটে জোট বেশি ভিজিটর প্রবেশ করবে তত বেশি বিজ্ঞাপন মানুষ দেখতে পারবে।
বিজ্ঞাপন কোথায় থেকে নিবো।
বিজ্ঞাপন নেওয়ার জন্য তেমন কোন কষ্ট করতে হবে না আপনাকে।কারণ বিজ্ঞাপন নেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকমের সাইট রয়েছে সেখান থেকে আপনি আপনার সাইট বা ব্লগের জন্য বিজ্ঞাপন নিতে পারবেন।আর এমন একটা জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো 'গুগল এডসেন্স '' ।গুগল এডসেন্স হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন দাতা কোম্পানি।
ব্লগিংয়ে কিভাবে ক্যারিয়ার শুরু করা যায়
একটি ব্লগ সাইট হতে পারে আপনার সারা জীবনের আয় করার উৎস।আপনি যদি একটু কষ্ট করে আপনার ব্লগ সাইট দ্বার করে ফেলতে পারেন ,তাহলে এখন থেকে আপনি অনেক ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবনে।আপনি যদি নিয়মিত কষ্ট করে আর্টিকেল পোস্ট করেন তাহলে আপনার ব্লগ থেকে প্রতি মাসে দশ হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
ইংরেজি ভাষায় ব্লগ না লিখলেও আপনি আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনি বাংলা ভাষায় ব্লগ লিখতে পারেন।বাংলা ভাষায় ব্লগ সাইট করে অনেক ভিজিটর পাওয়া যায়।আর আয় ও করা যায় খুব সহজেই।
ব্লগিং করতে গেলে কি এসইও এক্সপার্ট হতে হয় ?
আপনার ব্লগিং করতে গেলে এসইও এক্সপার্ট হতে হবে।এটা না হলে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার অন্ধকার।অনেকে এসইও এক্সপার্ট হায়ার করে নিজের নিজের ব্লগ সাইটকে এসইও করে গুগলের প্রথম পজিশনে নিয়ে আসে।কিন্তু আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ব্লগিং করতে চান তাহলে এসইও জানতে হবে।না হলে আপনি এই সেক্টরে বেশি দিন টিকতে পারবেন না।
ব্লগিং এর জন্য সেরা কিছু ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্ম
ব্লগার
Blogger.com হচ্ছে ব্লগারদের জন্য অন্যতম একটি সেরা প্ল্যাটফর্ম।একটি নিবন্ধিত ব্যাবহারকারীরা একটি একাউন্টে সর্বোচ্চ ১০০ টি ফ্রি ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।
উইক্স
সহজেই একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় বলে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।বর্তমানে এটি একটি ওয়েবসাইট বিল্ডার,বিজনেস ম্যানেজমেন্ট,ওয়েব হোস্টিংসহ নানান ধরনের সার্ভিস দিয়ে থাকে।
ট্রাম্বলার
ট্রাম্বলার হলো একটি মাইক্রো ব্লগিং এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম ।প্রত্যেক ইউজার এখানে ব্লগ সাইট তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের লেখা, লিংক,উক্তি,অডিও,ভিডীও, ওয়েব এবং ব্লগ ইত্যাদি আপলোড করতে পারবে।
ওয়ার্ডপ্রেস
বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহিত একটি প্ল্যাটফর্ম।এখানে যে কেউ কোন প্রকার পিএইচপি ,এইচটিএমএল জ্ঞান ছাড়াই একটি প্রফেশনাল ব্লগ অথবা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবে।
হাবপেজ
একটি ওপেন কমিউনিটি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি সকল ধরনের কনটেন্ট পাবলিশিং এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কদের সাথে যুক্ত হতে পারবনে।
এভাবেই আপনি ব্লগিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
You must be logged in to post a comment.