সুন্দর আকর্ষণীয় আর্টিকেল লেখার গোপন রহস্য।

ভাল ব্লগার হতে হলে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল সুন্দর আর্টিকেল লেখা। আমরা আজ উন্নত প্রযুক্তি যুগের মানুষ। তাই পৃথিবী এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। এই উন্নত প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ওয়েব সাইডের কথা আমরা শুনে থাকি।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আর এই ইন্টারনেট যুক্ত ওয়েবসাইডের বিভিন্ন প্লাটফর্মে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায় এটা চরম সত্য। আর যে আর্টিকেলের উপর ভিত্তি করে টাকা রোজগার হবে তা যদি ঠিক ঠিক ভাবে ভিজিটরর্সদের সামনে তুলে ধরা না যায় তবে আপনার আশা বা পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যাবে।

তাই আজ আমরা আলোচনা করবো " সুন্দর আকর্ষনীয় আর্টিকেল লেখার রহস্য"। আজ এখন দেখে নেব আমরা কিভাবে ভাল মানের আর্টিকেল রচনা করা যায় এবং পাঠকদের মনোরঞ্জন করা যায়।

সুন্দর আকর্ষনীয় আর্টিকেল লেখার রহস্য:-

বর্তমান আমরা সবাই জেনে গেছি যে অনলাইনে ঘরে বসেও ইনকাম করা যায়।ইনকামের অপনেক পদ্ধতির মধ্যে ঘরে বসে ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে ইনকাম একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। আর এই আর্টিকেল যদি আমরা সুন্দর ও স্বচ্ছভাবে লিখতে না পারি তবে সব আশা ব্যর্থ হয়ে যাবে।

যাইহোক আর্টিকেল লেখা সম্পর্কে  বলতে গিয়ে আপনাদের মনে হতে পারে আর্টিকেল কি বা কাকে বলে? হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন, এই বিষয়টি আগে আলোচনা করা দরকার।

আর্টিকেল কি বা কাকে বলে:-

আর্টিকেল হল কোন বিষয়ের উপর বিস্তৃত লেখা। যা আমরা প্রতিনিয়ত দিনলিপির মত যত খুশি লিখতে পারি। অর্থাৎ কোন বিষয়ের উপর অর্থবহ সুন্দর লেখনী কে বলা হয় আর্টিকেল।

আমাদের মনের ভাবনাকে কলমের ডোগা দিয়ে কাগজে আর টাইপিং-এর মধ্য দিয়ে ওয়েবসাইডের বিভিন্ন প্লাটফর্মে যা লেখা হয় সেই লেখনীকে বলা হয় আর্টিকেল। তাহলে আপনারা নিশ্চিত যে আর্টিকেল মানে কোন বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা।

সুন্দর আকর্ষনীয় আর্টিকেল লেখার রহস্য!

আর্টিকেল লিখবো কেন?

আমরা এই লকডাইন মুভমেন্টে অনেক মানুষ হারিয়েছি আমাদের ফজ আর্থিক অনটনে সংসার চালানো বড় কঠিন। এই অবস্থায় যদি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে টাকা রোজগার করতে হয়,তবে বিভিন্ন সাইটে বা নিজে ব্লগ বানিয়ে আর্টিকেল লিখে ভাল রোজগার করা যায়।তাই বেশির ভাগ মানুষ কর্মহীনতার জন্য এই পথকে বেছে নিয়েছেন।

এখন কথা হচ্ছে এই পথকে বেছে নিলে তো হবে না! ভাল আর্টিকেল লেখক হতে গেলে আর্টিকেল লেখার নানা নিয়মকানুন জানতে হবে। সে বিষয়ে নিচের কলমে বিস্তারিত বর্ণনা করা হল।

কিভাবে আকর্ষনীয় আর্টিকেল লিখবো?আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। এবং সেগুলো ঠিক ঠিক অনুসরণ করতে পারলে আর্টিকেল লেখা অনেকটা সহজ মনে হবে।

এক:-টাইটেল বা নামকরণ:-

আর্টিকেল লিখতে গেলে সর্বপ্রথম যা প্রয়োজন তা হলো আপনি যে বিষয়ে লিখবেন তার একটা সুন্দর টাইটেল বা নামকরণ করতে হবে। কেন সুন্দর আকর্ষনীয় টাইটেল দিতে হবে? মানুষ সুন্দর মনোগ্রাহী টাইটেল হলে ক্লীক করে ভিজিট করবে এবং পাঠ করতে থাকবে।যত মানুষ আপনার লেখা পড়তে থাকবে তত আপনার রোজগারের পথ উন্মোচন হবে।তাই আর্টিকেল লেখার আগে বিষয়বিত্তিক একটি সুন্দর আকর্ষনীয় টাইটেল বা নামকরণ করবেন।

দুই:- সারাংশ :-

আমরা অনেকেই খুব বড় করে আর্টিকেল লিখতে পারি তাতে কোন বাধা নেই। কিন্তু সারাংশ অংশটিতে আপনাকে এমন সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু তুলে ধরতে হবে যাতে করে আপনার আর্টিকেলটিতে আপনি কি বলতে চাইছেন বা বোঝাতে চাইছেন তার একটা সংক্ষিপ্ত রূপ মানুষের সামনে উন্মোচিত হবে। তখন মানুষ আরো আকৃষ্ট হয়ে আপনার লেখনী পড়তে আগ্রহী হবে।

তিন:- মূল বিষয়বস্তু বা রচনা।

এতক্ষণ আমরা টাইটেল ও সারাংশ নিয়ে সবিশেষ আলোচনা করলাম। এবার যে বিষয়টিতে আমরা প্রবেশ করবো তা হল বিষয়ভিত্তিক আলোচনা। টাইটেল অনুসারে উক্ত বিষয়ের উপর বিস্তারিত প্রয়োজনীয় তথ্য পরিবেশন করা। অর্থাৎ যে বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি বা যে বিষয়ে আমরা দক্ষ,নিশ্চয়ই ঐ বিষয় নিয়ে আমরা লেখা শুরু করবো। লেখা তো শুরু হবে- কিন্তু কিভাবে শুরু করবো? অনেকে লিখতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেন। সুতরাং আমাদের জেনে নিতে হবে কিভাবে সতর্কতাপূর্ণ ভাবে আর্টিকেল লিখতে হবে।

চার:- ধৈর্য ধারণ:-

আর্টিকেল সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রথমেই বলবো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অসীম ধৈর্যের প্রয়োজন। কারন অধৈর্য মনোভাব থাকলে আপনি লেখালেখি করেও রোজগার করতে পারবেন না। প্রথম প্রথম আর্টিকেল লিখলে হয়তো ততটা গুরুত্ব নাও পেতে পারে। তাই বলে হাল ছাড়লে চলবে না,ধৈর্য ধরে মন স্থির রেখে দু-তিন মাস আপনাকে লিখে যেতে হবে ।

পাঁচ:- সময় দেওয়া বা সময় খরচ করা।

আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে অনেকটা সময় ব্যায় করতে হবে। 'ধর তক্তা মাল পেরেক'এই মানসিকতা নিয়ে আর্টিকেল লেখা যাবে না।কারন একটা বিষয়ের উপর মানুষ যত বেশি সময় দেবে তার সম্পর্কে তত বেশি অভিজ্ঞতা সে অর্জন করবে। ধৈর্যের সঙ্গে সঙ্গে সময় যদি বেশি দেওয়া যায় তবে সুন্দর আকর্ষনীয় লেখনী পাঠককে উপহার দেওয়া যাবে। আর তাতে আপনি একজন সুপার ব্লগার বা ভাল রাইটার হতে পারবেন।

ছয়:-ভাষাগত জ্ঞান ও সঠিক ব্যাকরনের ব্যবহার।

আপনি যদি বাংলা লিখতে চান তবে বাংলা ভাষা সমন্ধে আপনার মোটামুটি ভাল ধারণা থাকা দরকার। আর ভাষা যদি প্রয়োগ করতে ঠিক ঠিক না পারেন তবে লেখার মর্যাদা হানি ঘটবে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাকরণগত ত্রুটি থাকলে তাতেও মানুষ আপনার লেখা ভালমত গ্রহন করবে না। তাই ভাষা বিষয়ক জ্ঞান যমন প্রয়োজন তেমনি ব্যাকরণগত অভিজ্ঞতা ভীষণভাবে প্রয়োজন।

আট:- শেষ কথা।

আর্টিকেল লেখার অনেক তথ্য তুলে ধরলাম। পরবর্তীকালে আরো সুন্দর সুন্দর বিষয়মুখী লেখনী নিয়ে হাজির হব আপনাদের সাথে। সর্বপরি একটা কথা বলে রাখি আপনারা ধৈর্য ধরে কাজ করুণ দেখুন সুফল আসতে বাধ্য। ভাল থাকুন সবাই।

ধন্যবাদ।

                    

        

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ