মেসি নাকি রোনালদো, সারুক খান নাকি সালমান খান, এই নিয়ে সবসময় তর্ক বিতর্ক লেগেই থাকে। এগুলো ছাড়াও একটি বিষয় রয়েছে যেটির দ্বন্দ্ব কোন ভাবেই যায় না। সেটি হচ্ছে স্যামসাং নাকি অ্যাপল এই দুইটি ফোনের মধ্যে কোন ফোনটি বেস্ট।
আপনারা লক্ষ করবেন যারা অ্যাপল ব্যাবহার করে থাকে , তারা সবসময়ই বলে "ভাই অ্যাপল ব্যাবহারের মজাই অন্যরকম"। আর অ্যাপল তো একটা ব্যান্ড।
অন্যদিকে যারা স্যামসাং ব্যাবহার করে থাকে তারা বলে" ব্যান্ড তো স্যামসাং ও দেখতে হবে ব্যাটারি কর ভালো"।
তোমরা যারা অ্যাপল ব্যাবহার কর তারা সবসময় চার্জার চাইতে থাকো। অন্যদিকে অ্যাপল ব্যাবহারকারীরা বলে ব্যাটারি দিয়ে কি কর যদি ফোন বেশি ব্যাবহার করলে হ্যাং ও slow হয়, তাহলে ব্যাটারি দিয়ে কি কর।
বন্ধুরা এইভাবে স্যামসাং এবং অ্যাপল এর মধ্যে বিতর্ক চলতেই থাকে। আখন প্রশ্ন হচ্ছে অ্যাপল আর স্যামসাং এর মাঝে কোনটা বেস্ট? আর কোন কোম্পানীই বা বড়ো?
চলুন আজকের আর্টিকেল এর মাঝে আমরা ক্লিয়ার হই স্যামসাং বেস্ট নাকি অ্যাপল বেস্ট। আজকে আমরা সব দিক দিয়ে তুলনা করে দেখবো আসলে কোনটা বেস্ট।
বন্ধুরা আপনারা জানলে অবাক হবেন প্রত্যেকটা 3 য় ব্যাক্তির কাছে স্যামসাং রয়েছে। অন্যদিকে মার্কেটে সবথেকে বেশি গ্রেস হচ্ছে অ্যাপলের।
মানুষ জন অ্যাপলের নতুন মডেলের অপেক্ষা এমনভাবে করে যে, মনে হয় তাদের পরিবারে নতুন একটি ভাই আস্তে চলেছে।
এই দুই কোম্পানির মধ্যে বিক্রির কথা বললে , i phon একবছরে বিক্রি হয় প্রায় 90.3 মিলিয়ন। আর স্যামসাং এক বছরে বিক্রি করে প্রায় 74 মিলিয়ন ফোন।
বন্ধুরা মজার ব্যাপার হচ্ছে i ফোনের ডিসপ্লে, চিপ,ফেলাস মিউটে স্যামসাং নিজেই তৈরি করে।
এবং আমেরিকার জিডিপিতে অ্যাপল কোম্পানি ডিপোজিট করে মাত্র 1%. অন্যদিকে কোরিয়ায় জিডিপিতে স্যামসাং এর অবদান প্রায় 17%. তাহলে আসলেই কি অ্যাপলের চেয়ে স্যামসাং বেশি বড়ো।
বন্ধুরা আমরা যদি ওয়াল্ড ইকোনমিক ফর্মের দিকে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাব স্যামসাং 5 নম্বর অবস্থানে রয়েছে। আর প্রথম অবস্থানে রয়েছে অ্যাপল।
তাহলে কি অ্যাপল কোম্পানি স্যামসাং এর চেয়ে বড়। এই দুই কোম্পানির মধ্যে আসলে কে বড়ো। বন্ধুরা এই সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আগে এই দুই কোম্পানির হিস্টোরি সম্পর্কে জানতে হবে।
স্যামসাং: স্যামসাং কোম্পানি প্রথম তৈরি হয়েছিল 1938 সালে। তখন এই কোম্পানি লুডু স তৈরির সরঞ্জাম এবং বিভিন্ন খাবার সরঞ্জাম চীন থেকে আমদানি করত।
এরপর 1950 থেকে 1960 সাল পর্যন্ত এই কোম্পানি লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং টেক্সটাইলে কাজ করেছে। পরবর্তীতে এই কোম্পানি 1969 সালে ইলেকট্রনিক্স নিয়ে কাজ শুরু করে। এবং 1970 সালে এই কোম্পানি শুধু মাত্র টিভি তৈরি করত।
1970 সালে এই কোম্পানি তাদের "ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াট" টিভি বাজারে ছেড়েছিল। টিভি তৈরি করার পর ব্যাপক সফলতা পায় স্যামসাং কোম্পানি।
আর এর পরেই 1980 সালে স্যামসাং কোম্পানি তৈরি করে প্রথম মোবাইল ফোন, মোবাইলের মেমোরি, তার পর পরই শুরু করে কম্পিউটারের পাস তৈরি করা।
যখন 2010 সালে স্যামসাং প্রথম বারের মত স্মার্ট ফোন তৈরি করে, তারপর থেকে আর পিছনে তাকাতে হয় নি। এইটা হলো সংক্ষিপ্ত আকারে স্যামসাং এর হিস্টোরি।
অ্যাপল: অ্যাপল কোম্পানি তৈরি করেছে স্টিভ জবস। তার বয়স যখন 33 তখন তিনি এই কোম্পানি তৈরি করেছে। স্টিভ জবস তার এই কোম্পানি খুলেছিল এক গাড়ির গ্যারেজে। তাও আবার তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে। 1958 সালে অ্যাপল কোম্পানি তার প্রথম কম্পিউটার বাজারে নিয়ে আসে।
অনেক লম্ব সময় পরে 2001 সালে অ্যাপল কোম্পানি তাদের i pad বাজারে নিয়ে আসে। অ্যাপল প্রথম বারের মত i phon বাজারে নিয়ে আসে 2007 সালে।
i phon আসার পরে হটাৎ করেই যেন মোবাইলের দুনিয়া পাল্টে যায়। এর পর আস্তে আস্তে আসতে থাকে অ্যাপল ঘড়ি। I pad এবং এ্যারপট। বর্তমানে অ্যাপল প্রায় সবদিক দিয়েই জয় করে ফেলেছে।
আবার তাদের মেকানিজম নিয়ে কথা বলা যাক:
আপনারা জানলে অবাক হবেন ভারতের বাজারে অ্যাপল এর শেয়ার রয়েছে প্রায় 2.8% আর ভরতে স্যামসাং এর শেয়ার রয়েছে প্রায় 31% ।
তাই আপনার চারপাশে তাকালে করো না করো হতে স্যামসাং ফোন দেখতে পাবেন। কিন্তু খুব কম মানুষ রয়েছে যাদের হাতে i phon রয়েছে।
যাই হোক আবার আসল প্রশ্ন হচ্ছে পারফরমেন্সের দিক থেকে কে সেরা! যে বিষয়ে অ্যাপলের থেকে স্যামসাং বেস্ট সেই বিষয়ে কথা বলা যাক।
যেমন স্যামসাং এগিয়ে রয়েছে ফাইল শেয়ারিং এ। যখনই i phon নিয়ে কথা ওঠে তখনই মাথায় আসে ফাইল শেয়ারিং এর কথা। স্যামসাং এর কথা বললে ইন্টারনাল অথবা এক্সটার্নাল যেকোন ভাবে স্যামসাং খুব তাড়াতাড়ি ফাইল শেয়ারিং করতে পারে।
আমরা যেভাবেই চাই সেভাবেই স্যামসাং থেকে স্যামসাং এ ফাইল শেয়ারিং করতে পারি। তাই ফাইল শেয়ারিং এর ক্ষেত্রে স্যামসাং অনেক এগিয়ে আছে।
এর পর আসি কাস্টোমাইজেশনের: আপনি যখনই চান তখনই স্যামসাং কাস্টোমাইজেশনের করতে পারবেন। যেমন স্যামসাং এর লুক এবং অ্যাপ আপনি কাস্টোমাইজেশন করতে পারবেন। আপনি চাইলে খুব সহজেই মোবাইলের লঞ্চার পরিবর্তন করতে পারবেন।
এর মধ্যে কিছু বিষয় আছে যেগুলো আপনি i phone পরিবর্তন করতে পারেন। যেমন আপনি চাইলে i ফোনের ওয়ালপেপার পরিবর্তন করতে পারবেন।
এবং i কোন গুলোকে স্কিনের এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় পরিবর্তন করতে পারেন। তাছাড়া আপনি i phon কে কোন ভাবেই স্যামসাং এর মত কাস্টোমাইজেশনের করতে পারবেন না।
বন্ধুরা এই কথা তো নিচ্চয় শুনেছেন যে একটি মুদ্রার দুইটি দিক রয়েছে। ঠিক এমনি ঘটনা ঘটেছে অ্যাপল এবং স্যামসাং এর মধ্যে।
কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোতে স্যামসাং এগিয়ে রয়েছে। আবার কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোতে অ্যাপল এগিয়ে রয়েছে। তাই আপনার ইন্টারেস্ট এর উপর নির্ভর করবে আপনি কোন ফোনটি নিতে চান।
You must be logged in to post a comment.