অ্যান্টিভাইরাস কাকে বলে, আপনি কি একজন পিসি অথবা ল্যপটপ ইউজার? আপনি কি আপনার পিসি অথবা ল্যপটপে উইনডোজ ব্যবহার করে থাকেন?
যদি আপনার উত্তর হ্যা হয়, তাহলে আমি একদম নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি যে আপনি অলরেডি অ্যান্টিভাইরাস সম্পর্কে যথেষ্ঠ ধারনা নিয়ে ফেলেছেন।
যদিও আপনারা অ্যন্টিভাইরাস সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখেন তবুও আপনাদের মধ্য যারা অ্যান্টিভাইরাস সম্পর্কে কিছু জানেন না শুধু্মাত্র জানার জন্য পোষ্টটি দেখতে এসেছেন তাদের জন্য আমি নিচে ছোট্ট করে অ্যান্টিভাইরাস এর একটি সংজ্ঞা দিয়ে দিলাম।
অ্যান্টিভাইরাস কি?
জ্বি। আজকের মূল টপিকে সেটাই জানানো হবে। অ্যান্টিভাইরাস আমাদের জন্য কতটুকু সুবিধা কীংবা অসুবিধা বয়ে আনতে পারে সেটাই আমরা জানতে পারবো আজকের এই পোষ্টে।
তাহলে চলুন প্রথমে জেনে নেওয়া যাক অ্যান্টিভাইরাস এর সুবিধা সম্পর্কে।
অ্যান্টিভাইরাস এর সুবিধাগুলো
অ্যান্টিভাইরাস এর সুবিধাগুলো নিচে বুলেট পয়েন্ট এর মাধ্যমে উল্লেখ করা হলোঃ-
- ১. আপনার পিসি ও ল্যাপটকে সবসময় সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করে।
- ২. কোনো হ্যাকার টিম যেন আপনার পিসি ও ল্যপটপকে হ্যাক করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখে।
- ৩. আপনার পিসি অথবা ল্যাপটপে কোনো প্রকার ভাইরাস আক্রমন করতে পারেনা। ভাইরাস আক্রমন করলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
অ্যান্টিভাইরাস এর অসুবিধাগুলো
এতক্ষনে জানলেন অ্যান্টিভাইরাস এর সুবিধাগুলোর সম্পর্কে। এখন চলে আসি আজকের মূল টপিকে। আজকের মূল টপিক অর্থাৎ অ্যান্টিভাইরাস এর অপকারিতা গুলো আমি হেডিং ২ ট্যাগ এর মাধ্যমে লিষ্ট আকারে বুঝিয়ে দিলাম।
১. পিসিকে স্লো করে দেয়
একটি অ্যান্টিভাইরাস আপনার পিসি অথবা ল্যাপটপকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করে তা অবশ্য ঠিক। কিন্ত একটি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার আপনার পিসি অথবা ল্যাপটপের স্বাভাবিক গতির থেকে কিছুটা স্লো করে দেয়।
আমরা বেশির ভাগই আমাদের পিসি অথবা ল্যাপটপ এর টাস্ক ম্যানেজার সম্পর্কে জানি। যেটার মধ্যে আমাদের পিসি অথবা ল্যপটপ এ কতগুলো অ্যাপ রানিং আছে সেটা দেখা যায়। এবং একটি সফটওয়্যার এর কতগুলো টাস্ক অথবা কতগুলো কাজ রানিং আছে সেটাও দেখায়।
এই টাস্ক ম্যানেজার এ আমরা কোন অ্যাপস এর কতগুলো টাস্ক রানিং থাকে সেটা দেখতে পারি। তবে এই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায় এগুলো অন্যান্য সকল অ্যাপস এর থেকে একটু বেশি পরিমানেই টাস্ক রানিং এ রেখে দেয়।
এর ফলে আপনার কম্পউটার অথবা ল্যাপটপ এ বেশি পরিমানে রেম এবং সিপিউ খরচ হয়। ফলে আপনার পিসি অথবা ল্যাপটপ কিছুটা স্লো হয়ে যায়।
এইদিকে আবার দেখা যায় যে, যারা লো-এন্ড পিসি বা যাদের পিসির অথবা ল্যাপটপ এর কনফিগারেশন নিম্নমানের হয় তাদের পিসি অথবা ল্যপটপ এই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার রাখার কারণে অনেক বেশিই স্লো হয়ে যায়।
এর ফলে বেশি স্লো হবার কারনে পিসি অথবা ল্যাপটপটি ডেথ অথবা ডাউন হয়ে যায়।
২. অ্যান্টিভাইরাস পিসিকে ১০০% নিরাপদ রাখতে পারে না
অ্যান্টিভাইরাস কখনই আপনার পিসিকে শতভাগ নিরাপদে রাখতে পারে না। জ্বি হা, "পৃথিবীর কোনো অ্যান্টিভাইরাসই একটি পিসি অথবা ল্যাপটপকে সম্পূর্ন সুরক্ষিত রাখতে পারে না" এই লাইনটা মুখুস্থ করে ফেলুন।
আপনি পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে যতই দামি ও শক্তিশালি অ্যান্টিভাইরাস কিনুন। আপনার পিসি অথবা ল্যাপটপে এর পরও ভাইরাস অ্যাটাক করার ঝুকি থেকেই যাবে। ইহা শুধু আপনার অথবা আমার মুখের কথা নয়।
অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানিগুলো নিজেরাও এই বিষয়টা শিকার করে যে, তাদের তৈরি করা অ্যান্টিভাইরাস আমাদের পিসি অথবা ল্যাপটপগুলোকে সম্পূর্ন সুরক্ষিত রাখতে পারবে না।
আর কেন সুরক্ষিত রাখতে পারবেনা সেটা নিয়েও মাথা ঘামাবার কেনো প্রয়োজন নেই। আজকের এই পোষ্টের পরের পর্ব গুলোর মধ্যই আপনারা জানতে পারবেন যে কেন অ্যান্টিভাইরাস আমাদের পিসি অথবা ল্যপটপকে সম্পূৃর্ন সুরক্ষিত রাখতে পারেনা।
৩. নতুন ভাইরাসকে সনাক্ত করতে পারেনা
আজকাল একটি পিসি অথবা ল্যাপটপকে ক্ষতি করার জন্য হাজার হাজার রকমের ভাইরাস প্রস্তুত আছে। এবং প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ভাইরাস তৈরি হচ্ছে। এবং নতুন সব ভাইরাস এর ব্যাপারে অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানিগুলো জানতে পারেনা।
কারন একটি অ্যানটিভাইরাস সফটওয়্যার শুধুমাত্র সেইসব ভাইরাস গুলোকে সনাক্ত করতে পারে যেসব ভাইরাস গুলো তাদের কোম্পানির ডেটাবেসে রয়েছে।
অর্থাৎ, একটি অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানির কাছে পৃথিবীর নতুন পুরাতন সমস্ত ভাইরাস (শতকরা ৯৫ শতাংশ ভাইরাস) এর নাম, ভাইরাসের কয়েকটি কপি ফাইল, বৈশিষ্ট, সনাক্ত করার উপায় ইত্যাদি যাবতিয় তথ্য তাদের কোম্পানির ডেটাবেসে সংরক্ষন করে রাখে।
আজ এই পর্যন্তই থাকুক। বাকি অংশ আগামী পোষ্টে লিখব। খোদা হাফেজ।
You must be logged in to post a comment.