ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে, অনলাইনে কাজ করে মাসে প্রায় লাখ টাকা ইনকাম করুন। শুধু চেষ্টা আর ধৈয্য ধরলে সবাই পারবে।

আমার মতো ছাত্র ও ছাত্রীরা ভালো করেই জানে লকডাউনের মতো সময়ে বাসায় বসে থাকাটা কতটা বোরিং একটা কাজ। যদিও এখন লকডাউন না তবে লকডাউনের সাথে এখনকার একটা মৌলিক মিল হচ্ছে লকডাউনের সময়ে আমরা বাসায় বসে থাকতাম এখন ও স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকার কারনে আমরা সবাই বাসায় বসে আছি। এই সময়টা আমরা ব্যায় করি ফেসবুকে, ইউটিউবে, ইনস্টাগ্রামে কিংবা টুইটারে। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

শুধু ছাত্র ছাত্রীরা না এমন অনেকে আাছেন যাদের দিনের ও রাতের অধিকাংশ সময় কাটে ফেসবুকে আপনার ইচ্ছা করলে এই সময়টাতে। আপনারা চাইলে আপনার এই ফ্রি সময়টাকে কোন কাজে ব্যাবহার করতে পারেন৷ ফেসবুকে দেয়া এই একটু একটু সময় মাস শেষে একটা অনেক বড় সময় হয়ে দাড়ায়। তেমনি প্রতিদিন কিছু কিছু কাজ করুন মাসের শেষে আপনি নিজে ও বিশ্বাস করতে বাধ্য হবেন আপনি নিজে কতটা কাজ করেছেন  

আপনারা ইচ্ছা করলে নিজের এই ফ্রি সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন৷ এই ফ্রি সময়টাকে কাজে লাগালে আপনার ও সময় ভালো কাটবে তার পাশাপাশি আপনার ইনকাম ও হবে। এই ইনকাম এর পরিমান শুধু আপনার হাত খরচ না বরং তার থেকে অনেক বেশি আপনি চাইলে আপনার এই ইনকাম দিয়ে আপনার পুরো পরিবার কে চালাতে পারবেন। 

এবার চলুন কাজের কথায় আসা যাক আমাদের কি কি কাজ করতে হবে? ফেসবুকে যেসব উপায়ে ইনকাম করা যায় সেসব উপায় নিয়ে একটি আর্টিকেলে সমস্ত উপায় বলা সম্ভব না আমি শুধু জনপ্রিয় কাজটি নিয়ে আলোচনা করবো যে কাজটি করলে করতে ক্রিয়েটিভিট এর প্রয়োজন হয় না। কোন সৃজনশীলতা না থাকলে ও এই কাজ করা সম্ভব। এই কাজ করার জন্য আপনার যা যা লাগবে তা হচ্ছে একটি স্মার্টফোন, নেট কানেকশন, ধৈয্য আর চেষ্টা। এই গুলো আপনার মধ্যে থাকলে আপনি এই কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুকে আপনাকে যে কাজ করে ইনকাম করতে হবে সেটি হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এটি হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সবচেয়ে বেশি আয়ের একটি মাধ্যম।  

যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানো তাদের আর বলতে হবে না অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে যারা নতুন এই কাজটি সম্পর্কে জানতে চলেছো তাদের একটু জানিয়ে দেয়া যাক। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে মার্কটিং করাকে বুঝায়। এটি প্রায় মার্কেটিং এর মতই তবে কিছু পার্থক্য আছে। এই কাজটি আপনাকে অনলাইনে করতে হবে৷। একটা উদাহরণ এর সাহায্য আপনাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়া ভালো হবে- ধরুন আপনার বন্ধুর একটি ল্যাপটপ আছে৷ সেই ল্যাপটপটি সে ১৫০০০ বিক্রি করতে চায়৷ আপনি সেই ল্যাপটপ টা ফেসবুকে এসে ১৫০০০ হাজার টাকার যত বেশি বিক্রি করতে পারবেন সেই টাকাটি আপনার। সেই ল্যাপটপ ১৮০০০ টাকায় বিক্রি করতে পারলে আপনার ৩০০০ টাকা লাভ হলো। এতক্ষনে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন৷ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে। 

ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবো

ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে একটি ফেসবুক গ্রুপ বা পেজ তৈরি করতে হবে ৷ ফেসবুক গ্রুপ বা পেজ তৈরি করার পরে সেই ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে আপনার পন্য এর বিক্রুর কা শুরু করতে পারবেন৷ 

পণ্য পাবেন কোথায়

আপনারা যারা নতুন এই শব্দটি শুনেছেন তারা নিশ্চয়ই ভাবছেন পন্য কোথায় পাবো যে বিক্রি করবো। এই পণ্য আপনার নিজের দোকানের হতে পারে। আপনার পরিচিত কারো হতে পারে। অথবা কোন সাইট থেকে মাল পত্র নিয়ে বিক্রি করতে পারেন৷ এমন অনেক সাইট আছে যেসব সাইট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুযোগ সুবিধা দেয়। আপনার সেসব সাইটের লিংক ফেসবুকে শেয়ার করুন। এবার ধরুন দিনে ১০ টা এর মতো লিংক আপনি শেয়ার করলেন। মাসে হচ্ছে ৩০০ টা এই ৩০০ টা পন্য এর ভিতরে আপনি দিনে ১ টা ও বিক্রি করতে পারলে আপনার লাভ আছে। দিন দিন ও আপনার প্রোডাক্ট ও বাড়তে থাকবে। দিন দিন জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে আপনার ইনকাম ও বৃদ্ধি পাবে। 

এই কাজটি করার জন্য ধৈয্যের খুবই দরকার। ধৈয্য কম থাকলে এই কাজে সফল হবেন না। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
Md Mamun Talukder - Feb 11, 2022, 9:46 PM - Add Reply

Good

You must be logged in to post a comment.
Md Mamun Talukder - Feb 22, 2022, 12:36 PM - Add Reply

Amazing

You must be logged in to post a comment.
Md Mamun Talukder - Feb 23, 2022, 4:57 PM - Add Reply

Amazing

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

ছাত্র