অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোথায় করবেন? কিভাবে করলে তাড়াতাড়ি লাভবান হবেন?

আপনারা যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার কথা ভাবছেন।কিন্তু ভাবছেন কিভাবে শুরু করবেন। আবার, যারা ইতিমধ্যেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে দিয়েছেন অথচ লাভের কোন আশায় দেখতে পাচ্ছেন না, দেখতে পেলেও সেটার পরিমান অনেক কম। তাহলে আপনার জন্য এই লেখাটি।

আপনি কি নতুন

আপনি কি নতুন? ভাবছেন, কিভাবে কি শুরু করবেন কাজ করার আগ্রহ আছে। এখনো কাজ শুরু করেন নি তাহলে আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে একটি ভালো মানের সাইট খুজে বের করা।

ইন্টারনেটে অনেক প্রকারের ই-কমার্স সাইট খুজে পাওয়া যায়। সেসব সাইট গুলোর এক একটার কাজ ভিন্ন। কাজ ভিন্ন বললে ভুল হবে। কাজের সিস্টেম এক। আপনাকে সব সাইটে একই কাজ করে হবে। কিন্তু কোন সাইটে আপনাকে জামা-কাপড় বিক্রি করতে হতে পারে আবার কোন সাইটে ইলেকট্রনিক। আবার এমন কিছু সাইট আছে যে সাইট গুলোতে উভয়ই পাওয়া যায়।

সবগুলো সাইটেই কাজ একই রকম হলেও একটা পার্থক্য আছে সেটি হচ্ছে আপনাকে সব সাইটে একই রকম টাকা দেবে না কোন সাইটে বেশি দেবে কোন সাইটে কম৷ ধরুন একটা শার্ট বিক্রি করার জন্য আপনাকে এক সাইটি ১০% টাকা দেয়া হলো অপর সাইটে হয়তো সেই একই কাজ করার জন্য আপনাকে ২০% ও দিতে পারে। 

তার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে নেটে যত প্রকার ই-কমার্স সাইট পাওয়া যায় এবং যেসব সাইট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুযোগ দেয় সেসব সাইট এর একটা লিস্ট তৈরি করা। সমস্ত সাইটের লিস্ট তৈরি করা হয়ে গেলে আপনাকে আর একটি কাজ করতে হবে সেটি হচ্ছে আপনি যেসব সাইট এর লিস্ট তৈরি করেছেন সেসব সাইট এর কত থেকে কত শতাংশ টাকা দেয়া হয় তা জেনে নিন। সেগুলো জেনে আর একটা লিস্ট তৈরি করুন৷  

এখন আপনার কাছে যে সাইটি বেশি ভালো লেগেছে সে সাইটে কাজ করা শুরু করে দিন৷ 

কীভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কিছু সুযোগ সুবিধা আছে। আপনি চাইলে সুগুলো ব্যবহার করতে পারেন। সেগুলো হচ্ছে-

১.ইউটিউব 

২. ফেসবুক 

৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

৪. ব্লগ থেকে

এখানে ৪ টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো আপনার যেটি ইচ্ছা সেটি নিয়ে কাজ শুরু করে দিন।

ইউটিউব 

ইউটিউবে চাইলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এখনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। তারপর সেখানে আপনি যেসব পন্য এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন সেসব পন্য এর ভিডিও তৈরি করুন। সেসব ভিডিও ইউটিউবে ছেড়ে দিন। ইউটিউবে আপনার চ্যানেল জনপ্রিয় হলে টাকার চিন্তা আপনাকে আর করতে হবে না৷ 

ফেসবুক 

ফেসবুকে অ্যফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাইলে আপনার একটি ফেসবুক গ্রুপ বা পেজ তৈরি করতে হবে তারপর সেই গ্রুপ বা পেজে সদস্য বাড়াতে হবে। যখন আপনার এই কাজগুলে করা হয়ে যাবে তখন আপনি ইচ্ছা করলে এখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করতে পারেন৷

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

ফেসবক এর মতো কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে যেখানে আপনারা চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করতে পারেন সেগুলো হচ্ছে -টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম। আপনারা চাইলে এখানে ও কাজ করতে পারেন। 

ব্লগ থেকে

আপনারা চাইলে ব্লগ থেকে ও ইনকাম করতে পারবেন৷ ব্লগ থেকে ইনকাম করার জন্য সেখানে ভিডিও বা কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন অথবা সেই পন্যর বিষয়ে কিছু তৈরি করতে পারেন৷ 

শেষ কথা

আপনারা যে যেই কাজই করুন না কেন। সমস্যা হবেই করেত থাকলে এক সময় আর সমস্যা থাকবে না। তেমনি উপরের কাজ গুলোকে সমস্যা মনে করে ছেড়ে দিলে ক্ষতি আপনারই৷ আপনি কিছুদিন চেষ্টা করতে থাকুন। প্রথম প্রথম হয়তো আপনার ইনকাম হবে না। কিন্তু একটা সময় তো আসবে যে সময় আপনার ইনকাম হবে। সেই সময় এর জনয় নাহয় কিছুদিন অপেক্ষা করলেন। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
MD Tanvir - Jan 3, 2022, 8:09 PM - Add Reply

https://blog.jit.com.bd/ref/Toom12

You must be logged in to post a comment.
নারায়ন চন্দ্র সাহু..Narayan Chandra Sahoo. - Jan 28, 2022, 9:31 PM - Add Reply

VERY NICE

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.

Related Articles