আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। সেটা হলঃ কিভাবে সহজে অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়। দেখুন এমনিতে অনলাইনে অনেক ধরনের কাজ করে টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে। তবে তার ভিতরে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যে কাজ গুলো কঠিন হয়ে থাকে।
এখন আপনি যদি বলেন, অনলাইনের সহজ পদ্ধতিতে আয় করব এরকম কোন মাধ্যম আছে কি? হ্যাঁ বন্ধুরা যেমনিভাবে কঠিন কাজ করেও টাকা আয় করা যায়, একইভাবে অনেক পদ্ধতি রয়েছে যেখানে সহজ কাজ করেও আয় করা যায়। অনলাইনে হাজার হাজার সহজ পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে, টাকা ইনকাম করা যায়।
যেহেতু আপনারা জানেন যে অনলাইনে প্রচুর পরিমাণে সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে ইনকাম করা যায়। যেহেতু ইনকাম করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে তবে তার ভিতরে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলোঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। যে কেউ চাইলে অনলাইন অ্যাপলেট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারে। আজকের আর্টিকেলে আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করে আয় করা যায়?
এই বিষয়বস্তুগুলো নিয়ে step-by-step বিস্তারিত আলোচনা করব। যেখানে আপনারা সহজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে পুরো ধারণা পেয়ে যাবেন। এবং কাল থেকে নয় আজ থেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। যদি আপনারা অনলাইনে আফিলিয়েট মারকেটিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে, অবশ্যই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত করার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
অ্যাফিলিয়েট কিঃ অ্যাফিলিয়েট হল কোন কোম্পানির রেফারেন্স। ধরুন আপনার একটি মুদিখানা দোকান রয়েছে। যেটা একেবারেই নতুন কেউ সেই সম্পর্কে কিছুই জানেনা। এখন আপনি সবাইকে বলে না দিলে কেউ আপনার এই মুদিখানা সম্পর্কে কিছু জানবে না। এ কারনেই আপনি আপনার মুদিখানা দোকান সম্পর্কে প্রচার করতে চাচ্ছেন।
আর প্রসার করার জন্যে ধরুন একজন কে বাঁচায় করলেন। এখন তাকে আপনি একটি রেফারেন্স দিলেন আপনার মুদিখানা দোকান সম্পর্কে। যেন যে কেউ এই রেফারেন্স এর সাহায্যে আপনার মুদিখানা দোকান সম্পর্কে জানতে পারে। এখন আপনি যে তার একটি রেফারেন্স নিয়ে কাজ করতে দিলেন। মূলত এই রেফারেন্স কি হলো অ্যাফিলিয়েট। আর এই আফিলিয়েট অনলাইনের মাধ্যমেও বর্তমান সময়ে অসম্ভব কিছু নয়।
মার্কেটিং কিঃ উপরে আমি একটি উদাহরণ দিয়ে আপনাদের অ্যাফিলিয়েট সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। উপরোক্ত উদাহরণ এর মতই এই মার্কেটিংও বুঝতে পারলেন না তাই না! তো চলুন সেই উদাহরণটি জেনে নিই আবার! ধরুন আপনার একটি মুদিখানা অথবা একটি কোম্পানি রয়েছে। এবং আপনার এই কোম্পানিতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট রয়েছে।
যেহেতু আপনার কোম্পানির নতুন সেহেতু কেউই আপনার কোম্পানির সার্ভিস সম্পর্কে কিছুই জানেনা। আর আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট যদি বিক্রী না হয় তাহলে, আপনার ইনকাম কখনোই আসবেনা। একারণেই এখন আপনি আপনার কোম্পানি সম্পর্কে সবাইকে জানাতে চাচ্ছেন। আপনার কোম্পানি সম্পর্কে এখন প্রচার করার জন্য, অথবা আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করার জন্য,
কোন একজন লোকের সাহায্য নিয়ে তাকে বললেন,,, আমার এই কোম্পানি সম্পর্কে প্রচার করো। যেন কোন গ্রাহক আমাদের কোম্পানি থেকে প্রডাক্ট পণ্য ইত্যাদি অর্ডার করে। এই যে আপনি এখানে প্রচার করার কথা শুনলেন।
এটি হলো আপনার মার্কেটিং। তবে এই মার্কেটিং আপনাকে মানুষের বাসায় বাসায় বলে বেড়াতে হবে না। এই মার্কেটিং আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সাহায্যে মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করবেন। একেই সাধারণত মারকেটিং বলা হয়ে থাকে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ঃ বর্তমানে আপনারা চাইলে অনলাইনে এপ্লিক মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য প্রথমে আপনাকে কোন কোম্পানির সাথে এডজাস্ট বা যুক্ত হতে হবে। এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাধারণত অনলাইনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য,
অনেক ধরনের প্লাটফর্ম বা কোম্পানি রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনারা সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য, অবশ্যই আপনাকে অ্যাপলেট মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো নলেজ থাকতে হবে। তা না হলে আপনি অ্যাপলেট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করবেন? তাই এখন আমরা কিভাবে অ্যাপলেট মার্কেটিং করে রাখা যায় এ বিষয়ে একটু বিস্তারিত জেনে নিই।
কিভাবে আফিলিয়েট মারকেটিং করে আয় করা যায়?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার শুরুতে আপনাকে কোন কোম্পানির সাথে যুক্ত হতে হবে। যেটা আমি আগে আপনাদেরকে বলেছি। অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য, সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কোম্পানি হলো অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম।এই অ্যামাজন প্রোগ্রাম এ আপনারা সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।
ধরুন আপনি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন, তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর যুক্ত হতে হবে। এখন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে, প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আর তাদের কোম্পানিতে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য, তারা আপনার থেকে বিভিন্ন ধরনের ইনফরমেশন নিতে পারে।
বিশেষ করে আপনার এনআইডি কার্ড অনুযায়ী তথ্যগুলো তারা নিতে চাইবে। এই তথ্যগুলো দিয়ে সহজেই আপনারা অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এ যুক্ত হতে পারবেন। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম নিযুক্ত হওয়ার পর,
কমপ্লিট হবে যখন আপনি আমাজন আফিলিয়েট মার্কেটিং এর যুক্ত হবেন তখন, এই কোম্পানি আপনাকে একটি অ্যাফিলিয়েট অর্ক দিবে। অর্থাৎ মার্কেটিং করার তারা আপনাকে একটি আফিলিয়েট লিংক প্রদান করবে।
এখন তাদের ওই লিংকটি আপনাকে কালেকশন করে, নির্দিষ্ট কোনো গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যদি কেউ আপনার ওই লিংকে ক্লিক করে, তাদের ওই অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস উপভোগ করে, তাহলে ওই অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম তার বিনিময়ে আপনাকে কিছু পারসেন্ট কমিশন প্রদান করবে। ঠিক এভাবে করে অনলাইন অ্যাপলেট মার্কেটিং করতে হয়।
আপনি শুধুমাত্র তাদের কোম্পানির এফিলিয়েট লিংক নির্দিষ্ট কোনো গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিবেন। এটাই হলো সাধারণত অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা। আর আপনারা এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে সহজে আয় করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মূল কাজ হলো তাদের, কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট সার্ভিসটি প্রচার করায় আপনার মত কাজ। আর যদি কোনো গ্রাহক তাদের কোম্পানির সার্ভিস উপভোগ করে তার বিনিময়ে আপনার ইনকাম হতে থাকবে।
উপরোক্ত বিষয়বস্তু আপনারা ভালোভাবে পড়লে, সহজে বুঝতে পারবেন কিভাবে অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়? এবং এই অ্যাপলেট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়? এই বিষয়বস্তুগুলো বিস্তারিত বুঝতে পারবেন। অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় উপায় হলঃ এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। যে কেউ চাইলে অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয় করতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যঃ তো বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং? করা যায় এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়? এই বিষয়বস্তু গুলো নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তবে আপনি যদি আফিলিয়েট মারকেটিং করে আয় করতে চান তাহলে, অবশ্যই আপনাকে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। আর সেটা হল তাদের কোম্পানির রুলস নিয়ম নীতি।
প্রতিটা কোম্পানি অথবা প্লাটফর্মে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য, বেশ কিছু নিয়মাবলী এবং গাইড রয়েছে। এই নিয়ম-নীতিগুলো আপনাকে মেনে কাজ করতে হবে। তাদের কোম্পানির নিয়ম নীতি না মেনে কাজ করলে, তারা কখনই আপনাকে পেমেন্ট করবে না।
তাই অবশ্যই যে কোম্পানিতে যুক্ত হবেন, সেটা যেন অবশ্যই বিশ্বস্ত হয়। তাছাড়া আপনাকে তাদের নিয়ম-নীতি মেনে কাজ করতেই হবে। তাহলে আশা করা যায় আপনিও অনলাইনে আফিলিয়েট মারকেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।
পরিশেষে,
প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে আমরা শিখতে অথবা জানতে পেরেছি, যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?এবং কিভাবে অনলাইনে আফিলিয়েট মারকেটিং করে টাকা ইনকাম করা যায়। এই বিষয়বস্তুগুলো নিয়ে step-by-step বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যেগুলো আপনারা হয়তো ভালো করে পড়ে থাকলে, আশা করা যায় আপনারাও অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
আর্টিকেলের কোথাও কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে, অথবা কোন কিছু জিজ্ঞাসা করার থাকলে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। আমি অবশ্য আপনাদের কমেন্টের রিপ্লে দেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। আজকের আর্টিকেলটি এ পর্যন্তই দেখা হবে আবার অন্য কোন আর্টিকেলে। আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
You must be logged in to post a comment.