এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি উপায় বা মাধ্যম যার দ্বারা আমরা যেকোন অনলাইন কোম্পানির ডিজিটাল প্রোডাক্ট ,অনলাইন স্টোরের ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট বা অনলাইনে পাওয়া যেকোন জিনিস নিজের ব্লগ,পেজ,ইউটিউব,সোশ্যাল মিডিয়ার একটি চ্যানেলে এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে প্রমোট করতে পারি।এফিলিয়েট মার্কেটিং ব্লগারদের কাছে খুবই পরিচিত একটি শব্দ ।
১/সময়:নিচের তিনটি বিষয় এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ
- মোটিভেশনাল
- ওয়েটলস
- ফ্রিল্যান্সিং
- অনলাইন আয়
- ইনফরমেশন
- ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট
- হোম ডেকোরেশন
- গ্রাফিক্স ডিজাইনিং
- ওয়েব ডিজাইনিং
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- কোন প্রোডাক্ট
- ফিনান্সিয়াল ডেভেলপমেন্ট
- ব্লগিং
- ভ্রমণ
- রান্নাবান্না
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- হেলথ টিপস
- বিউটি টিপস
- উক্তি
- জোকস
- নিউজ
- শেয়ার বাজার
- ব্যাবসায়িক পরামর্শ
- ব্যাবসায়িক আইডিয়া
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- পড়াশোনা ইত্যাদি
আপনি যখন আপনার সাইটের নিশ সিলেক্ট করবেন আপনি ২টি জিনিস মাথায় রাখবেন
১/আপনার পছন্দ
২/আপনার জ্ঞান
আপনি যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পছন্দ করেন ,তার ওপর আপনার সাইটটি খুলুন।তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখতে খুব ভালো লাগবে।আর এটা ও আপনার মাথায় রাখতে হবে যে,আপনি যে সম্পর্কেই লিখেন না কেন সে সম্পর্কে আপনার ভালো করে জানতে হবে।এমন নয় যে আপনাকে সব কিছুই জানতে হবে।কিছু খুঁটিনাটি প্রাথমিক জ্ঞান থাকলেই আপনি পরবর্তিতে রিসার্চ এর মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।
এবার আসা যাক আপনি কোন বিষয় সব থেকে বেশি পছন্দ করেন?
আপনার একাধিক পছন্দের বিষয় থাকতেই পারে।তাই এখন আপনার এটা ভালো হবে যে, একটি কাগজ আর একটি কলম নিয়ে আপনার সেই পছন্দের জিনিসগুলো লিখে ফেলা। এবার এখন থেকে একটি বাছাই করে ফেলুন।বাছাই করার পর আপনি ভাবুন যে আপনার সিদ্ধান্ত ঠিক আছে কিনা, তারপর আপনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
২/প্রোডাক্ট বাছাই করা।
নিশ সিলেক্ট হয়ে গেলে এবার আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে হবে।আপনি যদি নিশ সিলেক্ট করে ফেলেন তখন আপনার প্রোডাক্ট সিলেকশন করা অনেকটাই সহজ হবে।
আপনি সেই সমস্ত প্রোডাক্ট প্রমোট করবেন যে সমস্ত প্রোডাক্ট সম্পর্কে আপনি ভালো মত জানেন।আরো ভালো হয় যদি আপনি আপনার প্রোডাক্ট গুলো নিজেই ব্যাবহার করে ভালো রেজাল্ট পেতে থাকেন ।।
৩/ওয়েবসাইট তৈরি করা
নিশ ও প্রোডাক্ট সিলেকশন হতে গেলে আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য একটি ওয়েবসাইট খুলতে হবে ।ওয়েবসাইটটি আপনি নিজেই খুলবেন ।আপনার ওয়েবসাইট যদি আপনি নিজে খুলেন তাহলে আপনারই ভালো হবে।ভালোভাবে এজন্য বলছি যে ওয়েবসাইটটি সর্বোচ্চ সিকিউরিটির ব্যাপার আপনার কাছেই থাকবে।আর নিজে নিজে ওয়েবসাইট খোলা কোন ব্যাপার না।
৪/ওয়েবসাইট সেট আপ করা।
ওয়েবসাইট খুলে বসে থাকলেই হবে না।আপনার ওয়েবসাইট ঠিকঠাক মত সেট আপ করতে হবে।
৫/ওয়েবসাইট অপারেট করা।
আপনার ওয়েবসাইটে যদি সুন্দরমত সেট আপ হয়ে যায় ,তাহলে এখন আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট টুকটাক ব্যাবহার করতে শিখতে হবে।
৬/এস ই ও (SEO) শেখা।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন আবার এসইও মার্কেটিং করবেন না এটা কি করে হতে পারে।এসইও আপনাকে এই কারণে জানতে হবে যে সার্চ ইঞ্জিন ,গুগল, ইয়াহু এরকম সার্চ ইঞ্জিন ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক বা ভিজিটর আপনার সাইটে নিয়ে আসার জন্য।আপনি যদি এসইও ভালো মত না করতে পারেন তাহলে আপনার কনটেন্ট র্যাঙ্ক করবে না।আর র্যাঙ্ক না করলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর ও পাবেন না।
৭/কনটেন্ট তৈরি করা।
আপনার সাইটের জন্য এখন একটি কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি মেইন কনটেন্ট হলো একটি ব্লগ বা আর্টিকেল পোষ্ট।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য বেশি বেশি আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট তৈরি করতে হবে যত বেশি ভালো কনটেন্ট আপনার সাইটের জন্য তৈরি করতে পারবেন তত বেশি ট্রাফিক বা ভিজিটর আপনার সাইটে নিয়ে আসতে পারবেন।আবার আপনি যত বেশি ভিজিটর আপনার সাইটে নিয়ে আস্তে পারবেন তত বেশি প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন।
৮/ইমেইল কালেক্ট করা।
আপনার যত বেশি ইমেইল সাবস্ক্রাইবার থাকবে ,তত বেশি এফিলিয়েট কমিশন পাওয়ার আশা করতে পারেন।যারা আপনাকে তাদের ইমেইল দিচ্ছে তারা কিন্তু আপনাকে বিশ্বাস করেই দিচ্ছে।আপনার কনটেন্ট ভালো লাগে এজন্যই দিচ্ছে।তো তাদের সাথে কখনোই প্রতারণা করা যাবে না ।তাদেরকে আপনি আপনার কনটেন্ট পাঠান।এজন্য প্রথম থেকেই অর্থাৎ যেদিন থেকে আপনি আপনার সাইটে কনটেন্ট শুরু করেছেন সেদিন থেকেই ইমেইল কালেক্ট করা শুরু করুন ।
৯/এফিলিয়েট প্রোডাক্ট সাইন আপ করে তা প্রমোট করা।
আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা এফিলিয়েট মার্কেটিং মার্কেটপ্লেসএ গিয়ে সাইন আপ করুন এবং সেখান থেকে আপনার ইউনিক এফিলিয়েট লিংক কালেক্ট করুন এবং ওই লিংকগুলো আপনার আর্টিকেলের বিভিন্ন জায়গায় যুক্ত করুন। যখন কোন ট্রাফিক বা আপনার ভিজিটর ওই লিংকে ক্লিক করে আপনার প্রোডাক্টটি কিনবে তখনই কিন্তু আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন।
কিভাবে নতুন হয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কাজ করতে পারেন।
- কোন প্লাটফর্মে কাজ করবেন সিদ্ধান্ত নেন।
- আপনার জন্য উপযুক্ত পন্য সিলেক্ট করুন।
- ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করুন।
- কোন এফিলিয়েট মার্কেটগুলোতে যোগদান করবেন সন্ধান করুন
- আপনার এফিলিয়েট লিংক সোশ্যাল মিডিয়া,ইউটিউব,ব্লগ তৈরি করে ট্রাফিক ড্রাইভ করুন।
- আপনার অনুমোদিত লিংকগুলোতে ক্লিক পান।
- ক্লিক গুলো বিক্রয় করতে রূপান্তর করুন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন তা তো মোটামুটিভাবে ধারনা পেয়েছেন। এখন বলব যে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা নিয়ে।
সুবিধা
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিড করার প্রয়োজন পড়ে না।
- এফিলিয়েট মার্কেটিংএ স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে।
- একটি এফিলিয়েট সাইট দিয়ে একাধিক ওয়েতে ইনকাম করা সম্ভব।
- একটি ওয়েবসাইট দিয়ে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করা সম্ভব।
- আনলিমিটেড ইনকাম করা সম্ভব।
- ঘুমিয়ে থাকলেও ইনকাম করা সম্ভব।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অসুবিধাও কিন্তু আছে। আর অসুবিধাগুলোও আপনার জানার দরকার আছে।অসুবিধা নিয়ে নিচে উল্লেখ করা হলো।
অসুবিধা:
- ফ্রিল্যান্সিং শুরুর দিকে সবাই বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয় না।
- এই ইন্ড্রাস্ট্রির রিস্কটা অনেকেই নিতে চায় না।
- ইনকাম জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা অনেকের কাছে বিরক্তিকর মনে হয়।
মানুষের চাহিদা সম্পর্কে জানার সীমাহীন আগ্রহ কিংবা সে চাহিদার বস্তুটাকে মানুষের চোখের সামনে মেলে ধরতে পাড়ার যোগ্যতা থাকলে আপনার পক্ষে সম্ভব একজন সফল এফিলিয়েট মার্কেটার হওয়া।আপনি পারবেন এই ধারনা গুলোকে কাজে লাগিয়ে একজন সফল এফিলিয়েট মার্কেটার হতে।
বন্ধুরা লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
You must be logged in to post a comment.