৭টি সেরা মোবাইলে ফটো এডিটিং করা সফটওয়্যার।

ফটো এডিটিং সফটওয়্যার 

আস্সালামু আলাইকুম।প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আবারও আমি হাজির হয়ে গেলাম আপনার সামনে নতুন আরও একটি পোষ্ট নিয়ে।

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেরা ৭টি মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার। 

আজ আমি যে ৭টি সফটওয়্যার আপনাদের সাথে শেয়ার এগুলো বেশ জনপ্রিয়। আর এই সফটওয়্যার গুলোর সাহায্য আপনি খুব সহজে মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করতে পারবেন।

সূচনা:-ফটো এডিটিং সফটওয়্যার 

অতীতে ফটো এডিটের কাজ কেবল মাত্র কম্পিউটারের সাহায্যেই করা সম্ভব ছিল। কিন্তু এখন যুগের পরির্বতনের সাথে সাথে ফটো এডিটিংর উপায়ের ও পরির্বতন গঠেছে।

বর্তমানে আপনি আপনার মোবাইল ফোনের সাহায্যেই হাই কোয়ালিটির ফটো এডিট করতে পারবেন।

ছবি আমাদের মনের কথা বলে দেয়।প্রতিটা ছবিই আমাদের মনে কোন না কোন স্মৃতি হিসাবেই আমাদের মনে বিরাজমান হয়ে থাকে।

আর এক সময় তুলা ছবি আরও সুন্দর ও আর্কষনীয় করে তুলার জন্য শুধু মাত্র কম্পিউটারের সাহায্যেই এডিট করা হতো।

কিন্তু এখন এমন অনেক ফটো এডিটিং সফটওয়্যার যে গুলো দিয়ে আপনি খুব সহজে নিজের পছন্দের ছবিকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারবেন মোবাইলের সাহায্যে। 

তাই, আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ৭টি সেরা মোবাইলে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার।

টপিক সূচি:- 

1.Snapseed/ স্নাপসিড।

2.PicsArt./পিক্সআর্ট।

3.AirBrush./এয়ারব্রাশ।

4.Photo editor pro./ফটো এডিটর প্রো।

5.Lightroom./লাইটরুম।

6.Photoshop Express./ফটোশপ এক্সপ্রেস।

7.You cam perfect./ইউ কেম পারফেক্ট।

1.Snapseed.ফটো এডিটিং সফটওয়্যার 

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে ফটো এডিট করার যত গুলো এপস রয়েছে, তার মধ্যে সবার উপরে যে এপস রয়েছে তা হলো স্নাপসিড (Snapseed)।

গুগোলের তৈরি একটি অসাধারন মোবাইল ফটো এডিটিং সফটওয়্যারের নাম হচ্ছে Snapseed/স্নাপসিড।

আর স্নাপসিড একটি প্রফেশনাল ফটো এডিটিং এপস।স্নাপসিড এপসের মধ্যে অনেক গুলো এডভান্স লেভেলের ফটো এডিটিং টুলস এবং ফিচার রয়েছে।

এখানে আপনি বিভিন্ন রকমের টুলস পেয়ে যাবেন, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে নিজের পছন্দ মতো ছবি মডিফাই করে নিতে পারবেন।

আর স্নপসিডের অসাধারন সব ফিল্ডারের কারনে এটি ইউজারদের নিকট বেশ জনপ্রিয়। গুগোল প্লেস্টোরে একশত মিলিয়ন প্লাস বার স্নাপসিড ফটো এডিটিং এপসটি ডাউনলো করা হয়েছে।

গুগোল প্লে স্টোরে এই এপসের রেটিং ৪.৫ এবং ১মিলিয়নের বেশি রিভিউ রয়েছে। ফটোর সুন্দর্য বৃদ্ধি করে আরও আর্কষনীয় করে তুলতে স্নপসিডে রয়েছে ২৯টির বেশি ফিল্ডার রয়েছে।

ফিচার:-

  •  ডার্ক থিম মোড সমর্থিত এপ্লিকেশন।
  • ব্রাশ, ফ্লিপিং, ভিগমিটি ইত্যাদি ফিল্ডার রয়েছে।
  • প্লেইন টেক্সট, স্টাইলিস টেক্সট ইত্যাদি টেক্সট এতে এড করা যায়।
  • গ্লামার গ্লো এড করা যায়।

2.PicsArt.ফটো এডিটিং সফটওয়্যার 

মোবাইল দিয়ে ফটো এডিটিং করা করা সফটওয়্যার গুলোর তালিকায় বর্তমানে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে picsart এপস।এটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি ফটো এডিটিং করা সফটওয়্যার হিসাবে পরিচিত।

যারা ফটো থেকে ব্যাকরাউন্ড রিমোব করা যায় এমন সফটওয়্যার খুঁজছেন তাদের জন্য এটিই হবে সেরা সফটওয়্যার। 

এতে প্রায় তিন হাজারের বেশি টুলস রয়েছে।গুগোল প্লে স্টোর থেকে এক মিলিয়নের বেশি বার এটি ডাউনলোড করা হয়েছে।এই সফটওয়্যার টি শুধু ফটো এডিটিং এর জন্য নয় ভিডিও এডিটিং এর জন্য ও এটি বেশ জনপ্রিয়।

এতে অনেক আধুনিক ফিল্ডার রয়েছে যা আপনার ছবিকে আরও নতুনত্ব করে তুলতে সাহায্য করে।তবে এই সফটওয়্যারের ফ্রী ভার্সনে আপনাকে বিজ্ঞাপনের সম্মূখীন হতে হবে।

ফিচার :-

  • ব্যাকরাউন্ড রিমুভার।
  • অবজেক্ট রিমুভার।
  • টার্চ ইফেক্ট।
  • ব্রাশ মোড।
  • ড্রইং মোড।
  • ফটো ব্যাকরাউন্ড ব্লুয়ার।
  • হেয়ার কালার পরির্বতন, মেক আপ স্টিকার।
  • বিল্ড ইন ক্যামেরা ইফেক্ট।ইত্যাদি।

3.AirBrush.ফটো এডিটিং সফটওয়্যার 

ফটো এডিটিং এর জনপ্রিয় সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সফটওয়্যার হলো Airbrush। এই সফটওয়্যারে রয়েছে প্রয়োজনিয় সব ফিল্ডার এবং টুলস।

গুগোল প্লে স্টোরে এই সফটওয়্যার এখন পর্যন্ত দশ হাজার বিলিয়ন প্লাস বার ডাউনলোড করা হয়েছে।

আপনারা যদি নিজের ছবির বিশেষ করে ফেস এ এডিটিং বেশি করতে চান তবে এই সফটওয়্যার হতে পারে আপনাদের জন্য সেরা অপশন।

কারন আপনার ফেস এ যদি কোন প্রকার দাগ থাকে তবে খুব সহজে এই সফটওয়্যারর সাহায্যে মুছে ফেলতে পারবেন।

এই সফটওয়্যারটি টি গুগোল প্লে স্টোরে রেটিং ৪.৭। 

ফিচার:-

  • লাইভ ইফেক্ট।
  • বিল্ট ইন ক্যামেরা ইফেক্ট।
  • দাঁত চকচকে ও চোখ উজ্বল করার সুবিধা।
  • ন্যাচারাল রেডিয়েন্স ফিল্টার সমূহ। 
  • সব ধরনের দাগ রিমুভার।

4.Photo editor pro.ফটো এডিটিং সফটওয়্যার 

ফটো এডিটর প্রো এটি একটি লাইট ওয়েট এপস।এই সফটওয়্যারে প্রচুর পরিমান ফিল্টার বিদ্যমান। আর এই সফটওয়্যার টি Inshot Inc কোম্পানি ডেভেলপ করেছে।

যারা ছবিতে ইফেক্ট,স্টিকার,ফিল্টার ইত্যাদি ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন তারা এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে বেশ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

যারা বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম ইত্যাদিতে বেশি পোষ্ট করেন তাদের জন্য এই সফটওয়্যার বেশ উপকারি হবে।

এখানে অনেক ফিল্টার রয়েছে যে গুলো ব্যবহার করে খুব সহজে আপনারা নিজেদের ফটোকে আরও সুন্দর করে এডিট করে নিতে পারবেন।

ফিচার:-

  • এতে ৬০হাজারের বেশি ফিল্টার রয়েছে।
  • শরীর পরিমার্জন।
  • ব্যাকরাউন্ড ব্লুয়ার।
  • বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট।ইত্যাদি।

5.Lightroom.ফটো এডিটিং সফটওয়্যার 

এডোবি ফটোসপ নামটির সাথে কম বেশি আমরা সবাই অনেক পরিচিত। আর লাইটরোম সফটওয়্যার ও সেই এডোবি কোম্পানির তৈরি একটি জনপ্রিয় মোবাইল ফটো এডিটিং সফটওয়্যার।

আর এই সফটওয়্যারকে মোবাইল দিয়ে ফটো এডিটিং করার সেরা এপস ও বলা যেতে পারে।

আপনারা যদি ইউটিউবের থাম্বেল বা ফেসবুকের পোষ্ট তৈরি করতে চান তবে এই সফটওয়্যারের সাহায্যে খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারবেন।

আপনি যদি মেনুয়ালি এডিট করতে চান তার জন্য এখানে এক্সপোজার, লাইট, কনট্রাস্ট ইত্যাদি ফাংশন চ্যাঞ্জন করতে পারবেন।

এই সফটওয়্যারের অনেক স্পেশাল ফিল্টারস রয়েছে যার কারনে এটি সবার কাছে এতো জনপ্রিয়।

ফিচার:-

  • অন্ধকারে তুলা ছবি এখানে খুব সহজে উজ্বল করা যায়।
  • অটো মোড দিয়ে ফটোর রুপ বদল করা যায়।
  • ছবির কালার ও স্টাইল পরির্বতন করা যায়।
  • প্রচুর পরিমানে ফিল্টার এতে বিদ্যমান। 

6.Photoshop Express.ফটো এডিটিং সফটওয়্যার 

মোবাইল দিয়ে ফটো এডিট করার সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে আরও একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার হলো ফটোশপ এক্সপ্রেস।আর এই সফটওয়্যারটি ও তৈরি করেছে এডোবি কোম্পানি।

এই সফটওয়্যারটি গুগোল প্লে স্টোর থেকে এখন পর্যন্ত ১০০ মিলিয়ন প্লাস বার ডাউনলোড করা হয়েছে।

এই সফটওয়্যারটি বেশ, সহজ এবং ফ্রেন্ডলি। তাছাড়াও এখানে ফটো এডিট করার সময় আপনাকে কোন ধরনের বিজ্ঞাপনের সম্মূখীন হতে হবে না। আর এই এপস টি আপনারা গুগোল প্লে স্টোর থেকে ফ্রী ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

এই সফটওয়্যার দিয়ে ফটো এডিট করার অনেক গুলো সুবিধা রয়েছে যেমন:- ক্লিপিং,ফ্লিপিং, রোটিং ইত্যাদি অনেক প্রয়োজনিয় টুলস এতে রয়েছে।

ফিচার :-

  • ওয়ান টার্চ ফিল্টারিং।
  • অটো ফ্রিক্সিং।
  • ফটো ব্যাকরাউন্ড ব্লুয়ার।
  • ৮০ প্লাস ফিল্ডার এতে বিদ্যমান।
  • ছবি এক সাথে করা /কোলাজ করা যায়।
  • ফটো থেকে সহজে দাগ দূর করা যায়।

7.You cam perfect.ফটো এডিটিং সফটওয়্যার 

খুব সহজে ব্যবহার করা যায় এমন একটি জনপ্রিয় মোবাইল ফটো এডিটিং সফটওয়্যারের নাম You cam perfect. 

বেস্ট সেলফি এডিটর সফটওয়্যার হিসাবে ও এই সফটওয়্যারটি সবার কাছে বেশ পরিচিত। 

জনপ্রিয় এই ফটো এডিটিং সফটওয়্যার টি গুগোল প্লে স্টোর থেকে এখন ও পর্যন্ত একশত মিলিয়ন প্লাস বার ডাউনলোড করা হয়েছে। 

এতে প্রচুর পরিমান টুলস রয়েছে।একটি ছবিকে সুন্দর ও প্রানবন্ধ করে তুলার জন্য যে যে টুলস গুলো প্রয়োজন হয়, তার সব টুলস এই সফটওয়্যারে বিদ্যমান রয়েছে।

ফিচার:-

  • ভিডিও সেলফি টুলস।
  • রিমুভার টুলস।
  • ইনস্ট্যান্ট  এনহেন্সমেন্ট সমর্থিত।
  • গ্রুপ সেলফি তুলার সব মার্টিপারপাস ফিকশন।
  • ফটো থেকে সব দাগ দূর করতে এতে রয়েছে কাট আউট।

শেষ কথা:-ফটো এডিটিং সফটওয়্যার 

ত প্রিয় বন্ধুগন এই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা সেরা ৭টি মোবাইলে ছবি এডিট করা সফটওয়্যার নিয়ে।

ত আশা করছি এই পোষ্টটি পড়ে আপনারা সবাই অনেক উপকৃত হবেন। উপরে আমি সেরা ৭টি ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এর সর্ম্পকে আলোচনা করেছি এবং সাথে এই সফটওয়্যার গুলোর স্পেশাল ফিচার ও আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি  

আশা করছি আপনারা ও এই ফটো এডিটিং সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার  করে নিজেদের ছবিকে আরো সুন্দর ও আর্কষনীয় করে তুলতে পারবেন।

উপরোক্ত সেরা ৭টি ছবি এডিট করার সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে কোনটি আপনার পছন্দ বা কোনটি সেরা ফটো এডিট করার সফটওয়্যার বলে আপনাদের মনে হয়।

অব্যশই কমেন্ট করে আপনাদের মূলবান মতামত আমাদের জানিয়ে দেবেন।

আর আপনাদের যদি আমার আজকের পোষ্ট সর্ম্পকে কোন কিছু জানার থাকে তবে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাকে জানিয়ে দিবেন।আমি ইনশা আল্লাহ আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

ত আবার ও নতুন কোন পোষ্টে নতুন কোন বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আমি হাজির হয়ে যাব। আর এতক্ষন আমার পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাদের জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

ত আজ এই পর্যন্তই সবাই অনেক ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন, আর আমার জন্য দোয়া করবেন।

আর সবাই ভালো থাকবেন এই কামনায় শেষ করছি আমাদের আজকের পোষ্ট।

আল্লাহ হাফেজ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

আস্সালামু আলাইকুম, আমি জহুরা। বর্তমানে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অর্নাস করছি। এবং পাশাপাশি একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে কাজ করছি।