হ্যাঁ 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম ছাড়াও ইউটিউব থেকে আয় করা যায়। তবে আপনাকে সেই পদ্ধতিটি প্রথমে জানতে হবে। আমি এখানে সে পদ্ধতি গুলো বলার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি ধৈর্যবান হন তাহলে সম্পূর্ণ পড়ে দেখবেন। আশাকরি আপনার সময় বিফলে যাবেনা।
আয় করার মাধ্যম গুলো হলো-
-
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা
-
সিপিএ মার্কেটিং করা
-
প্রমোশনাল ভিডিও তৈরি করা
-
কোন ওয়েবসাইটের রিভিউ লেখা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা
বর্তমান যুগের সবচেয়ে ভালো আয় মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অনেকেই হয়তো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি তা বুঝতে পারেনা। এর মাধ্যমে আপনি আয় করবেন কিভাবে তা অনেকের বুঝতে সমস্যা হয়। এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো কোন পণ্য বিক্রি করা।
অর্থাৎ আপনি যখন ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করবেন তার ডিস্ক্রিপশন এ আপনার পণ্যের লিংকটি দিয়ে দিবেন। যখন কোন একজন ভিউয়ার আপনার লিংক থেকে সেই পণ্যটি কিনবে তখন আপনি কিছু টাকা কমিশন পাবেন। পণ্যটি শুধু সামগ্রী হতে হবে এমন কোন কথা নেই আপনি চাইলে অনলাইনে কোর্স বা ডিজিটাল কোন পণ্য বেচতে পারেন। এটি আপনার প্যাসিভ ইনকাম হবে।
সিপিএ মার্কেটিং করা
আচ্ছা ধরুন আপনি একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলেছে। আপনার ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার অনেক কম আসছে। তখন আপনার কি মন চাইবে যে কাউকে বলে দেই যদি সে আমার চ্যানেলে একটি সাবস্ক্রাইবার আনতে পারে তাহলে তাকে এক টাকা করে দেয়া হবে। তখন দেখবেন বিভিন্ন মানুষ আপনার কাছ থেকে সেই অফারটি গ্রহণ করবে।
অর্থাৎ যখন আপনার চ্যানেলে একটি করে সাবস্ক্রাইবার আনতে পারবে কোন লোক তখন আপনি সেই ব্যক্তিকে এক টাকা করে দেবেন। এটাকেই বলা হয় সিপিএ অফার এর মার্কেটিং। অর্থাৎ আপনি কোন ভালো অফার অর্থাৎ যেমন ওয়েব সাইটে সাইন আপ করা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে পারবেন। আপনার viewers যখন আপনার কথা মত কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইনআপ করবে তখন আপনি কমিশন পাবেন।
প্রমোশনাল ভিডিও তৈরি করা
আপনি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভিডিও করতে পারেন। জেমনঃ কোন এক ব্যক্তি একটি নতুন দোকান খুলেছে। তখন আপনি সেই দোকানদারের সাথে চুক্তি করতে পারেন যে আপনি তার দোকান নিয়ে একটি ভিডিও বানাবেন এবং তার বদলে সেই দোকানদারকে কিছু অর্থ প্রদান করতে হবে। বর্তমানে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাই ইউটিউবে এখন দেখবেন ইনক্লুড প্রমোশন এর একটি অপশন দেখানো হয়।
কোন ওয়েবসাইটের রিভিউ লেখা
আপনি কোন ওয়েবসাইটের রিভিউ লিখে ও আয় করতে পারেন ইউটিউব থেকে। যখন কোন ওয়েবসাইটের মালিক আপনাকে একটি প্রমোশনাল ভিডিও বানাতে বলবে তাদের ওয়েবসাইট নিয়ে তখন সেই ওয়েবসাইটের মালিক আপনাকে কিছু টাকা প্রদান করবে। তাই ওয়েবসাইট বা কোন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এর রিভিউ লিখে আপনি আয় করতে পারবেন। তাছাড়া যখন কোন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এর রেফার প্রোগ্রাম থাকে তখন আপনি তার থেকে বাড়তি আয় করতে পারবেন।
উপরের দেখানো চারটি পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি ইউটিউব থেকে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম ছাড়াও আয় করতে পারবেন। আপনি চাইলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে বাড়তি আয়ের এর জন্য এ সকল পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এই সকল পদ্ধতির মধ্যে বেশিরভাগ পদ্ধতি কার্যকর হয়।
তবে আপনাকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও গুলো ভালোভবে তৈরি করতে হবে যাতে আপনার ভিজিটররা সহজেই আপনার কথা মতো কাজ করতে পারে। ইউটিউব এখন বর্তমানে সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর কারণ হতে পারে এতে বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল এবং রিভিউ ভিডিও পাওয়া যায়। তাই আপনি যখন ভিডিও তৈরি করবেন তখন ভিডিও কোয়ালিটির উপর অনেক বেশি নজর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ
You must be logged in to post a comment.