প্রিয় বন্ধুরা! আস্সালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন?
আজ আমি আবার ও হাজির হয়েগেলাম আপনাদের সামনে নতুন আর ও একটি পোষ্ট নিয়ে।
আজ এই পোষ্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব জনপ্রিয় ১০টি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।
ত চলুন বন্ধুরা এখন চলে যাই আমাদের মূল টপিকে।
সূচনা:-
অতীতে ভিডিও এডিটের কথা চিন্তা করলেই আমাদের মনে হতো এই কাজ একমাত্র কম্পিউটার দ্বারাই করা সম্ভব।
কিন্তু বর্তমানে আমাদের হাতে স্মার্ট ফোন চলে আসার সাথে সাথে আমাদের মনের সেই ধারনা সর্ম্পূণ রুপে বদলে গিয়েছে।
এখন আর অতীতের মতো ভিডিও এডিটের জন্য কম্পিউটারেরন প্রয়োজন হয় না, এখন খুব সহজে আপনাদের হাতে থাকা স্মার্ট ফোনের সাহায্যেই হাই কোয়ালিটির ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
বর্তমানে ইউটিউব, ফেসবুকের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পাশা-পাশি এখন মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর চাহিদা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আর বর্তমানে মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও অসংখ্য রয়েছে গুগোল প্লে স্টোরে।আপনারা গুগোল প্লে স্টোরে গিয়ে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার লিখে সার্চ করলে দেখবেন আপনার সামনে অসংখ্য ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার চলে আসবে।
আর তাই আজকে আমি এই পোষ্টে মোবাইলে ভিডিও এডিট করার সেরা ১০টি সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করব। আশা করছি পোষ্টটি পড়ে আপনারা ইনশা আল্লাহ অনেক উপকৃত হবেন।
ত চলুন শুরু করে দেই আমাদের মূল আলাচনা।
টপিক সূচি :-
- FilmoraGo video editor.
- Kine master.
- Funimate.
- Action Director.
- Movie maker.
- Quik video editor.
- Power Director.
- Video show.
- Magisto video editor.
- Adobe premiere clip.
1.FilmoraGo video editor.
FilmoraGo বর্তমানে একটি জনপ্রিয় এন্ড্রয়েড ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এটি অসাধারন সব ক্ষমতা সর্ম্পূণ হওয়ায় এটি অনেক ব্যবহারকারীর প্রথম পছন্দ।
এই সফটওয়্যার টিতে রয়েছে, ভিডিও কাটিং, থিম,ভিডিও ট্রিমিং,টাইটেল যোগ, গান বা মিউজিক এড করা সহ আর ও অনেক সুবিধা। যা ব্যবহার করে আপনারা খুব সহজে ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন অনুপাতের ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।যেমন: ১:১ ইনস্টাগ্রামের জন্য,এবং ১৬:৯ ইউটিউবের জন্য
আর আপনারা চাইলে ভিডিও মান আর ও বৃদ্ধি করার জন্য ভিডিও ট্রান্সিশনস, স্লমোশন, টেক্সট ইত্যাদি যুক্ত করতে পারবেন।
এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করে আপনারা সরাসরি বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারবেন, আবার চাইলে ভিডিও তৈরি করে আপনাদের গ্যালারিতে সেভ করে রাখতে পারবেন।
ফিচার:-
- অনেক গুলো প্রফেশনাল টুলস এতে বিদ্যমান।
- রিয়েল টাইম প্রিভিউ সমর্থিত।
- সরাসরি স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ারিং সমর্থিত।
- প্রচুর টেমপ্লে ও ইফেক্ট এতে বিদ্যমান।
2.Kine master.
সুন্দর ইন্টারফেস এবং ক্ষমতা সর্ম্পূণ ফিচার সমৃদ্ধ বেশ জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার Kine master.
এটি বেশ শক্তিশালী ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।এই সফটওয়্যার টিতে রয়েছে ড্র্যাগ এন ড্রপ ফিচার, যা ব্যবহার করে আপনারা খুব সহজে বিভিন্ন মিডিয়া ফাইল ইনপুট করতে পারবেন।
এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনারা খুব তাগাতাড়ি প্রফেশনাল দের মতো ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
এতে প্রফেশনাল ভিডিও এডিট করার জন্য অনেক ফিচার বিদ্যমান রয়েছে। তবে,ভিডিও থেকে ওয়াটারমার্ক রিমুভ করতে হলে আপনাকে kinemaster এর প্রিমিয়াম র্ভাসন কিনতে হবে।
ফিচার:-
- মাল্টিপুল লেয়ার ব্যবহারের সুবিধা এতে বিদ্যমান।
- রিয়েল টাইম প্রিভিউ এতে সমর্থিত।
- মিডিয়া ফাইল ইনপুট করার সুবিধা রয়েছে।
- স্লমোশন, টেক্সট, টাইটেল এতে যুক্ত করা যায়।
3.Funimate.
Funimate সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনারা খুব সহজে সুন্দর সুন্দর ফানি ভিডিও তৈরি করে নিতে পারবেন।
এটিতে আপনি ভিডিও তৈরি করার জন্য ১০০ এডভান্সেড ইফেক্ট পেয়ে যাবেন যা শর্ট ভিডিও জন্য পারফেক্ট ডিজাইন করা হয়েছে।
আর এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করে আপনি সরাসরি বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে করতে পারবেন।
এটি সর্ম্পূণ একটি ফ্রী এপস।তবে এই এপস ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে সাইন ইন করে নিতে হবে।এবং এখানে আপনি অনেক ফ্রেন্ড ফলেয়ার তৈরি করতে পারবেন।
ফিচার:-
- একশত প্লাস এডভান্স ভিডিও ইফেক্ট।
- কোলাজ ভিডিও তৈরির সুযোগ রয়েছে।
- সরাসরি স্যোশাল মিডিয়া শেয়ারিং সমর্থক।
- ডেডিকেট ফানিমেট ভিডিও কমিউনিটি।
4.Action Director.
Action Director বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।এটি ব্যবহার করে খুব সহজ এবং খুব তাড়াতাড়ি আপনার ভিডিও তৈরি করে নিতে পারবেন।
এতে রয়েছে ভিডিও কাটিং,ভিডিও ট্রিমিং ,থিম, মিউজিক, ফিল্ডার ইফেক্ট যে গুলো ব্যবহার করে অসাধারন সব ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
এই সফটওয়্যার টিতে স্পিড এডিট, স্লো মোশন , ফাস্ট মোশন, ভিডিও হাই লাইটিং,সহ বেশ কিছু ফাংশন এতে রয়েছে।গুগোল প্লে স্টোর থেকে আপনারা এটি সম্পূন বিনামূল্য ডাউনলোড করতে পারবেন।
ফিচার:-
- 4k সমর্থিত ভিডিও এডিটিং এপস।
- ১ডরজনের বেশি ট্রান্সিশনস।
- কালার, ব্রাইটনেস,কনট্রাস্টের সুবিধা রয়েছে।
5.Movie maker.
বর্তমানে ভিডিও এডিটিং করার যত গুলো সেরা এপস রয়েছে মুভি মেকার তার মধ্যে একটি।সাধারনত এটি শর্ট ভিডিও তৈরির জন্য ভালো।
আপনি এই এপসটি ব্যবহার করে ফেসবুক,ইনস্টাগ্রামের জন্য ভিডিও তৈরি করে নিতে পারবেন।আর এটি ১০০% ফ্রী একটি এপস।
এই সফটওয়্যার টিতে অনেক ধরনের ভিডিও ইফেক্ট রয়েছে। এখানে আপনারা চাইলে নিজেদের কাস্টম ফিল্টার নিজের মনের মতো ডিজাইন করতে পারবেন।
ফিচার:-
- টেক্সট এনিমেশন্স ইফেক্ট, মোশন ট্র্যাক সমর্থিত।
- কাস্টম ফিল্টার ডিজাইন করার সুবিধা।
- মিউজিক স্লাইডশো ফিচার সমর্থিত।
6.Quik video editor.
চমৎকার ভিডিও এডিট করার আর ও একটি সফটওয়্যার হলো Quik video editor.
এটিকে আবার নির্ভরযোগ্য ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও বলা যেতে পারে।কারন এতে খুব তাড়াতাড়ি এবং সহজে কাজ করা যায়।আর এই এপসটি ও সর্ম্পূণ ফ্রী।
এতে একটি সিম্পল ইউজার ইফেক্ট রয়েছে। আর এখানে ৫০টির বেশি ভিডিও এবং ফটো এড করে ভিডিও তৈরি করে নিতে পারবেন।
এতে আপনি ফটো বা ভিডিও ক্লিপ সিলেক্ট করে দিলেই এপসটি অটোমেটিকলি আপনার জন্য ভিডিও তৈরি করে দেবে।
আপনার ভিডিও সুন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ;ইফেক্ট,টেক্সট, ভিডিও কাটাছেরা, মিউজিক এড করতে পারবেন।
এখানে আপনি ভিডিও এডিট করার পর 720p -1080p তে এক্সপোর্ট করতে পারবেন।এখান থেকে আপনি সরাসরি ভিডিও বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারবেনন।
ফিচার:-
- সরাসরি স্যোশাল মিডিয়া শেয়ারিং সমর্থিত।
- 60fps এ ভিডিও সেভ করার সুবিধা।
- অটোমেটিক ভিডিও তৈরির ক্যােপাবিলিটি।
7.Power Director.
Power Director একটি জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।যার সহজ ব্যবহারযোগ্য একটি টাইমলাইন ইন্টারফেস রয়েছে।
তবে এই এপসটি কন্ট্রোল করা শিখতে আপনার হয়তো কিছুটা সময় লাগতে পারে।তবে একবার শিখে নিতে পারলে এপসটি ব্যবহার করে আপনি মাত্র কয়েক মিনিটে প্রফেশনাল ভিডিও তৈরি করে নিতে পারবেন।
এখানে ভিডিও তৈরি করে আপনি ইউটিউবের মতো বড় বড় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন।
এটিতে ৩০টির বেশি প্রয়োজনীয় ইফেক্ট রয়েছে।এই এপস ব্যবহার করে আপনারা গ্রীন স্কিন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। তাছাড়া ও এটি ব্যবহার করে আপনারা বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
এটি ব্যবহার করে ওয়াটারমার্ক এবং এড রিমুভ করা যাবে।
ফিচার:-
- স্লো মোশন ভিডিও এডিটিং ক্যাপাবিলিটি।
- 4k রেজুলেশনে ভিডিও এক্সপোর্ট সমর্থিত।
- Chroma ; কি সেলেক্টর সমর্থিত।
8.Video show.
Video show অনেক গুলো পুরুষ্কার পেয়েছে তাদের ভালো সার্ভিসের জন্য। এটি যে প্লে স্টোরে পাওয়া সেরা এন্ড্রয়েড ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার তাতে কোন সন্দেহ নেই।
ভিডিও কে আরো সুন্দর ও আর্কষনীয় করে তুলতে এপসটিতে প্রয়োজনিয় ফাংশনের পাশাপাশি টেক্সট, ইফেক্ট,মিউজিক,লাইভ ড্রাবিং সহ অনেক সুবিধা এতে বিদ্যমান রয়েছে।
এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনারা ভিডিও কোয়ালিটি ঠিক রেখে ভিডিও সাইজ কমাতে বাড়াতে পারবেন।এতে ৫০ টির বেশি থিম রয়েছে।
ফিচার:-
- ভিডিও আর্কষনীয় করার জন্য এতে ৫০ প্লাস থিম রয়েছে।
- ভিডিও সাউন্ড ট্র্যাক mp3 তে রুপান্তর করার সুযোগ।
- ব্লারড ব্যাকগ্রাউন্ড, অডিও স্পিড এডজাস্ট,মিউজিক এড ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে।
9.Magisto video editor.
Magisto video editor একটি সুন্দর ভিডিও তৈরির সফটওয়্যার। এই এপস তাদের জন্য অনেক উপকারি যাদের ভিডিও এডিটিং এর তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই।
এটি অটোমেটিকলি ভিডিও ক্রিয়েটর ক্যাপাবিলিটি সমৃদ্ধ একটি এপস।এটি অটোমেটিকলি ফটো, মিউজিক,টেক্সট, ভিডিও ইফেক্ট গুলো একত্রিত করতে সক্ষম যা আপনার কাজ আরো সহজ করে দেবে।
আর এই এপস থেকে ফেসবুক, ইউটিউবে সরাসরি ভিডিও শেয়ার করা যায়।
ফিচার:-
- অটোমেটিক্যালি ভিডিও এডিটিং ক্যাপাবিলিটি।
- সরাসরি স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ারিং সমর্থিত।
- অনেক গুলো এডভান্সেড টুলস।
10.Adobe premiere clip.
Adobe premiere clip একটি অসাধারন ক্ষমতা সর্ম্পূণ একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।জনপ্রিয় কোম্পানি এডোবি এটি ২০১৫ সালে এটি এন্ড্রয়েড ব্যবহার কারীদের জন্য তৈরি করে বাজারে ছাড়ে।
এটি ব্যবহার করে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ভিডিও এডিট করতে পারবেন।কারন এতে কাজ করা অনেক সহজ এবং এর সার্ভিস ও অনেক ভালো।
এই সফটওয়্যারের অটোমেটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি রয়েছে। যার কারনে এখানে ফটো বা ভিডিও ক্লিপ সিলেক্ট করে দিলেই এপসটি অটোমেটিক্যালি আপনার ভিডিও তৈরি করে দেবে।
তাছাড়া ও আপনার ভিডিও কে আরো সুন্দর ও আর্কষনী করে তুলতে এতে ভিডিও কাটিং,থিম, মিউজিক, ইফেক্ট ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে।
ফিচার:-
- অটোমেটিক্যালি ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি।
- অটো অডিও মিক্স ফিচার।
- এডোবি প্রিমিয়ার প্রো সিসিতে ভিডিও এক্সপোর্ট সমর্থিত।
শেষ কথা:-
ত প্রিয় বন্ধুগন, এই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা ১০ টি জনপ্রিয় এন্ড্রয়েড ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সর্ম্পকে।
আজজকের এই পোষ্টটে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি জনপ্রিয় ১০ টি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যা এবং এগুলোর ফিচার সর্ম্পকে।
ত আশা করছি পোষ্টটি আপনাদের সবার অনেক উপকারে আসবে।
আপনারা যদি মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করতে চান তবে উপরে উল্লেখিত যে কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করেই আপনারা খুব সহজেই ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
আর আপনাদের যদি আমার আজকের পোষ্ট সর্ম্পকে কোন কিছু জানার থাকে তবে অবশ্যই নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাকে জানিয়ে দেবেন।
আমি ইনশা আল্লাহ যত টুকু জানি চেষ্টা করব আপনাদের সাহায্য করার।আর কেমন লাগলো পোষ্টটি অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মূলবান মন্তব্যটি আমাদের জানাবেন।
ত আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন,আর আমার জন্য দোয়া করবেন।
আর এতক্ষন পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
আল্লাহ হাফেজ।
Kine master one of fvrt video editing software. I always using this software.
You must be logged in to post a comment.