আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। অনলাইনে বর্তমান সময়ে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো ব্লগিং এবং ইউটিউবিং করে ইনকাম।আজকে আমরা জানবো কিভাবে ইউটিউবিং করে টাকা আয় করা যায়? এবং কিভাবে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা যায়?
ব্লগিং করে আপনারা চাইলে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারেন।কারণ হলো বর্তমান সময়ে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম খুবই সহজ। এবং ব্লগিং করে প্রতিমাসে অনেক লোক লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে। তাছাড়া আপনি আপনার ব্লগে যেকোনো সময়ে কাজ করতে পারেন। এদিকে আবার ইউটিউবে আপনারা টাকা আয় করতে পারেন।
সম্পূর্ণ ফ্রি-তে ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করে টাকা আয় করা যায়। অনেকেই নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে ইউটিউব কে বেছে নিয়েছে। কারণ হলো ইউটিউব থেকেও প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যায় এই সময়ে।ব্লগিং এর মতই ইউটিউবে আপনারা ভিডিও তৈরি করে আনলিমিটেড টাকা আয় করতে পারেন।
বন্ধুরা বুঝতে পেরেছেন আজকের আর্টিকেল এর টপিকটা কি? আর্টিকেলটি পড়ার ইচ্ছুক থাকলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়বেন। কারণ আজকে আমরা ব্লগিং এবং ইউটিউবিং করে কিভাবে টাকা আয় করা যায়? এ বিষয়ে বিস্তারিত ডিটেইল step-by-step শেয়ার করব। যেগুলো আপনারা এই আর্টিকেলে জেনে খুব সহজেই অনলাইন এ টাকা আয় করতে পারবেন আশা করি।
আর্টিকেল এর সূচনা
ব্লগিং হল অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সেরা একটি পথ।আপনি যদি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ব্লগিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। ব্লগিং করে অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আয় করা যায়। ব্লগিং করার জন্য আপনাকে কে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এবং সেখানে আপনি ব্লগিং করে খুব সহজেই অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
এদিকে আবার ইউটিউবিং করেও বর্তমান সময়ে টাকা ইনকাম অসম্ভবের কিছু নয়। কারণ হলো অনলাইনে যে কেউ চাইলেই ইউটিউবিং করে টাকা আয় করতে পারে। ইউটিউবিং করে শুধু টাকা ইনকাম করা যায় সেটা নয় বরং অনেকেই ইউটিউবিং করে সহজে টাকা আয় করে।তাই আপনিও চাইলে অনলাইনে ইউটিউবিং করে খুব সহজে টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউবিং করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করতে হবে। আর এই সহজ কাজ করে আপনারা অনলাইনে ইউটিউবিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। তাছাড়া আমি আগেই বলেছি ইউটিউবে সম্পূর্ন ফ্রীতে একটি চ্যানেল তৈরি করে টাকা আয় করা সম্ভব। তাই আপনারা চাইলেই বিনা ইনভেস্টে টাকা আয় করতে পারেন ইউটিউবে।
অনলাইনে ব্লগিং এবং ইউটিউবিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য যা যা প্রয়োজন?
বন্ধুরা আগেই বলে রাখি আপনারা যদি ইউটিউবিং বা ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে, অবশ্যই আপনারা করতে পারবেন তাও আবার বিনা ইনভেস্টে। একদম সত্যি আপনার আর কি কি শুনেছেন। কোন রকম খরচ ব্যতীত আপনারা ব্লগিং এবং ইউটিউবিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।
তবে জেনে রাখা ভালো ব্লগিং এবং ইউটিউবিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য, বেশ কিছু জিনিস আপনার প্রয়োজন হবে। এই জিনিসগুলো ব্যতীত আপনি কখনোই ইউটিউবিং বা ব্লগিং করে টাকা আয় করতে পারবেন না। তো চলুন এবার আমরা জেনে নিন ব্লগিং এবং ইউটিউবিং করে আয় করার জন্য কি কি প্রয়োজন।
- মন মানসিকতা থাকতে হবে ইউটিউবে বা ব্লগিং করে টাকা আয় করার জন্য। এবং ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে যে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে টাকা আয় করার।
- আপনার অবশ্যই একটি ভালো মানের কম্পিউটার বা ডেস্কটপ অথবা ভালো মানের একটি স্মার্টফোন।
- আপনার অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে বা ওয়াইফাই থাকতে হবে। আপনি যদি ব্লগিং বা ইউটিউবিং করে আয় করতে চান তাহলে ।
সাধারণত আমাদের অনলাইনে থাকার জন্য একটি স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার থাকতে হবে। এবং ইন্টারনেট কানেকশান থাকলেই আমরা অনলাইনে থাকতে পারব। আর আপনাকে এই ব্লগিং এবং ইউটিউবিং করার জন্য কোন ইনভেস্ট এর প্রয়োজন নেই। তবে আপনি চাইলে করতে পারেন। কিন্তু আপনারা চাইলেই বিনা ইনভেস্টে অনলাইনে এ দুটি মাধ্যম অবলম্বন করে টাকা আয় করতে পারেন
ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়?
ব্লগিং কিঃ সহজ ভাষায় ব্লগিং হলো আর্টিকেল লেখা বা লেখালেখি করা।আর এই লেখালেখি করার জন্য আপনার একটি নির্দিষ্ট জায়গা প্রয়োজন হবে। আর এই জায়গার নাম হবে ওয়েবসাইট। এবং আপনাকে এই ওয়েবসাইটে ব্লগিং বা লেখালেখি করতে হবে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ব্লগিং কি!
ব্লগিং করে ইনকামঃ আপনি যদি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে, আপনাকে সর্বপ্রথম একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।অনলাইনে ওয়েবসাইট তৈরি করার জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম হল ওয়াডপ্রেস। এবং আরেকটি হলো ব্লগার। আপনার চাইলেই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে খুব সহজ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আপনাকে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে।
সুন্দরভাবে এবং প্রফেশনাল রূপে আপনার ওয়েবসাইটি সাজাতে হবে। তারপর আপনার এই ওয়েবসাইটে ব্লগিং বা লেখালেখি কাজ করতে হবে। আপনারা চাইলে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ও ব্লগিং করে আয় করতে পারেন। অথবা কিছু ইনভেস্ট করেও সহজে ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বেশ কিছু জিনিস প্রয়োজন।
যেমন,
- ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হবে একটি থিম।
- ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হবে একটি ডোমেইন।
- ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হবে একটি হোস্টিং।
উপরের এই জিনিসগুলো দিয়ে খুব সহজেই একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এবং আপনারা চাইলে এই জিনিসগুলো ফ্রিতে ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারেন। অথবা আপনারা যদি চান ফ্রিতে তাহলে সেটাও করতে পারবেন। আপনি যদি সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করতে চান তাহলে, আপনাকে বেছে নিতে হবে ব্লগার।
আপনারা চাইলেই এই ব্লগারে সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে। তারপর সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েবসাইট ডিজাইন করে। এককথায় কোনরকম ইনভেস্ট ছাড়াই ব্লগারে একটি ওয়েবসাইটে টাকা আর্নিং করতে পারবেন।
আর আপনারা যদি চান ইনভেস্ট করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করার তাহলে, সবচেয়ে ভালো হবে ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্ম। কারণ ওয়ার্ডপ্রেসে অনেক সুবিধা রয়েছে একটি ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য।
ব্লগিং করে টাকা ইনকাম যেভাবেঃ সুন্দর একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে। তারপর আপনার কাজ হলো এই ওয়েবসাইটে অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটে লেখালেখি করা। আপনি আপনার একটি নিস বেছে নিয়ে ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখালেখি করতে পারেন। ইনকাম করার মূল কাজ হলো আপনার লেখালেখি করা।
শুধুমাত্র লেখালেখি করে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে আপনার ইনকাম লেখালেখি করেই শুরু হবে না।আপনি যদি ইনকাম শুরু করতে চান ওয়েবসাইটে তাহলে, আপনাকে আরেকটি প্ল্যাটফর্মের যুক্ত হতে হবে। আর সেটার নাম হলো অ্যাডসেন্স।
আপনার ইনকাম তখনই শুরু হবে যখন আপনার একটি এডসেন্স একাউন্ট থাকবে। আর আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন তখনই করতে পারবেন যখন আপনার একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থাকবে। এবার আমরা জানবো কিভাবে ব্লগিং করে অর্থাৎ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম হবে। এবং সে টাকা উত্তোলন করবেন যেভাবে বিস্তারিত।
ওয়েবসাইটে ইনকাম শুরু যখনঃ আগেই বলেছি ইনকাম শুরু করার জন্য আপনাকে একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট করতে হবে। আর এই এডসেন্স একাউন্টের মাধ্যমে আপনারা সরাসরি ইনকাম এবং টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আপনি ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য, আপনাকে প্রথমেই আপনার ওয়েবসাইট টির জন্য এ্যাডসেন্স এপ্লাই করতে হবে।
তারপর এডসেন্স-এর টিম মেম্বাররা আপনার ওয়েবসাইটে রিভিউ করবে এবং কিছুদিনের মধ্যে ফলাফল জানিয়ে দেবে। আপনার এডসেন্স একাউন্টে যদি এপ্রুভ হয়ে যায় তাহলে আপনারা আপনাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন বসাতে পারবেন। এবং আপনার ইনকাম তখনই হবে যখন আপনার ওয়েবসাইটে কেউ বিজ্ঞাপন দেখবে।
আর এই বিজ্ঞাপন আপনারা এডসেন্স থেকেই দিতে পারবেন। বিভিন্ন রকম বিজ্ঞাপন রয়েছে অ্যাডসেন্সে।আপনার ওয়েবসাইটে এখন যত লোক বিজ্ঞাপন দেখবে এডসেন্স একাউন্টে কত আপনার কমিশন আসবে।অর্থাৎ বিজ্ঞাপন দেখে আপনারা অ্যাডসেন্সে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারছেন। এবং এখান থেকে আপনারা সরাসরি টাকা উত্তোলন করে নিতে পারবেন।
টাকা উত্তোলন করার উপায়?
গুগল এডসেন্স থেকে আপনারা খুব সহজেই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তার জন্য আপনার একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডলার থাকতে হবে। যেমন সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার একাউন্টে 10 ডলার করতে হবে। তারপরই আপনারা চাইলে আপনার যেকোন দেশের ব্যাংক একাউন্ট এড করতে পারেন।
তারপর যখন আপনার এডসেন্স একাউন্টে 100 ডলার জমা হবে।তখন গুগোল অটোমেটিক্যালি আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দিতে।আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে এডসেন্স থেকে টাকা উত্তোলন করতে হয় সেটা!আর এভাবে করে আপনারা খুব সহজে ব্লগিং করে অনলাইনে এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা যোগ হয়ে গেলে এডসেন্স থেকে টাকা উত্তোলন করে নিতে পারবেন।
ইউটিউবিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়?
আপনি যদি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনি কি সর্বপ্রথম একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে। এবং তারপর থেকে আপনার এই ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও তৈরি করতে হবে। এবং এই ভিডিও আপনাকে আপলোড করতে হবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে। এবং এভাবে করে আপনার ইউটিউবিং করতে পারেন।
ইউটিউবিং করে টাকা আয়ঃ আগেই বলেছি ইউটিউবে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপর একটি চ্যানেল ক্রিয়েট করে ওই চ্যানেলে আপলোড করতে হবে ভিডিও। এবং এটাই আপনার ইউটিউবিং করার মূল কাজ। তবে আপনি যদি ইনকাম করতে চান তাহলে, আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে।
যেমন হলো আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও কখনোই কপি করে আপলোড করা যাবেনা।অথবা অন্য ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও সরাসরি আপনার চ্যানেলে আপলোড করা যাবেনা। সব সময় মানুষের প্রয়োজনীয় ভিডিও আপলোড করতে হবে। এবং চেষ্টা করবেন সবসময় মানুষের হেল্প ফুল এবং ইনফরমেটিভ ভিডিও দেওয়ার জন্য।
তাছাড়া youtube-এর বিভিন্ন নিয়ম নীতি এবং গাইডলাইন রয়েছে। যেগুলো আপনাকে মেনে কাজ করতে হবে। তাছাড়া কপিরাইট পলিসি সম্পর্কে আপনার নলেজ থাকতে হবে। আপনার ভিডিওতে যদি মিউজিক ব্যবহার করেন তাহলে সেটা সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।
কারণ শুধু মিউজিক এর জন্য আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া অন্যের ক্লিপ ভিডিও আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করার কারণে সাসপেন্ড হতে পারে আপনার ইউটিউব চ্যানেল।
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ইউটিউবিং করা যায়। এখন আপনি যদি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ইউটিউব এর কিছু শর্ত আপনাকে পূরণ করতে হবে। তারপর থেকে আপনারা ইউটিউবিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার চ্যানেল টি মনিটাইজেশন করতে হবে। তাহলে আপনার ইনকাম শুরু হবে খুবই কাছাকাছি সময়ে।
ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন এর জন্য শর্ত সমূহ?
- আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অবশ্যই কমপক্ষে 1000 সাবস্ক্রাইব থাকতে হবে।
- আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সর্বমোট 4 ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
- উপরের এই দুটি কাজ আপনাকে 12 মাসের ভিতরে কমপ্লিট করতে হবে।
প্রিয় বন্ধুরা উপরের এই শর্তগুলো আপনারা আপনার ইউটিউব চ্যানেল করতে পারলেই,আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করতে পারেন।অর্থাৎ ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনার ইউটিউব চ্যানেল আবেদন করলে কিছুদিনের ভিতর ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।এবং এখান থেকে আপনার ইউটিউব চ্যানেল কি মনিটাইজেশন হয়ে যাবে যদি তারা রিভিউ করার পর অ্যাপ্রুভ করে।
ইউটিউব থেকে ইনকাম শুরু হবে যেভাবেঃ আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজ ইস অন হয়ে গেলে টাকা ইনকাম শুরু হবে না। আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে আর একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। আর সেটার নাম হলো এডসেন্স একাউন্ট। এবং অ্যাডসেন্স থেকে আপনারা টাকা ইনকাম শুরু করতে পারেন ইউটিউব চ্যানেলে।
এমনকি এই অ্যাডসেন্স থেকে আপনারা ইউটিউব করার টাকা গুলো জমা করতে পারেন। এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যামাউন্ট আপনার একাউন্টে জমা হয়ে গেলে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। যদিও এডসেন্স সম্পর্কে আমি ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছি। হঠাৎ আপনারা যদি ব্লগিং এর উপরের অংশটুকু ভালোভাবে করে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে সঠিক ভাবে টাকা উত্তোলন কিভাবে?
খুবই সহজ আপনি ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তার জন্য আপনার একসেন্স একাউন্টে সর্বপ্রথম 10 ডলার হতে হবে। তারপর গুগল থেকে একটি চিঠি আসবে আপনার এড্রেস এ। চিঠিটি আসার কারন আপনার এড্রেস ভেরিফাই করতে হবে। এবং এই চিঠিতে একটি কোড থাকবে। এই কোডটি আপনি অ্যাডসেন্সে সাবমিট করলেই আপনার একাউন্ট বা আপনার এড্রেস ভেরিফাইড।
তারপর আপনার ইচ্ছা করলে আপনার দেশের যেকোন ব্যাংক একাউন্ট এড করতে পারেন। অ্যাড করার পর আপনাকে আরো ইনকাম করতে হবে।অর্থাৎ আপনার যে ইউটিউব চ্যানেল সেখানে আরও ইনকাম করতে হবে টাকা উত্তোলন করার জন্য।আপনার এডসেন্স একাউন্টে ইনকাম করতে করতে যখন 100 ডলার জমা হবে। তখন আপনারা ওই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
যখন আপনার অ্যাডসেন্সে 100 ডলার জমা হবে তখন, মাসের শেষের দিকে আপনার এড করা ব্যাংকে অটোমেটিক্যালি গুগোল টাকা টান্সফার করে দিবে।আর এভাবে করে আপনারা অনলাইনে ইউটিউবিং করে টাকা আয় করতে পারেন। এবং সে টাকা উত্তোলন করতে পারেন এই পদ্ধতি অবলম্বন করেই। আশা করি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ইউটিউবিং করে টাকা ইনকাম করা যায়! এবং ইউটিউব এর টাকা উত্তোলন কিভাবে করা যায় সেটা!
আজকের আর্টিকেলের শেষ কথা
এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আর্টিকেল কি আপনার জন্যে একটু হলেও হেল্প ফুল হয়েছে।যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন কেমন লেগেছে? আর্টিকেল সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থাকলে সেটাও কমেন্ট করে জানাবেন।
আজকে আমরা ইউটিউবিং এবং ব্লগিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। (বিস্তারিত) যদি কোনো মতামত থাকে অবশ্যই বলবেন। পরিশেষে সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।
You must be logged in to post a comment.