প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে সাধারণত ব্রডব্যান্ড সেবার কথা কল্পনা করাও যায়না, সেখানে বিনা তারে ওয়াইম্যাক্সের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড সেবা দেওয়া যায়। বিশেষ করে উচু-নিচু পাহাড়ি এলাকা কিংবা কেবল স্থাপনের জন্য দুর্গম এলাকায় ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য WiMAX হলো সর্বৌৎকৃষ্ট প্রযুক্তি।
WiMAX কী?
WiMAX প্রযুক্তি হলো বর্তমান সময়ের সর্বাধুনিক উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রটোকল সার্ভিস, যা তারবিহীন ব্যাবস্হায় ১০ থেকে ৬০ কি.মি. এলাকায় ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করে।
WiMax এর পূণ্য অর্থ হলো Worldwide Interoperability for Microwave Access.
WiMAX হলো দুই ধরনের
- ফিক্সড ওয়াইম্যাক্স
- মোবাইল ওয়াইম্যাক্স
যেখানে আমাদের ব্যাবহৃত Wi-Fi প্রযুক্তি 2.4GHz থেকে 5GHz ফ্রিকুয়েন্সির মধ্যে সিমাবদ্ধ সেখানে WiMAX এর ফ্রিকুয়েন্সি হলো 2-66GHz.
যেখানে Wi-Fi এর স্পিড বা গতি হচ্ছে 11-300 Mbps সেখানে WiMAX এর স্পিড বা গতি হলো 800 Mbps হতে 1Gbps পর্যন্ত।
Metropoliton Area Network (MAN) টাইপের নেটওয়ার্কে WiMAX বেশি ব্যাবহৃত হয়।
WiMAX প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে?
ওয়াইম্যাক্স পদ্ধতির প্রধানত দুটি অংশ রয়েছে
১.বেজ স্টেশন : ইনডোর ও আউটডোর টাওয়ার নিয়ে এটি গঠিত। বেজ স্টেশন টাওয়ার গুলো একটি ওয়াইম্যাক্স হাবের সাথে যুক্ত থেকে নেটওয়ার্ক তৈরি করে এবং ইন্টারনেট সার্ভিস দেয়।
২.ওয়াইম্যাক্স রিসিভার : এর সঙ্গে একটি এন্টেনা থাকে এবং একে কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করে দিতে হয়।এটির ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক কভারেজ এরিয়া ১০-৬০ কি.মি. হয়ে থাকে। খুব অল্প সংখ্যক টাওয়ার স্হাপন করে বহুদুর পর্যন্ত প্রত্যান্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে।
বন্ধুরা লেখাটি থেকে যদি আপনি নতুন কিছু জেনে থাকেন তাহলে শেয়ার করে বন্ধুদেরকেও জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ
You must be logged in to post a comment.