আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় এসইও কি ও এর প্রকারভেদ। এসইও সম্পর্কিত একটা প্রাথমিক ও বেসিক ধারণা আপনাদের জন্যে সহজ ভাষায় এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে।
এসইও ( SEO ) কি ?
এসইও( SEO ) এর ইলাবোরেশন হলো Search Engine Optimization . কোনো একটি কন্টেন্ট বা ব্লগ পোস্টকে সার্চ ইঞ্জিন ফলাফলের প্রথম পেজ আনতে যে প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, সেটাই হচ্ছে এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে Google , yahoo প্রভৃতি search engine থেকে ব্লগ বা ওয়েবসাইট এ ফ্রিতেই ট্রাফিক/ ভিজিটর জেনারেট করা যায়।
এসইও (SEO ) কত প্রকার ?
এসইও মূলত দুই প্রকার :
১) অন পেজ এসইও ( On page SEO)
২) অফ পেজ এসইও ( Off Page SEO)
অন পেজ এসইও ( on page SEO) কি ?
অন পেজ এসইও শব্দটার মধ্যেই কিন্তু এটার পরিচয় বিদ্যমান। কোন কন্টেন্ট বা ব্লগ লিখার ক্ষেতের ওয়েবসাইট বা পেইজে যে অপটিমাইজেশন করা হয় সেটাই অন পেজ এসইও।
একটা ব্লগ বা কন্টেন্ট তৈরী করা থেকে শুরু সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করা, বা রেঙ্ক করা অব্দি যাবতীয় কার্যক্রমই অন পেইজ এসইওর অন্তর্ভুক্ত।
একটা কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে এটার টাইটেল যেমন জরুরি , সেটার সার্চ ভ্যালু থাকাটাও সমান জরুরি। টাইটেল এবং মূল পোস্টের ক্ষেত্রে অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
সার্চ ভ্যালু সম্পন্ন কি ওয়ার্ড টি আপনার মূল পোস্টার সাথে সাথে টাইটেল ও ইউআরএলে ( URL) এ থাকাটা জরুরি। কিওয়ার্ড ব্যবহার যেমন জরুরি , কিওয়ার্ড ডেনসিটির দিকে খেয়াল রাখাটাও জরুরি।
পোস্টের সাথে যে ইমেজ ব্যবহার করা হবে সেখানে অবশ্যই alter tag ব্যবহার করতে হবে।
একটি ব্লগ যদি সুন্দর ভাবে সাজানো থাকে, তথ্যবহুল হয় , এবই একই সাথে অবশ্যই মৌলিক হয় , সেটা অবস্যই এসইও সহায়ক হবে। পোস্ট এর সংশ্লিষ্ট, এবং সার্চ ভ্যালু সম্পন্ন ট্যাগের ব্যবহার অন পেইজ এসইও এর গুরত্তপূর্ণ অংশ।
ওয়েবসাইট এর থিমটি যদি রেস্পন্সিভ হয় সেটাও অন পেজ এসইওর উন্নতিতে সহায়ক হবে। এছাড়াও ইনবাউন্ড এবং আউটবাউন্ড লিংক, মেটা ডেসক্রিশন অন পেজ এসইওর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।
অফ পেজ এসইও (off page SEO) কি ?
অন পেইজ এসইওর মতো , অফ পেজ এসইওর নামের সাথেই এর পরিচয় সম্পর্কিত। ওয়েবসাইট , বা ওয়েব পেইজের বাইরে যে এসইও সেটাই অফ পেজ এসইও।
তবে ও পেজ এসইও আর আর অফপেজ এসইওর মধ্যে মূল তফাৎ হলো। পোস্ট পাবলিশ হওয়ার আগেই মূলত অন পেজ এসইওর কাজ শেষ হয় , আর পোস্ট পাবলিশ হওয়ার পরপরই অফ পেজ এসইওর কাজ শুরু হয়।
Backlink তৈরী থেকে শুরু করে ওয়েব পেইজের বাইরে সকল কার্যক্রমই অফ পেইজ এসইওর সাথে জড়িত। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার মাধ্যমে ও বাস্টার অর্গানিক ও পেইড যে রিচ হয় সেটা অফ পেইজ এসইওর মধ্যেই পরে।
ওয়েব সাইট বা ওয়েবপেইজ এর কন্টেন্ট এর উপর ভিজিটরদের দীর্ঘদিনের আস্থা অফপেইজ এসইওর আরেকটি অংশ। এছাড়াও বিভিন্ন ব্লগে গেস্ট অথর হিসেবে লিখে কেউ যদি পোস্ট করে ,এবং সেখানে নিজস্ব সাইটের লিংক সংযুক্ত থাকে সেটা back link কে আরো জোরদার করে।
এছাড়াও back link স্ট্রং করার ক্ষেত্রে , ডিরেক্টরি সাবমিশন , ফোরাম পোস্টিং কমেন্টিং এসবও ভূমিকা রাখে। ডোমেইন অথরিটি , পেইজ অথরিটি , সোশালমিডিয়া শেয়ারিং এসব অফ পেইজ এসইওর অন্তর্ভুক্ত।
পরিশেষেঃ
গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের এলগোরিদম নিয়মিত পরিবর্তন হয়। কিন্তু শত পরিবর্তন হলেও, অন পেইজ এবং অফ পেইজ এসইওর যার যার নিজস্বস ভ্যালু কমার নয়।
এক্ষেত্রে অন পেইজ এসইও বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে আপনার ব্লগের রেঙ্ক করার প্রাথমিক এবং সর্বাধিক গুরত্তপূর্ণ হাতিয়ার। আপনার অন পেইজ এসইও সঠিক থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই অফ পেইজ এসইও ছাড়াই রেঙ্কিং এ আসা সম্ভব।
বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন কিছু সূত্র ধরেই চলে। তাই এই সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্কে আসতে হলে আমাদের ও এই সব সূত্র মেনেই কাজ করতে হবে।
অন পেইজ এসেও সার্চ ইঞ্জিন রেঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলেও , অফ পেইজ এসইওর গুরুত্ব কোনো অংশেই কম নয়। অন পেইজ এসইওর ঘাটতি পুষিয়ে নিতে কাজে আসবে অফ পেইজ এসইও। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনে রেংকিং এর ক্ষেত্রে অন পেইজ এবং অফ পেইজ এসইও দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
You must be logged in to post a comment.