আউটসোর্সিং কি?: আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব? Details here

আউটসোর্সিং কি? Outsourcing কিভাবে শিখব?: সারা বিশ্ব যখন মহামারীর প্রকোপে কাঁপছে, অফলাইনে কাজ কারবার থমকে দাঁড়াচ্ছে- সেখানে অনলাইন দুনিয়া মাথা উঁচিয়ে টিকে আছে। বলা যায়, তলে তলে ৪র্থ রিভ্যুলেশন হয়ে যাচ্ছে অনলাইন ইন্ড্রাস্ট্রিলাইজেশনের দুনিয়ায়। বারবার জানান দিয়ে যাচ্ছে, এই অনলাইনের ব্যবসা বা কাজ কারবার-ই আগামী।

আমাদের দেশেও এই নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই। আজ সবাই জানতে চায়- ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করব? আউটসোর্সিং কি ict? কিভাবে আউটসোর্সিং করা যায়? আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব? অথবা, কিভাবে অনলাইনে আয় করা যায়? ইত্যাদি আজ মুখে মুখে ঘোরাফেরা করা প্রশ্ন। আমরাও এমন ধরনের প্রশ্ন বা অনুরোধ আমাদের ইনবক্সে পেয়ে থাকি অহরহ! 

আজ আমরা বর্তমান সময়ে বহুল জিজ্ঞাসিত বিষয়ের একটি  নিয়ে কথা বলব- যার কেতাবি নাম “আউটসোর্সিং”।  সেই সাথে অনালাইনের এসব বিষয় নিয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণা বা ভুল তথ্য নিয়ে আলোচনা করব। যেমন- অনেকেই আমরা আউটসোর্সিং বলতে কি বোঝায় বলতে শুধু ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আয় রোজগার করাকেই বুঝি!

এছাড়াও আমরা গুলিয়ে ফেলি  ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, মার্কেটার, বা ফ্লিপারের মত টার্মস বা পেশাগুলোকে। এবং, আরও বিস্তরিত অনেককিছু এই লেখাতে থাকবে যা আউটসোর্সিং-এর সাথে সম্পর্কিত বিষয়বস্তু, কিছু ক্ষেত্রে উদাহরণ ও পরিসংখ্যান সহ।

তাই শেষ অব্দি আমাদের সাথেই থাকুন। আজকের মূল বিষয় যেহেতু আউটসোর্সিং, তাই সেখানেই আমাদের ফোকাস বেশি থাকবে।  আউটসোর্সিং কি এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেতে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে হবে। তো চলুন আগে ফ্রিল্যান্সিং কি বিষয়টা জানি।

ফ্রিল্যান্সিং কি? (What is Freelancing)

দেখুন, সোজা কথায় ফ্রিল্যান্সিং মানে হচ্ছে মুক্তপেশা। এর মানে হচ্ছে- আপনি নির্দিষ্ট কোনও ব্যাক্তি, গোষ্ঠী, বা কোম্পানি, বা অর্গানাইজেশনের জন্য কাজ না করে, নিজের স্কিল ও যোগ্যতার মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় কাজ করতে পারবেন।  এটি হতে পারে নিজ গণ্ডির ভেতরে বা বাইরে, মানে দেশে বা বিদেশে যেকোন খানে। আবার এটি হতে পারে চুক্তিভিত্তিক একটা বা অসংখ্য কাজ বা প্রজেক্টস।

আমরা ফ্রিল্যান্সিং বলতে যেটিকে বুঝে থাকি সেটি হচ্ছে- অনলাইনে বিভিন্ন স্কিলের মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়াকে। আদতে, একজন ফ্রিল্যান্স্যার অফলাইনেও হতে পারেন, আবার অনলাইনেও হতে পারেন। 

শুরু থেকেই আমি স্কিল (Skill) কথাটার উপর জোর দিয়ে এসেছি। এর মূল কারণ হচ্ছে, আপনি যখন বিশেষ বা কিছু ব্যাপারে স্কিলড হবেন, তখন অনলাইন বা অফলাইনে কাজের সাধারণত অভাব হবে না। অনালাইনে ফ্রিল্যান্সিং জব বলতে মূলত ওয়ার্ক ফ্রম হোমকে বোঝায়। 

আউটসোর্সিং কি? (Outsourcing in Bangla)

আউটসোর্সিং কি- এই বিষয়ে কিছু বলতে গেলেই অনেকে হাতে ধরিয়ে দেন একটা গৎবাঁধা সংজ্ঞা – “আউটসোর্সিং হচ্ছে এমন একটি বিজন্যাস প্রাকটিস যেখানে তৃতীয় এক পক্ষের মাধ্যমে কাজ করিয়ে নেয়া হয়”। একদিক দিয়ে ঠিক-ই আছে, তবে জিনিসিটা এখানে পুরোটা পরিষ্কার নয়। 

তবে মনে রাখার বিষয়টি হচ্ছে যে- এটি একটি ব্যবসা! জি, ঠিক পড়েছেন। আসলে ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্তপেশা হলেও সেটিও একদিক দিয়ে একটি ব্যবসা। পার্থক্য শুধু-  এটি বা এগুলো অন্তর্জালের দুনিয়াতে হয়, যেটাকে আমাদের দেশের বেশিরভাগ লোক শুধুমাত্র নেট সার্ফিং তথা বিনোদন বা সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ করার ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করে থাকি! 

তাছাড়া অনেক আইটি প্রফেশনাল ও পরিচিত ওয়েবসাইটগুলোও ফ্রিল্যান্সার ও আউটসোর্সারকে গুলিয়ে ফেলে!

সহজ ভাষায় আউটসোর্সিং কি?

আরো সহজ ভাষায় যদি আউটসোর্সিং কি বলি, নিজের কোন কাজকে কন্টাক করে অন্য কোন লোক দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া কে আউটসোর্সিং বলে। যে কাজ করে সে হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার এবং যে কাজ করিয়ে নেয় সে হচ্ছে আউটসোর্সার।

আবার অনেকে ভেবে থাকেন আউটসোর্সিং শুধু অনলাইনে হয়ে থাকে বিষয়টা কিন্তু সঠিক নয়। অনেক কোম্পানি নিয়োগ না দিয়ে অফলাইনে কন্টাক করে তাদের কোম্পানির কাজ করিয়ে থাকে। যা আউটসোর্সিং এর আওতায় পড়ে।

আউটসোর্সিং কিভাবে করে?

একটি ছোটখাটো উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি। 

ধরুন, আপনার একটি সফটওয়ার ফার্ম আছে। সেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের IT/ICT সার্ভিস প্রদান করে থাকেন- QA Testing, Software Development, Apps Development, Network Service, ইত্যাদি এই জাতীয় জিনিস। একটা সময় আপনি দেখলেন আপনার সেই কোম্পানির ওয়েবসাইটটি গুগুল বা যেকোন সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করার জন্য আপনার কাছে সেই মানের SEO Expert নেই। বা, যারা আছেন তারা অন্যান্য কাজে এতটা ব্যস্ত যে এদিকে সময় দিতে পারবেন না। তখন আপনি অবশ্যই বিকল্প একটি রাস্তা খুঁজবেন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য। এবং, যেটা কে অবশ্যই আপনার ব্যবসার জন্য একটা লাভজনক একটি পন্থা হতে হবে। 

তো, আপনি করলেন কি- বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে গিয়ে একটি বিজ্ঞাপন দিলেন যে- আপনার একজন এসইও এক্সপার্ট প্রয়োজন যে এই কাজটি করে দিতে পারবে উপযুক্ত সম্মানীর বিনিময়ে। এই যে আপনার কাজ আপনি আরেকজনকে দিয়ে করিয়ে নিচ্ছেন, এক্ষেত্রে আপনি হচ্ছেন আউটসোর্সার বা আউটসোর্সিং করছেন।

মানে আপনার নিজের বা কোম্পানির কাজ অন্য আরেকজন বা কোম্পানিকে দিয়ে করিয়ে নিচ্ছেন। আর যিনি বা যারা আপনার কাজটি সমাধা করছেন, তারা হতে পারে আপনার  বিজন্যাস পার্টনার বা একজন ফ্রিল্যান্সার। 

যেমন- IBM এর মত বিখ্যাত সফটওয়ার  কোম্পানি FedEx এর মত আরেক প্রখ্যাত কোম্পানিকে ব্যবহার করে তাদের থার্ড পার্টি সাপ্লাই চেইনটি (Logistics Support) ইউজ করে নিজেদের ব্যবসায়িক ধান্দাকে আরও গতিশীল করার স্বার্থে। 

এছাড়াও আপনি হাতে থাকা ট্যাব বা মোবাইলের মাধ্যমেই  আউটসোর্সিং-এর কাজে লাগাতে পারবেন। কারণ, এক্ষেত্রে আপনি শুধু যোগাযোগ ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আপনার কাজগুলোকে আউটসোর্স করতে চাইছেন। 

আশা করি, আউটসোর্সিং কি এ ব্যাপারটি এবার আপনাদের কাছে ক্লিয়ার হয়ে গেছে। এবং, আপনারা এখন আর ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং-কে গুলিয়ে ফেলবেন না।

এছাড়াও উপরের উদাহরণ থেকে এটি পরিষ্কার বোঝা যায় যে- আউটসোর্সিং যেমন অনলাইনে হতে পারে, তেমনি আদিকাল থেকে চলে আসা অফলাইনের বিজন্যাসগুলোর ক্ষেত্রেও সেটি প্রযোজ্য। 

আউটসোর্সিং এর বিভিন্ন ধরন 

আউটসোর্সিং-এর প্রকৃতি ও কাজের  ধরন ভেদে একে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়। নিচে শুধুমাত্র একটু জেনে রাখার স্বার্থে আমি কিছু প্রকারভেদের নাম বলে যাচ্ছি।

আসলে আপনি যখন আউটসোর্সিং মোটামুটি বুঝতে শিখে যাবেন, তখন দেখবেন ইতোমধ্যে আপনি নিজের অজান্তেই অনেক ধরনের আউটসোর্সিং এর কাজ করে ফেলেছেন। তাছাড়া এই টাইপগুলো ভাল করে ব্যাখ্যা করতে গেলে একটা পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল লেখার প্রয়োজন হবে। তাই আপাতত এটুকুই, সামনে কোন একদিন এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে। 

  • Business Process Outsourcing
  • Manufacturing Outsourcing
  • Project Outsourcing
  • Operational Outsourcing
  • Professional Outsourcing
  • Multi-Sourcing
  • IT Outsourcing
  • Process-Specific Outsourcing

নীচের এই তিনটিকে আউটসোর্সিং-এর টাইপে যেমন ফেলা যায়, তেমনি এগুলোকে আউটসোর্স করার স্ট্রাটেজি হিসেবেও গণ্য করা যায়- 

  1. Local Outsourcing
  2. Offshore Outsourcing
  3. Nearshore Outsourcing

আউটসোর্সিং কেন করা হয়? এর উপকারিতা ও কিছু ঝুকিপূর্ণ  দিক

আউটসোর্সিং আসলে কি? এবং কেন করা হয়? এই জিনিসটি এখানে আরও একটু পরিষ্কার হয়ে যাবে। আসলে আউটসোর্সিং শুধুমাত্র একটি ভাল রিলেশনশিপ বিল্ড আপ করে কাজ করিয়ে নেয়া নয়, এটি বেশিরভাগক্ষেত্রেই পার্টনারশিপের মত হয়ে যায় যেখানে একটা বিজন্যাস এগ্রিমেন্ট থাকে। আসুন জানা যাক, আউটসোর্সিং এর কিছু ভাল দিক নিয়ে- 

আপনি যদি একটি ছোটখাটো কাজের জন্য লং টাইম কোন এমপ্লোয়ি রাখতে না চান, মানে  একজন পূর্ণাঙ্গ এমপ্লয়ি প্রয়োজন না হয়- সেক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার সব সময়-ই আদর্শ একটি অপশন। এক্ষেত্রে আপনার বিজন্যাস কস্ট মিনিমাইজড হয়ে যাচ্ছে। 

একজন স্কিলড ফ্রিল্যান্সার দিয়ে যেকোনো কাজ আপনি অল্প সময়ে করিয়ে নিতে পারবেন। আর এই যুগে কে না জানে যে- টাইম ইজ মানি! 

আপনি যদি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সার দিয়ে আউটসোর্স করান, তবে সেখানে দিন রাতের অফিস শিডিউল আসলে কাজ করে না। আপনি দিন বা রাতের যেকোন সময়-ই কাজটি করিয়ে নিতে পারেন। দেখা গেল আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে বা বিকেলে স্ন্যাক্স-কফির টাইমে আপনার কাঙ্ক্ষিত কাজটি হাতে পেয়ে গেলেন। 

প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত হাই স্কিলড ও নিয়মানুবর্তী হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে আপনি বিশ্বমানের কাজ যথাযথ সময়ে হাতে পেয়ে যাচ্ছেন।  সেই সাথে খুব অল্প বা কাঙ্ক্ষিত ডেড লাইনের মধ্যেই পেয়ে যাচ্ছেন। 

আউটসোর্স করার মাধ্যমে মার্কেটে আপনি আপনার বিজন্যাসকে প্রাগৈতিহাসিক বিজন্যাস স্ট্রাট্রেজির মাধ্যমে ফলো না করে অনেক বেশি গতিশীল রাখতে পারছেন। এখানে আপনাকে খুব কম ইনভেস্ট করতে হচ্ছে, যেহেতু লং টাইম এমপ্লয়ি রাখার ঝামেলা নেই। এবং, আপনার অফলাইন বিজন্যাসের মত সেরকম একটা ইনফ্রাস্ট্রাকচারেরও প্রয়োজন হচ্ছে না। 

আপনি একটি ইনোভেটিভ, গতিশীল ও চিন্তাশীল, প্রজ্ঞাময় লিডারশীপের পথে হেঁটে চলেছেন আউটসোর্স করার মাধ্যমে। তাছাড়া  আপনি বিশাল আইটি সেক্টেরের বুদ্ধিদীপ্ত  বৈশ্বিক পথে জার্নি শুরু করেছেন, যা আপনাকে অন্য দশ জন অর্ডিনারি বিজন্যাসম্যান থেকে সহজেই এগিয়ে রাখবে ও আলাদা করবে। 

আউটসোর্সিং এর কিছু ঝুকিপূর্ণ দিক- 

আউটসোর্স  করার সময় আপনার বিজন্যাসের Turn Around অনেক সময় স্লো হয়ে যেতে পারে। 

যে কাজটি করিয়ে নিচ্ছেন বা যে সার্ভিসটি গ্রহণ করছেন, তার ভাল মন্দ যাচাই বাছাই করার ক্ষমতা না থাকলে, আপনি ঠকে যেতেই পারেন যেকোন সময়। 

যখন আপনি ফ্রিল্যান্সার বা অন্য কোন কোম্পানি থেকে আউটসোর্স করবেন, তখন স্বভাবতই ওই পুরো ব্যাপারটির উপর আপনার সম্পূর্ণ কন্ট্রোল থাকবে না। এটি অনেকক্ষেত্রে কিছু অস্বস্তিকর অনুভূতি এনে দিতে পারে। তবে আপনি যদি রিলেশনশিপ বিল্ড আপে দক্ষ হন ও ভাল ম্যানেজমেন্ট করতে জানেন, তবে এটি তেমন কোনও সমস্যা নয়। 

অনেক সময় ভাষা, টাইম জোন ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য আউটসোর্সিং-এর ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে কাজ করতে পারে, যদি আপনি সময়ের সাথে সাথে নিজেকে বৈশ্বিক হিসেবে গড়ে তুলতে না পারেন। 

যদি আপনার আউটসোর্সিং ও বিজন্যাস নলেজে প্রচুর গ্যাপ থাকে, বা অভিজ্ঞ না হন- সেক্ষেত্রেও আউটসোর্সিং আপনার জন্য উপকারী ব্যবসায়িক পন্থা হিসেবে ধরা না-ও দিতে পারে। 

কি কি ধরনের কাজ আউটসোর্স করা যায়? 

আউটসোর্স করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে টাকা, সময় ও শ্রমকে সাশ্রয় করে নিজের ব্যাবসাকে উন্নত ও গতিশীল করা। এই ক্ষেত্রে ঠিক যে কাজগুলো অনলাইন বা অফলাইনে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে করা যায়, ঠিক তেমনি একি কাজগুলোকে আউটসোর্স-ও করা যায়।

মানে, মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। একখানে হায়ারড হওয়া (ফ্রিল্যান্সার), আর একখানে হায়ার করা (আউটসোর্সার)। নিচে আউটসোর্সিং করা যায়, এমন কিছু কাজের নাম জেনে আসি তবে- 

  • কন্টেন্ট রাইটিং, কপি রাইটিং 
  • সেলস & মার্কেটিং 
  • একাউন্টিং ও বুকিকিপিং 
  • ডিজাইন ও ম্যানুফ্যাকচারিং 
  • গ্রাফিকস ডিজাইন 
  • অডিও, ভিডিও এডিটিং 
  • কাস্টমার সার্ভিস 
  • এডমিন্সট্রেশন ও ব্যাক অফিস সার্ভিস 
  • পারসোনাল এসিস্ট্যান্ট বা VA 
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট 
  • এসইও এক্সপার্ট 
  • ব্লগার 
  • প্রোগ্যামার 
  • ডাটা এন্ট্রি অপারেটর 
  • হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার 
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার 
  • ফ্লিপার 
  • ট্যাক্স ফিলিং এক্সপার্ট 
  • ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট আউটসোর্স 
  • আউটসোর্স পে রোল প্রসেসিং এক্সপার্ট 
  • রিসার্চ & সাপোর্ট 
  • শিপিং ও লজিস্টিকস 
  • আইটি ম্যানেজমেন্ট 

যেকোন ধরনের সৃষ্টিশীল কর্ম, যেমন- কারো আঁকা ছবি, গাওয়া গান, লেখা কবিতা, গানের কথা/লিরিক্স/সুর, ইত্যাদি ইত্যাদি…

এছাড়াও আরও বহু বহু কাজ আউটসোর্স করা যায়, আউটসোর্সিং করার ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে।

আউটসোর্সিং করতে কিভাবে লোক নির্বাচন করব?

আউটসোর্সিং যেমন বিশাল এক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়, তেমনি সঠিক লোক নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটা চ্যালেঞ্জ থেকেই যায়। তবে এ থেকে আপনি কিছু ট্রিকস অনুসরণ করে সহজেই একটা ভাল সমাধানের দিকে এগোতে পারেন। 

যেমন- আপনি যদি যেকোন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে একটা জব পোস্ট দেন বা কোনও ফ্রিল্যান্সারকে প্রপোজাল পাঠান। সেক্ষেত্রে আপনি সেই সব ব্যক্তি বা ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইলে থাকা পূর্বের কাজের রেটিং ও রিভিউ দেখে একটা আন্দাজ করতেই পারবেন যে, সে বা তারা আপনার কাজটি করতে পারবে কি না।

এছাড়া আপনার কাজটি যদি বেশ চ্যালেঞ্জিং হয় না এমন কোনও ফ্রিল্যান্সারকে পেলেন যে একজন ফ্রেশার কিন্তু মনে হচ্ছে পটেনশিয়ালটি আছে, সেক্ষেত্রে আপনি পেইড বা সমঝোতার মাধ্যমে ছোটখাটো একটা বা দু’টো টেস্ট করে নিতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি কিচেন রিলেটেড কোনও টপিক নিয়ে অনেকগুলো আর্টিকেল লিখিয়ে নিতে চাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিং যেকোন সাইট থেকে। সেক্ষেত্রে আপনি ২০০ ওয়ার্ডের একটা প্যারাগ্রাফ লিখে নিতে পারেন। সেটি হতে পারে পেইড বা প্রজেক্টটি বা কাজ পাবার একটা শর্ত।

লেখাটি বা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারগুলোর লেখাগুলো হাতে পাবার পর তাদের লেখার কোয়ালিটি নিজে বা পরিচিত অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে যাচাই করে নিয়ে সহজেই কাঙখিত ব্যাক্তি বা ফ্রিল্যান্সার বা কোম্পানিকে আপনি (আউটসোর্সার হিসেবে) সিলেক্ট করে নিতেই পারবেন।

এই ধরনের ট্রিকস অন্য যেকোন আউটসোর্স করার কাজে বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করে সঠিক লোকটি নির্বাচন করে নিতে পারবেন।

কিভাবে আউটসোর্সিং করার জন্য পোস্ট দিতে হয়?

দেখুন, সব ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে খুব সহজেই আপনি আপনার নির্দিষ্ট কাজটির জন্য লোক হায়ার করতে পারবেন খুব সহজেই। তবে সব সাইট কিছু আলাদা ক্রাইটেরিয়া রাখে, মানে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখতে চায়। তবে বেসিক সবকিছু একই। 

একাউন্ট করতে হবে আউটসোর্স করতে গেলে- এটা সবখানে একই। তবে ফাইভারের ক্ষেত্রে জব ডিটেইলস সেভাবে না লিখেও আপনি বিভিন্ন সেলারের গিগ দেখে ডিরেক্ট অর্ডার করতে পারেন। যদি আপনার পছন্দ হয় রিভিউ, রেটিংস দেখে।

আপওয়ার্ক ও ফ্রিল্যান্সারের জব পোস্ট করা মোটামুটি একই। সেটি নিয়েই এখানে একটু আলোচনা করতে চাই। নিচে মূলত আপওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা করছি 

প্রথমেই আউটসোর্সার বা বায়ার বা জব গিভার হিসেবে একটা সুন্দর একাউন্ট করে ফেলুন। 

তারপর কি ধরনের কাজ বা প্রজেক্ট করাতে চাইছেন তার নাম ও ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন। এইখানে সবকিছু খুব স্পষ্ট করে দেয়া উচিত, যেন ফ্রিল্যান্সাররা আপনার চাহিদা সহজেই বুঝতে পারে।

আপনার জব নিয়ে একটা ইফেক্টিভ ডেস্ক্রিপশন লিখুন। যেখানে কতটি কাজ, কতগুলো কাজ, বা কতদিনের জন্য আপনি কাউকে হায়ার করতে চান, কি ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে আপনার জবে, কি কি করতে হতে পারে, ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা দিন।

প্রজেক্ট ডিটেইলস এ গিয়ে স্পষ্ট করে প্রজেক্টটি ওয়ান টাইম না কি লং টাইম, একক ফ্রিল্যান্সার চাচ্ছেন না কি দলগত নাকি কোম্পানি খুঁজছেন আপনার কাজটি সম্পন্ন করার জন্য সেটিও লিখুন। কাজের কিছু স্যাম্পল শেয়ার করতে পারেন, এবং বলতে পারেন এই ধরনের কাজ বা আইডিয়া মাথায় ঘুরঘুর করছে। কিন্তু আমি এর চেয়ে ভাল কিছু আশা করছি। লগো ডিজাইনের ক্ষেত্রে সেটা হতে ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা একটি ইমেজ। এরকম অনান্য জবের জন্য যেটি প্রযোজ্য হবে, সেরকম কিছু প্রোভাইড করতে পারেন। আসলে, করা উচিত।

এরপর এক্সপার্টাইজ সেকশনে গিয়ে একজন ফ্রিল্যান্সার বা কোম্পানির কাছে আপনি কী ধরনের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা আশা করেন- সে সম্পর্কে অল্প কথায় সুন্দর করে গুছিয়ে লিখুন। 

আপনি যদি নির্দিষ্ট একটি দেশ বা অঞ্চলের লোকজনকেই শুধু আপনার কাজটি দিতে বা করিয়ে নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তবে ফ্রিল্যান্সার ইন্ডিকেট লোকশনটিকে কাজে লাগিয়ে সেইসব অঞ্চল, দেশ সিলেক্ট করুন।

তারপর আপনি চুজ করতে পারেন- কে কে আপনার জব পোস্টটি দেখতে পাবে। অপশন পেয়ে যাবেন, সেখান থেকে ইচ্ছেমতো চুজ করে নিতে পারেন।

সবশেষে কত টাকা আপনি আপনার কাজটি সম্পন্ন করার জন্য ব্যয় করতে চান সেটি একদম স্পষ্ট করে দিন। হতে পারে সেটা আওয়ারলি পেমেন্ট কিংবা ফিক্সড পেমেন্ট। আওয়ারলি বলতে প্রতি ঘন্টায় ফ্রিল্যান্সারের কাজের জন্য কত টাকা বা ডলার আপনি স্পেন্ড করতে চান। আর ফিক্সড মানে, পুরো কাজ বা প্রজেক্ট শেষ করার পর আপনি কি পরিমাণ পে করতে চান। অতি অবশ্যই যত ভাল কাজ চাইবেন, ততটা গুড় বা টাকা আপনাকে অফার করতে হবে।

আপনার জব পোসটি পুনরায় রিভিউ করুন। কিছু বাদ গেল কি না, বা ভুল হল কি না। আপনার অনান্য কো-ওয়ার্কার সেখানে আগে থেকে থাকলে, তাদের জব পোস্টটি মেইল-ও করতে পারেন।

আর জব পোস্ট করার পর কোয়ালিফাইড ক্যান্ডিডেটদের যাচাই করুন। সেক্ষেত্রে এই আর্টিকেলে লেখা “আউটসোর্সিং এর জন্য কিভাবে লোক নির্বাচন করব“- এই প্যারাটি আপনাকে আইডিয়া জেনারেট করতে সাহায্য করবে।

ফ্রিল্যান্সার ডট কম-এও মোটামুটি একইভাবে জব পোস্ট করতে পারবেন আউটসোর্সিং এর জন্য লোক নির্বাচন করার ক্ষেত্রে৷

আর তবুও বুঝতে সমস্যা হলে গুগল বা ইউটিউবে সার্চ করুন- How to post a job in upwork/fiverr/freelancer/guru/designshill – ইত্যাদি এভাবে লিখে। 

আউটসোর্সিং করার ওয়েবসাইটগুলো কি কি? 

এই আর্টিকেলের শুরুতেই আমি ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলাম যে- ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর মাঝে কিছু ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যতা থাকার কারণে আমি কিছু জিনিস একই স্থানে আলোচনা করব, যা দুই ক্ষেত্রেই ফলপ্রসূ হবে। এই যেমন আপনি যেখানে ফ্রিল্যান্সিং-এর জন্য বিভিন্ন জব পোস্ট খুঁজে পাবেন, ঠিক একই স্থানে আপনি কিন্তু আউটসোর্স-ও করতে পারবেন। কারণ, যারা ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করেন, তারা সবাই কিন্তু এক দিক দিয়ে আউটসোর্সার।

আসুন এবার দেখে নেয়া যাক আউটসোর্সিং করার জন্য কিছু বেস্ট ওয়েবসাইটের নামগুলোকে – 

  • Upwork Inc.
  • Fiverr
  • Freelancer
  • Guru
  • PeoplePerHour
  • Writer Access
  • 99designs
  • DesignHill
  • Creative Market
  • Toptal
  • Airfleet
  • Amazon Mechanical Turk
  • Gigster

আউটসোর্সিংয়ে কিভাবে পেমেন্ট দিতে হয়?

আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেক পেমেন্ট মেথড আছে। এই উপরের প্যারাতেই বললাম কিভাবে একজন জব গিভার বা আউটসোর্সার পেমেন্ট সিস্টেম ফিক্সড করতে পারে – আওয়ারলি আর ফিক্সড।

আর অন্য যেগুলো পড়ে রইলো সেগুলো হচ্ছে কি কি উপায়ে, মানে পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করব আপনি ডলার সেইসব মার্কেটপ্লেসে জমা বা ডিপোজিট করতে পারেন একজন আউটসোর্সার হিসেবে।ডলার ডিপোজিট করে জব পোস্ট করলে ফ্রিল্যান্সার বা কোম্পানিগুলো জব গিভার নিয়ে ভাল ধারণা পায়, বিশ্বাস পায়।

এছাড়াও আউটসোর্সার বা জব গিভার হিসেবে আপনার প্রোফাইল রেটিং ও প্রোফাইল কমপ্লিটনেসের হার এক্ষেত্রে বেশ ভাল ভূমিকা পালন করে। তবে ডলার ডিপোজিট করলে, এসব আর সমস্যা হিসেবে গণ্য হয় না কারো কাছে। বিকজ মানি টকস এভ্রিহোয়ার!

এবার দেখি কি কি উপায়ে বা পেমেন্ট মেথড ইউজ করে যেকোন মার্কেটপ্লেসে আউটসোর্সার হিসেবে ডলার ডিপোজিট করা যেতে পারে-

  • Bank Account (Debit/Credit Cards(
  • Payoneer
  • PayPal
  • Skrill
  • Google Pay
  • Western Union and Moneygram
  • EFT
  • Wire Transfer
  • Escrow
  • Paymo
  • Accounting Software
  • Wise
  • Stripe

আরও কিছু পেমেন্ট মেথড।

এরমধ্যে Bank Account, Payoneer, Paypal, Skriil, Transfer Wire, Western Union হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রায় সব সাইটেই গ্রহণযোগ্য পেমেন্ট মেথড।

আর বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বড় আক্ষেপের নাম হয়ে আছে PayPal! কারণ বৈধ উপায়ে বাংলাদেশ থেকে পেপালে ডলার আদান-প্রদান করা সম্ভব নয়। 

তবে আউটসোর্সার হিসেবে যে সাইটেই ডলার ডিপোজিট করতে যাচ্ছেন, সেখানে চেক করে নেবেন ঠিক কোন কোন পেমেন্ট মেথড সেই সাইটটি এপ্রুভ করে।

আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব? 

আউটসোর্সিং করার জন্য একটা ভাল বিজন্যাস সেন্সের প্রয়োজন হলেও সবক্ষেত্রে একজন স্কিল্ড প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হবার দরকার নেই- এটুকু এতক্ষণে ক্লিয়ার হয়ে যাবার কথা।

আর সবার তো সবকিছু জানার প্রয়োজন নেই, কাজেরটুকু জানলেই দিব্যি চলে যায়। তবে যেখানে যে জিনিসটাই আউটসোর্স করেন না কেন, তা যাচাই বাছাই করে নেবার ক্ষমতা ও যোগ্যতা অবশ্যই থাকা উচিত। নইলে, আউটসোর্সিং দুঃস্বপ্ন হিসেবে ধরা দিতে খুব বেশি সময় নেবে না!

এক্ষেত্রে এক কাজ করা যেতে পারে- আউটসোর্স করার আগে নিজে কিছুদিন বিভিন্ন বিষয়ের প্রশিক্ষণ নেয়া বা জানা, কিংবা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে কাজ করা যেতেই পারে। এতে স্কিল্ড তো হওয়া যাবেই কিছু ব্যাপারে, সেই সাথে অভিজ্ঞতাও অর্জন করা হবে।  এবং পরবর্তীতে আউটসোর্সিং-এর হাতে খড়িতে এটি নিঃসন্দেহে কাজে দেবে। 

আউটসোর্সিং করে আয় কিভাবে করবেন? বুদ্ধি কী? 

অনেকেই জিজ্ঞেস করেন কিভাবে আউটসোর্সিং করে আয় করবেন? আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন, তবে এর উত্তর নিজে নিজেই পেয়ে যাবার কথা।

এটি খুব সিম্পল- যদি আপনি বিজন্যাস ওনার হন তবে আপনার লাভ-  কম ইনভেস্টমেন্ট ও সময়ের সদ্ব্যবহার। আর আপনি যদি অনেক বড় মাপের ফ্রিল্যান্সার বা মার্কেটার হন, তবে আপনি নিজে অনেকগুলো কাজ নিয়ে সেগুলোকে অন্য যায়গায় নির্দিষ্ট ফি-এর বিনিময়ে বণ্টন করে দিয়েও একজন মধ্যসত্বভোগী হিসেবে আয় করতে পারেন।

এইখানে আপনি একজনের কাছে ফ্রিল্যান্সার, আবার একই ভাবে যাদের বণ্টন বা হায়ার করলেন, তাদের জন্য আপনি একজন আউটসোর্সার। 

আউটসোর্সিং হালাল নাকি হারাম?

এই প্রশ্নটি আজকাল প্রায় সব ক্ষেত্রে, কাজে পাওয়া যায় অহরহ। নাহ, জানতে চাওয়া খারাপ নয়, বা প্রশ্নটি খারাপ নয়। এইক্ষেত্রে ছোট্ট একটা উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি ক্লিয়ার করার চেষ্টা করছি।

ধরে নিলাম আপনি একজন প্রাক্টিসিং মুসলিম ও ইসলামের হারাম-হালাল মেনে চলেন কঠোরভাবে। সেক্ষেত্রে ইসলাম যে ধরনের কাজ বা অর্থ উপার্জনের মাধ্যমের সাথে জড়িত থাকতে “মানা” করে দিয়েছে, সেসকল কাজের সাথে সম্পৃক্ত সকল কাজ (আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং) হারাম বা করা উচিত নয়। যেমন- সুদ, মদ, এসকোর্ট সার্ভিস, জুয়া, ইত্যাদির সাথে সম্পৃক্ত যেকোন ধরনের আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ।

আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার কর‍তে পেরেছি।

শেষ কথা… 

নেটে আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেক ভুলভাল  লেখা চাক্ষুষ করার প্রেক্ষিতে আসলে এই সামান্য বিষয় নিয়ে আমার লেখার আগ্রহ জন্মেছে।

এছাড়াও  অনেকে বিভিন্ন ব্যাক্তি বা সাইটের (নাম উল্লেখ পুর্বক) ভুল ধরতে গিয়ে নিজেরাই খেই হারানো গপ্পো শুরু করে দিয়েছে- এমনও চোখে পড়েছে! দিন শেষে এই আর্টিকেল যদি আপনাকে আউটসোর্সিং কি? কিভাবে আউটসোর্সিং করা যায়? কিভাবে আউটসোর্সিং করে আয় করা যেতে পারে? – এমন সব ব্যাপারে ন্যুনতম সাহায্য করতে পারে, তাতেই আমি নিজেকে সার্থক হিসেবে মানতে রাজি আছি। 

এই কোভিডকালীন দুর্যোগের সময় অনলাইনের দুনিয়া যেখানে দোর্দণ্ডপ্রতাপে রাজত্ব করে চলেছে, তখন আসলে অনলাইনের এই সব কাজ নিয়ে অন্তত ধারণা না থাকাটা বিশাল বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।

তাছাড়া এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে যেখানে  প্রতি বছর আউটসোর্সিং-এর স্ট্যাটিস্টিকস সার্বিকভাবে উর্দ্ধ্বমুখী, সেখানে এই সম্ভাবনাময় সেক্টর থেকে মুখ ঘুরিয়ে থাকাটা অসম্ভব একটি কাজ।

কারণ Compare Camp এর হিসেব অনুযায়ী শুধু আইটি সেক্টরেই প্রতি বছর আউটসোর্স করার পরিমাণ ১০-১৫% হারে বেড়ে চলেছে, এবং এটি একটি বিলিয়ন ডলার ইন্ডাস্ট্রি।

এখন সিদ্ধ্বান্ত আপনাদের হাতে – আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যান্সিং, ইত্যাদি অনলাইনে আয় করা নিয়ে জানবেন কি না? এটি তো এখন স্পষ্ট যে, ইন্টারনেট ভিত্তিক ক্যারিয়ার, ব্যবসা ও ইনকামের বুদ্ধি-ই আসলে আগামীর কথা বলে। এটাই আজকের আগামী ও কালকের বর্তমান হবেই হবে সবক্ষেত্রেই। 

আউটসোর্সিং কি? এবং আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর কোন কিছু জানার বা সাহায্য লাগলে নিচে কমেন্ট করুন।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles