আউটসোর্সিং কি ? এর মাধ্যমে আয় কিভাবে করব

আউটসোসিং : বর্তমান ডিজিটাল যুগে দ্রত গতির ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে সেই কাজটি তুলে ধরে কাজের বিনিময়ে মুজরি বা  টাকা আয় করাকে আউটসোসিং বলে ।

ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটারের ম্যধ্যমে বর্তমানকালের 3G-4G দ্রতগতির ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে আইসিটি বিষয়ে কাজ করে তা বিশ্বের দরবারে ছরিয়ে  দেওয়া কে  আউটসোসিং  বলে।

বর্মানের যুগ কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের যুগ, এই যুগে অধিকাংশ লোকেই ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল । বাজারের কেনাকাটা থেকে শুরু করে অফিস আদালতের কাজ সহ বিভিন্ন কাজ বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে হচ্ছে ।

যেহেতু ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই কাজ হয় সেহেতু  বাইরের উন্নত দেশের লোকজন এই ধরনের কাজ করানোর জন্য নিম্নমূল্যে অন্যান্য ছোট উন্নয়নশীল দেশের লোকদের দ্বারাই কাজ করাতে আগ্রহী।

 আউটসোসিং কারা করে: আউটসোসিং যারা মূলত আইসিটি বিষয়ে দক্ষ তা কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ ধর্য্য ধারন করে করতে পারে তাদের দ্বারাই আউটসোসিং সম্ভব।

আউটসোসিং এর কাজগুলোর কী : আউটসোসিং করতে হলে ব্লগিং ,ইউটিউবিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন , ওয়েব ডিজাইন, অ্যাপ ডিপলোভমেন্ট , প্রোগামিং সহ  বিভিন্ন জটীল ও কঠিন কাজ করতে হয়। তবে ধর্য্য হারালে হবে না আউটসোসিং করতে হলে আরও অনেক সহজ কাজ আছে।

যে গুলো করে সহজে টাকা ইনকাম করা যায়। মাইক্রো সাইটে ব্লগিং ,সার্ভে, টাইপিং, আর্টিকেল রাইটিং ,ইমেজ  আ্যনিমেশন তৈরি , লোগো ডিজাইন সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে।

যোগুলো ভালো ভাবে আয়ত্বে এনে দক্ষতার দারা টাকা ইনকাম করা যায়। 

আউটসোসিং শুরু আগে : আউটসোসিং শুরুর আগে এর  আগাগোড়া সব জানতে হবে , সঠিক জায়গায় সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। সঠিক ভাবে মার্কেটপ্লেসের একাউন্ট খুলতে হবে ।

সঠিক ভাবে সঠিক জায়গায় কাজের জন্য আবেদন করতে হবে । বিভিন্ন মাকের্টপ্লেসে কাজের আবেদন করে ধর্যধারন করে অপেক্ষা করতে হবে কাজের আবেদন মন্জুর হলে যতাযত দক্ষতার সাথে যত্ন সহকারে কাজ করে জমা দিতে হবে এবং কাজ যদি ভাল হয় তাহলে কাজ গ্রহনকারি কতূপক্ষ কাজের বিনিময়ে অবস্যই মুজরি দিতে বাধ্য ।

আউটসোসিং এর কাজগুলোর মধ্যে নিম্নলিখিত কাজগুলোর করে টাকা ইনকাম করা যাবে : 

(১)ব্লগিং: 

ডোমেইন হোস্টিং নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে বা ফ্রি ব্লগিং করার জন্য ব্লগার অথবা ওয়ার্ডপ্রেস এ ব্লগ তৈরি করে নির্ধারিত একটা বিষয়ে নিয়মিত ব্লগপোস্ট করে ভিজিটর আনিয়ে গুগল আ্যডসেন্স আবেদন করে আ্যডসেন্স যদি এপ্রভ হয় সেখান থেকে মোটামুটি একটা ভাল ইনকাম করা সম্ভব।

এর জন্য আপনাকে ভাল একটা বিষয় যেমন পড়াশুনা, লাইফস্টাইল,তথ্য -প্রযুক্তি, খেলাধুলা ,বিনোদন, যেকোন একটা বিষয়ে ভাল ধারনা নিয়ে নিয়মিত আপনার ব্লগে আর্টিকেল লিখতে হবে।

মনে রাখতে হবে আর্টিকেল গুলো যেন নিজস্ব হয় অন্যের কপি করা লেখা যেন না হয়। শুরুতে কিছুটা কষ্ট হলেও ধর্যধারন করে আগাতে হবে। 

(২) ইউটিউবিং:

আউটসোসিং এর অন্যতম একটা বিষয় হলো ইউটিউবিং । আপনার উপস্তাপনা ক্ষমতা  যদি ভাল হয় তা হলে নির্ধিতায় ইউটিউবের জন্য ভাল মানের ভিডিও তৈরি করে আপলোড দিলে সেখানে ভাল একটা প্লাটফর্ম তৈরি করলে আ্যডসেন্স এপ্রুভ করিয়ে  যথাযথ নিয়ম মানলে সেখান থেকে আয় করা সম্ভব।

(৩)মাইক্রো সাইটে কাজ:

ছোট ছোট কাজ করার জন্য অনেক    মাইক্রো সাইট রয়েছে যেগুলো তে বিভিন্ন রকম কাজ করে অল্প অল্প করে একটা ভাল ইনকাম করা যায়।

(৪) মার্কেটপ্লেসে কাজ:

আপনার যদি ভাল দক্ষতা থাকে প্রফেশনাল ভাবে ওয়েব ডিজাইন , আ্যপ ডিপ্ললভমেন্ট , গ্রাফিক্স ডিজাইন ,প্রোগামিং ইত্যাদি বড় ধরনের কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে মার্কেটপ্লেসের একাউন্ট খুলতে হবে ।

এবং সেখানে কাজের আবেদন করে কাজ নিয়ে, যথাযত ভাবে কাজ করে কাজ জমা দিয়ে , কাজের মুজরি পাওয়া যায় । 

(৫) ডিজিটাল মার্কেটিং:

কোন পন্য বা দ্রব্য বিক্রি করার জন্য মার্কেটিং করতে হয় বর্তমানে যেহেতু লোকজন  ইন্টারনেটের উপর বিশেষ করে সোস্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভরশীল তাই এই সব সোস্যাল মিডিয়ার যথাযত ব্যবহার করে।

পন্য দ্রব্যের মার্কেটিং কাজ, অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং করেও বিপুল পরিমান টাকা ইনকাম করা যাবে ।তবে এসব কাজ ধীরে ধীরে আয়ত্বে এনে দক্ষতার সাথে কাজ করতে হবে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles