প্রথমেই বলে রাখি, আমি তেমন একটা ভালো ব্লগার বা লেখক নই। তাই, আমার এই আর্টিকেলে ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকে ভিন্নধর্মী একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব আপনাদের সাথে।
সেটা হল, প্যাসিভ ও অ্যাক্টিভ ইনকামের ধারণা নিয়ে। তাহলে চলুন, কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয়ে আসা যাক।
প্যাসিভ ইনকাম আর অ্যাক্টিভ ইনকামের মধ্যে পার্থক্য:
অর্থ ইনকামের মাধ্যম মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো, একটিভ ইনকাম। আর অপরটি হলো, প্যাসিভ ইনকাম।
একটিভ ইনকামের চেয়ে, প্যাসিভ ইনকামের ধরনটি অত্যন্ত সহজ। কারণ, এই মাধ্যমটিতে শ্রম কম দিয়ে, অধিক লাভবান হওয়া যায়।
অন্যদিকে, অ্যাক্টিভ ইনকাম করতে শ্রমের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু, একটিভ ইনকামের ক্ষেত্রে লাভ কম। মূলত, এখানে শ্রম যতক্ষণ, লাভ ও হয় ততক্ষণ।
প্যাসিভ ইনকাম এর ঠিক উল্টো। ইনকাম উভয় দিকেই হয়, তবে একটিভ ইনকামের তুলনায়, প্যাসিভ ইনকামের সুবিধাটা একটু বেশি।
প্যাসিভ ও অ্যাক্টিভ ইনকামের ধারণা:
এক কথায় বলতে গেলে, অল্প কাজ করে, অধিক সময়ে ওই কাজ হতে লাভ গ্রহণ করাকে প্যাসিভ ইনকাম বলে। অর্থাৎ একটি কাজ করে দীর্ঘদিন ধরে সেই কাজ হতে ইনকাম করা। আর এক্টিভ ইনকামে যতটুকু পরিশ্রম করা হয়, ততটুকুই ইনকাম।
বর্তমানে আমরা কোন অবস্থানে আছি এবং আগামীতে আমরা কোন অবস্থায় থাকবো, আগামীকাল আমাদের ইনকাম কেমন হবে? সেটাই নিয়ে চিন্তা করতে থাকি। এজন্য, আমরা বেশিরভাগ সময় ভবিষ্যৎকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
তাই, আমরা প্রত্যেকেই চাই ভবিষ্যতের জন্য কিছু অর্থ সঞ্চয় করে রাখতে। অন্য কোন সোর্সে অর্থ বিনিয়োগ করতে। সেই ক্ষেত্রে, প্যাসিভ ইনকাম একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে সবার জীবনে।
এটি এমন একটি ইনকাম, যেখানে মূলত, ভবিষ্যতের দিনগুলোতে ইনকামের এই মাধ্যমটিকেই সবাই বেছে নিবে। কারণ, এই আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে প্রযুক্তি যতই উন্নতি করছে, মানুষ দিন দিন ততই লাভবান হচ্ছে।
তাই বলা চলে, যে একটিভ ইনকামের পাশাপাশি, প্যাসিভ ইনকাম ই হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের একটি আয়ের উৎস। কারণ, প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, আমাদের ইনকামের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে। এখন, অনেকেই একটিভ ইনকাম এর পাশাপাশি প্যাসিভ ইনকাম ও করছে।
যেমন: বিভিন্ন ধরনের ব্লক লেখালেখি, কনটেন্ট ভিডিও তৈরি করা ইত্যাদি এই সকল প্যাসিভ ইনকামের ই উৎস। জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম এটাও একটা প্যাসিভ ইনকামের উৎস হতে পারে।
good job
You must be logged in to post a comment.