আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। একবার ভেবে দেখুন ত; আপনি কোনো ব্যক্তির অধীনে না থেকে, কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে, নিজের ইচ্ছানুযায়ী, নিজের মন মত কাজ করে দৈনিক হাজার টাকা থেকে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করে নিলেন।
কি ভাবছেন?সম্ভব নয়। হয় ত আপনার কাছে অবাক লাগতাছে কিন্তু এটা আসলেই সম্ভব একটা বিষয়। আর সম্ভব বলেই এইভাবে কাজ করে হাজার মানুষ তাদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করে নিয়েছে। শুধু আপনি আমিই এখনো বসে আছি। পিছিয়ে পড়ছি আমরা যারা এখনো হাত গুটিয়ে বসে আছি।তাই আর বসে না থেকে আজ থেকেই এই কাজ অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখা শুরু করে দিন।
আর আমি আপনাদেরকে এতক্ষণ ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি ইঙ্গিত করতেছিলাম যেখানে আপনি থাকবেন একেবারে স্বাধীন।ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা বিষয়,,আপনি চাইলে পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।আপনি চাইলে আপনার চাকরির পাশাপাশিও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। আসলেই মজার একটা বিষয়। নিজের খরচ বহন করার পাশাপাশি পরিবারকে ভালো একটা সাপোর্ট দিতে পারবেন আপনি। আপনার পড়াশোনা, চাকরির, অন্যান্য কাজ ইত্যাদির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করলেন, মাসে ভালো একটা পরিমাণ টাকা ইনকাম করলেন।
ভেবে দেখুন ত আপনার জন্য, আপনার পরিবারের জন্য কতটা ভালো হবে। হুম,অনেক ভালো হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখা শুরু করে দিন। দেখবেন ফ্রিল্যান্সিং এর অন্তর্ভুক্ত অনেক অনেক কাজ আছে।
এতগুলোর কাজের মধ্যে শুধু একটা কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে দিতে পারবেন। যেকোনো একটা কাজে দক্ষতা অর্জন করা তেমন কোনো কঠিন ব্যাপার না। শুধু আপনার ইচ্ছা, শ্রম, ধৈর্য থাকলেই আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দমত যেকোনো একটা কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। আর শুরু করে দিতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ।কিন্তু আপনি যদি কোনো একটা কাজে দক্ষতা অর্জন না করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে দেন,তাহলে এটা হবে সবচেয়ে বোকামি। আগে নিজের পছন্দমত কোনো একটা কাজে দক্ষতা অর্জন করুন, তারপর ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করুন। দেখবেন,নিজেকে সহজেই প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।
আর যারা নতুন তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কি,ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি সুবিধা রয়েছে,কিভাবে করতে হয় এই কাজ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হলো:
ফ্রিল্যান্সিং কি:
ফ্রিল্যান্স (Freelance) শব্দটি Free এবং Lance দুটি শব্দের সমান্বয়ে তৈরি।অর্থাৎ এটি মুক্ত পেশা।ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে কাজের চুক্তি করে সেই কাজ শেষ করে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের কাছে পৌছানোর মাধ্যমে আয় করাকে সংক্ষেপে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।
ফ্রিল্যান্সার কারা:
ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) হলো যারা ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থাৎ এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোনো নির্দ্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে কোনো প্রকার চুক্তিবদ্ধ না হয়ে অর্থের বিনিময়ে স্বাধীন ভাবে কাজ করে থাকে।তাদের পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট নয়।তারা নিজেরা তাদের পারিশ্রমিক ক্লায়েন্ট এর সাথে চুক্তি করে নিয়ে থাকেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা সমূহ:
১.একজন ফ্রিল্যান্সার নিজেই তার পচ্ছন্দের কাজ বেছে নেয়, এক্ষেত্রে কেউ তাকে জোর করে কোনো কাজ চাপিয়ে দিতে পারে না।
২.আপনি কত পারিশ্রমিক মূল্যে কাজ করবেন এটা অনেক সময় আপনি নিজেই নির্ধারন করে থাকেন।
৩.আপনি ফ্রিল্যান্সিং যেকোনো সময় শুরু করতে পারেন। এর জন্য খুব বেশী কোনো পূর্ব প্রস্তুতি দরকার পরেনা। শুধুমাত্র আপনি কোন একটি নির্দ্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হলে ঐটা নিয়েই কাজ শুরু করতে পারবেন।
৪.একজন ফ্রিল্যান্সার কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করবে এটি সে নিজেই নির্ধারন করতে সক্ষম। এক্ষেত্রে তার পূর্ণ ইচ্ছা স্বাধীনতা রয়েছে।
৫.আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হলে আপনি নিজেই নিজের কাজের সময় নির্ধারন করবেন। এখানে কাজের সময় নির্ধারনে স্বাধীনতা রয়েছে।
৬.একজন ফ্রিল্যান্সার নিজেই তার কাজের ছক অংকন করে এবং নিজেই সেটি পরিচালনা করে থাকে।
ইত্যাদি অনেক সুবিধা রয়েছে এই ফ্রিল্যান্সিং এ।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব:
ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে অনলাইন হতে টাকা আয় করা যায়। সুতরাং অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য আপনার একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। বর্তমানে অনেক কাজ রয়েছে যা মোবাইল ফোনে করা যায়।তাই ফোনের মাধ্যমেও শুরু করতে পারবেন।
তারপর ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি প্রয়োজন হবে সেটি হচ্ছে, আপনার কোন একটি বিষয়ে কাজ করার দক্ষতা (Skill) থাকতে হবে। এখন আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কোন কাজটি ভালোভাবে পারেন, যেটি কেউ আপনাকে করে দিতে বললে আপনি খুব সহজে করে দিতে পারবেন। যে কোন কাজে আপনার অভীজ্ঞতা, দক্ষতা ও কাজ করার ইচ্ছা থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে স্মার্ট এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন। কোন বিষয়ে দক্ষতা না থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না।
আপনার যদি কোন বিষয়ে অভীজ্ঞতা না থাকে, তাহলে আপনাকে প্রথমে কোন একটি কাজ ভালোভাবে শিখে নিতে হবে। কাজ শেখার ক্ষেত্রে আমি বলব, যে বিষয়ে কাজ করার জন্য আপনার আগ্রহ আছে এবং যে কাজ আপনি সহজে শিখতে পারবেন বলে মনে করেন, আপনি অবশ্যই সেই কাজ শিখে নিবেন। এ ক্ষেত্রে কাজ শেখার জন্য ৬ মাস থেকে ১ বছর ব্যয় করুন।
তাই আর বসে থাকবেন না। এখন থেকেই শিখার কাজে লেগে পড়ুন।পছন্দমত কোনো একটা কাজে দক্ষতা অর্জন করে ফেলুন।তারপর ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলুন।।
বি.দ্র: কোনো একটা কাজে দক্ষ না হয়ে কেউ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কখনোই শুরু করতে যাবেন না।কেননা, এতে করে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের বদনাম হয়।আর আপনিও ফ্রিল্যান্সিং এর কাজে পুরোপুরি ব্যর্থ হবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
You must be logged in to post a comment.