আপনি নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন যে গুগল প্লে স্টোর থেকে আয় করা যায়। কিন্তু আয় করার উপায় গুলো জানেন না। যদি গুগল প্লে স্টোর থেকে আয় করার উপায় গুলো জানতে চান, তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
গুগল প্লে স্টোর থেকে আয় করার উপায়ঃ
গুগল প্লে স্টোর থেকে বিভিন্নভাবে আয় করতে পারবেন। যদি আপনার আয় করার উপায় গুলো জানা থাকে, তাহলে আপনি যে কোন একটি উপায় অবলম্বন করে খুব সহজে গুগল প্লে স্টোর থেকে আয় করতে পারেন।
আর আপনি যদি আয় করার সঠিক উপায় অবলম্বন করতে পারেন তাহলে আপনি গুগল প্লে স্টোর এর মাধ্যমে আয় করে আপনার ক্যারিয়ার নির্ধারণ করতে পারেন।
কারণ বর্তমান সময়ে পরিবর্তন হয়েছে সাথে সাথে মানুষের ইচ্ছার ও পরিবর্তন হয়েছে। তাই অনেকে ঘরে বসে আয় করার কথা চিন্তা করছে।
আর অনেক মানুষ আছে যারা ঘরে বসে নিজের ইচ্ছা মত কোন একটা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করার মাধমে আয় করছে। মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে আয় করা বর্তমানে টাকা আয় করার সবচেয়ে ভাল মাধ্যম।
নিচে ৪টি উপায় দেওয়া হলো যার মাধমে আপনি প্লে স্টর থেকে আয় করতে পারবেন।
অ্যাপ মনিটাইজেশনঃ
গুগোল প্লে স্টর থেকে অ্যাপ মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার অ্যাপ থেকে টাকা আয় করতে পারেন।
বাংলাদেশের অনেক অ্যাপ ডেভলপার আছে যারা অ্যাপ তৈরি করে ,অ্যাপ এ মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে আয় করে থাকে।
আপনিও চাইলে আপনার অ্যাপ এ বিভিন্ন কোম্পানি এর পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করে আয় করতে পারেন। তাছাড়াও পপ-আপ, ব্যানার সহ অনেক ধরনের উপায় আছে।
যার মাধ্যমে অ্যাপ থেকে আয় করা যায়। অর্থাৎ আপনি আপনার অ্যাপে অ্যাড দেখিয়ে আয় করতে পারেন।
কিন্তু বেশি আয় করার উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত এড শো করান তাহলে আপনারা ব্যবহারকারীরা বিরক্তি বোধ করতে পারে এবং আপনার অ্যাপ নাও ব্যবহার করতে পারে। তাই খুব সাবধানতার সাথে অ্যাপ এ বিজ্ঞাপন প্রচার করা করতে হবে।
অ্যাপ বিক্রি করে আয়ঃ
আপনি চাইলে আপনার অ্যাপ বিক্রি করে দিয়েও আয় করতে পারেন।আপনার অ্যাপ বিক্রি করে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি একজন অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য একটি আয় করার সেরা মাধ্যম। আপনি খুব সহজেই একটা অ্যাপ বানিয়ে তার মধ্যে মনিটাইজেশন অন করে সেই অ্যাপটি অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দিতে পারেন।
আপনি যদি অ্যাপ বিক্রি করে ভালো পরিমান টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনার অ্যাপটি ভালোভাবে ডেভলপমেন্ট করার পাশাপাশি, বেশ জনপ্রিয় হতে হবে।
অ্যাপ যদি বেশ জনপ্রিয় হয়ে থাকে তাহলে সহজে এটি যে কারো কাছে বিক্রি করে দিতে পারবেন।
আপনার অ্যাপ জনপ্রিয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং করতে পারবেন সেক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। আপনি আপনার অ্যাপটি গুগল ফেসবুক বা ইউটিউব এর অ্যাড এর মাধমে প্রচার করে জনপ্রিয় করে তুলতে পারেন।
আপনি চাইলে এমন একটি অ্যাপ তৈরি করতে পারেন যার মাধ্যমে আপনি ইউজারদের ভালো সেবা দিতে পারেন।
ইউজারদের ভালো সেবা দিয়ে আপনি অতি অল্প সময়ে আপনার অ্যাপ অনেক জনপ্রিয় করে তুলতে পারেন। তাই আপনি যদি অ্যাপ বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করার পরিকল্পনা করে থাকেন।
তাহলে আপনার অ্যাপটিকে ভালোভাবে ডেভলপমেন্ট করাতে হবে এবংতার পাশাপাশি বেশ জনপ্রিয় করে তুলতে হবে তারপরেই আপনি অ্যাপ বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
সাবস্ক্রিপশন থেকে আয়:
অ্যাপ সাবস্ক্রিপশন থেকে আয় কিছুটা জটিল একটি মাধ্যম। সাবস্ক্রিপশন বলতে মূলত মাসিক বা বার্ষিক নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে অ্যাপের বিভিন্ন ফিচার ব্যবহারের নিয়ম কে বুঝানো হয়ে।
যেমনঃ নেটফ্লিক্স, স্পটিফাই, ইত্যাদি বিভিন্ন অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্ম সাবস্ক্রিপশন মডেল এর মাধ্যমে বিশাল অংকের আয় করে থাকে অ্যাপ ইউজারদের কাছে ।
তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে এখানে ইউজারগণ ফিচারের বিনিময়ে নিয়মিত অর্থ প্রদান করবে, তাই প্রদত্ত ফিচারসমূহ যথেষ্ট কাজের না হলে সাবস্ক্রিপশন বিক্রি নাও হতে পারে।
গেমের ক্ষেত্রে বর্তমানে সাবস্ক্রিপশন আয়ের জন্য একটি সাধারণ উপায়ে পরিণত হয়েছে।
অথবা আপনার অ্যাপ যদি মিউজিক কিংবা ভিডিও স্ট্রিমিং রিলেটেড হয়, তাহলে আপনি উন্নত ধরনের ডাউনলোড ব্যবস্থা ও মিউজিক প্লেলিস্ট দিয়ে উজারদের সাবস্ক্রিপশন নিতে উৎসাহিত করতে পারবেন।
প্রথমাবস্থায় আপনি সাবস্ক্রিপশন ফি এর দাম খুব অল্প পরিমাণে রাখতে পারেন। এর ফলে খুব সহজেই যে কেউ আপনার অ্যাপসাবস্ক্রিপশন নিতে চাইবে।
বড় হওয়ার সাথে সাথে আপনার এ্যাপের ফিচারগুলো বেশি হবে, তখন আপনি চাইলে আপনার এ্যাপের সাকসেশন এর দাম বৃদ্ধি করতে পারবেন।
স্পন্সরশীপের মাধ্যমেঃ
গুগল প্লে স্টোর থেকে আয় করার আরেকটি ভাল মাধ্যম হচ্ছে স্পনসর্শিপ। আপনার যখন বেশি মানুষ ব্যবহার করবে এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। তখন বিভিন্ন কোম্পানি আপনার অ্যাপ এ বিজ্ঞপন প্রচার করবে।
স্পন্সরশীপের মাধমে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আর এই আয়কৃত টাকা দিয়ে আপনার অ্যাপটি আরও উন্নত করতে পারেন।
এবং অ্যাপ এ আরো ফিচার এড করতে পারেন। যার ফলে আপনার অ্যাপ আর উন্নত হবে এবং আপনি আর বড় কোম্পানির কাছে স্পনসর্শিপ পাবেন।
পরিশেষেঃ
মোবাইল অ্যাপ এর দুনিয়া বর্তমানে দিন দিন বড় হচ্ছে এবং আপনি চাইলেই এ প্লাটফরমটি কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে পারেন।
তাই যেকোনো একটি ভালো নিশ বাছাই করে আজ থেকেই কাজ করা শুরু করে দিতে পারেন। আর আপনি কোন সেক্টর নিয়ে কাজ করে আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান তা আপনার উপর নির্ভরশীল।
তবে আমি উপরে যে যে সেক্টর নিয়ে আলোচনা করেছি যার মাধ্যমে আপনি আপনার ক্যারিয়ার নির্ধারণ করতে পারেন।
আপনার কোন মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।
You must be logged in to post a comment.