দেখতেই দেখতেই যেন চলেই এলো ২০২১ সাল। কালের এই বিবর্তনে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে। করোনাকালে মানুষ ঘরে বসে থাকলেও তাদের আয়ের অংকটা কিন্তু কমেনি বরং বেড়েছে। কেননা মানুষ এখন তার আয়ের মাধ্যম অনলাইনেই খুঁজে নিয়েছে।
আর সেই সাথে অনেকেরই আয়ের বিষয়টিও একেবারেই বা অনেকটাই অনলাইন সাপেক্ষ হয়ে গেছে। এখন এটা ভেবেই বিস্মিত হতে হয় যে মানুষ এখন অনলাইন থেকেই লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারে। বিষয়টা ভেবে দেখেছেন কখনো?
হয়তো, আবার হয়তো বা না। কিন্তু অনলাইনে আয়ের ব্যাপারে নিশ্চয় আপনার অনেক কৌতূহল রয়েছে, তাই না? আর তাই তো আয়ের খোজে এই পোস্টটি পড়ছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে অনেক ঘাটাঘাটি করেও হয়তো বিশ্বাসযোগ্য কোন মাধ্যম খুঁজে পাননি। আর তাই বার বার হয়তো হতে হয়েছে বিপদগ্রস্থ। কেননা অনলাইনে আয়ের বিষয়টিকে নিয়েই অনেকে আবার কিছু ভুয়া কাজ দিয়ে বেড়ায় তার জন্য লাগে বিভিন্ন এড ফি।
আর এড ফি দেয়ার পরেই সেই মহাদয় গায়েব, তাই না? হ্যাঁ, আমাদের এই সমস্যাটা সার্বজনীন। আর তাই আজকে কিছু বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে কিভাবে আপনি নিজেই মাসে ১০হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করবেন সে বিষয়টিই বলব।
অনলাইন ইনকাম 2021
চলুন শুরু করা যাক ২০২১ সালে অনলাইনে আয়ের কিছু গোপন তথ্য। সাথেই থাকুন-
ফ্রি-ল্যান্সিং করে আয়-
ফ্রি-ল্যান্সিং সমন্ধে যে যাই বলুক না কেন অনলাইনে আয় এর ক্ষেত্রে এর চেয়ে বড় কোনো সুযোগ আপনার জন্য থাকতেই পারে না। ফ্রি-ল্যান্সিং করেই তো আজ বাংলাদেশে আমার আপনার মতো যুবকেরা নিজের পায়ে দাঁড়ড়িয়েছে । তবে এখনো অনেকেই বলতে পারে ফ্রি-ল্যান্সিং ভুয়া কিংবা এর অনেক ঝামেলা। আপনার এ মনোভাব সম্পর্কে আমার কিছুই করার নেই।
তবে বিশ্বাস করুন এর চেয়ে ভালো উপায়ের সন্ধান আপনাকে কেউ দিতে পারবে না। তবে ফ্রি-ল্যান্সিং এর জন্য যে বিষয়টি আপনার জরুরি তা হলো কোনো একটি বিষয়ে নিজেকে যোগ্য করে তোলা। এখানে বিষয় বলতে বোঝানো হয়েছে আপনার যোগ্যতা। এটি হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কিংবা ওয়েব ডেভলপমেন্ট।
এখন প্রশ্ন হলো কাজ কোথায় খুঁজে পাবেন তাই না? এর জন্যও চিন্তার কোনো কারণই নেই। কেননা এখন কয়েকশত মার্কেটপ্লেস আপনার মতো ফ্রি-ল্যান্সার এর কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর আশ্চর্য হওয়ার মতো কথা হলো এটা যে আপনাকে কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না কারণ এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রতিদিনই হাজার হাজার ক্লায়েন্ট কাজ দিয়ে থাকে।
এরকমই কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মার্কেটপ্লেস হলো- ফ্রি-ল্যান্সার ডট কম, ফাইভার এবং আপওয়ার্ক যা আগে ওডেস্ক নামে পরিচিত ছিল।
তবে এখানে একটা কিন্তু রয়েছে যা নিয়ে একটু পরেই আসছি।
বিভিন্ন অ্যাপ ও ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম-
বিষয়টা শুধু তাদের জন্যই যারা শুধুমাত্র হাত খরচের জন্য টাকা ইনকাম করতে চান। অর্থাৎ আপনি যদি বেশি ইনকামের আশা করেন তবে এটি আপনার জন্য নয়। সেরকম হলে পরের পয়েন্টে চলে যেতে পারেন। তো যা নিয়ে বলছিলাম তা হলো বিভিন্ন অ্যাপ থেকে টাকা ইনকামের বিষয়টি।
হ্যাঁ, বিষয়টি কিছুটা সত্য। তবে বেশি ইনকামের যে লোভনীয় থাম্বনেইল দেখেন তা কিন্তু সত্য নয়। এ অ্যাপগুলো থেকে খুব কম পরিমাণেই ইনকাম হয়।
এটা মূলত অ্যাপ কোম্পানিগুলো করে থাকে শুধুমাত্র তাদের প্রচার-প্রচারণার জন্য। এমনি একটি ওয়েবসাইট হলো Gamewin360 যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই টাকা ইনকাম ও সর্বনিম্ন ৫০০৳ হলেই তা উইথড্রো করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি হয়তো রিং আইডি কিংবা আরো কিছু অ্যাপের নাম শুনে থাকবেন যা থেকে ইনকামের বিষয়টি সত্য। তবে আগেই বলেছি এটা শুধু তাদের জন্যই যাদের সপ্তাহে ৫০০৳ হাত খরচ হলেই চলে যায়। অর্থাৎ ছাত্রদের জন্য যথাপোযুক্ত।
ব্লগিং করে আয়-
বর্তমান সময়ের অন্যতম একটি কাজ বা টাকা ইনকামের মাধ্যম হলো ব্লগিং। আর আপনার হয়তো বিশ্বাস হবে না যে ব্লগিং থেকে মাসে ১ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব খুব সহজেই। প্রশ্ন করতে পারেন কিভাবে? সুতরাং অনলাইন ইনকাম এর সেরা উপায়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
হ্যাঁ, সেটাই বলছি। ব্লগিং বলতে মূলত বোঝায় ওয়েবসাইটে বা ব্লগে লেখালেখি করা। এর জন্য বিষয় নির্বাচন সহ আরো কিছু বিষয় রয়েছে। তো এখান থেকে যে ইনকামটি হয় তা মূলত অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে। আপনি হয়তো অনেক ওয়েবসাইটে ব্রাউজ করার সময় বিভিন্ন অ্যাড দেখে থাকবেন।
এমনকি আমাদের ওয়েবসাইটেও দেখতে পাচ্ছেন। হ্যাঁ, আপনার ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটে লেখার পাশাপাশি এই অ্যাড দেখানোর মাধ্যমেই অনলাইন ইনকাম করতে পারেন।
অনেকেরই ভুল ধারণা এই থাকে যে, অ্যাডে ক্লিক না করলে ইনকাম হবে না। কিন্তু আপনাকে জানাতে চাই যে , আপনার এই অ্যাড কয়জন দেখলো তার উপর ভিত্তি করেই টাকা দেয়া হবে আপনাকে এবং ক্লিক করলে বাড়তি বোনাস। আর এই পেমেন্টটি আপনি সরাসরি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেতে পারেন। তবে মূল যে কাজটি তা হলো আপনাকে ওয়েবসাইট খুলতে ও লিখতে হবে।
আর এভাবেই একটা সময় গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আমাদের মতো ইনকাম করতে পারেন। কিন্তু ঘাবড়াবেন না এর জন্য আপনাকে ওয়েব ডেভলপার কে দিয়ে ধুমধাম করে টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট বানাতে হবে না। এর জন্য আপনি ব্লগার কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসকে বেছে নিতে পারেন স্টার্টিং এর জন্য।
আরও পড়ুন: কিভাবে একটি আর্টিকেল লিখবেন।
ইউটিউবিং করে টাকা আয়-
গুগলের পরেই মানুষ যে স্থানটিতে সব চেয়ে বেশি ভিড় জমায় তা হলো ইউটিউব। হ্যাঁ, পৃথিবীর দ্বিতীয় সার্চ ইঞ্জিন নামে খ্যাত এই ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্মে আজ হাজার মানুষের ভিড়। আপনি ও আমি এই ভিডিও এর একজন দর্শক।
কিন্তু জানেন কি এই ইউটিউবে ভিডিও দেখার পাশাপাশি ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করা যায়। হ্যাঁ, এখন আমাদের মাঝেই অনেকে এই পথটাকে বেছে নিয়েছে নিজের ইনকামের উপায় হিসাবে। আপনি হয়তো মাঝে মাঝে আপনার দেখা ভিডিওতে কিছু অ্যাড দেখতে পান। কিন্তু জানেন কি এর মাধ্যমেই আয় করা যায়?
হ্যাঁ, ইউটিউবে ইনকামের বিষয়টাও ঠিক আমাদের ওয়েবসাইট বা ব্লগিং এর মতোই। বরং ব্লগিং এর চেয়ে আরো বেশি জনপ্রিয়। ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে খুব সহজেই যেমন পরিচিতি পেতে পারেন তেমনি খুব সহজেই টাকাও ইনকাম করা যায় এভাবে ভিডিও দেখিয়ে।
আর ১্মিলিয়ন কিংবা ২ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার হলেই আর আপনাকে দেখে কে? হ্যাঁ, তখন বসে বসেই টাকার মুখ দেখতে পারবেন।
তবে মূল কাজ কিন্তু শুরু করা। আর তার জন্য আপনাকে চ্যানেল তৈরি করে প্রতিনিয়তই ভালোমানের ভিডিও এবং শুরুতে অনেকটাই পরিশ্রম করতে হবে।
সার্ভে কিংবা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মাধ্যমে-
হ্যাঁ, বর্তমানে অন্যতম একটি মাধ্যম হলো এই সার্ভে কিংবা প্রশ্নোত্তর। ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে অনেক ভিডিও দেখবেন যেখানে এর সমন্ধে বিস্তারিত বলা হয়। হ্যাঁ, বিভিন্ন সার্ভে সাইটে এই সব সার্ভে করার মাধ্যমে খুব সহজেই নিজের হাত খরচটা চালিয়ে দিতে পারবেন।
আর এরকমই একটি জনপ্রিয় সার্ভে সাইটের তথ্য আপনাকে দিচ্ছি তা হলো- ySense.
এফিলিয়েট প্রোডাক্ট বিক্রির মাধ্যমে-
বিষয়টিকে সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত অন্যের পণ্যের প্রচার প্রচারণাকে বোঝায়। অর্থাৎ আপনি অন্যের প্রোডাক্ট বা পণ্য প্রচার করবেন বা অন্যকে তা কিনতে উৎসাহিত করবেন।
কিন্তু কথা হলো যাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করছেন তারা কিভাবে বুঝবে লোকটি আপনার দ্বারা অণুপ্রাণিত হয়ে আপনার প্রোডাক্ট কিনছে, তাই না?
হ্যাঁ, এই বিষয়টির জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে একটি লিংক বা রেফারেন্স লিংক দেয়া হয়ে থাকে। আপনার যার জন্য এফিলিয়েট করছেন সে আপনাকে একটি লিংক দিবে। এখন ওই লিংকে ক্লিক করে যদি কেউ তা ক্রয় করে তবে আপনি সেই প্রোডাক্টের একটি অংশ পাবেন।
আর এটাই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূল কনসেপ্ট বা ধারণা। আর লিংক প্রচারের যে বিষয়টি তা আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট কিংবা ইমেইলের মাধ্যেম নির্দিষ্ট কোনো কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে ফেসবুকে একটি পেজ এবং ইন্সটাতে একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তা প্রচার করতে পারেন। আর সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি একটি এফিলিয়েট ওয়েবসাইট খুলে ফেলেন।
এক্ষেত্রে ফ্রি-তেই তা করতে পারবেন ব্লগার কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে। তবে এখানে একটা সন্দেহ সবাই দিয়ে থাকে যে অ্যামাজন কিংবা অন্য ওয়েবসাইটের এফিলিয়েট করে তো টাকা ইনকামের পর তা তোলা ঝামেলা। বিকল্প কিছু আছে কি?
হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। আর তা হলো আমাদের বিডিশপ কিংবা দারাজের মতো অনলাইন মার্কেটগুলো। অ্যাফিলিয়েটের মাধ্যমে বিডিশপ আপনাকে আপনার বিকাশেই টাকা পৌঁছে দিবে। যা আসলেই প্রশংসার দাবিদার।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়-
অনলাইনে যে শুধু মানুষ বেড়েছে তা কিন্তু এগুলো এক একটি টাকা ইনকামের মাধ্যম হিসাবেও দাঁড়িয়েছে খুব ভালোভাবেই। অনেক কোম্পানি এবং নামি দামি ওয়েবসাইটের প্রচার প্রচারণার প্রথম মাধ্যমটা থাকে সোশ্যাল মিডিয়া। হ্যাঁ, এই হাজার হাজার মানুষের মাঝেই তারা তাদের ব্যবসাকে ছড়িয়ে দেয়া অধিক সহজ বলে মনে করে।
তবে বাংলাদেশে এখন যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ৩ কোটি এরও বেশি তাদের সবার কাছে পৌছানো কি সহজ হবে? না মোটেও না। আর তাই এই ওয়েবসাইটগুলো প্রায়ই ডিজিটাল মার্কেটারদের খুঁজে থাকে। আপনার যদি এ বিষয়ে পূর্ণ ধারণা থাকে তবে খুব সহজেই অনেক দেশি ওয়েবসাইট কিংবা কোম্পানির জন্য ঘরে বসেই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন।
যদি আপনি একজন নতুন বা বিগিনার হয়ে থাকেন তবে গুগলের ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সটি এখনি দেখে আসুন আর নিজের আয়ের দরজাটি খুলে দিন।
আরও পড়ুন:
- গুগল এডসেন্স থেকে আয়, এপ্রুভাল পাওয়ার সহজ উপায় [trics]
- ইমেইল মার্কেটিং কি? কিভাবে শুরু করবেন?
ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট রাইটার হয়ে আয়-
কালের বিবর্তনে বাংলাদেশ যেমন উন্নতির শিখড়ে পৌছাচ্ছে তেমন আধুনিকায়নের জন্যও ইন্টারনেট জগতেও এক বিশাল পরিসর তৈরি করে নিয়েছে। আর তারই জেড় ধরে দেশে আজ নানান ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে আর এগুলোর জন্য প্রয়োজন পড়ছে অনেক বিষয়ে লেখার লোক। যার জন্য ওয়েবসাইট গুলোর প্রায়শই কন্টেন্ট রাইটার প্রয়োজন পড়ে।
আরোও পড়ুন: আর্টিকেল লিখে আয় বিকাশে পেমেন্ট এর উপায়।
আর আশ্চর্য করার মতো বিষয় হলো এটি যে আপনি মাসে অন্তত পক্ষে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০-৩০ হাজার টাকা খুব সহজেই নিজের পকেটে আনতে পারবেন। শুধুমাত্র লিখেই আপনি আপনার আয়ের টাকা নিতে পারেন। আর আরও একটি সুবিধা হলো টাকাটি আপনি বিকাশেই আনতে পারবেন।
আর এমনি একটি ওয়েবসাইট হলো জে-আইটি যেখানে কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে কাজ করে আপনি সহজেই ইনকাম ও অনলাইনে আয়ের শুরুটা করতে পারেন।
এছাড়াও অন্যান্য ওয়েবসাইট গুলোতেও পুরো বছরেই এই কন্টেন্ট রাইটার এর ডিমান্ড বা চাহিদা থেকে থাকে। আর এটাই হতে পারে আপনার ইনকাম ও পরিচিতি তৈরির প্রথম পদক্ষেপ।
অফলাইন কন্টেন্ট রাইটিং থেকে আয়-
ওয়েব কন্টেন্ট রাইটার না করেও কিন্তু টাকা ইনকাম করতে পারেন অফলাইনে কন্টেন্ট রাইটিং করে। হ্যাঁ, এর জন্য আর আপনাকে কারোর ওয়েবসাইটে লিখতে হবে না। আপনি আপনার ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করে টপিক নিয়ে সে বিষয়ে লিখে তার মেইলে পাঠাতে পারবেন।
আর অফলাইন এই ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে পারেন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং দেশি মার্কেটপ্লেসে। দেশি মার্কেটপ্লেস কোনগুলো একটু পরেই জানাচ্ছি।
মোবাইলে কুইজ খেলে আয়-
মাঝে মাঝে অনেকে চায় যে মোবাইলে কিভাবে ইনকাম করা যায় তা খুঁজতে। আর তাদের জন্যই এবং পাশাপাশি কুইজ প্রেমীদের জন্য উইনইট নামে একটি বাংলাদেশি অ্যাপ আপনার জন্য রাখছে কুইজ খেলে টাকা ইনকামের সুবিধা।
আর প্রতি সপ্তাহে থাকবে এমন একটি দিন যেদিন একটি কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। তবে এখানে জানিয়ে রাখা ভালো এটির পরিমাণ অর্থাৎ প্রোফেশনালি ইনকাম হিসাবে এটি মোটেও ভালো না।
আবার আপনি যদি কুইজ বিষয়ে একদম কম ধারণা রাখেন তবে আপনি এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন না। তাই এর জন্য মূল যে যোগ্যতা তা হলো আপনাকে সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে ধারণা এবং পার্টটাইম হিসাবে নেয়ার মন মানসিকতা রাখা।
ফ্রি-ল্যান্সিং এর "কিন্তু" টা কি?
প্রথম পয়েন্টে আমি আপনাকে ফ্রি-ল্যান্সিং সমন্ধে বলেছিলাম এবং পাশাপাশি এর সমন্ধে একটি কিন্তু প্রকাশ করেছিলাম। সেটা কেন, তাই না?
এখানে কিন্তুটা হচ্ছে আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে।
আসলে ফাইভার কিংবা ফ্রি-ল্যন্সার ডট কম বা আপওয়ার্ক যাই বলুন না কেন এসবই বিদেশি মার্কেটপ্লেস। এসব সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা না থাকলে সেখানে কাজ করতে গিয়ে আপনি বার বার হোঁচট খেতে পারেন। কি ঘাবড়ে গেলেন?
না ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কিন্তু যখন উঠিয়েছি তার একটি সমাধানও রাখছি। হ্যাঁ, এই সমাধানটি হচ্ছে দেশি ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করা। আপনি যদি আপনার শেখার পাশাপাশি ইনকাম সম্পর্কে ধারণা পেতে চান তবে দেশি ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করুন। এতে করে আপনার অভিজ্ঞতা যেমন বাড়বে তেমন কাজের দক্ষতাও বাড়াতে পারবেন আপনার অনুশীলনের মাধ্যমে। তবে কোথায় ক্লায়েন্ট খুজবেন, তাই তো?
ক্লায়েন্ট খুঁজতে আপনাকে আহামরি কোন কাজ করতে হবে না। দেশে যেমন এখন অনলাইন আয় অনেকটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে তেমনি এর জেড় ধরেই তৈরি হয়েছে নানা অনলাইন প্লাটফর্ম। আর এদেরই কয়েকটি হলো-
কাজ-কি ডট কম-
দেশি ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করুন ঘরে বসে এই মন্ত্র নিয়ে তৈরি হয়েছে আমাদের কাজ-কি নামক অনলাইন প্লাটফর্মটি। এখানে প্রতিদিনই নতুন নতুন কাজের সন্ধান আপনি পেতে পারেন। এবং সেই সাথে ক্রেতার সাথে কথাও বলতে পারেন।
এটি যেহেতু দেশি ওয়েবসাইট তাই তুলনামূলকভাবেই এখানে প্রতিযোগিতাটাও একটু কম। আর তাই আপনার কাজ পাওয়ার হারটাও একটু বেশি। কাজ পেতে আপনি ক্রেতা বা ক্লায়েন্টের পোস্ট করা কাজে বিড করে আপনার স্কিল সমন্ধে তাকে জানাতে পারেন এবং কাজটি নিজের করে নিতে পারেন।
এছাড়াও জনপ্রিয় গিগ ব্যবস্থাটি থাকছে এখানে। যার মাধ্যমে আপনার কাজের পোর্টফলিও ক্লায়েন্টকে দেখাতে পারবেন।
বি-ল্যন্সার-
দেশের অন্যতম একটি ফ্রি-ল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো বি-ল্যান্সার যেখান থেকে আপনি দৈনিক ১০-১২টি কাজের সন্ধান পেতে পারেন। আর কাজ কি এর মতো এখানেও থাকছে জনপ্রিয় বিড সিস্টেম যার মাধ্যমে ক্লায়েন্ট এর কাজে বিড করে বোঝাতে পারবেন যে আপনি তার কাজটি করতে চাচ্ছেন। আগেরটির মতোই এখানে প্রতিযোগিতা অনেকটাই কম, তাই আপনার কাজ পাওয়ার হারটাও বেশি।
স্বাধীনকাজ-
সম্প্রতি নতুন একটি মার্কেটপ্লেস তৈরি হয়েছে স্বাধীনকাজ নামে। মার্কেটপ্লেসটিতে আপনি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের সন্ধান পেতে পারেন খুব সহজেই। এখানেও আপনি দেশি ক্লায়েন্টের সাথেই কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
অনলাইনে ইনকাম কথাটি আগে আজগুবি মনে হলেও এখন কিন্তু পুরো উলটো । কেননা এখন অনেকেই এর মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিচ্ছে। আর তাই আপনিও পারবেন। তবে এর জন্য দরকার কিছু পূর্ণাংগ ধারণা। আর এই ধারণার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে দেখতে পারেন। কোন ধরনের সমস্যা থেকে থাকলে তা জানান আমাদের কমেন্টবক্সে।
সর্বপরি আমাদের পরামর্শঃ
আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই মন-মানসিকতা ঠিক করে তারপর কাজে নামুন। এবং যে কাজটি আপনি করেন না কেন লেগে থেকে কাজ করতে হবে। কিছুদূর এগিয়ে বন্ধ করে দিলে কখনোই অনলাইন থেকে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন না। তাই কাজ শুরু করার আগে ভালোভাবে ভেবে নিন তারপর কাজ শুরু করুন।
আমাদের সাইটটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর যদি আমাদের সাথে কোন পারামর্শ থাকে কমেন্ট করুন।
সুন্দর পোস্ট। ভালো লাগলো লেখা টা।
You must be logged in to post a comment.