আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আজকে কিছু পার্ট টাইম কাজের আইডিয়া শেয়ার করব, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ছেলে মেয়েরা ঘরে বসেই কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবে।
১। থামনেইল তৈরি
প্রথমে যে পার্টটাইম জবের কথা বলব সেটা হল থামনেইল বানানো। থামনেইল তৈরি করে আপনি কিন্তু অনলাইনে ঘরে বসে বেশ ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার মনে হতে পারে থামনেইল কিভাবে বানাবেন?
থামলাইন বানানোর জন্য আপনি ইউটিউব ভিডিও দেখে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস এর মাধ্যমে খুব সহজেই কাজ শিখে নিতে পারবেন।
পরবর্তীতে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে থামনেইল বানিয়ে তাহলে এটা কোথায় দিব, কিভাবে ইনকাম হবে বা কাদের জন্য থামনেইল বানাবো।
সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলো আছে সেগুলো ভিজিট করতে পারেন হতে পারে সেটা ফাইবার, আপওয়ার্ক। এছাড়া আপনি ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে পোস্ট দিতে পারেন।
আপনার কাজ গুলোকে বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কাছে মেইল করে রাখতে পারেন, যাতে পরবর্তীতে তাদের দরকার হলে আপনাকে জানাতে পারে।
২। আর্টিকেল লেখা
যারা লিখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আর্টিকেল লেখা খুব ভালো একটা পার্টটাইম ইনকামের উপায় হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি প্রথমে নির্বাচন করুন আপনি কোন বিষয়ের উপর লিখতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
তারপরে সেই লেখাকে খুবই সুন্দর করে গুছিয়ে লিখুন এবং আপনি যদি চান আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্লগ আকারে সেখানে আপনার লেখাগুলো পাবলিশ করতে তাহলে সেটাও করতে পারেন।
এছাড়া আপনি যদি অন্য কোন ধরনের ওয়েবসাইটে লিখে আয় করতে চান সে ক্ষেত্রে জে-আইটি আর্নিং প্রোগ্রামে যুক্ত হতে পারেন।
৩। ফেসবুক পেজ/ ইউটিউব চ্যানেল
বর্তমানে ফেসবুক পেজে অথবা ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করে অনেক ভালো ইনকাম করা যায়। চাইলে আপনি ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল যেকোন টি বেছে নিতে পারেন।
আপনি যদি চান আপনি দুটোতেই কিন্তু একই সাথে কাজ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ফেসবুক পেজ ওপেন করে আপনাকে ওখানে ভালো ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং খেয়াল রাখবেন আপনার কনটেন্ট গুলো যেন দর্শকদের আকৃষ্ট করার মত হয় এবং ইউটিউব,
ফেসবুক পেজ যেটাতে আপনি কাজ করতে চান না কেন চেষ্টা করবেন সেখানে যেন নিয়মিত আপনি ভিডিও বা কনটেন্ট দিতে পারেন। কারণ ইনকাম করার জন্য যে কোন ক্ষেত্রেই শ্রম দেয়া বেশ জরুরি।
৪। ভিডিও এডিটর
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এ খুব ভালো মতো করে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সেল আর্ন করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস এর মাধ্যমে বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই ভিডিও এডিটিং এর কাজ গুলো করতে পারেন।
এছাড়া আপনি যদি চান ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল দেখেও শিখতে পারবেন। মনে রাখবেন একদিনে কেউ কোনোদিন কোনো বিষয়ে দক্ষ হতে পারেনা। দক্ষ হবার জন্য আপনাকে সেই কাজের পেছনে লেগে থাকতে হয়,
চেষ্টা করতে হয় নতুন নতুন কিছু করার। আপনি ভিডিও এডিটিং এর কাজ যে শুধুমাত্র ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলো থেকেই পেতে পারেন এমন টা নয়,
আপনি যদি খেয়াল করেন অনেক ইউটিউব চ্যানেল বা ফেসবুক পেজের কনটেন্টররা ভিডিও এডিটর খোজ করে। আপনি চাইলে তাদের হয়ে কাজ করতে পারেন।
চাইলে তাদের ব্যক্তিগতভাবে আপনার করা কাজ গুলো ইমেইল করে দিতে পারেন। পরবর্তীতে তারা আগ্রহী হলে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং এখান থেকে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন।
৫। একাডেমিক ওয়েবসাইট তৈরি
সবশেষে যে আয় করার উপায়টির কথা বলব সেটা হল একাডেমিক ওয়েবসাইট তৈরি করা। আপনি যদি একটি কলেজের স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন বা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন,
সেক্ষেত্রে আপনার জন্য এই কাজটি অনেক বেশি সোজা হবে আপনি যদি চান আপনার একাডেমিক বিষয়গুলোকে নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
এবং সে ওয়েবসাইটে আপনার সিলেবাস অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়কে গুছিয়ে প্রকাশ করতে পারেন। আপনি খেয়াল করে দেখবেন আপনি নিজেও বিভিন্ন ধরনের অ্যাসাইনমেন্ট, রিপোর্ট তৈরি করার জন্য অনলাইনের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন।
সেক্ষেত্রে আপনি যদি একটি সুন্দর তথ্যবহুল ওয়েবসাইট তৈরী করে রাখেন এবং সেখানে কনটেন্টগুলো খুব ভালো হয় তাহলে পরবর্তীতে স্টুডেন্টদের আপনার ওয়েবসাইটটি কিন্তু বেশ আকৃষ্ট করবে।
আশা করছি আজকের বলা এই উপায় গুলো সকল শিক্ষার্থীদের কাজে আসবে। মনে রাখবেন আপনি যদি একবারে সব কিছু করতে চান তাহলে কোনোটায় ঠিকমত করতে পারবেন না। তাই যেকোনো একটি দিক বেছে নিয়ে কাজ শুরু করুন ইনশাআল্লাহ সফল হবেন।
Nics
You must be logged in to post a comment.