আপওয়ার্ক থেকে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন?

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য হাজার হাজার উপায় রয়েছে। তারমধ্যে freelancer-দের মর্যাদা অন্যতম। অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে বড় মাধ্যমের একটি হলো ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা কম নয়। প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তে থাকছে। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য নানা ধরনের বানানা ক্যাটাগরির ওয়েব সাইট রয়েছে। তবে আজকে এই আর্টিকেল থেকে আমরা শিখব upwork.com থেকে কিভাবে সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

আর্টিকেল এর সূচনা: আপওয়ার্ক হলো সারা বিশ্বের অন্যতম একটি প্লাটফর্ম ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য। এমনকি আপ ওয়ার্ক এই প্লাটফর্মে প্রায় 37 টি ক্যাটাগরির কাজ করার সুযোগ রয়েছে। প্রতিনিয়তঃ আপ ওয়ার্ক এর ইউজার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমনকি এ প্লাটফর্মে প্রতিদিন নতুন নতুন কাজ আসে। তাই আপনি চাইলে এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।

যদিও ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আরো অন্যান্য বড় বড় প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তবে বড় বড় ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম থেকে আপ ওয়ার্ক অন্যতম। আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের অভিজ্ঞতাগুলো থাকে তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে আপওয়ার্ক প্লাটফর্মে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। আপওয়ার্ক থেকে আপনি প্রতি মাসে প্রায় লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন খুব সহজেই।

 

আপওয়ার্কে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে?

আপওয়ার্ক থেকে ইনকাম: সাধারণভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ হল নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে। ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ নিয়ে কাজ গুলো কমপ্লিট করা। বোঝা গেল যে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার কিছু দক্ষ থাকতে হবে। তাই বলে ভাববেন না অনেক বড় বড় দক্ষ থাকতে হবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনি আপওয়ার্কে নানারকম ক্যাটাগরির কাজ করতে পারবেন।এখানে প্রায়ই 37 টি ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে। এখানে আর্টিকেল রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, টেকনিকাল রাইটিং, ট্রান্সলেট, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট সহ নানান ধরনের কাজ রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং আপওয়ার্কে কিভাবে শুরু করব?

 

আপনি তাদের ওয়েবসাইটে সরাসরি যে তাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন।যেমন তাদের ওয়েবসাইটের নাম upwork.com এখান থেকে আপনি সরাসরি একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিবেন। অথবা আপনি চাইলে তাদের অ্যাপ্লিকেশনের একাউন্ট তৈরী করে কাজ করতে পারেন। অ্যাকাউন্ট তৈরি করা কোন ব্যাপারই না।

তাদের চাওয়া কৃত ইনফরমেশন গুলো দিয়ে খুব সহজেই অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারেন। অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে সর্বপ্রথম আপনি আপনার প্রোফাইলে আপনার অভিজ্ঞতা গুলো সুন্দর ভাবে বিবরণ দিয়ে দিবেন। মনে রাখবেন অনেক ক্লায়েন্ট রয়েছে যারা আপনার অভিজ্ঞতা দেখে কাজ দিবে।

আপওয়ার্কে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি অভিজ্ঞতা থাকতে হবে?

আপওয়ার্কে সাধারণত 37 টি ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে।তার ভিতরে আমি আপনাদের সামনে 16 টি এর বিবরণ নিচে দিয়ে দিলাম।

১) ওয়েব ডিজাইন।
২) মার্কেটিং।
৩) ভিডিও প্রোডাকশন ।
৪) ফটোগ্রাফি এবং এডিটিং।
৫) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
৬) প্রোগ্রামিং ।
৭) গ্রাফিক ডিজাইন।
৮) সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট।
৯) কপিরাইটিং।
১০) লিটারেচার অর্থাৎ লেখা ও এডিটিং।
১১) অনুবাদ করা।
১২) এডভার্টাইজিং।
১৩) টিচিং।
১৪) ভয়েস ওভার অর্থাৎ কন্ঠ প্রদান।
১৫) সাপোর্ট ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট।
১৬) আর্ট  ডিরেকশন ।

উপরের যেকোন একটি ক্যাটাগরির অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। আপনার যদি অভিজ্ঞতাগুলো থাকে তাহলে আপনি আজ থেকেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন। তবে সফল ফ্রিল্যান্সিং হওয়ার জন্য আপনার ভিতর নানা ধরনের গুন থাকা চাই।

ফ্রিল্যান্সিং শুরুতে থাকতে হবে: সকল কাজেই নিজের কিছু গুণ থাকা প্রয়োজন। তাই বলে আমি অভিজ্ঞতাকে বোঝাতে চাইনি। আমি বলতে চেয়েছি যে, আপনার ভিতরে কাজ করার জন্য, যেমন পরিশ্রমই, সৎ, ক্রিয়েটিভিটি, নতুনত্ব, ইচ্ছাশক্তি ইত্যাদি গুন। এই গুণগুলো আপনার যেকোনো কাজেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তাই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার ভিতরে থাকতে হবে উপরের গুণগুলো। আপনি যদি নিজের ইচ্ছেশক্তি বা পরিশ্রমই না হয়ে কাজ করেন তাহলে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। সেটা শুধু ফ্রিল্যান্সারদের জন্য নয় বরং সব কাজের ক্ষেত্রে।

 

আপওয়ার্কে কাজ কোথা থেকে পাবেন?

 

আপনি চাইলে ওয়েবসাইটে অথবা তাদের অ্যাপ্লিকেশনে লগইন করার পর। ফাইন্ড ওয়ার্ক অপশনে ক্লিক করলেই আপনার সামনে নানা ধরনের পোস্ট চলে আসবে। বিভিন্ন ক্লায়েন্টরা প্রয়োজনীয় পোস্ট করে। আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত কাজকে চুজ করতে পারেন।

 

অথবা আপনি আপনার প্রোফাইলে সুন্দরভাবে আপনার অভিজ্ঞতাগুলোর বিবরণ দিয়ে দিবেন। কারণ অনেক ক্লাইন্ট প্রোফাইল চেক করে কাজের অফার দেয়। তাই অবশ্যই অবশ্যই আপনার প্রোফাইলে খুব সুন্দর ভাবে আপনার অভিজ্ঞতা এর বিবরণ গুলো দিবেন।

 

তাছাড়া আপনি সেন্ড এ প্রপোজাল” বাটন এ ক্লিক করুন। আপনার অভিজ্ঞতার একটি পোস্ট করতে পারেন। যেখান থেকে আপনি সরাসরি প্রয়োজনীয় ক্লায়েন্টকে পেয়ে যেতে পারেন।তার জন্য আপনাকে ক্লাইন্ট খুঁজতে হবে না বরং ক্লায়েন্ট আপনার কাছে আসবে।

 

গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ?

  • আপওয়ার্কে নিজের প্রোফাইল পিকচার আকর্ষণীয় ভাবে দিন। যাতে ক্লায়েন্টরা আপনার কাছে আসে।
  •  
  • আপনি কখনোই আপনার প্রোফাইলে ফেইক অভিজ্ঞতার বিবরণ দিবেন না।
  •  
  • ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করতে অসুবিধা হলে বারবার চেষ্টা করতে থাকুন। দেখবেন চেষ্টা করতে করতে একসময় হয়ে যাবে।
  •  
  • ক্লায়েন্টদের কোন প্রশ্নের যথাসময়ে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন।
  •  
  • ক্লায়েন্টের চাহিদা সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করুন।
  •  
  • আপনি সফল ফ্রিল্যান্সারের রেফারেন্স নিয়ে কাজ করতে পারেন। যাতে আপনার অভিজ্ঞতা আরও বেশি ভালো হয়।

আমি কি ফ্রিল্যান্সার হতে পারব?

আপনার যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং সফলতা অর্জন করতে পারবে। যদি করতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনি চেষ্টার পর চেষ্টা করতে থাকুন। চেষ্টা থেকে তো শুরু হয় কি তাই না? কোন ব্যক্তি প্রথম থেকে সব কিছু ভালোভাবে করতে পারেনা।

মানুষ যদি চেষ্টা করতে থাকে তাহলে অবশ্যই তার ফলাফল ভালো পাবে। আর আপনি যদি সহজেই ব্লাঞ্চিং সফল হতে চান তাহলে অবশ্য আপনার ভিতরে থাকতে হবে, পরিশ্রম, ধৈর্য, সহ্য, নতুনত্ব ইত্যাদি।এগুলো আপনার ভিতরে থাকলে অবশ্যই আপনি যেকোনো কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

আজ কিন্তু ফিল্যান্সিং করে মানুষ নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে চালাই। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের ক্যারিয়ারের জন্য অন্য কোন কাজ করতে হয় না। অনলাইনে কাজ করেই তারা নিজের ক্যারিয়ার সামলাতে পারে। এমনকি কেরে সামলাতে তাদের কোনো সমস্যাই হয় না।

আপনিও চাইলে খুব সহজেই ফ্রীল্যান্সিংয়ে সফল হতে পারেন।উপরের পয়েন্ট গুলো ভালভাবে লক্ষ করলে আপনার বুঝতে পারবেন কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং সফল হতে পারা যায়। আমার আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 

সর্বোপরি বন্ধুরা যারা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চান তারা উপরের পদ্ধতি অবলম্বন করে কাজ করতে পারেন। কাজ করলে অবশ্যই আপনার ভিতরে ধৈর্য এবং পরিশ্রম খুবই জরুরী। তাই নিজের কাজে মনোযোগী হন এবং নিজের অভিজ্ঞতা অন্যদের শেয়ার করে আরো বেশি অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে নিন।

 

আজকের আর্টিকেলটি এই পর্যন্তই । দেখাবে অন্য কোন আর্টিকেলে। শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আমায় আর্টিকেলটি অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে পারেন আপনার বন্ধুদের কাছে।

আর অবশ্যই জানাবেন আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো? সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করে বিদায় নিচ্ছি আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

অনলাইনে লেখালেখি করতে ভালোবাসি। অনলাইনে কিছু শিখতে ও জানতে ও জানাতে আরো বেশি ভালোবাসি।