অনলাইন থেকে মাসে ৩০০০০ থেকে ৪০০০০ হাজার টাকা ইনকাম আপওয়ার্কের মাধ্যমে

আপওয়ার্ক করছে পৃথিবীর অন্যতম ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোর মধ্যে একটি সেরা সাইট। এটি একটি সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস যেখানে সারা বিশ্বের কোটি কোটি ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে থাকে। এখানে কাজ করে অনেক ফ্রিল্যান্সাররাই তাদের জীবনকে উন্নত করে তুলেছে। তবে এখানে কাজ করতে আপনার নির্দিষ্ট কিছু দক্ষতার প্রয়োজন হবে। আপওয়ার্ক এর মাধ্যমে আপনি কিভাবে অনলাইনে প্রচুর ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে আপনাদের সাথে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

বর্তমান সারাবিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং পেশা টি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমাদের দেশেও অনেকেই এখন এই ফিল্যান্সিং পেশাটিকে বেছে নিয়েছে। বর্তমান আমাদের দেশে চাকরির বাজারে ব্যাপক প্রতিযোগিতা হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষিত তরুন তরুনীরা জীবিকা অর্জন করার জন্য তারা ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকে

অনলাইনে ইনকাম করার সাধারণত বিভিন্ন সাইটে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে থাকে এখানে ইনকাম করার অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে। কিন্তু এই আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস টি অনেক ভালো একটি মার্কেটপ্লেস সেখানে আপনি খুব সহজেই কাজ পেয়ে যেতে পারেন। তবে এজন্য আপনার কিছু করণীয় থাকে।

এখানে আপনি যে কাজটি করতে চাচ্ছেন অবশ্যই আপনার সেই কাজটি সম্পর্কে প্রথমেই পারদর্শী হতে হবে তাহলে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারেন। এখানে নানান কাজ থেকে থাকে

সাধারণত আপওয়ার্ক পৃথিবীর অনেক বড় একটি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। তবে এটি প্রথমে যখন এটি শুরু হয় তখন এটি ওডেক্স নামে পরিচিত ছিল যা পরবর্তীতে পরিবর্তন হয়ে আপওয়ার্ক নাম ধারণ করে। আমরা যারা অনলাইনে কাজ করে থাকি আমাদের অনেকেরই আপওয়ার্কে কাজ করার ইচ্ছা থাকে। আর তাই আজকের এই আলোচনাটি আপনাদের জন্য।

আপওয়ার্কের মাধ্যমে আপনি কিভাবে ভাল ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গেলে আপনাকে অবশ্যই এর শুরু থেকে জানতে হবে। তাই শুরুতেই আপনাদের সাথে আলোচনা করব যেটি নিয়ে সেটি হচ্ছে আপওয়ার্ক কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে থাকে। তাই চলুন দেরী না করে আমরা এটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

আপওয়ার্ক কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে:

সাধারণত ফ্রিল্যান্সারগণ আপওয়ার্কে তাদের প্রোফাইল নিজেদের কাজ ও এসব অভিজ্ঞতা তুলে ধরে থাকে। আর বিভিন্ন ক্লায়েন্টরা তাদের নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের বিবরণ সহ এবং এর জন্য আপনাকে পারিশ্রমিক কত দেবে তা উল্লেখ করে অপরকে পোস্ট করে থাকে।

ক্লায়েন্টরা সাধারণত তাদের আগ্রহী ফ্রিল্যান্সারদের তালিকা করে তাদের পছন্দ অনুযায়ী এক বা একাধিক জনকে নির্বাচন করে চুক্তিবদ্ধ করতে পারেন। আবার যে কোন ফ্রিল্যান্সারের প্রোফাইল দেখে তাকে কাজের জন্য আমন্ত্রণ পত্র পাঠাতে পারেন।

আরও সহজভাবে বলতে গেলে যেটি বলতে হয় সেটি হচ্ছে আপওয়ার্কে কাজ হল ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টের মধ্যে একটি যথাযথভাবে সংযোগ স্থাপন করা। এই পুরো প্রক্রিয়াটি আপনাকে ইন্টারনেট কানেকশন করে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে হবে।

তবে আপওয়ার্ক সাধারণত একজন ফ্রিল্যান্সারের প্রথম ৫00 ডলারের বেশি অর্থ তাদের হিসেবে কেটে নিয়ে থাকে। আর সেই কন্টাক্টে ফ্রিল্যান্সাররা এর পরিমাণ যদি ১0 হাজার ডলারেরও বেশি হয় তার থেকে ৫% পাবে আপওয়ার্ক।

আপওয়ার্ক কি এই বিষয়টি নিয়ে হয়তো আপনারা পুরোপুরি ভাবে জেনে গিয়েছেন। এখানে কাজ করতে গেলে আপনাকে এর কাজের প্রকার সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক এর কাজের প্রকার। নিচে সেটি আলোচনা করা হলো:

আপওয়ার্ক এর কাজের প্রকার:

এই মার্কেটপ্লেস টি বর্তমান বিশ্বব্যাপী অধিক জনপ্রিয় হয় এখানে আপনি নানান কাজ করতে পারেন। তবে এখানে আরেকটি বিষয় আপনার জানতে হবে যদি আপনি আপনাকে কাজ করতে চান তবে অবশ্যই আপনার ইংরেজি বিষয়ক দক্ষতা এবং ইংরেজি ভাষায় ধারণা রাখতে হবে।

মূলত শিল্প এবং দক্ষতা ভিত্তিক কাজ সাধারণত এখানে বেশী গুরুত্ব পেয়ে থাকে। আপওয়ার্কে  আপনি যেসব কাজ পেতে পারেন তার বিবরণ নিচে তুলে ধরা হলো।

ফটোগ্রাফি এডিটিংভিডিও প্রোডাকশনগ্রাফিক্স ডিজাইনের সমস্ত কাজসার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এসইওমার্কেটিং করতে পারবেনসোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করতে পারবেনবিভিন্ন প্রোগ্রামিং করতে পারবেনসফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেনলিটারেচার লেখা ও এডিটিং করতে পারবেনকপিরাইটিং এডভার্টাইজিংআর্টিকেল রাইটিংডাটা এন্ট্রিঅনুবাদ করা সাপোর্ট ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট করতে পারবেনআর্ট ডিরেকশন করতে পারবেন

এই সাইটটিতে আপনি কম্পিউটার অথবা মোবাইল দিয়ে আপনার কাজ করতে পারবেন। আর এখানে পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে আপনাকে একদমই কিছু চিন্তা করতে হবে না আপনি যদি ভাল মতন কাজ করে বায়ার বা  ক্লায়েন্টকে জমা দিতে পারেন অথবা আপনার কাজটি যদি সঠিক হয় তাহলে অবশ্যই আপনি পেমেন্ট পেয়ে যাবেন।

আপওয়ার্ক সিক্স প্রাইস এবং ঘন্টা হিসেবে পারিশ্রমিকে কাজ পাওয়া যায়। এবার আপনি এখানে কিভাবে একাউন্ট খুলবেন কিভাবে কাজ পাবেন তার সবকিছু আপনাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। এখানে অ্যাকাউন্ট খোলা টা বিষয় আপনাকে বেশ কিছু ধারণা রাখতে হবে আর এটি একটি জটিল বিষয় হতে পারে। কেননা আপনার এক্যাউন্টের মাধ্যমে নির্ভর করবে আপনি কেমন কাজ পেতে পারেন। নিচে একাউন্ট খোলা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

কিভাবে আপওয়ার্কে একাউন্ট খুলবেন:

যদি আপনি আপনার কি কাজ করবেন বলে সিদ্ধান্ত করে থাকেন তবে এখানে সঠিক মত আপনাকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। এবং আপনার খোলা একাউন্টটি ক্লায়েন্টরা যখন প্রত্যক্ষ করবে তখন যেন তারা আপনার অ্যাকাউন্টে কোনো ভুল ধরতে না পারে। আর যেভাবে আপনি অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করবেন তা হল আপওয়ার্ক সাইন আপ পেজ প্রবেশ করুন এখান থেকে। 

আপনার নাম বয়স শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করুন। মনে রাখবেন আপনি যা তথ্য দিবেন তার সবকিছুই সঠিক ভাবে দিবেন কোন মিথ্যে তথ্য ব্যবহার করবেন না

আপনাকে ইমেইল এবং ফোন নাম্বার সঠিকভাবে ভেরিফাই করতে হবে। আপনি আপনার ব্যবহৃত ইমেইলটি এবং ব্যবহৃত ফোন নাম্বারটি সঠিকভাবে দিন। মনে রাখবেন আপনি যে ইমেইলটি সব সময় ব্যবহার করে থাকেন আপনি সেটি এখানে দিন।

আপনার একাউন্টটি যদি নিশ্চিত হয়ে যায় তাহলে আপনি আপনার নিজের প্রোফাইল কে প্রফেশনাল ভাবে সাজাতে হবে। আপওয়ার্ক একাউন্ট লগইন থাকা অবস্থায় এডিট প্রোফাইলে গিয়ে একাউন্ট এডিট করতে হবে।এখানে আপনি আপনার একটি ভালো হাসিখুশি স্পষ্ট একটা প্রফাইল পিকচার ব্যবহার করুন

এটা সাধারণত বায়ারকে আপনার প্রতি একটি আস্থা তৈরি করে দেয়। তাছাড়া আপনি যে কাজে এক্সপার্ট সে কাজের যদি কোন সনদপত্র থাকে তাহলে আপনি এখানে তা ব্যবহার করতে পারেন।

আর টাইটেলে আপনি যে কাজগুলো করতে পারেন সেগুলো সুন্দর ভাবে উল্লেখ করুন যাতে কেউ বুঝতে পারে যে আপনি সেই কাজগুলোতে দক্ষ। এটা দেখে যদি ক্লায়েন্ট পছন্দ করে থাকে তাহলে তারা আপনার বাকি প্রোফাইলটি দেখতে আগ্রহ বোধ করবে।

এখানে আপনি কোন কপি পেস্ট করবেন না নিজে লিখলেই সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। আর যদি না হয় তাহলে কোথা থেকে আইডিয়া নিতে পারেন। এখানে আপনি যে যে বিষয়গুলো দক্ষ সে বিষয়গুলোকে যোগ করতে পারেন। আপনি আপনার রেটটি সর্বনিম্ন রেট দিবেন আপনি সর্বনিম্ন 5 ডলার রেট দিতে পারেন তাও প্রথম ফিডব্যাক পর্যন্ত।

প্রোফাইল শতভাগ করার জন্য স্কিল টেস্ট দিতে হয়। স্কিল টেস্টে ভালো ফলাফল হলে সেটিকে প্রোফাইলে প্রদর্শন করবেন তাতে প্রোফাইল আরো শক্তিশালী ও অনেক বেশি প্রফেশনাল হবে।

আপনার প্রোফাইলে আপনি আপনার যথেষ্ট দক্ষতা অভিজ্ঞতা সহ আপনি যে কাজে পারদর্শী তা খুব ভালো ভাবে তুলে ধরুন। যাতে আপনার সমস্ত কিছু একটি সি ভি আকারে গঠিত হয় । আপনাকে আপনার এসব বিষয়গুলো একটু বেশি করে ফুটিয়ে তুলতে হবে

তারপর, আপনাকে আপনার প্রোফাইলে ভালো মতন ডিজাইন করতে হতে পারে। আপনি ‍যদি আরও ভালো ভাবে ধারণা পেতে চান তাহলে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন।

আপওয়ার্ক মেম্বারশিপ এবং কানেক্ট করবেন কিভাবে: 

আপনি যদি আপনার একটি কাজের প্রপোজাল পাঠাতে চান তাহলে আপনার কানেক্ট এর প্রয়োজন হবে। 

এখানে সাধারণত কানেক্ট টোকেন এর মত কাজ করে থাকে। আপনাকে জবের জন্য বিট করতে ১ থেকে ৬ পর্যন্ত কানেক্ট এর প্রয়োজন হবে। তবে আপানার যদি প্রজেক্টটি কোনো কারণ বসত বাতিল হয়ে যায় তাহলে আপনি আপনার কানেক্ট ফেরত পাবেন

তবে এখানে আপনি সাইন আপ করলে নির্দিষ্ট কিছু কনেক্ট খুব সহজেই ফ্রি পেয়ে যাবেন। সেগুলো আপনার ফুরিয়ে যাবে আর যদি আপনি আপওয়ার্কের ফ্রি মেম্বারশিপ প্ল্যান ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনাকে এর কানেক্টের জন্য আপনাকে ০.১৫ ডলার খরচ করতে হতে পারে। এছাড়াও আপনি এখানে প্রতিমাসে ফ্রি কানেক্ট পেয়ে থাকবেন। 

আপওয়ার্কে কাজের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন:

আপনার লগইন থাকা অবস্থায় জব সার্চ করতে পারেন অথবা সরাসরিভাবে দেখতে পারেন।

এবার আপনি যদি কোন জব এ ক্লিক করেন যে কাজটি ক্লায়েন্ট আপনাকে দিয়ে করাবে সেটির বর্ণনা আসবে সেটি আপনি ভালো মতন পড়ে দেখুন আপনি সেটি করতে পারবেন কিনা। ক্লায়েন্ট আপনাকে কত দিনের মধ্যে শেষ করতে বলবে তা ঠিক করে বুঝে নিন। জবের যেই পোস্ট গুলো করা হয়েছে সবকিছু বুঝে শুনে দেখুন যদি আপনি নিজের মতো করে করে দিতে পারেন সঠিকভাবে তাহলে বিট করতে পারেন।

আপওয়ার্কে সাধারণত কাজের জন্য আবেদন করাকে বিট বলা হয়। আপনার একাউন্টে নির্দিষ্টভাবে ৩0 টি বেড করার কোটা আছে একমাসে আপনি ৩0 টা কাজ আপনি ভালোভাবে আবেদন করতে পারবেন। তাই এই কোটা ভালোভাবে বুঝে ব্যবহার করবেন।

তবে একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন আপনি যে কাজটি করতে পারবেন আপনি শুধু সেই কাজটির জন্য বের করবেন। তাহলে এক্ষেত্রে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে যদি আপনার প্রোফাইল নতুন হয় তাহলে আপনাকে এইনিয়মটি ভালোভাবে পালন করতে হবে।

আপনি যদি নতুন হন তাহলে আপনাকে খুব বেশি অনলাইনে থাকার চেষ্টা করতে হবে, যাতে ক্লায়েন্ট আপনাকে কোন কারণে মেসেজ দিলে সেটার উত্তর দিতে দেরি না হয়।

আর বিট করার আগে অবশ্যই আপনি আপনার ক্লায়েন্টের প্রোফাইলটা চেক করে নিবেন ক্লায়েন্টের প্রোফাইল চেক করার যে বিষয়গুলো আপনি লক্ষ রাখবেন সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • ক্লায়েন্ট কত ঘন্টা কাজ তারা করিয়েছে। 
  • ক্লায়েন্টের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা।

আপনি যে ধরনের কাজে বিড করেছেন সেই ধরনের কাজ ক্লায়েন্ট এর আগে করিয়ে থাকলে সেটা কতটা করেছে সেটা খেয়াল রাখবেন সে অনুযায়ী করবেন করার জন্য কভার লেটার লাগবে।

আপনার কাজের জন্য আপনাকে একটি ভালো কভার লেটার লিখতে হবে। নিচে কভার লেটার লেখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

কভার লেটার লেখার নিয়ম:

এখানে কভার লেটার লিখতে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করতে হবে। আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি আপওয়ার্কে কাজ করতে গেলে অবশ্যই আপনার ইংরেজি বিষয়ক জ্ঞান থাকতে হবে। আপনি ইংলিশ না জানলে অপরকে কাজ করতে পারবেন না।

খুব লম্বা হবে কভার লেটার না লেখাই ভাল পারলে ১/২ লাইনের লিখে ক্লায়েন্টকে বোঝানোর চেষ্টা করেন এটি উত্তম হয়ে থাকে। ক্লায়েন্টের সময়ের মূল্য আছে বড় কভার লেটার দেখলে ভয় আর সেটা নাও পড়তে পারে

আর এখানে একটি বড় মারাত্মক ভুল হচ্ছে অন্যের কভার লেটার ব্যবহার করা। অন্যের কভার লেটার কখনোই ব্যবহার করবেন না হয়তো আপনি অন্যের কভার লেটার দেখে কিছুটা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন কিন্তু তাই বলে অন্যের কভার লেটার কপি করে ব্যবহার করা একদমই উচিত নয়।

লিখবেন প্রত্যেক বিট করার সময় কাজের বর্ণনা বুঝে লিখবেন বেশি কথা না বলে আপনার কাজের স্যাম্পল দিবেন এটি আরও অনেক বেশি ভালো হবে।

কভার লেটার এর গঠন:

কভার লেটারের প্রথমে স্যার বলে সম্বোধন করলে বাংলাদেশিরা পছন্দ করে থাকে। কিন্তু হাই বা হ্যালো দিয়ে সম্বন্ধ করতে সাধারণত বিদেশীরা প্রচন্ড করে। তবে স্যার বলে সম্বোধন করাটাই ভালো। কভার লেটার লেখার সময় নিজেকে এক্সপার্ট পরিচয় দিলে আপনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে। এ ধরনের কাজে আপনার পূর্ব-অভিজ্ঞতা পুরোপুরি উল্লেখ করুন।

সাধারণত কভার লেটার এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টকে বুঝাতে হবে তিনটি বিষয়। সেগুলো হলো।

  • আপনি আপনার কাজের বর্ণনা ভালোমতোই বুঝতে পেরেছেন তো। এটি ক্লায়েন্টকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
  • কাজ টি আপনি কি ভাবে সম্পন্ন করতে চাচ্ছেন তা পুরোপুরি ভাবে ক্লায়েন্টের কাছে প্রকাশ করুন তাহলে ক্লায়েন্ট আপনার উপর আস্থা রাখবে।
  • কাজটি আপনার জন্য কোনরকম নতুন অভিজ্ঞতা না। এটি আপনি আপনার ক্লায়েন্টকে বুঝিয়ে দিন।

আপনাকে এবার স্বাভাবিক মত কাজ শুরু করতে হবে। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কোন দুটি কাজের জন্য আপনাকে নির্বাচন করে থাকে তাহলে ক্লায়েন্ট আপনার ইন্টারভিউ নিবে।

আপনি ঘন্টা ভিত্তিক কাজ যদি কম্পিউটারের মাধ্যমে করে থাকেন তাহলে আপনি আপু আর টিম নামক সফটওয়্যারটি আপনার কম্পিউটারের নামিয়ে নিন পিসিতে ইন্সটল করুন আপনি অনেক সুবিধা পাবেন।

সফটওয়ারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারে স্ক্রিনশট নিবে এবং সাথে সাথে সেটা আবার ক্লায়েন্টের কাছে পাঠিয়ে দিবে। আপনার কাজ সাধারণতঃ ভালোমতন শেষ করে দিতে পারলে ক্লায়েন্ট আপনার সাথে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবে।

যদি আপনি ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তীকালে বেশি কাজ পেতে আপনার সুবিধা হবে। আপওয়ার্কে মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করা এটি কোন জটিল বিষয় নয়। এখানে ফ্রিল্যান্সিং করতে আপনাকে কোন ধরনের ঝামেলায় পড়তে হবে না। আর পেমেন্ট নিয়েও আপনাকে কোন রকম ঝামেলায় পড়তে হবে না।

এখানে অনেকেই কাজ করে থাকে এবং এই মার্কেটপ্লেস টি বর্তমান সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি এখানে কাজ করতে চান তাহলে আপনি আপনার একটু চেষ্টায় সেটি সম্ভব করে তুলতে পারেন। এখানে কাজ করে অনেকেই তাদের জীবনকে উন্নত করে তুলেছে অনেকেই প্রচুর ইনকাম করে চলছে।

আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার পছন্দমত একটি সাইটে একবার শেয়ার করবেন আপনার করে একটি শেয়ার আমাদের আরো ভাল আর্টিকেল লিখতে উৎসাহিত করবে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

আমি লেখালিখি করতে পছন্দ করি তাই লেখালেখি করি