অনলাইনে ইনকাম করার বিশ্বাসযোগ্য ও সেরা কিছু সাইট

আপনারা হয়ত জানেন,আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। আউটসোর্সিং এর বেস্ট প্লাটফর্ম হলো ,এছাড়া ও আরো অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো থেকে আপনারা টাকা খুব সহজে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। নিচে কয়েকটি প্লাটফর্মের নাম বলা হলোঃ

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

ফাইভার ডটকম

আউটসোর্সিংয়ে নতুনদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক ওয়েবসাইট হচ্ছে ফাইভার। কিছুকাল আগেও সবচেয়ে জনপ্রিয় আউটসোর্সিং এর তালিকায় অনেক নিচের দিকে ছিল এই ওয়েবসাইট। কিন্তু সহজলভ্যতা এবং অনায়াসে কাজ করার সুবিধার জন্য এই ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এর জনপ্রিয়তার মূল কারণ লুকিয়ে আছে এর নামের মধ্যই। মাত্র ৫ ডলার পারিশ্রমিকের ছোট ছোট প্রজেক্টএ কাজ করা যায় এই ওয়েব সাইটে। এবং অভিজ্ঞ হওয়ার সাথে সাথে কাজের মাত্রা ও বৃদ্ধি পায় ৫ ডলার বেতন বৃদ্ধির অনুপাতে।

অন্যন্য ওয়েবসাইটের মতো ফাইভারে প্রথমেই কোন একটি প্রজেক্ট জমা দিতে হয় না। এটা শুরু কেবল নিজের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং কি কাজ করতে চান সে বিষয়গুলো উল্লেখ করলেই চলবে। ফাইভার সেগুলো যাচাই বাছাই করে আপনার কাজের কিছু প্রস্তাব পেশ করবে। সেগুলো যদি আপনার পছনন্দ হয় আপনি তখন নিজের প্রজেক্ট সম্পর্কে ফাইভারকে জানাতে পারবেন। আর আপনার মূল কাজ ও শুরু করতে পারবেন।ফাইভারের এ পদ্ধতি বিশেষ করে যারা নতুন এবং ,তাদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। অল্প টাকার জন্য, অল্প সময়ে অল্প পরিমাণ শ্রম, এটিই হচ্ছে ফাইভারের মূল কথা। আপনার যদি একটি স্থায়ী চাকরি থাকেও,আপনি তার পাশাপাশি ফাইভারে কাজ করে অতিরিক্ত টাকা আয় করতে পারবেন।

গুরু ডটকম

এটা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য আউটসোর্সিং এর তালিকায়। যদি বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় আউটসোর্সিং কোনটি, তাহলে অবশ্যই গুরু ডিটকমের নাম আসতে বাধ্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাড়ে তিন লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে এউ অনলাইনভিত্তিক আউটসোর্সিং এর হয়ে। ১৯৯৮ সালে আমেরিকার পেনসালভানিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এটি। এই ওয়েবসাইটে গ্রাফিক ডিজাইনিং,প্রোগ্রামিং,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, লেখালেখি সবই করা ।

তবে আউটসোর্সিং ওয়েবসাইটগুলোর চেয়ে গুরু ডটকম কিছুটা আলাদা। এখানে ফ্রিল্যান্সারদের সরাসরি কাজের লিস্ট ধরিয়ে না দিয়ে বরং তাদেরকে  কয়েকজন গুরুর অধীনে বিন্যস্ত করা হয়। একজন ফ্রিল্যান্সার যখন বড় প্রজেক্টের কাজ পান, তখন তিনি নিজের দলকে সাথে নিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। সবমিলিয়ে ফ্রিল্যান্সার এর জগতে গুরু ডটকম সবচেয়ে সহজলভ্য এবং নিরাপদ। আর এটা বড় বড় প্রজেক্টের জন্য নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট।

 

অনলাইন ইনকাম অনলাইন ইনকাম করার উপায়

 

সল্যশনইন ডটকম

আউটসোর্সিং এর প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে সল্যশন ।

শিক্ষার্থী কিংবা সদ্য শিক্ষাজীবন শেষ করা চাকরিপ্রার্থী তরুনদের জন্য এটি সবচেয়ে বড় সমাধান। তবে ব্যাপারটা এরকম ও নয় যে অদক্ষদের দিয়ে কাজ করানোয় সল্যশনইন এর কাজ খারাপ হয়। দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের তদারকির মাঝেই কাজ করে চলে নতুন ফ্রিল্যান্সারগণ। একদিকে খদ্দেরের প্রজেক্ট সম্পন্ন হয় নিখুত হয় নিখুতভাবে,অন্যদিকে অনভিজ্ঞরা নিজেদের ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ পায়। অনেকটা প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির মতো।

পিপল পার আওয়ার ডটকম

এ বিষয়টি উভয় পক্ষের জন্যই । ফ্রিল্যান্সাররা সিভি জমা দেওয়ার মতো করে একাধিক কাজের জন্য আবেদন করে রাখতে পারে।এতে করে একটি কাজ মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। অন্যদিকে খদ্দেরগণ একাধিক আবেদন ঘেটে নিজের চাহিদা অনুযায়ী একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার বেছে নিতে পারে। পিপল পার আওয়ারের আরেকটি বিষয়  সেবাদানের বৈচিত্র। হাজারে একজন খদ্দেরের আগ্রহ আছে,এরকম সেবাও এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। এই কারণে এই সাইটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এলেন্স

আউটসোর্সিং ওয়েবসাইটগুলোর মধ্য সবচেয়ে সমৃদ্ধ ওয়েবসাইটের নাম এলেন্স। এখানে আপনি খুজে পাবেন অনেক ডিজাইনার, প্রোগ্রামার আর লেখক, যারা আপনার যেকোন ধরনের অনলাইন ভিত্তিক কাজ করে দিতে সক্ষম হবে। কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাজ আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে করিয়ে নিতে হয় আপনার প্রধান চাহিদা, তাহলে এলেন্সে ঢুকে পরাটাই হবে আপনার বুদ্ধিমানের কাজ। কাজের চাহিদা অনুযায়ী ফ্রিলান্সার পেতে এলেন্সে গিয়েই প্রথমে কাজের বর্ননা,প্রার্থীর যোগ্যতা,অভিজ্ঞতা এবং প্রারিশ্রমিকের তথ্য প্রদান করতে হবে।

বাকি কাজটা বেশ দক্ষতার সাথেই সম্পাদন করবে এলেন্স। ২০১৫সালের অধীনে এলেন্স চলে আসে আপওয়ার্কের অধীনে। বর্তমানে এলেন্সের কার্যক্রম আপওর্কের অধীনেই চলছে এবং ধীরে ধীরে এর সকল কার্যক্রম আপওয়ার্কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এলেন্সের পারিশ্রমিক প্রদানের বিশেষ পদ্ধতি কাজের যথার্থতা নিশ্চিত করবে। সচরাচর আউটসোর্সিং ওয়েবসাইটগুলোর মতো এলেন্স সম্পর্ন কাজ শেষ হলে একেবারে সম্পর্ন অর্থ প্রদান করে না। বরং প্রতিটি কাজকে একাধিক স্তরে ভাগ করা হয় এবং প্রতিটি স্তর সম্পন্ন হলে সে স্তরের কাজের অনুপাতে অর্থ প্রদান করে। পআরিশ্রমিক প্রদানের এ পদ্ধতি ফরিল্যান্সারদের অনেক সক্রিয় করে তোলে। কেননা অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সারের মাঝে একটি নির্ধারিত সময়ে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করার প্রবণতা দেখা যায়। ফলে কাজে নানান ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।নির্ধারিত সময়ে প্রতিটি কাজের নির্ধারিত অংশ করেই অর্থপ্রাপ্তি হয় বলে বসে থাকার উপায় নেই।

তাছাড়া এ পদ্ধতিটি ফ্রিল্যান্সারদেরও ব্যক্তিগতভাবে লাভবাব করে। এককালীন পারিশ্রমিক প্রাপ্তির চেয়ে অল্প অল্প করে পেলে  নিজেদের ব্যক্তিগত খরচেও মিতব্যয়ী হতে পারেন।

ওডেক্স ডটকম/আপওয়ার্ক ডটকম

কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য ফ্রিল্যান্সার ভাড়া করার সেরা ওয়েবসাইট হচ্ছে ওডেক্স/আপওয়ার্ক। বাস্তব জীবনে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে যেভাবে চাকরি দেওয়া হয়, অনলাইনে সেভাবে সম্ভব হয় না। ফলে অনেক সময়ই অযোগ্য প্রার্থীকে কাজ দেওয়া হয়। ওডেক্সে সে সম্ভাবনা শূন্যের কাছাকাছি। প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সারের নারিনক্ষত্র উল্লেখ  তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাদির ঘরে। ফলে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সার ভাড়া করার সময় যথেষ্ট যাচাই বাছাই করে কর্মী নিয়োগ করতে পারেন।  তাছাড়া ওডেক্সের আরেকটি ভালো ফিচার হচ্ছে এই যে এখানে ফ্রিল্যান্সারদের কাজের হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়।

বেধে দেওয়া সময়ের মধ্য কাজ সম্পন্ন হবে কিনা তা নিয়োগকারী যেনে যাবেন 'ডেইলি লগ 'দেখার মাধ্যমে, যেখানে ফ্রিল্যান্সারদের কাজের অগ্রগতির আপ ট ডেট তথ্য উল্লেখ থাকবে। আবার কোন প্রজেক্টের কাজ শুরুর পর ফ্রিল্যান্সাররা তার প্রতিটি ধাপ যথাযথভাবে করছে কি না তা জানতে ওডেক্সে পাওয়া যাবে প্রজেক্টের সর্বশেষ অবস্থার স্ক্রিনশট। ২০১৫ সালে ওডেক্সেরভনাম পরিবর্তন করে আপওয়ার্ক রাখা হয়। প্রতিবছর ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের কাজ আপওয়ার্কে পোস্ট করে থাকেন খদ্দেরগণ।

সহজ কথায় আপওয়ার্কের কাজ হলো ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। কোন নির্দষ্ট বায়ার/ক্লায়েন্টের কাছ থেকে একজন ফ্রিল্যান্সারের প্রথম ৫০০ ডলার আয়ের ২০% অর্থ ফি হিসেবে আপওয়ার্ক।একই কন্ট্রাক্টে ৫০১ থেকে ১০ হাজার ডলার আয়ের মধ্যে ১০% যায় আপওয়ার্কের ভাগে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

DN College,