আসসালামুয়ালাইকুম। আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত শিক্ষাথীদের উদ্দেশ্য করে লেখা। সাধারণত শিক্ষার্থী থাকা-কালীন আমরা অনেকেই চাই আমাদের দৈইন্দিন হাত খরচের টাকা আমরা নিজেরাই বহন করতে,
পাশাপাশি পরিবারে সামান্য হলেও আর্থিক ভাবে ভূমিকা রাখতে। তাছাড়া আমাদের দেশ এর অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা মধ্যবিত্ত অথবা নিম্ম আয়ের পরিবার থেকে উঠে আসে।
যাদের ব্যয় এর একটা বড় অংশই চলে যায় খাবার-দাবার আর বাড়ি ভাড়ায়। এসব পরিবারে পড়াশোনার ব্যয় মেটাতে পরিবারের কর্তার বেগ পেতে হয়। তাই অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চলমান রাখার জন্য টিউশনি বা অন্যকোন ফিজিকাল এক্টিভিটির সাথে নিজেকে যুক্ত রাখতে হয়।
তাই এসকল শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে আজকে আমি ৫ টি পার্ট টাইম জব এর কনসেপ্ট শেয়ার করবো। যা তুমি পড়াশোনার পাশাপাশি ঘরে বসেই নিজের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটির মাধ্যমে করতে পারবে, সাথে থাকছে কিছু স্পেসাল টিপস। সুতরাং ধৈর্য্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইল ।
আর্টিকেল রাইটিং জব :
তুমি যদি ইংরেজি টাইপিং এ পারদর্শি হও , তাহলে অনলাইনে লেখালিখি করে মাসে ভালো একটা ইনকাম জেনানেট করতে পারো। এমনকি চাইলে ইংরেজি আর্টিকেল লেখাকে নিজের কেরিয়ার প্রফেসন হিসেবে নিতে পারো।
Freelancewritersden , hirewriters ,Fiverr এর মতো অসংখ্য সাইট আছে, যেখানে তুমি তোমার লেখা বিক্রি করে মাসে হাজার ডলার বা তার চেয়েও বেশি ইনকাম করতে পারো।
আর তুমি যদি ইংরেজি আটিকেল রাইটিং এ পারদর্শি না হয়ে থাকো তাহলে ও কোন সমস্যা নেই। কারণ তুমি চাইলেই বাংলায় আর্টিকেল লিখে টেকটিউনস, গ্রাথোর, অর্ডিনারি আইটি, প্রতিবর্তন এর মতো সাইটে জমা দিয়েও ইনকাম করতে পারো।
ফেসবুক মার্কেটিং :
বর্তমান সময়ে তোমার পক্ষে ফেসবুক আইডি বীহিন মানুষ খুজে বের করা প্রায়ই কষ্টকর বিষয় হয়ে দাড়াবে। কারণ বাংলাদেশ স্মার্ট ফোন সহজ লভ্য হওয়ার সাথে সাথে ফেসবুক ইউজার এর সংখ্যা ও কয়েকগুন বেড়েছে।
সেই সাথে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেও আয়ের অসীম সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তোমরা চাইলে এখানে একটি পেইজ তৈরি করে সেখানে নিজেদের প্রডাক্ট বিক্রি করতে পারো।
তাছাড়া তোমার নিজের যদি কোন প্রডাক্ট না থাকে তবে অন্যান্য পেইজ এর সাথে কমিশন ভিত্তিক চুক্তিতে গিয়ে তাদের প্রডাক্ট বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারো। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে ও কাজ করতে পারো ।
ইউটিউবিং করে :
ইউটিউব হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভিডিও স্টিমিং প্লাটর্ফম। এর সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। এখন প্রশ্ন হলো পার্ট-টাইম জব হিসেবে তুমি ইউটিউব কেন বেছে নিবে। সাধানত আমরা অনেকেই অনেক সময় ঝোকের বসে ইউটিউব চ্যানাল খুলি এবং প্রথম দিকে কয়েকটা ভিডিও আপলোড করে যখন আশানুরোপ ফলাফল পাই না,
তখন আপলোড দেওয়া বন্ধ করে দেই। ইউটিউবিং এ আমাদের ব্যর্থতার মূল কারণ হলো নিম্ম মানের কনটেন্ট একই সাথে ধৈর্যের অভাব। প্রথমত তোমাকে তোমার প্রছন্দের একটি বিষয় সিলেক্ট করতে হবে,
তারপর সেই বিষয়ে অনবরত কনটেন্ট আপলোড দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথম দিকে ভিউ এর দিকে না তাকিয়ে কাজ করে যাও, ইনশাআল্লাহ তুমি সফল হবে। ইউটিউব থেকে তুমি কয়েকটা মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবে। প্রথমত গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে এছাড়াও পেইড প্রমোশন, স্পনসরশিপ এর মাধ্যমে ও এফিলিয়েট মার্কেটিং ।
টি- সার্ট ডিজাইন :
টি-শার্ট ডিজাইন করে আপনি প্রতি মাসে ১০০-৫০০ ডলার বা তার থেকেও বেশী ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। টি-শার্ট ডিজাইন করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি প্লাটফর্ম বেছে নিতে হবে।
আমি আপনাকে ধারনা দেওয়ার জন্য কয়েটি প্লাটফর্ম এর নাম বলছি :Cafepress, Treadless,Painfull,Designgill etc । এখন কথা হলো আপনি টি শার্ট ডিজাইন করবেন কিসে। এর জন্য আপনার কাছে সবচেয়ে বেটার অপসেন হচ্ছে ক্যানবা আর যদি আপনি ফটোশপ এ দক্ষ হন তাহলে তো কোন কথাই নেই।
ছবির মালিকানাস্বত্ব বিক্রি করে :
অনলাইনে এমন অনেক সাইট আছে যেখানে আপনি আপনার মোবাইল ফনে ধারণ কৃত ছবি আপলোড করে রাখতে পারেন। যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সেই ছবিটির প্রয়োজন হয় তবে সে আপনার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থের বিনিময়ে ছবিটির মালিকানাস্বত্ব কিনে নিবে।
এই কনসেপ্ট থেকে আপনার আয়ের সম্ভাবনা নির্ণয় করবে আপনার ছবি তোলার দক্ষতা আর সেই সাইটের গ্রাহকদের চাহিদার উপর।
শেষ কথা : কোন কাজে আপনি কতটুকু সফল হবেন তা নির্ভর করবে পুরোপুরি আপনার উপর। মনে রাখবেন ধৈর্য্যবান ব্যক্তিই শেষ পযর্ন্ত সফল হয়। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
You must be logged in to post a comment.