অনলাইনে ইনকামের জন্য আমরা ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করি যে কিভাবে অন লাইন থেকে ইনকাম করবো।অথবা গুগলে গিয়ে সার্চ করি সেখানে তারা বলে এই এপসে এড দেখ এত টাকা ইনকাম করা যাবে।এড দেখে ইনকাম এইরকম লোভনীয় কথা বলে তারা।
কিন্তু আমরা যখন কাজ করি তখন ইনকাম হয় কাজের তুলনায় অনেক কম। তার পরেও টাকা তারা পেমেন্ট করে না।
তাই আজ এমন কিছু উপায় বলছি যেগুলো থেকে আসলেই ইনকাম করা যায়। চলুন শুরু করা যাক।
১.ফ্রিল্যান্সিং
২.ভিডিও মার্কেটিং
৩.ডিজিটাল মার্কেটিং
১। ফ্রিলেন্সিং
নামে ফ্রিল্যান্সিং একটা শব্দ হলেও এর মধ্যে রয়েছে অনেক শাখা। যেমন এর মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মধ্যে যেমন লগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন। এর পরে রয়েছে ওয়েব ডেবলব। ওয়েব ডিজান,ভিডিও এডিটিং, আর্টিকেল রাইটিং।
ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে এই সকল কাজ গুলো করে ইনকাম করতে পারেন। আপনি হয়তো বলবেন এখন এই কাজ গুলো কিভাবে করবো বা কাজ গুলো পাবই বা কিভাবে।হতাশ হওয়ার কনো কারন নেই বাংলাদেশে এমন অনেক কম্পানি বা সাইট রয়েছে যেখানে তারা ফ্রিলেন্সিং এর কাজ গুলো কোর্স হিসাবে শিখায়।
তবে কনো কোর্সে এডমিশন নেওয়ার আগে যাচাই বাছাই করে নিবেন। কাজ শেখার পর এমন অনেক সাইট রয়েছে যেমন আপওয়ার্ক ডট কম, ফাইবার,
ফ্রিলেন্সার ডট কম, এই সাইট গুলোতে একটি এ্যাকাউন্ট করবেন। এর পর যাদের কাজ করানোর প্রোয়োজন তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
২। ভিডিও মার্কেটিং
ভিডিও মার্কেটিং ও এখন অনেক জনপ্রিয়। জনপ্রিয় ভিডিও শিয়ারিং প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে রয়েছে ইউটিউব এবং ফেসবুক। এই দুটি প্লাটফর্মে মুলত তিন ভাবে ইনকাম করা যায়। প্রথমত ভিডিও আপলোড দিয়ে মনিটাইজেশন অন করে গুগল এড সেন্স থেকে ইনকাম।
দ্বিতীয়ত স্পন্সর থেকে ইনকাম। আপনি যখন ভিডিও আপলোড দিতে থাকবেন তখন আপনার কিছু দর্শক বেজ তৈরি হবে। তখন কোনো কোম্পানি আপনার সাথে যোগাযোগ করে বলবে আপনি আমাদের এই প্রোডাক্ট অথবা এই এপসের এড চালাবেন তার বদলে আপনাকে টাকা দেওয়া হবে।
তৃতীয়ত আপনি যখন ভিডিও আপলোড দিবেন তখন আপনার একটা ভ্যালু তৈরি হবে মানুষ আপনাকে চিনবে। আর আপনার যদি নিজের কোনো প্রোডাক্ট থাকে তাহলে সেটা আপনি আপনার ফেসবুক পেইজ অথবা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে সেল করতে পারবেন।
এখন আপনি কিভাবে কি রকম ভিডিও আপলোড দিবেন তাই নিয়ে ভাবছেন। চিন্তার কোনো কারন নেই আপনি যেই বিষয়ে ভালো পারদর্শি সেই বিষয়ে ভিডিও আপলোড করবেন।আর যদি এডিটিং বিষয়ে জানতে চান তাহলে ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেখে নিবেন।
৩। ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ডিজিটাল যেই মাধ্যম গুলো রয়েছে ইউটিউব, ফেসবুক, ইমো,ওয়াটসএপ, এই রকম মাধ্যম গুলোতে মারকেটিং করা। মনে করেন আপনার একটি কম্পানি রয়েছে এখন সেই কম্পানি বা কম্পানির প্রোডাক্ট গুলো প্রচারের জন্য ফেসবুকে,ইউটিউবে এড দিতে হয় এটাই ডিজিটাল মার্কেটিং।
অথবা আপনি একটা এপস লন্স করেছেন এখন মানুষ তো নিজে থেকে জানবে না যে আপনি এপস তৈরি করেছেন তখন আপনাকে ফেসবুকে,ইউটিউবে সহ এই মাধ্যম গুলোতে এড দিতে হবে।
আর আপনি যদি প্রোডাক্ট সেলার হন তাহলে তো আপনাকে এড দিতেি হবে।ধরুন আপনি একটা প্রোডাক্ট কিনেছেন সেটা সেল করার জন্য একটু বেশি দামে। এর জন্য আপনি সুন্দর একটা এড ভিডিও বা ফটো তৈরি করবেন আপনার প্রোডাক্ট অনুযায়ী।
এর পর এড দিতে হবে সোসাল মিডিয়া গুলোতে তাহলে আপনি আপনার প্রোডাক্ট মার্কেটিং বা সেল করতে পারবেন।
You must be logged in to post a comment.